![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
্মুক্ত চিন্তা হয়ে উঠতে পারে দেশ বদলের হাতিয়ার.................................।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন,আপনি ভোট দিন আর না দিন,অন্য কোন দল আসুক বা না আসুক ভোট হবেই হবে।আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যখন তখন কথার ব্যতিক্রম হবেনা।আগে কি বলেছেন না বলেছেন কি কথা দিয়েছেন না দিয়েছেন নির্বাচন প্রশ্নে তিনি এক কথার মানুষ,তিনি তার স্বিদ্ধান্তেই অনড়।এবং এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে নির্বাচন হয়েই ছাড়বে।বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েই আছেন তবে আর সংসদ গঠন করতে বাধা কোথায়?ধরে নেয়া যেতে পারে এবারও ক্ষমতার চাবিকাঠি মহাজোটের হাতেই থাকবে,তারা এবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।ইতমধ্য হয়ত উপর মহলের নেতারা মন্ত্রীসভা গঠনে ব্যস্ত হয়েও পড়েছেন।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের প্রতি এত শ্রদ্ধাশীল আমাদের জানাছিলনা।যাই হোক!সময়ের পরিবর্তনে কত কিছুই বদলে যায়,বদলে যায় মন মানসিকতার পরিবর্তনও।হয়ত আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভালোর দিকেই হাটতে চাইছেন,পুরোপুরি নির্মুল করতে চাইছেন রাজনৈতিক সহিংসুতা,উপড়ে ফেলতে চাইছেন জঙ্গিবাদের শিকড়,হয়ত এর জন্য যে পন্থা তিনি অবলম্বন করেছেন তা আমাদের পছন্দনীয় হয়নি কিংবা মানবাধিকারের পর্যায়ে পড়েনা,হয়ত জনগনকে শান্তিতে রাখতে গিয়ে অশান্ত পরিবেশকে ভালোভাবে সামলাতে পারেননি,বরাবরের মত বলি হতে হয়েছে সাধারন নাগরিকদেরকেই বেশি কখনো লাশ হয়েছে স্বয়ং পুলিশ,এ সরকারই বোধহয় পুলিশদের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছেন,তাদের অলসতাকে কিছুটা মুছে দিয়েছেন।সংবিধানকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কারো তোয়াক্কা না করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে,কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন মন্ত্রীসভা ঘোষনা করে নতুন সরকার গঠন করবেন।হয়ত বিতর্কিত অনেকেই আবার মন্ত্রীত্বের চেয়ারে বসবেন,ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নানা ভাবে ফায়দা লুটাতে ব্যস্ত থাকবেন,নিজেদের সম্পত্তি দ্বিগুন থেকে চারগুন বৃদ্ধির চেষ্টা চালাবেন,পদ্মা সেতুর দুর্নীতির চেষ্টা ফাস হয়ে গেছে এখন যমুনায় ২য় সেতু দেবার নাম করে নতুন কেলেংকারিতে জড়িয়ে পড়বেন…,…,…
না,আমরা এমন বলছি কেন??আমরা দুর্ভাবনাগুলোকে আবারো ফ্রন্ট লাইনে নিয়ে আসছি কেন??২০১৩ এর সাথে আনলাকি থার্টিনের সম্পৃক্ততা ছিল বলেই হয়ত বছরটি আমাদের অনেক খারাপ গিয়েছে,অনেক ভয়াবহতা দেখিয়েছে।২০১৪ এর সাথে লাকি সেভেনের সম্পৃক্ততা আছে সুতরাং আমরা এবার আশাবাদী হবো,ভীষন আশাবাদী হবো,আবারো আমাদের মাটিতে এশিয়া কাপ,আমাদের মাটিতে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ,আনলাকি থার্টিনে আমরা কেদেছি এবার আমরা হাসবো,এশিয়া কাপে হাসবো,টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে হাসবো,পদ্মা সেতু আলোর মুখ দেখবে আমরা আশাবাদী হতেই পারি,যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায় আলোর মুখ যখন দেখেছে তখন এর সমাপ্তির ব্যাপারেও আমরা আশাবাদী হতে পারি, মেট্রোরেল এর আশা থেকে কেন বঞ্চিত হবো? আমাদের প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠেছেন,সংবিধানে নাগরিক অধিকারের কথা সুস্পষ্টভাবে বলা আছে।সুতরাং প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রেও শ্রদ্ধাশীল হবেন এমনটা আমরা আশা করতেই পারি।দুর্নীতির ছোবল থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রীর উপর আমরা আবারো আস্থা রাখতে পারি,তিনি নিশ্চয়ই এবার আর বিতর্কিতদের মন্ত্রীত্বের আসনে বসাবেন না,দুদককে আর রশি দিয়ে বেধে রাখতে চাইবেন না নিজের আচলে।
বিরোধী দলের উপর স্টীম রোলার চালানো থেকে বিরত থাকবেন।তাদের যুক্তিযুক্ত আন্দোলনে বাধা প্রদান করবেন না,বিরোধীদের উপর থেকে বিরুপ মনোভাব সরিয়ে নিজেদের সফলতার মাধ্যমে জনগনের মন জয় করার চেষ্টা করবেন এমনটা আমার আশা করতেই পারি।হয়ত সবাইকে চমকে দিয়ে সবার অংশগ্রহন নিশ্চিত করে মধ্যবর্তী একটি নির্বাচন দিয়ে বিরোধীদেরও মন জয় করে নিবেন।
প্রশ্ন ফাসের ছড়াছড়ি শিক্ষামন্ত্রীর ভালোকাজে বাধা হয়ে দাড়ালেও,সহিংসুতার ভেতর দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা নেয়া,সময় মত রেজাল্ট দেয়া আর বছরের প্রথম দিনেই যখন কোমলমতি শিশুদের মনে নতুন বইয়ের গন্ধে আনন্দ দিতে পেরেছে তবে আমরা আশাবাদী না হয়ে উপায়ই বা কোথায়?
শেষ কথাঃ
অতি মাত্রায় আগ্রাসি মনোভাব কখনোই সুখকর কিছু বয়ে আনেনা,৯৬ তেও আনেনি ২০১৪ তেও আনবে বলে মনে হচ্ছেনা।এই পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে আমরা বুঝতে পারতাম না তারা প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতার কাঙ্গাল,দেশ কিংবা জনগন কখনোই তাদের ভাবনার বিষয় নয়,ছিল না।একমাত্র ক্ষমতার যাবার বা থাকার জন্য,একে অপরকে দোষারোপ করার জন্য, তারা দেশীয় সম্পদ বিনষ্ট করছে বারবার।গনতন্ত্র রক্ষার লড়াই তারা কখনো করেনি,করছেনা।ককটেল,পেট্রোলবোমা,রেল লাইনের স্লিপার খুলে ফেলা,যানবাহনে আগুন,…,ইত্যাদি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড,আর যাই হোক গনতন্ত্র রক্ষার লড়াই হতে পারেনা।এবং বিরোধীদের শক্তি খর্ব করে একগুয়ে নির্বাচনও কখনো সংবিধান রক্ষার লড়াই হতে পারেনা।আর যদি সংবিধান রক্ষার লড়াইয়েই নেমে থাকেন তবে সংবিধানের প্রতিটি অনুচ্ছেদকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে।শুধু নির্বাচন প্রশ্নে নয় সকল ক্ষেত্রেই সংবিধানের প্রতি আপনার শ্রদ্ধা দেখতে চাই…!
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:০৮
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: কবি বলেছেন,
পাগলের সুখ মনে মনে ,
রাইত হইলে তারা গুনে ।।
কবি উপরোক্ত কবিতায় একটি বিশেষ শ্রেনীর পাগলের বৈশিষ্ট্য বর্ননা করেছেন।
কি সেই বৈশিষ্ট্য?
এদের কথাবার্তা মোটামুটি স্বাভাবিকই থাকে।শুধু তারা কল্পনার জগতে বাস করে ,আর যা দেখে মুলতঃ সবই তার দাবী করে।ভাবটা এমন গোটা দুনিয়ারই বাদশাহ্ সে।রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেরায়। রাস্তায় ছদ্মবেশে বেড়াছ্ছে প্রজাদের অবস্হা দেখার জন্যে। এ ভাবের জগতে থাকার কারনে সারাদিন সে খুব সুখে থাকে।ভাবতে থাকে রাতের বেলা সে তার রাজপ্রসাদে ফিরে যাবে।
কিন্তু যখন রাতের বেলা হয় তখন ফুটপাতে শুয়ে আকাশের তারা গুনে।
এই হইলো Mango peaple....। আমরা ৫ বছরে একবার কোন একটা মার্কায় সীল মারার সুযোগ পেয়ে ঐ পাগলের মতো নিজেকে দেশের মালিক মনে করি।বাকি ৫ বছর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি।
Click This Link
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১১
মোঃজাহিদুল হাসান (রাশেদ) বলেছেন: খারাপ বলেননি ভাই @ বাপ্পা
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ধইন্নাপাতা @ রাশেদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৪
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: কইত্তে লাকি রে ভাই, অভাগার কপাল সবটাইমে আনলাকি।বছরের পয়লাতেই সেইরম বাঁশ খাইছি।জানি না সামনে কি আছে!!!
আড় দেশের যে অবস্থা এই দুজন থাকলে এর পরের বৎসর ২০১৫ বাঙ্গালী দেখতে পারে কি না সন্দেহ আছে