অনুপ্রেরণায় তুমি

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

আজ অনেকদিন পর তোমাকে দেখলাম।দূর থেকে।একটা বই দূর থেকে দেখলাম মনযোগ দিয়ে পড়ছ।অনুপ্রেরণায় তুমি।বই মেলার ঐ স্টলে ঠায় দুই ঘণ্টা দাড়িয়েছিলে।আমি অবাক হলাম।যে মানুষটি কোনদিন কবিতার মুগ্ধতায় আনতে পারিনি আজ সেই কিনা আমারই কবিতার বই পড়ে যাচ্ছে।অদিতি,যেদিন দু লাইনের চিরকুট তোমাকে ছোড়ার অপরাধে ক্লাসের অমনোযোগী ব্যাকবেঞ্চারকে চড় দিয়ে বলেছিলে,কবিতা দিয়ে কল্পনা সাজানো যায়,জীবন নয় ইচ্ছা হয়েছিল জীবন থেকে পালিয়ে যাই।বন্ধু কমলকে আমার কবিতার খাতা দিয়ে বলেছিলাম বাসার সামনের ঝালমুড়ি ওয়ালাকে আমার কবিতার খাতার কাগজগুলো দিয়ে ঠোঙা বানাতে বলিস।বন্ধু তো তা হতে দিলইনা বরং তা দিয়ে আসল কোন এক প্রকাশকের কাছে।আর সে কিনা বলল আমি যদি অনুমতি নাও দেই এগুলো দিয়ে সে নাকি বই বের করবে।কথাটা জানানোর জন্য কমল ওর পকেটের সব টাকা খরচ করে রিকশায় ঘুরে আমাকে খুজেছে।পেল এক পার্কের বেঞ্চে,ঘুমানো অবস্থায়।ওর ডাকে আধ ঘুমে এলাম প্রকাশকের কাছে।প্রকাশকের হাত থেকে কি যেম একটা খাম এল আমার কাছে, জিজ্ঞাসা করতেই বললেন কবিতার রয়েলটি।ভাবতেই অবাক জান,যে কবিতার জন্য জীবন থেকে পালিয়ে বেড়াতে চেয়েছি আজ সেই কবিতাই আমার পরিচয়ে মিশে গেছে।তোমাকে চিরকুট দিয়েছিলাম দু লাইনের কিন্তু লিখেছিলাম গোটা বিশেক কবিতা।আজ যেই বইটা পড়ে দেখলে তার অনুপ্রেরণায় ছিলে তুমি।উৎসর্গে তাই তুমি ছিলে,অদিতি,যার জন্য এতগুলো কবিতা।কমলকে নিয়েও লিখেছি।ও না থাকলে ছাপার অক্ষরে এই কবিতাগুলো আসবে এটা স্বপ্নই থাকত।অনেকগুলো কথা লিখলাম আজ তোমাকে ভেবে,সামনে গিয়ে বলার সাহস আজও হলনা।ভয় হল,সেদিনের মত আজও যদি আমার ডান গালে তোমার রাগান্বিত চিহ্ন ও একে দাও। তবে আজও বলব অনুপ্রেরণায় আছ যে তুমি

০ টি +০/-০