![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি চাইলেই সব কিছু হয়, ভুলতে পারি শোক। দিতেই পারো আমার দিকে একটু মনোযোগ। আমার মতো তুমিও তবে বাসতে পারো ভালো জ্বালতে পারি দুই চোখেতে ভালোবাসার আলো। তুমি চাইলে হতে পারি এক নিমেষেই নদী সাহস করে সেই নদীতে নামতে পারো যদি।
আমরা কথায় কথায় ধর্মের বুলি কপচাই। আমার ধর্ম আমাকে এই শিখাইসে, সেই শিখাইসে। ধর্মই মানবতাবোধ শেখায়, নৈতিকতা শেখায়। কিন্তু একটা জিনিস আমার মাথায় কিছুতেই ঢোকে না, মানবতাবোধ কিংবা নৈতিকতা শিখতে হলে ধর্মের আশ্রয় নিতে হবে কেন! আমি মানুষ না? তাহলে আমার মধ্যে এই সামান্য বোধটুকু কাজ করবে না কেন!
আমরা কথায় কথায় উদাহরণ দেই, নবীজী আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, মানুষের প্রতি সদয় হও, গরিবকে সাহায্য কর, মারামারি-হানাহানি করো না। নবীজী বলেছেন, তাই আমরা করবো। নইলে পাপ হবে। কেন নবীজীর উদাহরণ দিতে হবে? এই বোধটুকু আমার নিজের মধ্যে কাজ করবে না কেন! তাহলে আমি কিসের মানুষ! একজন মানুষকে কষ্ট পেতে দেখলে আমাকে আগে কেন মনে করতে হবে, আমার ধর্ম কি বলছে? কেন আমার নিজেরও কষ্ট হবে না, আর সেই বোধ থেকে আমি ওই মানুষটার কষ্ট দূর করার চেষ্টা করবো না! আমার ঘরের দরজায় একজন মানুষ ক্ষুধায়-তৃষ্ণায়, রোগে-শোকে কষ্ট পাবে, আর আমি কোণায় বসে হিসাব করতে ধরবো যে সে হিন্দু না মুসলিম না বৌদ্ধ-খ্রিস্টান। আমার ধর্ম নাকি বিধর্মীদের সাহায্য করার অনুমতি দেয় নাই। আমার ধর্মের না হলে তার কষ্ট আমার জন্য কোন অনুভূতির জন্ম দিবে না, বরং আমি আনন্দে বিগলিত হবো।
এরজন্যই কি সৃষ্টিকর্তা আমাদের মানুষ হিসেবে তৈরি করেছেন? চারটে পায়ের বদলে দুটো হাত আর দুটো পা দিয়েছেন। মাথায় মস্তিষ্ক নামে একটা বস্তুর সৃষ্টি করেছেন । হৃদয় নামক একটা অনুভূতির জন্ম দিয়েছেন! আমরা কথা বলতে আর লিখতে-পড়তে শিখেছি, আনন্দে হাসতে আর দুঃখে কাঁদতে শিখেছি। আমার একবারও মনে হবে না সবকিছুর ঊর্ধ্বে একজন মানুষ, আমারই মত একজন মানুষ আমার ঘরের দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে। সেই বোধটুকু তৈরি হতেও ধর্মের দোহাই দিতে হবে!
রাগ হয়ে গেল তো মারো.....কাটো.....ওই হিন্দুকে, মুসলমানকে, বৌদ্ধ আর খ্রিস্টানকে.......এতই সহজ! তৈরি করে দেখাও দেখি একটা প্রাণ। তৈরি করে দেখাও দেখি একটা মুসলমান নয় হিন্দু। যা তৈরি করবার ক্ষমতা তোমার নাই, যার সৃষ্টি রহস্য উদঘাটন করবার মুরোদ তোমার নাই, তা ধ্বংস করবার সাহস তোমার আসে কোত্থেকে? কে দিয়েছে সেই অধিকার?
আমার ধর্ম, আমার বিশ্বাস আমার কাছে। আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়। আমি সেই বিশ্বাসেই চলি। আপনার বিশ্বাসটাও আপনার। আমি যেমন আশা করি আমার বিশ্বাসকে আপনি শ্রদ্ধা করবেন, তেমনি আপনার বিশ্বাসকেও আমি শ্রদ্ধা করি। ধর্মের দেয়াল তো আমাকে মানুষ আর আপনাকে অমানুষ করে তৈরি করে নাই। আমারও যেমন দুটো হাত, দুটো পা, চিন্তা করবার জন্য একটা মস্তিষ্ক, অনুভব করবার জন্য একটা হৃদয় আছে, আপনারও তাইতো আছে। সব ধর্মেরই মূল কথা, "সেই তিনি একজনই"। একজনই তৈরি করেছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিস্টান। এবং সেই একজন আমাদের কোন অধিকার দেন নাই তাঁর সৃষ্টিকে ধ্বংস করবার। ধর্মের দোহাই দিয়ে মারামারি, কাটাকাটি করবার।
এই সামান্য কথাগুলো বুঝতে, উপলব্ধি করতে ধর্মের আশ্রয় কেন নিতে হবে! আমি মানুষ....এই বোধটুকু দিয়েই তিনি আমাদের তৈরি করেছেন। হুজুগে পড়ে আমরা অমানুষ হয়ে যাই। যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে চরমতম অধর্ম করে বেড়ায় তাদের প্রতি ভয়ংকর ঘৃণা ছাড়া আর কিছু নাই।
খুব রাগ, কষ্ট, আর ঘৃণাবোধ থেকে এইসব লিখছি। দয়া করে কোন গলাবাজ ধার্মিক এসে বলবেন না 'এ ব্যাটাতো একটা নাস্তিক, ধর্মকে অবমাননা করে। গালি দাও এরে, ব্যান করো, ব্লা ব্লা ব্লা'। আমি আমার ধর্মকে ভালভাবে জানি আর বিশ্বাস করি বলেই এই কথাগুলো জোর গলায় বলতে পারছি। আমি জানি এবং বিশ্বাস করি আমার ধর্ম আমাকে কোন হিংসা, মারামারি-হানাহানি শেখায় নাই। দয়া করে কোন নাস্তিকও এসে সুযোগ সন্ধান করার চেষ্টা করেন না যে ধর্মেরই সব দোষ। পৃথিবীর কোন ধর্মই অশান্তির শিক্ষা দেয় নাই। সব ধর্মই পৃথিবীতে এসেছে শান্তির বার্তা নিয়ে।
এই দুটো দলের প্রতিই ঘৃণা জানালাম যারা ভুলে যায়, সবার উপরে মানুষ আর মনুষ্যত্বই শ্রেষ্ঠ। নিজেদের স্বার্থ-সিদ্ধির জন্য যারা মানবতাবোধকে বিসর্জন দেয়। আঘাত করে অন্যের বিশ্বাসকে, অনুভূতিকে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:২৯
জল ছাপ বলেছেন: আমি আমার ধর্মের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রেখেই কথাগুলো লিখেছি। সেটা পোস্টেও উল্লেখ করে দিয়েছি। আমি একবারও বলি নাই যে ধর্ম আমাদের ভাল-মন্দ, নৈতিকতা বিবেক শেখায় না। আমার আপত্তি সেখানেই যখন ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ মানবতার সাথে অধর্ম করে। যখন শুধুমাত্র অন্য ধর্মের লোক বলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কুন্ঠা বোধ করে। ২ লাখ ২৪ হাজার নবী-রাসুলের ইসলাম কি আমাদের শিখিয়েছে অন্য ধর্মের লোকদের বিশ্বাস নিয়ে ব্যঙ্গ করতে, কিংবা তাদের ধর্ম পালনে বাধা দিতে। আপনি শান্তিপূর্ণভাবে তাকে ইসলামের পথে ডাকতে পারেন, কিন্তু সে যদি না আসে তবেতো তাকে জোর করতে পারেন না। ইসলাম কি আপনাকে এটাই শেখায় যে কোন এক মানব শিশু পথ হারিয়ে জঙ্গলের নেকড়েদের সাথে বেড়ে উঠলেই তাকে পশু আখ্যায়িত করতে? মানুষকে মানুষ হিসেবেই তৈরি করা হয়, তার কাজ দিয়েই সে অমানুষ হয়ে উঠে।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৩
কনিফউজড_েনিটেজন বলেছেন: কোনো ধর্মই আদৌ মানবিক কিনা তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।
তবে, ধর্ম ব্যাখ্যাকারী ধর্ম ব্যবসায়ীরা আরও ভয়াবহ, আরও ভয়ঙ্কর।
০১ লা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৪
জল ছাপ বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যের উত্তর আমি দিবো না। কারণ আমি বলেই দিয়েছি আমি আমার বিশ্বাসের উপর শ্রদ্ধা রেখেই লিখেছি এবং অন্যের বিশ্বাসকে আমি আঘাত করি নি, সুতরাং আমার বিশ্বাসকে আঘাত করা হবে না, সেটাই আমি আশা করি।
আরেকটা কথা, ধর্ম ব্যবসা করার জিনিস না। যারা সেটা করে তাদের প্রতি ঘৃণাও আমি পোস্টেই জানিয়েছি।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৫০
শার্লক বলেছেন: রুম্মান৯৯ এর সাথে সহমত।
আর যারা মানবতাবোধ কিংবা নৈতিকতা শিখতে হলে ধর্মের আশ্রয় নিতে হবে কেন? আমি তো মানুষ, আমার ধর্ম মানব ধর্ম। ওরা কি করে মুখে বড় বড় বুলি চপকায়। নিজে যেটা পালন করে না অন্যকে উপদেশ দেয়। কারো বিপদে মিথ্যা কান্না কাঁদে। ওরাই সবথেকে বড় ভন্ড। জানা আছে এসব খুব ভালো করে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৪
জল ছাপ বলেছেন: আপনি যদি 'যারা-তারা' এইসব বহুবচনের সাথে এই লেখাটা মিলিয়ে ফেলতে চান, তাহলে ভুল করবেন। আমি কিন্তু বারবার বলেছি আমার বিশ্বাস থেকেই আমার এই লেখা। এবং আমি কখনোই আমার ধর্মকে অস্বীকার করি নাই। আমি বিশ্বাস করি এবং পালন করি। এবং তারচেয়েও বড় কথা আল্লাহ আমাকে চিন্তা করবার ক্ষমতা, বোধ-বুদ্ধি চেতনা দিয়েছেন সেটাই কাজে লাগাই।
দয়া করে 'জানা আছে' টাইপের বুলি কপচায়ে ঝামেলা বাধায়েন না।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: পোস্ট খুব ভাল্লাগলো। কিন্তু কমেন্টগুলা হতাশাজনক। সবাই আইছে বিভাজনরেখা টানতে, আর নিজেগো জাহির করতে।
০২ রা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৫৮
জল ছাপ বলেছেন: এইসব দেখে অতিষ্ট হয়েইতো লিখলাম। নিজেদের মানুষ না ভাবতে পারলে ধর্ম, জাতীয়তাবোধ, দেশাত্মবোধ আসবে কোত্থেকে!
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: পোষ্টে ২য় ভালোলাগা রইল
সহমত এবং +++++
ভালো থাকুন
০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২০
জল ছাপ বলেছেন: ধন্যবাদ অপূর্ন।
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:২৭
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: আমিও আপনার মতই ভাবি। কিন্তু এরকম ভাবার মানুষের সংখ্যা খুব কম!
১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:১৮
জল ছাপ বলেছেন: এইরকম ভাবার আর সেইমত চলার মানুষের সংখ্যাটা অনেক কম বলেইতো যত বিপদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:১৮
রুম্মান৯৯ বলেছেন: ভুলে যাবেন না ধর্মের বাইরে কোনো মানুষ নেই এবং হয়না--এটাই আল্লাহর মোজেজা। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টির সাথেই ধর্ম পাঠিয়ে মানুষের পশুত্বকে আয়ত্ব করতে চেয়েছেন। ২ লাখ ২৪ হাজার নবী-রাসুলের সেই ইসলাম আজ নানা ধর্মের নামে চালু আছে। ফলে প্রতি মানুষও ধর্মের বাঁধনে বাধা পড়েছে।
তাই মানুষ জন্মেই যেমন মানুষ হয়না তেমনই পশু-পাখি জন্মেই পশু-পাখিত্ব অর্জন করে। কিন্তু মানুষকে সবকিছু না শিখালে সে মানুষ হয়না। আর ধর্মের মাধ্যমে আল্লাহই এটি চালু করেছেন---তাই ধর্মই বিশেষত ইসলামই ভাল-মন্দের প্রকৃত মাপ-কাঠি।
আপনার অনেক কথাই বিভ্রান্তিকর যে, ধর্ম খুজে নাকি হেল্প করতে হবে? এমনটি কেউ করে কি আর করলেই কি সেটা ইসলাম শিখায়? নাহ--তাই বিবেক-মানবতাবোধ শেখার জন্য ইসলামই সথিক পথ।