![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাত একটি সিস্টেমিক ডিজিজ অর্থাত্ যা কিনা পুরো শরীরে প্রভাব ফেলে। অস্থিসন্ধিতে ইউরিক এসিড জমা হয়ে এ রোগের উত্পত্তি হয়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইউরিক এসিড অস্থিসন্ধিতে ক্রিস্টালরূপে জমা হতে থাকে এবং তাতে অস্থিসন্ধি ফুলে যায়, প্রদাহ এবং ব্যথা হয় এবং সেই সঙ্গে অস্থিসন্ধি ধীরে ধীরে শক্ত হয়ে যায়। বাত সাধারণত পায়ের আঙুলের অস্থিসন্ধিকে আক্রান্ত করে।
রোগের প্রাদুর্ভাব
বাত সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। মহিলাদের ক্ষেত্রে সাধারণত এটি রজঃনিবৃত্তির পর অর্থাত্ ৪৫ বছরের পর দেখা দেয়। শিশু এবং তরুণদের সাধারণত এ রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায় না।
কারণ এবং ঝুঁকিগুলো
অস্থিসন্ধিতে ইউরিক এসিড জমার কারণেই বাত হয়ে থাকে। শতকরা ২০ ভাগেরও বেশি রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বাতরোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকে। যেসব কারণে বাতরোগের ঝুঁকি বাড়ে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ডায়াবেটিস, শরীর মোটা হয়ে যাওয়া, কিডনির রোগগুলো, সিকল সেল এনিমিয়া (এক ধরনের রক্তস্বল্পতা)। নিয়মিত অ্যালকোহল পান করলে তা দেহ থেকে ইউরিক এসিড বের করে দেয়ায় বাধা দেয় এবং প্রকারান্তরে বাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
কিছু কিছু ওষুধ যেমন—অ্যাসপিরিন, বিভিন্ন ডাই-ইউরেটিকস, লিভোডোপা, সাইক্লোস্পোরিন ইত্যাদি অনেক সময় বাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
রোগের লক্ষণগুলো
বাতের সমস্যা সাধারণত বৃদ্ধাঙ্গুলিতে প্রথম দেখা দেয়। এর প্রধান লক্ষণগুলো হচ্ছে—
— প্রদাহ
— ব্যথা
— অস্থিসন্ধি লাল হয়ে যাওয়া
— অস্থিসন্ধি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।
— বাতে পায়ের অঙুল নাড়াতে তীব্র ব্যথা হয়; অনেক সময় রোগীরা বলে থাকে যে, চাদরের স্পর্শেও ব্যথা লাগে। বাতের লক্ষণগুলো খুব দ্রুতই দেখা দেয়, যেমন কখনও কখনও এক দিনের মধ্যেই দেখা দেয় এবং একই সঙ্গে একটি মাত্র অস্থিসন্ধিতে লক্ষণ দেখা দেয়। বিরল ক্ষেত্রে ২-৩টি অস্থিসন্ধিতে এক সঙ্গে ব্যথা হয়। যদি অনেক স্থানে এক সঙ্গে লক্ষণ দেখা দেয়, তবে হয়তো তা বাতের কারণে নাও হতে পারে। তবে চিকিত্সা না করা হলে বাত অস্থিসন্ধির যথেষ্ট ক্ষতি করতে এমনকি চলনক্ষমতাও হ্রাস করতে পারে।
চিকিত্সা
চিকিত্সার মূল লক্ষ্য হচ্ছে অস্থিসন্ধিতে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমিয়ে আনা এবং এর মাধ্যমে রোগের লক্ষণ এবং পরবর্তী অবনতি ঠেকানো। চিকিত্সা না করা হলে বাত অস্থিসন্ধির যথেষ্ট ক্ষতি করতে এমনকি চলনক্ষমতাও হ্রাস করতে পারে। সচরাচর দেখা যায়, ঘন ঘন রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ না পেলে লোকজন এর চিকিত্সা করাতে চায় না। ওষুধের মধ্যে আছে ন্যাপ্রোক্সেন এবং ইন্ডোমিথাসিনের মতো এনএসএআইডি জাতীয় ওষুধ। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা এবং সেই সঙ্গে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
প্রতিরোধ
প্রতিরোধই বাতের সমস্যা থেকে উপশমের উত্তম উপায়। রোগ দেখা দিলে ওষুধের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়া যায় বটে, তবে তখন অ্যালকোহল এবং যেসব খাবার গ্রহণ করলে ইউরিক এসিড মজুদ হওয়া বেড়ে যায়, সেসব থেকে দূরে থাকা অবশ্য কর্তব্য।
এছাড়া রোগীকে প্রচুর পানি খেতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, সুষম খাবার ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ওজন ঠিক রাখতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, রোগ হলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিত্সকের শরণাপন্ন হয়ে তার পরামর্শ মতো চলতে হবে।
(সংগৃহীত)
৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:০৯
জয়িতা রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
ডাঃ মারজান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:০৬
রামন বলেছেন: তাহলে পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে রক্তে ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ধন্যবাদ জনসচেতন মূলক পোস্টটির জন্য।