নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
পুরুষতান্ত্রিকতা নারীদেরই তৈরী....
তিনটা বিষয় নিয়ে লেখা বা মত প্রকাশ, আমি সচেতন ভাবে এড়িয়ে যাই। রাজনীতি, ধর্ম এবং ফেমিনিজম। রাজনীতি নিয়ে কেনো আমি বোবা কালা বধির- সেটা আমার বেশীরভাগ বন্ধুদের জানা। অন্যদিকে, ধর্ম এবং ফেমিনিজম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটো বিষয় নিয়েই আমার সামান্য ভাবনা আছে কিন্তু যারা এ বিষয় দুটির এডভোকেসী বা প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁদের অনেককে দেখেছি প্রবল একরৈখিক, ৩৬০ ডিগ্রী তাঁরা দেখেন না বা ভাবেন না, অপরকে সহজেই ট্যাগ করেন। ধর্ম নিয়ে আলাপ তাঁদের চিন্তার সাথে না মিললে নাস্তিক ট্যাগের আশংকা থাকে, ফেমিনিজম ভাবনা না মিললে মেল শভেনিস্ট/ নারী বিদ্বেষী ট্যাগ করে।
শারীরিক সামর্থ্য ছাড়াও মানুষের আরো যেসব সামর্থ্য আছে- আবেগ, সংবেদনশীলতা, বুদ্ধিমত্তা, মানবিক বোধ সেসবে শারীরিক সামর্থ্যে আপাতঃ এগিয়ে থাকা কী পুরুষের নিজের ক্ষতি করেনি? পিছিয়ে পরেনি? যে যুগে শারীরিক সামর্থ সমাজকে নিয়ন্ত্রন করেছে সেই সামন্ততান্ত্রিক সময়ে ধারনা হয়েছে- 'সুপুরুষ সেই, যার পেশীবহুল বিশাল শরীর আছে'। এই ধারনা কেবল পুরুষ বহন করেনি, নারীও করেছেন। নারীও তাঁর সুপুরুষ হিসেবে গ্রহন করেছেন 'শারীরিক ভাবে সামর্থ্যবান'কে। পরবর্তীতে ধনতান্ত্রিক সমাজে 'টাকা কামানোই সামর্থ্যের পরিচায়ক' হয়েছে। ট্যাকাটুকা না কামালে আবার ব্যাটা হয় নাকি? প্রদর্শনপ্রিয় সমাজে- 'গোঁফ না থাকলে, মাসল না থাকলে ব্যাটা ব্যাটা লাগেনা'- এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত করেছে আমাদেরই মা বোন কন্যা, তথা নারী জাতি।
পুরুষকে পুরুষালী, ম্যানলি- স্বীকৃতি তো পেতে হয়েছে নারীর থেকেই। স্বীকৃতি পাবার জন্য এই যে ক্ষমতাবান হয়ে উঠার, প্রবল ও পরাক্রান্ত হয়ে উঠার প্রেসার সেটা পুরুষকে দুর্বল করেছে, চরিত্রহীন করেছে।
স্নেহ, ভালোবাসা, চোখের জল, কোমলতার মতো মানবিক শক্তিগুলো পুরুষের জন্য প্রায় নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। শারীরিক সামর্থ্য বা আর্থিক সক্ষমতার উপর যখন আর তার অধিকার একচেটিয়া নেই তখন সে দেখছে, মানবিক শক্তিগুলো তার ভেতরে সেভাবে আসলে তৈরীই হয়নি!
নারীর শক্তির জায়গা সবসময়ই সেসব যা পুরুষ অর্জন করতে পারেনি তার পৌরুষের ভারে। আবেগ, স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা, চোখের জলের মতো অসামান্য কার্যকরী অস্ত্র নারী দখল করেছে, ব্যবহার করেছে অত্যন্ত সাফল্যের সাথে। সামাজিক পরিবর্তনের সুযোগে নারী আর সব সামর্থ্যও অর্জন করছে। আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সামর্থ তো বটেই শারীরিক সামর্থ্যে ও পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে নেই- তবুও নারীরাই পুরুষ তোষণে নিজেদের বিলিয়ে দেয়।
সামর্থ্যবান হয়ে উঠার উপযোগ হিসাবে পুরুষ এতোকাল যা কিছুর চর্চা করে এসেছে নিজের মানবিক শক্তিকে উপেক্ষা করে, সামর্থ্যবান হয়ে উঠা নারীরাও অনেক ক্ষেত্রে সেইসব উপযোগ কুড়িয়ে নিচ্ছেন। প্রবল হয়ে উঠা, আধিপত্যও দখলদারিত্ব দেখানো এবং সেই সাথে সংবেদনশীলতা ও মানবিক বোধ হারানো।
বিষয়টা কি তাহলে লিঙ্গ নিরপেক্ষ?
বিষয় কি তাহলে সামর্থ্যের সাথে ক্ষমতার সম্পর্ক?
বিষয় কি তাহলে এমন, ক্ষমতাবান যে জেন্ডারই হোক সে প্রবল হয়ে উঠবে, মানবিক বোধ হারাবে?
আমি একটা সিধা জিনিস বুঝছি, নানারকম ইজম-টিজম পুরুষকে আরও পুরুষ বানাইছে, নারীকে আরও নারী। মানসিকভাবে এরা কেউ ব্যক্তি বা মানুষ হয়ে উঠতে পারেনি।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: লিংগভেদে মূল্যায়ণ না করে কর্মদক্ষতা যোগ্যতা এবং মেধার মূল্যায়ণ করতে হবে।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ইতিহাসের গ্রেট যোদ্ধাদের নিয়ে,তৎকালীন নারীরা কি ভাবতো? তৎকালীন নারীরা নারীদের কিভাবে দেখতো? ফেমিনিজম " টার্মটা দেশের নারীদের কি দেয়?
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি আমাকে প্রশ্ন করছেন কেনো? সম্ভব হলে পোস্টের বিষয়বস্তু নিয়ে আপনার মন্তব্য লিখবেন।
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:১১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
পোস্টে প্রশ্ন করা যায় না?
পুরুষতান্ত্রিকতা নারীদের নিরব সমর্থনে ছিলো শতশত বছর; পরে নারীরা একটু শিক্ষিত হয়ে মুখ খুলতে শিখেছে ; ফলাফল, "ফেমিনিজম টার্ম। ক্ষমতা পুরুষকে যত উগ্র করবে, নারীদের ততটা উগ্র কখনোই করবে না।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই প্রশ্ন করা যায় এবং যাবে। তবে পোস্টের বিষয়বস্তু নিয়ে আপনার মন্তব্য /মতামত না দিয়ে প্রশ্ন করাটে কিছুটা বৈশাদৃশ্ব্য লাগে।
ধন্যবাদ।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি অভিজ্ঞ মানুষ - কথায় যুক্তি আছে!
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান।
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এর আগে একটা পোষ্টে মোবাইলে বেশ কসরত করে বড় একটা মন্তব্য করেছিলাম- কেন কিছু আসল না বুঝলাম না
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার কপাল খারাপ!
আমি লক্ষ্য করেছি- মোবাইল ফোন থেকে মন্তব্য প্রায়শই আসেনা। আবার কখনো একাধিকবার একই মন্তব্য চলে আসে!
৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৪২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এ যুগেও কিছু মানুষের ধ্যান ধারনা মধ্যযুগের মত। সুন্দর যুক্তিপূর্ণ পোস্ট।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমি নারীদের সম্মান করি।
২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নারী কোন অংশেই পুরুষে থেকে পিছিয়ে নেই।পিছিয়ে রাখা হয়েছে।পিছিয়ে রাখার জন্য ধর্ম একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: শতভাগ সত্য কথা।
৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৪৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: শিরোনামের সাথে দ্বিমত ।
এবং লেখার ব্যাখ্যার সাথেও। আপনার থেকে এমন লেখা আশা করি নাই।
নারীদের পুরুষতান্ত্রিকতা দিয়ে পুরষকে কেমন ভাবতে হবে তা শিখানো হয়েছে যুগযুগ ধরে। অনেকে এই ধারাবাহিকতা থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। এই হাদিস, বাইবেল, গীতা মেনে চলে পারিবারিক নিয়ম নারীরা।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: দ্বিমত করা আপনার অধিকার। আর আমি কিম্বা আপনি কে কি লিখবো-সেটাও যার যার অধিকার। কারো প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা কেউ কিছু লিখতে চাইলে-সেটা হবে কারোর আজ্ঞাবহ লেখা।
ধন্যবাদ।
১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:৪৮
সৈকতসৈকত বলেছেন: রোকসানা লেইস বলেছেন: শিরোনামের সাথে দ্বিমত ।
এবং লেখার ব্যাখ্যার সাথেও। আপনার থেকে এমন লেখা আশা করি নাই।
সহমত
@জুল ভার্ন আপনে বড় অশান্তিতে আছেন
মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে এটটু কথা বলেন
২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: @সৈকতসৈকত আমার মনে পড়েনা আপনি ইতিপূর্বে কখনো আমার ব্লগে এসেছিলেন। সম্ভবত মন্তব্যটা কয়েকটি মন্তব্যের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় লিখে থাকবেন।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৪৮
বিটপি বলেছেন: লিঙ্গভিত্তিক সমস্ত তন্ত্রমন্ত্র নারীদের আরা যাদের কোন কাজ কর্ম নেই - এসব ভাদাইম্যা পুরুষদের তৈরি। কর্মঠ মানুষ এসব তন্ত্র মন্ত্র নিয়ে মাথা ঘামায় না। সফল একজন নারীকে একজন আধা সফল পুরুষের এমনকি সফল পুরুষের চেয়েও বেশি মূল্যায়ন করা হয়। তবে এটা ঠিক, শারীরিক সামর্থ্যে যেহেতু পুরুষ কিছুটা অগ্রণী, তাই পরিবারের নেতৃত্ব সচরাচর পুরুষের হাতেই থাকে।