নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
'লেখাপড়া করে যে গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে'- ছোটবেলায় বহুবার এই শ্লোকবাক্য পড়েছি এবং গুণীজনদের কাছে শুনেছি। কিন্তু বড় হতে হতে জীবনের নানা বাঁকে এ কথার সত্যতা খুব বেশী খুঁজে পাইনি। কারণ লেখাপড়া ছাড়াও বৈধ-অবৈধ হাজারটা উপায়ে এ দেশে পরিচিতজনদের গাড়ি-ঘোড়া(বাড়ি) কিনতে দেখেছি। আমার স্কুল-কলেজের বন্ধুদের মধ্যে যারা সেই ছোটবেলায় স্কুল-কলেজের পাট চুকিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে আত্মনিয়োগ করেছিল তাদের অনেকেই আজ গাড়ি-বাড়ির মালিক। আর সেই বন্ধুরা যাদের পড়ালেখা অন্যদের কাছে আদর্শ হয়ে উঠেছিল, অভিভাবকরা যাদের দেখিয়ে বলতেন, " ----- কত ভালো ছেলে, সব সময় পড়ালেখা নিয়ে থাকে। ক্লাসে প্রথম স্থান, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে"- আজ তাদের অনেকেই ট্রেনে, বাসে, চড়ে জীবন-জীবিকার তাগিদে।
অবশ্যই এ ক্ষেত্রে পড়ালেখাকে খুব দোষারোপ দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ মাঝপথে ওরা পড়ালেখা ছেড়ে দেওয়ার কারণেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি বলেই হয়তো তাদের এমন দশা। কিন্তু যারা শিক্ষাজীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পড়ার টেবিলকে তার একমাত্র আরাধনার জায়গা বলে মেনেছেন তারাও ওই পড়ালেখার শিক্ষা মেনে বৈধ পথে নিজের জন্য গাড়ি কিনতে পেরেছেন কতজন, সেই প্রশ্ন উত্থাপিত হতেই পারে। আর দু চারজন যারা ভালো করেছেন তাদের মধ্যে একজনকেও ঘোড়ার মালিক কিম্বা ঘোড়ায় চড়তে দেখিনি!
আমার বক্তব্যে মনে হতে পারে- যারা পড়ালেখা করে না তারাই ভালো আছে। সেই ভালো থাকা আপেক্ষিক বিষয়। কেউ যদি ছোটবেলায় শেখানো ওই বক্তব্যের মতো গাড়ি-ঘোড়ায় চড়ার জন্য পড়ালেখা করে তবে ভিন্ন কথা। বর্তমানে পড়ালেখা করলে গাড়ি-ঘোড়ায় চড়া যায় কি যায় না সেই কথাটাই জিজ্ঞাস্য।
তবে পড়ালেখায় যে অন্যরকম এক সুখ আছে সেই নিশ্চয়তা দিতে পারি। পড়ালেখার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি মাত্রই তা জানেন। আর জানেন বলেই তারা জীবনের নানা অর্থের প্রলোভন সত্ত্বেও পড়ালেখায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। কিন্তু পড়ালেখায় নিজেকে নিযুক্ত করা অর্থ উপার্জনের মতো অত সহজ নয়।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: গাড়ীর চাপা না পরুক- সমাজের যাতাকলে পিষ্ট হয় সহসাই।
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আগের এই বাক্যটির মূলে ছিলো লোভ, সফলতার লোভ। আজো তাই আছে!
২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: সমাজ যতই উন্নত হোক- আগামীতেও তাই থাকবে।
৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: লেখা পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির জন্য এই কবিতা।তখন সমাজে এতো দুর্নীতি ছিল না।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই তখনকার বাস্তবতার নিরিখে এই প্রবাদের জন্ম হয়েছিল। আবার দুর্ণীতিও জন্ম হয়েছে শিক্ষিত মানুষের হাত ধরে।
৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: আমি পড়তে ও লিখতে ভালোবাসি।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: তাইতো আপনি একজন সাবলীল লেখক।একজন ভালো পাঠকই একজন ভালো লেখক হতে পারেন।
৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: শেষের কথাগুলোর সাথে সম্পুর্ন সহমত।
আপনি অনেক কিছু দেখেছেন- সচক্ষে!
২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক কিছু দেখেছি বলেই আমার লেখা জীবনমূখি।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হয়তোবা ঠিকই বলেছেন। আমাদের এক মাস্টার মহাশয় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উনি কাঁধে পাঁচ/ছয় কেজি ওজনের সাইড ব্যাগ নিয়ে,একটা ফ্লাক্স নিয়ে হাঁটতেন।আর হাতে সারাক্ষণ থাকতো পেল্লাই সাইজের কোনো না কোনো বই।দু'পা হাঁটবেন আবার একটু দাঁড়িয়ে বই পড়ে নিবেন। ওনার এই বাতিকের কারণে সকালের দিকে ওনার ক্লাস থাকতো না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেট বা বেঙ্গল ল্যাম্প স্টপেজ থেকে বাসে ওঠার সময় কন্ডাক্টররা ওনাকে দেখলে বাস থামিয়ে ভালো করে ধরে ভিতরে তুলতেন। একদিন শুনি স্যারের পা ভেঙ্গে গেছে। আমরা নিশ্চিত ছিলাম উনি বাসে ওঠার সময়েও শেষ মুহূর্তে যে ভাবে বই পড়েন তাতে মে কোনো দিন পা ভেঙ্গে যাওয়া স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি বাজার করার সময় পড়তে গিয়ে পঁচা বাঁধাকপির পাতার উপর পা পিছলে উনার পা ভেঙ্গে গেছে।তাই বলে স্যারের অদ্ভুত পড়ার বাতিক পরেও বন্ধ হয়নি। এতোক্ষণ শ্রদ্ধেয় ঐতিহাসিক স্যার কুনাল চট্টোপাধ্যায়ের কথা বলছিলাম।
আপনার কথাটা সামান্য পরিবর্তন করে বলতেই পারি, পড়াশোনা করে যে গাড়ি চাপা পড়ে সে...