নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্পার্টাকাসদের মৃত্যু হয়না......

৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:২৮

স্পার্টাকাসদের মৃত্যু হয়না......

প্রাচীন রোম সাম্রাজ্যের ইতিহাস মানেই জুলিয়াস সিজার, অগাস্টাস সিজার, মার্কাস অ্যান্টনি, ক্লিওপেট্রার মত কিংবদন্তীদের প্রোজ্জ্বল উপস্থিতি। এমন ঐতিহাসিক আইকনদের ভিড়ে আরো একজনের নাম অপরিহার্য যার নাম ‘স্পার্টাকাস’। দাসদের একত্রিত করে, রোমান শাসকদের শোষণের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী চরিত্র হিসেবে আবির্ভূত হন স্পার্টাকাস। শ্রেণীহীন মানুষের জীবন ও অধিকারের প্রশ্নে তার সাহস, বিপ্লব এবং যুদ্ধগাঁথার কাহিনী আজো আলোচিত হয় পৃথিবীর নানা প্রান্তে।

প্রথম জীবনে স্পার্টকাস ছিলেন একজন রোমান ক্রীতদাস। ইতিহাসের পাতায় তার শৈশব জীবন সম্পর্কে তেমন নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তাই তার বিদ্রোহপূর্ব জীবনের অধিকাংশ তথ্যই অজানা। স্পার্টাকাসের জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ১১১ অব্দে; রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত থ্রেস অঞ্চলের এক গ্রামে। তরুণ স্পার্টাকাস তার শক্তিশালী শারীরিক গড়নের কারণে রোমান সেনাবাহিনীতে চাকরি লাভ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে প্রতিবাদী স্বভাবের কারণে তাকে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয়। চাকরিচ্যুত স্পার্টাকাসের ঠাঁই মিললো দাস বিক্রির হাটে। তিনি এক দিনমজুর ঠিকাদারের নিকট বিক্রি হয়ে যান- সে ইতিহাস অনেকেরই জানা...

বহু যুদ্ধ জয় করা স্পার্টাকাসও পরাজিত হয়েছেন। একদিন যে মুক্তির স্বপ্নে বিভোর হয়ে গ্ল্যাডিয়েটর স্কুল থেকে পালিয়ে রোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবার পূর্বেই পতন ঘটে তার। কিন্তু তাকে কখনই ব্যর্থ বলা যাবে না। পৃথিবীর ইতিহাস স্পার্টাকাস হত্যাকারী সম্রাট ক্রেসাসকে মনে রাখেনি কিন্তু স্পার্টাকাসকে সবাই মনে রেখেছেন। স্পার্টাকাস সাময়িক ব্যর্থ হয়ে ছিলেন। কিন্তু তৈরী করে গিয়েছেন হাজারো স্পার্টাকাস অনুসারী, যাদের সংগ্রামের ফলে একদিন পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়েছে রোমান সাম্রাজ্য। ইতিহাস স্পার্টাকাসদের কখনো ভুলবে না।

স্পার্টাকাস,
সেই কোন যুগে তুমি শিখিয়েছিলে "বিদ্রোহ";
দাসত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।
আজ তোমায় খুব মনে পড়ছে স্পার্টাকাস...
যেদিন তোমাকে কিনলো খনির অন্ধকার থেকে কোন এক জন্তুর কারবারি..
সে ভেবেছিল তুমিও হবে তার এক লড়াকু পশু।
যে চায় শুধু খাবার আর নারী....
তুমি প্রথম সেই মানুষ যে
পেরিয়েছিলে সেই কামনার নদী।
শুধু ভালোবেসে ছিলে মানুষকে;
শৃঙ্খল জর্জরিত মানুষ সেই রক্ত কুঠুরিতে বসে এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে ডেকেছিল তোমায় "পিতা" বলে। নিরাশ করোনি তুমি,
হয়েছিলে এক মুক্তিযোদ্ধা
মনুষ্যত্বের মুক্তিযোদ্ধা।
বেসেছিলে ভালো ওই হতভাগ্য মানুষ গুলোকে,
যাদের জীবন ছিল অন্ধকার জীবনের দাস।
আজ আমিও দাস।
ক্রীতদাস।

তুমি যে সিঁড়ি চড়তে
শিখিয়েছিলে আজ আমি তার মাঝামাঝি- তবু
আজও সম্পদের নীচে চাপা পড়ে আছে আমার জিহাদ, মনুষ্যত্ব, আমার কান্না।
সেই স্তুপে পা রেখে আজও শাসক চালাচ্ছে সেই মানুষ মারার হিংস্র খেলা। রক্ত চাই তার দাসেদের রক্ত। তৃষ্ণার্ত সে, সেই মাথা নত ক্ষণে দাড়াও আজও তুমি এসে।
আজও তোমার উরুতে গভীর ক্ষত
তোমার গালের মাংস ছিন্ন- ভিন্ন
তোমার হাতে, গলায়, পায়ে পড়ানো শিকল, তাও তুমিই সেই যার মাথা উঁচু আজও।
যে বলেছিল-
"আমি তোমাদের দাসত্ব করবো না, আমি মারবো না আর কোন মানুষকে নিতান্তই তোমার আনন্দের কারণে।"

বিশ্বাস করো স্পার্টাকাস। আজও আমরা সেই একই জীবন কাটাচ্ছি। আজও আমরা মানুষ মারছি শাসকের ইচ্ছায়। আজও আমি রোমান সাম্রাজ্যের সেই গ্লাডিয়েটর। যে প্রতিদিন যুদ্ধে যায় নিশ্চিত মৃত্যু জেনে। যুদ্ধ করি শুধু আনন্দ দেওয়ার নামে!
ফিরে এসো স্পার্টাকাস,
একবার শুধু একবার
ক্রুশবিদ্ধ শরীরের বহমান
শোণিত ধারার মধ্যে থেকে চিৎকার করে বলো-
"FREEDOM IS MY BIRTH RIGHT."

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:০৩

জুন বলেছেন: ফোর ফাইভে পড়াকালীন সময়ে আমার ছোট খালার কেনা হাওয়ার্ড ফাস্টের স্পার্টাকাস বইটি হাতে আসে। বহু বছরের চেষ্টায় একটু একটু করে বুঝতে চেষ্টা করেছি গ্ল্যাডিয়েটরদের করুন কাহিনী। কলেজ জীবনে পাঠ্য ছিল গ্রেইকো রোমান হিস্ট্রি। সুতরাং বিষয়টির সাথে সম্যক পরিচয় ছিল। এরও অনেকদিন পরে ভিসিআরে স্ট্যানলি কুবরিক পরিচালিত আর কার্ক ডগলাস ও টনি কার্টিস অভিনীত এই একই নামে স্পার্টাকাস দেখি। একে তাদের অনাবদ্য অভিনয় সাথে তাদের উপর নিষ্ঠুর নির্যাতনের ছবি কষ্টে গলা পর্যন্ত বুজে এসেছিল জুলভার্ন।
পরে আমি যখন রোম বেড়াতে গিয়ে কলোসিওর ভেতরে প্রবেশ করলাম আমার তখন সেই হিংস্র বাঘের সাথে আমরন লড়াই করা গ্ল্যাডিয়েটরদের দেখতে লাগলাম। তবে হাওয়ার্ড ফাস্ট চেষ্টা করেছে তার লেখায় ঐতিহাসিক সত্য বজায় রাখতে। অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
+

৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে আমারও শিক্ষা জীবনের এবং কলোসিনয়মের অভিজ্ঞতা মিলে গিয়েছে। গ্ল্যাডিয়েটরদের করুন কাহিনী আমাকেও বিচলিত করে যখনই ওদের কথা ভাবি। গ্ল্যাডিয়েটরদের মতো করুন কাহিনী না হলেও ওর কাছাকাছি কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখিন আমাকে হতে হয়েছিল এই একবিংশ শতাব্দীর সভ্যতায় ........

ধন্যবাদ সুন্দর একটা মন্তব্য করে আমার লেখাটাকে সমৃদ্ধ করার জন্য।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: Great.

৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,




স্পার্টাকাস ছবিটি দেখেছিলুম ছেলেবেলা ক্লাস সেভেন এইটে থাকতে। সে সময় আমরা বেশীর ভাগই, স্যামসন, গোলিয়াথ,
ওয়েষ্টার্ণ, ওএসএস-৭ এরকম ফাইটিং ছবি দেখতুম। উপরে জুন এর মতো কে নায়ক, কে নায়িকা ওসবের ধার ধারতুমনা, এমনকি জানতেও চাইতুম না। বডিবিল্ডার আর পিস্তল হাতে নায়ক হলেই চলতো।
সেই স্পার্টাকাস ছবিতে কে কে অভিনয় করেছিলেন বলতে না পারলেও বলতে পারি, ছবিটি দেখে মন খুব খারাপ হয়েছিলো স্পার্টাকাসের জন্যে।

ওহ...হো... মন্তব্যটি প্রকাশ করার আগে আর একবার জুনের বলা অভিনেতাদের নাম দেখতে গিয়ে "কার্ক ডগলাস" নামটি শুনতেই থুতনীতে দারুন একটা টোল পড়া মুখটি মনে পড়তেই বুঝলুম "স্পার্টাকাস" ছবির স্পার্টাকাসই ছিলেন কার্ক ডগলাস! :D

৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: ম্যাডাম জুন এর দেখা, লেখার অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার অফুরাণ। তাঁর একটা মন্তব্যও একটা পোস্টের চাইতে অনেক বেশী মূল্যবান।

ক্যাডেট কলেজ অডিটরিয়ামে প্রতি মাসে বিখ্যাত সব মুভি দেখাতো। আমি ক্লাস সেভেন থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত স্পার্টাকাস ছবিটি অন্তত ১০ বার দেখেছিলাম। এবং প্রতিবার মুভি দেখে নিজের মতো করে রিভিউ লিখতে হতো। এই লেখাটা লেখার কয়েকদিন আগে আমি নেটফ্লিকেসে এই মুভিটি দেখেছি। আমার কাছে এই মুভিটি নিত্যনতুন হয়ে ধরা দেয়।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: সিনেমাটা দেখেছিলাম। বই পড়া হয়নি।
কবিতাটা কার লেখা? ভাল লেগেছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২২

জুল ভার্ন বলেছেন: কবিতা আমারই লেখা।

ধন্যবাদ।

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: স্পারটাকাস বিষয়ক জটিলতা নামের একটা বাংলা মঞ্চ নাটকের নাম শুনেছিলাম। হয়ত দেখেছিও। এখন মনে করতে পারছি না।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। 'স্পারটাকাস বিষয়ক জটিলতা' নাটকটি প্রফেসর মমতাজ উদ্দীন আমাহেদ এর লেখা এবং থিয়েটার প্রযোজিত বিখ্যাত নাটক।

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২০

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: স্পার্টাকাস হয়তো সফল হয়নি কিন্তু সফলতার ভিত তৈরী করে দিয়ে গিয়ে ছিলেন।জোয়ান অব আর্কা ও তাই।তারা ইতিহাসের মহা নায়ক।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: অল্প কথায় সারমর্ম বলে দিয়েছেন।

ধন্যবাদ।

৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:০৬

সোহানী বলেছেন: অনেক আগে দেখেছিলাম তবে আবার মনে করিয়ে দিলেন তাই দেখবো এবার।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ইতিহাসসৃষ্টিকারীদের ইতিহাস ভোলেনা।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক কথা। তবে এখন ফরমায়েসী ইতিহাসের আড়ালে চাপা পরে যাচ্ছে সত্যিকারের ইতিহাস।

১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫০

বিবেকহীন জ্ঞানি বলেছেন: আপনি দারুন লিখেছেন।স্পার্টাকাস সম্পর্কে একটি মুবি দেখেছি।কি করুন,কি দাসত্ব, কি অবাধ যৌনাচার।হায় তাদের বিরুদ্ধে লড়েছিল সে।

এর কাছাকাছি একটি মুভি আছে হারকিউলিস।দেখতে পারেন।

এত সুন্দর লিখনীর জন্য ধন্যবাদ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার উল্লেখিত দুটো মুভিই একাধিক বার দেখেছি। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.