নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
সুকুমার রায়ের মত হাস্যরসিক বাঙলা সাহিত্যে আর নেই - সে কথা রসিকজন মাত্রেই স্বীকার করে নিয়েছে। কিন্তু এ-কথা অল্প লোকেই জানেন যে, তাঁর জুড়ি ফরাসী, ইংরেজী, জার্মান সাহিত্যেও নেই, রাশানে আছে বলে শুনিনি। এ-কথা আমাকে বিশেষ জোর দিয়ে বলতে হল, কারণ আমি বহু অনুসন্ধান করার পর এই সিদ্ধান্তে এসেছি। একমাত্র জার্মান সাহিত্যের ভিলহেল্ম বুশ সুকুমারের সমগোত্রীয় স্ব-শ্রেণী না হলেও ঠিক সুকুমারের মত তিনিও অল্প কয়েকটি আচঁড় কেটে খাসা ছবি উতরাতে পারতেন। তাই তিনিও সুকুমারের মত আপন লেখার ইলাস্ট্রেশন নিজেই করেছেন।
বুশ এবং সুকুমার রায়ের প্রধান তফাত এই যে, বুশ বেশীর ভাগই ঘটনাবহুল গল্প ছড়া'য় বলে গিয়েছেন এবং সে কর্ম অপেক্ষাকৃত সরল, কিন্তু সুকুমার রায়ের বহু ছড়া নিছক 'আবোল-তাবোল'; তাতে গল্প নেই, ঘটনা নেই, কিছুই নেই - আছে শুধু মজা আর হাসি। বিশুদ্ধ উচ্চাঙ্গের সঙ্গীত যে রকম শুধুমাত্র ধ্বনির উপর নির্ভর করে, তার সাথে কথা জুড়িয়ে গীত বানানো হয় না, ঠিক তেমনি সুকুমার রায়ের বহু বহু ছড়া স্রেফ হাস্যরস, তাতে অ্যাকশন নেই, গল্প নেই অর্থাৎ আর কোন দ্বিতীয় বস্তুর সেখানে স্থান নেই, প্রয়োজনও নেই। এ বড় কঠিন কর্ম। এ-কর্ম তিনিই করতে পারেন, যাঁর বিধিদত্ত ক্ষমতা আছে। এ-জিনিস অভ্যাসের নয়। ঘষে মেজে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এ-বস্তু হয় না। কথাগুলো বিখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর।
হাস্যরসিক কথাসাহিত্যিক সুকুমার রায়ের ১৩৪ তম জয়ন্তীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি !!
সুকুমার রায়ের মত হাস্যরসিক বাঙলা সাহিত্যে আর নেই - সে কথা রসিকজন মাত্রেই স্বীকার করে নিয়েছে। কিন্তু এ-কথা অল্প লোকেই জানেন যে, তাঁর জুড়ি ফরাসী, ইংরেজী, জার্মান সাহিত্যেও নেই, রাশানে আছে বলে শুনিনি। এ-কথা আমাকে বিশেষ জোর দিয়ে বলতে হল, কারণ আমি বহু অনুসন্ধান করার পর এই সিদ্ধান্তে এসেছি। একমাত্র জার্মান সাহিত্যের ভিলহেল্ম বুশ সুকুমারের সমগোত্রীয় স্ব-শ্রেণী না হলেও ঠিক সুকুমারের মত তিনিও অল্প কয়েকটি আচঁড় কেটে খাসা ছবি উতরাতে পারতেন। তাই তিনিও সুকুমারের মত আপন লেখার ইলাস্ট্রেশন নিজেই করেছেন।
১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কালাজ্বরে (লেইশ্মানিয়াসিস) আক্রান্ত হয়ে মাত্র সাঁইত্রিশ বছর বয়সে সুকুমার রায় মৃত্যুবরণ করেন, সেই সময় এই রোগের কোনো চিকিৎসা ছিল না। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়েও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তিনি লেখেন জীবনের শেষ ছড়াটি:
"আদিম কালের চাদিম হিম
তোড়ায় বাধা ঘোড়ার ডিম
ঘনিয়ে এলো ঘুমের ঘোর
গানের পালা সাঙ্গ মোর!"
হাস্যরসিক কথাসাহিত্যিক সুকুমার রায়ের ১৩৪ তম জয়ন্তীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি !!
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: এবং এদের শিকড় আমাদের এই বাংলাদেশেই।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৪৮
ইসিয়াক বলেছেন:
মনের মতন
লেখকঃসুকুমার রায়
-----------------------
কান্না হাসির পোঁটলা বেঁধে, বর্ষভরা পুঁজি,
বৃদ্ধ বছর উধাও হ'ল ভুতের মুলুক খুঁজি।
নতুন বছর এগিয়ে এসে হাত পাতে ঐ দ্বারে,
বল দেখি মন, মনের মতন কি দিবি তুই তারে?
আর কি দিব? মুখের হাসি, ভরসা ভরা প্রাণ,
সুখের মাঝে দুখের মাঝে আনন্দময় গান।
সুকুমার রচনাবলী থেকে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: সুকুমার রায়ের সব লেখাই আমাকে মোহিত করে।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৫৩
ইসিয়াক বলেছেন:
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারণ!
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৫৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সুকুমার রায়ের ছড়াগুলির মধ্যে সবার আগে আমার মনে পরে - "ভয় পেয়ো না" ছড়াটি
ভয় পেয়ো না, ভয় পেয়ো না, তোমায় আমি মারব না—
সত্যি বলছি কুস্তি ক'রে তোমার সঙ্গে পারব না।
মনটা আমার বড্ড নরম, হাড়ে আমার রাগটি নেই,
তোমায় আমি চিবিয়ে খাব এমন আমার সাধ্যি নেই!
মাথায় আমার শিং দেখে ভাই ভয় পেয়েছকতই না—
জানো না মোর মাথার ব্যারাম, কাউকে আমি গুঁতোই না?
এস এস গর্তে এস, বাস ক'রে যাও চারটি দিন,
আদর ক'রে শিকেয় তুলে রাখব তোমায় রাত্রিদিন।
হাতে আমার মুগুর আছে তাই কি হেথায় থাকবে না?
মুগুর আমার হাল্কা এমন মারলে তোমায় লাগবে না।
অভয় দিচ্ছি, শুনছ না যে? ধরব নাকি ঠ্যাং দুটা?
বসলে তোমার মুণ্ডু চেপে বুঝবে তখন কাণ্ডটা!
আমি আছি, গিন্নী আছেন, আছেন আমার নয় ছেলে—
সবাই মিলে কামড়ে দেব মিথ্যে অমন ভয়পেলে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: কোনটা রেখে কোনটা বলি! আমার অন্যতম প্রিয় 'ঠিকানা'!
ঠিকানা
আরে আরে জগমোহন- এস, এস, এস-
বলতে পার কোথায় থাকে আদ্যানাথের মেসো?
আদ্যানাথের নাম শোননি ? খগেনকে তো চেনো?
শ্যাম বাগ্চি খগেনেরই মামাশ্বশুর জেনো।
শ্যামের জামাই কেষ্টমোহন, তার যে বাড়ীওলা-
(কি যেন নাম ভুলে গেছি), তারই মামার শালা;
তারই পিশের খুড়তুতো ভাই আদ্যানাথের মেশো-
লক্ষ্মী দাদা, ঠিকানা তার একটু জেনে এসো।
ঠিকানা চাও ? বলছি শোন ; আমড়াতলার মোড়ে
তিন-মুখো তিন রাস্তা গেছে তারি একটা ধ'রে,
চলবে সিধে নাকবরাবর ডানদিকে চোখ রেখে;
চল্তে চল্তে দেখবে শেষে রাস্তা গেছে বেঁকে।
দেখ্বে সেথায় ডাইনে বাঁয়ে পথ গিয়েছে কত,
তারি ভিতর ঘুরবে খানিক গোলকধাঁধার মত।
তারপরেতে হঠাৎ বেঁকে ডাইনে মোচড় মেরে,
ফিরবে আবার বাঁয়ের দিকে তিনটে গলি ছেড়ে।
তবেই আবার পড়বে এসে আমড়াতলার মোড়ে-
তারপরে যাও ঝেথায় খুশী- জ্বালিও নাকো মোরে।
৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১২
উদারত১২৪ বলেছেন: সহমত
হিন্দুস্থানে সর্বপ্রথম যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং সর্বপ্রথম যেভাবে ইসলাম প্রচারিত হয়
৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সত্যজিতের সিনেমা গুলো আমার খুব ভালো লাগে।ছড়া খুব একটা পড়া হয় নাই পাঠ্য পুস্তকে যে কয়টা ছিল তাই পড়েছি।ছড়া পড়ার বয়সে তার কোন ছড়ার বই হাতের কাছে পাই নি।পরে আর আগ্রহ ছিল না।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রথম বাক্যটা ছাড়া পরের বাক্যগুলো সুকুমার রায়ের বিষয়ে
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: সেটাইতো হওয়া স্বাভাবিক। কারণ, আমিতো লিখেছিই সুকুমার রায়কে নিয়ে।
৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: সুকুমার একজন গ্রেট ম্যান। তার পুত্র সত্যজিৎ সে-ও গ্রেট।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: দাদা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীও গ্রেট!
৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কিশোর তথা হাস্যরসাত্মক সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের জন্ম জয়ন্তীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি রইলো।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:০৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা এই মহান লোকের প্রতি
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:২৯
জগতারন বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট।
সুকুমার রায়ের জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করিতেছি।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:২১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: দাদা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীও গ্রেট!
ইয়েস। ইয়েস।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: রাইট।
১৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:১৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অকালেই দারুন একজনকে হারিয়েছে বাঙালী। লেখাটা দুবার এসেছে একই পোস্টে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: তাই নাকি? আমিতো একবারই দেখতে পাচ্ছি!
১৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:২১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ২য় এবং ৩য় প্যারাটি ৪র্থ প্যারার পর আবার এসেছে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা ভাইয়া। এডিট করতে যেয়েই অমন বিপত্তি হয়েছিল।
আপনার মতো মনোযোগী পাঠক লেখক এখনো ব্লগে আছেন বলেই আমার মতো সাধারণ মানুষ নিজ ভুল সংশোধন করে ধন্য হই।
আবারও ধন্যবাদ।
১৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি ই তুলনা নেই ।
০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৫৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমার প্রিয়।
শেষ ছড়াটিও যেন হাসতে হাসতে মৃত্যুকে বরন করা।
০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দাদা, বাবা এবং পুত্র তিন জনেই বিখ্যাত (উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সুকুমার রায় এবং সত্যজিৎ রায়)।