নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
অজস্র শূন্যের কোনো মূল্য নাই, যদি....
একক ভাবে 'শূন্য' সংখ্যাগত দিক থেকে কোনো মূল্য নাই কিন্তু 'শুন্য' সংখ্যাতত্ত্বে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সংখ্যা!
কি হতো যদি শূন্য না থাকতো?
আর যেই হোক, ছেলেবেলায় টিচারদের বকা আর কানমলা খাওয়া থেকে নিশ্চিত বাঁচা যেতো।
ভেবে দেখুন, যখন শূন্য ছিল না তখন কি 10 , 20 30 এই সংখ্যা গুলি গোনা হতো না?
মোটেই তা নয়।
আসুন দেখে নেই, সংখ্যাতত্ত্বে শূন্যের অবদান কোথায়?
শূন্যের অবদান এটাই যে, পৃথিবীর যাবতীয় সংখ্যাকে এটা দশটি ডিজিটের মধ্যে বাঁধতে পেরেছে। অর্থাৎ আপনাকে যত বড় সংখ্যাই লিখতে বলা হোক না কেন , আপনি এই দশটি ডিজিট ব্যবহার করেই অনায়াসে লিখে দিতে পারবেন। আর সেই দশটি ডিজিট হল 0, 1 ,2 ,3 ,4 ,5 ,6 ,7 ,8 ,9 |
যে কোন সভ্যতা বিকাশের জন্য গণনা পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রত্যেকটা প্রাচীন সভ্যতাতেই গণনা পদ্ধতি ছিল। এসব প্রাচীন সভ্যতা গুলির মধ্যে অন্যতমঃ
১) মিশরের সভ্যতা
২) ব্যাবিলনীয় সভ্যতা
৩) গ্রিক/ রোমান সভ্যতা
৪) মায়া সভ্যতা
উপরোক্ত সমস্ত সভ্যতার গণনা পদ্ধতি আলাদা আলাদা। গণনা পদ্ধতিতে নানাবিধ জটিলতার কারণে মিশরের সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, গ্রিক/রোমান সভ্যতা এখন অনেকটাই ইতিহাস। এই পোস্টে সবগুলো গণনা পদ্ধতি দেখানো সম্ভব নয়। উপরোক্ত পদ্ধতি গুলির মধ্যে একটি পদ্ধতি এখনো অনেক ক্ষেত্রেই আমরা রোমান পদ্ধতি ব্যবহার করি। রোমান পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনার একটা ট্রেইলার নিচে দেওয়া হলঃ
রোমান_পদ্ধতিঃ
ধরা যাক আমি লিখতে চাইছি - "12340"
রোমান সংখ্যায় এটা হবেঃ MMMMMMMMMMMMCCCXL
এই পদ্ধতি মনে রাখতে হলে আপনার জেনে রাখতে হবে-
1 = I
5 = V
10 = X
50 = L
100 = C
500 = D
1000 = M
সহজে বলতে গেলে; 12340 একে ভেঙে আপনাকে জানতে হবে-
12 টা 1000 আছে অর্থাৎ 12 টা M = 12,000
3 টা 100 আছে অর্থাৎ 3 টা C = 300
আর আছে 40 বা ( 50-10 ) ,or XL = 40
_____________________________________________
Total = 12340
ভেবে দেখুন রোমান পদ্ধতি যদি এখনো সংখ্যা গণনার পদ্ধতি হিসেবে চালু থাকতো তাহলে অংকের খাতায় লিখতে একটা পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা হয়ে যেতো!
[রোমান (অস্থানিক) সংখ্যা পদ্ধতিতে 'I' এর মান 1, আবার 'V' এর মান 5, তবে এটা বড় থেকে ছোট আকারে লেখতে হয়। যদি ছোট সংখ্যা বড় এর আগে বসে তবে তা বড় সংখ্যা হতে বিয়োগ হয়।
যেমন:
I = 1 এবং X = 10
এখানে X বড় ও I ছোট। তাই
XI = 1+10 =11 [ বড় থেকে ছোট ]
আবার,
IX = 10-1 = 9 [বড় সংখ্যার আগে ছোট আছে]
একবার ভেবে দেখুন 17 টি অক্ষরের নাম্বারকে "0" এর সহায়তায় আমরা প্রকাশ করলাম মাত্র 5 টা ডিজিট ব্যবহার করে 12340
মায়া সভ্যতার ধারাবাহিকতায় নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজকে আমরা যে অবস্থানে পৌঁছেছি এখানেও শূন্যের গুরুত্ব সংখ্যাতত্ত্বের সরলীকণ!
০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: শুন্য আবিস্কারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বর্ণনা করার জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই শুন্যের গুরুত্ব অপরিসীম।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৯
*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: আর্যভট্ট, ব্রহ্মগুপ্ত ও শ্রীরাধাচার্য তাদের শিস্যদের কখনো কানমলা ও বকা দিয়েছেন বলে শুনি নাই।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: অথচ আমি কতো যে কানমলা খেয়েছি!
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: শূন্য নিজে শূন্যই, কিন্তু কাউকে সাথে পেলে তার মূল্য অনেক বেড়ে যায় এবং সে মূল্যবর্ধকের কাজ করে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: শুন্যের আভিজাত্য বেড়ে যায় সংখ্যার ডান পাশে বসালেই।
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শুন্য আবিষ্কারের আগে শুন্য বাদেই সংখা লেখা হত।
7 VII
8 VIII
9 IX
10 X
০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তব শুন্য আবিস্কারের আগে অনেক বড়ো সংখ্যা লিখতে কয়েক পৃষ্ঠা খরচ হয়ে যেতো। ধন্যবাদ।
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৬
জলকামান বলেছেন: শূন্য থেকেই যে কিছু সৃষ্টি হয় এটা কিন্তু প্রমাণিত হয়ে গেছে । গবেষকরা সেটা করে দেখিয়েছে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: আলবাত।
৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শূন্যের দাবিদার আমারাও
০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: শুন্য ছাড়া জীবন অসম্পুর্ণ।
৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: মাথা ঘুরাচ্ছে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: এই রোগের নাম ভার্টিগো। ভার্গন ট্যাব্লেট প্রতিদিন একটা করে খাবেন।
৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সবকিছুই প্রথম অবস্থায় বড় থাকে তারপর মানুষ তার প্রয়োজনে সংক্ষিপ্ত করে। সুন্দর একটা জিনিষ জানা হলো।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: @ জলকামান,শূন্য থেকে কিছুই সৃষ্টি হয় নাই।কোন বিজ্ঞানী প্রমান করেছে?
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪১
জুল ভার্ন বলেছেন: "জগত সংসারের সীমাহীন সৃষ্টির এক কিয়াদাংশও বিজ্ঞান এখনো আবিস্কার করতে পারেনি"- স্টিফেন হকিংস এর এর কথার মধ্যেই অনেক উত্তর লুকিয়ে আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৫
*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: আর্যভট্ট শূন্য ধারণাটি দিয়েছিলেন এবং তারপরে ষষ্ঠ শতাব্দীতে 0 নীতিটি দিয়েছিলেন। আর্যভট্ট ব্রহ্মগুপ্ত ছাড়াও চুন্নির আবিষ্কারের কৃতিত্ব অন্য এক ভারতীয় গণিতবিদ, যার নাম ছিল শ্রীধরাচার্য। শ্রীধরচার্য ৮ ম শতাব্দীতে ভারতে শূন্যের ক্রিয়াকলাপ আবিষ্কার করেছিলেন এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যাখ্যা করেছিলেন।
শুন্যের আবিষ্কারক ভারতীয় গণিতবিদেরা। এই শুন্যের গুরুত্ব অপরিসীম।