নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবস.........
অনেক বছর আগে 'ইন্ডিপিনডেন্স ডে' নামে একটি ইংরেজি সিনেমা দেখেছিলাম। বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে সমগ্র পৃথিবীকে বাঁচানোর লড়াই ছিল সেই সিনেমার বিষয়বস্তু। তারপরে সেই লড়াইতে সাফল্যের দিনটি উদযাপিত হয়েছিল সারা পৃথিবীর স্বাধীনতা দিবস হিসেবে। বাস্তবে এমন কোনও দিন নেই। পৃথিবী স্বাধীন হয়নি আজও।
ইন্ডিপিনডেন্স, ভিক্টোরি ও লিবার্টি শব্দত্রয়ের বাংলা শব্দার্থ হল স্বাধীনতা, মুক্তি ও স্বাতন্ত্রচেতনা। এই তিনটি একত্র হলেই হয়ত পরিপূর্ণ স্বাধীনতা হয়। অর্ধ রাজনৈতিক স্বাধীনতা ঠিক স্বাধীনতা নয়, আবার পরাধীনতাও নয়। বনের পাখি স্বাধীন। খাঁচার পাখি স্বাধীন নয়। মানুষ প্রায়শই খাঁচার পাখি। দেশ নামের খাঁচাটি খানিক বড়ো - এই যা। ইচ্ছে হলেই সে এদেশ থেকে ওদেশ যেতে পারে না। ইচ্ছে হলেই নিজেদের নিয়মতন্ত্রের ভিতরেই সে অন্যায়ের প্রতিকার পায় না। মানুষের প্রতিটি নিষ্পাপ ইচ্ছার পায়ে পায়ে বেড়ি।
স্বাধীনতার যুদ্ধ চলতেই থাকে, বিজয়ের আকাঙ্ক্ষা চিরন্তন। খাঁচার পাখির বনের পাখি হয়ে ওঠার লড়াই হল স্বাধীনতার লড়াই। আমিত্ব ও অহং এই লড়াইকে সীমাবদ্ধ করে। আমরা দেশপ্রেমে আটকে থাকি। দেশবিস্তৃত খাঁচা আমাদের। দলপ্রেম বা ব্যক্তিপ্রেমের খাঁচা আরও সংকীর্ণ, আরও ক্ষুদ্র। সমস্ত খাঁচা ভেঙে আমরা বিশ্বপ্রেমে লুটিয়ে পড়ি না। 'বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো, সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও' - এই সত্য এক গভীর উপলব্ধহীনতার মধ্যে অনাবিস্কৃতই থেকে যায়।
গভীর পরিতাপের বিষয় এই যে, বিজয় এবং স্বাধীনতা তো দূর অস্ত, আমরা প্রতিদিন আরও বেশি ক'রে পরাধীন হয়ে পড়ছি। আরও ঘর, আরও বেড়া - জাতি, জনজাতি, আদিবাসী, ব্রাহ্মণ, শূদ্র, মহিলা, পুরুষ, এলজিবিটি, হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, প্রিভিলেজড, ডিপ্রাইভড, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, চিন কত কী। পিছনের দিকে এগিয়ে ছোট্ট খাঁচায় আপাত আরাম খুঁজে নিচ্ছি আমরা। কেবল মানুষ ও মনুষ্যত্বের পরিচয় কোথাও নেই। অভেদসুন্দরের লালন নেই। প্রেম নেই। পৃথিবী নিজসৃষ্টির মধ্যে কোথাও কোনও বেড়া রাখেনি। আমারাই নিজসৃষ্ট বেড়ায় রক্তাক্ত হয়েছি অসংখ্যবার। ইতিহাস বা ভূগোলের শিক্ষা আমাদের অধরাই থেকে গেছে অদ্যাবধি।
দ্বিজেন্দ্রলাল লিখেছেন, "সকল দেশের রাণী সে যে, আমার জন্মভূমি"।
আল্লামা ইকবাল লিখেছেন, "সারে জাহা সে আচ্ছা হিন্দুস্তান হামারা"।
রবীন্দ্রনাথ বললেন, "সকলেই বিশ্বমানব। সকলের একই পৃথিবীর সন্তান।"
আধুনিক পৃথিবীর রাষ্ট্রকেন্দ্রিক বিভাজনের প্রায় স্বতঃসিদ্ধ ধারণাকে প্রথম চ্যালেঞ্জ জানানো মানুষটি গ্যারি ডেভিস। ১৯৪৮ সনে প্যারিসে গিয়ে নিজেকে 'পৃথিবীর নাগরিক' হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি আইফেল টাওয়ারের চুড়ায় উঠে বলেছিলেন, 'আমি শ্রেষ্ঠ' নয়, বরং 'সকলেই সমান'- এ কথাই, এ বোধই আধুনিকতার প্রথম শর্ত।
আজ থেকে বহু বহু বছর পরে যদি সত্যি সত্যিই আমরা কখনও আধুনিক হয়ে উঠি, যদি কোনদিন সত্যি সত্যিই যদি কোনদিন পৃথিবীর ইতিহাসে সত্যিকারের আধুনিক যুগের সূচনা হয়, যদি কোনদিন ভিসা, পাসপোর্ট, বর্ডার, ডিফেন্স, সিকিউরিটি, ভেটো, অস্ত্র, জঙ্গী, লুটেরা, লম্পট - এসব সত্য অতীতের কৃষ্ণগহ্বরে চ'লে যায়, যদি সত্যিই কোনদিন 'গোলাপের তোড়া হাতে কুচকাওয়াজ' হয়, সেই দিন, সেইই দিন, আমরা পৃথিবীর বিজয় দিবস, সকল মানুষের বিজয় দিবস মেনে নেব। এবং সেই দিনই হবে নিখিল বিশ্বের যথার্থ স্বাধীনতা দিবস। প্রকৃত বিজয় দিবস।
সমস্যা হল, দেশপ্রেমে নেশাটি যেমন জমে ওঠে, বিশ্বপ্রেমে সেটি হয় না। সে বড়ো দূরারোহ স্বপ্ন। অনন্তের অপেক্ষা। স্বপ্নেরও তো খাঁচা থাকে। বেড়া থাকে। বেড়ি থাকে। সেও তো স্বাধীন নয়।
আমি আমার স্বাধীনতা চাই, আমি আমার বিজয় চাই। আমিই আমার স্বাধীনতার ঘোষক, আমিই আমার বিজয়ের সেনাপতি। আমি মানুষের স্বাধীনতা চাই, সব মানুষের বিজয় দেখতে চাই। আমি পৃথিবীর নাগরিক। পৃথিবী আমার বাড়ি, পৃথিবী আমার দেশ। আমি পৃথিবীর মালিক।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: এই প্রশ্নের উত্তর আপনি ইতিপূর্বেও দুইবার জানতে চেয়েছিলেন এবং আমি রিপ্লাই দিয়েছিলাম। এই প্রশ্ন এই পোস্ট সংশ্লিষ্ট নয়। ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী
বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি,
এই রকম একটা পৃথিবী দরকার।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার স্বপ্নের পৃথিবী। আমি তেমন একটা পৃথিবী চাই।
৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ইন্ডিপিনডেন্স ডে সিনেমাটি যে কতো বার দেখেছি বলে শেষ করা যাবে না। আমার খুবই প্রিয় একটি সিনেমা। কয়েক বছর আগে সেকেন্ডপার্ট বেরিয়েছে, সেটি মোটেও ভালো লাগেনি।
লেখা চমৎকার হয়েছে।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি সেকেন্ড পার্ট দেখিনি।
ধন্যবাদ।
৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২২
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের সোনার মতো দামী বাংলার খাঁচায় বন্দী আমরা - বলছেন ?
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: না, তা বলিনি। আমি আমার কথা বলছি আর কবি গুরুর একটা বক্তব্য শেয়ার করেছি মাত্র।
৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই লেখাটি সুনীল গঙ্গোপাধ্যের মতো হয়েছে।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: হতে পারে। কারণ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যের পায়ের তলায় সর্ষে উপন্যাসের প্রভাবে একদা আমি খুব বেশী প্রভাবিত হয়েছিলাম।তে পারে। কারণ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যের পায়ের তলায় সর্ষে উপন্যাসের প্রভাবে একদা আমি খুব বেশী প্রভাবিত হয়েছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনি কোন ক্লাশে ছিলেন?