নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৈত্রেয়ী দেবী\' মানে শুধু \'ন\'হন্যতে\' নয়, তাঁর জীবনের সর্ব শ্রেষ্ট অবদান \'খেলাঘর\'.......

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৮

মৈত্রেয়ী দেবী' মানে শুধু 'ন'হন্যতে' নয়, তাঁর জীবনের সর্ব শ্রেষ্ট অবদান 'খেলাঘর'৷

১ সেপ্টেম্বর ১৯১৪ সনে জন্ম৷
বাবা ডঃ সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত।
বাপ-দাদার শিকড় বরিশাল হলেও তাঁর বাবা চট্টগ্রামে কলেজ শিক্ষক থাকাকালীন মৈত্রেয়ী দেবীর জন্ম। তিনি কিছুদিন চট্টগ্রাম এর ঐতিহ্যবাহী ডাঃ খাস্তগীর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন৷

১৬ বছর বয়সে প্রকাশিত তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘উদারতা’৷ যার মুখবন্ধটি ছিল রবীন্দ্রনাথের লেখা৷
মংপুতে থাকাকালীণ রবীন্দ্রনাথ মৈত্রেয়ী দেবীর আমন্ত্রণে সেখানে বেশ কয়েকবার যান৷ তারই স্মৃতিচারণায় লেখেন- ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’। ইংরেজিতে অনুদিত বইটির নাম ‘টেগোর বাই ফায়ারসাইড’৷ ১৯৬১-তে রবীন্দ্র শতবর্ষে বক্তৃতা দেয়ার জন্য আমন্ত্রিত হয়ে তিনি সোভিয়েত রাশিয়া, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া ও জার্মানিতে গিয়েছিলেন।
উপন্যাস ‘ন হন্যতে’ বহুল পঠীত এবং আলোচিত৷ এই বই এর জন্যেই ১৯৭৬ সালে তিনি "সাহিত্য আকাদেমী" পুরষ্কার পান৷ বইটির ইংরেজি নাম ‘ইট ডাজ নট ডাই’।

১৯৭৭ সালে তিনি ‘পদ্মশ্রী’ উপাধিতে ভূষিত হন।

জীবনের সব থেকে উল্লেখযোগ্য কাজ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শরনার্থীদের জন্যে৷ একাত্তরে মৈত্রেয়ী দেবী ‘নবজাতক’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। এই পত্রিকার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেন। বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা দেন। এই সময়ে তিনি কলকাতা থেকে ২৪ মাইল দূরে বাদু নামক গ্রামে ৯ বিঘা জমির ওপর একটি প্রকল্প গড়ে তোলেন, যে'টি আজও আছে 'খেলাঘর' নামে৷

'একাত্তর সালে অনাথ শিশুদের জন্য ‘খেলাঘর’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে অগণিত শিশুর জীবন বাঁচাতে তিনি এগিয়ে এসেছিলেন৷ পরে এটি একটি অন্যতম সংগঠনে পরিণত হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শাখা হিসাবে পরিচালিত হত৷ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ সংস্থার কাজ কর্ম দেখাশুনা করেছেন৷

ছবিঃ ইন্টারনেট

মৈত্রীয়ে দেবীকে নিয়ে আমার আগের একটি পোস্ট লিংক- Click This Link

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: খেলাঘরের বিষয়টা জানতাম না। দারুন ব্যাপার!
উঁনার প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা আরো বেড়ে গেল।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
আসলে মৈত্রীয়ে দেবীতে আমি মুগ্ধ! ইতিপূর্বেও আমি মৈত্রীয়ে দেবীকে নিয়ে একটা পোস্ট লিখেছিলাম-যেখানে আপনি চমতকার মন্তব্য করে আমাকে সম্মানীত করেছিলেন।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৩

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুব সুন্দর এক বিষয়ে জানলাম দাদা ভাল থাকবেন

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

মৈত্রীয়ে দেবী সম্পর্কে আরো জানতে পড়তে পারেন-ই পোস্টের দেয়া লিংক এ।

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৮

ইসিয়াক বলেছেন:




বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো।
পোস্টে ভালো লেগেছে।
শুভকামনা জানবেন।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন ,




"খেলাঘর" যে মৈত্রীয়ে দেবীর সৃষ্ট সংগঠন জানা ছিলোনা। ধন্যবাদ এজন্যে।
আমাদের বরিশালেও "খেলাঘর" শিশু কিশোর সংগঠন ছিলো। এক সময় সে সংগঠনে যুক্তও ছিলুম। পরে অবশ্য আমি " কঁচি কাঁচার মেলা" সংগঠন করি বরিশালে। তারপরেও "খেলাঘর" এর সাথে সম্পৃক্ততা ছিলো আমার।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান,
"খেলাঘর" আর "কঁচি কাঁচার মেলা" এবং "মুকুল ফৌজ" সংগঠন গুলো আমাদের কৈশোরের প্রথম সোস্যাল মিলন মেলা। আমার যতদূর মনে পরে স্বাধীনতার আগে-পর বরিশালের খেলাঘর এর সাথে জড়িত ছিলেন প্রফেসর বদিউজ্জামান স্যার, প্রফেসর হানিফ স্যার, মানবেন্দ্র ব্যাটবল প্রমূখ সুনামধন্য ব্যক্তিত্ব। আপনার স্মৃতিচারণের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় স্বজন।

৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: খুব ভাল লেখা ধন্যবাদ , উপন্যাসের প্রিয় চরিত্রটি অনেকদিন পর উঠে এলো ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ সাখাওয়াত হোসেন বাবন।

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ সরকার কি মৈত্রী দেবীকে কখনও সম্মান জানিয়েছেন রাষ্ট্রিয় ভাবে?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: না, তবে তিনি একাধিকবার বাংলাদেশে এসেছিলেন সাহিত্যিক সুশীল সমাজের আমন্ত্রণে।

৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

কাছের-মানুষ বলেছেন: তার সাহিত্য কর্ম আমার পড়া হয়নি! আমি পড়ব, আমার আগের যুগের লেখকদের লেখা পড়তে ভাল লাগে কারন এতে সেই সময়ের মানুষেরা কিভাবে চিন্তা করত তাদের লেখা পড়লে একটা ধারনা জন্মে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: মৈত্রীয়ে দেবীর অনেক বই আছে- সম্ভব হলে 'ন'হন্যতে' পড়বেন- আমি নিশ্চিত আপনি মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকবেন।

৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: উনার লেখা পড়া হয় নাই।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: পড়ে দেখবেন- ভালো লাগবে।

৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: না, তবে তিনি একাধিকবার বাংলাদেশে এসেছিলেন সাহিত্যিক সুশীল সমাজের আমন্ত্রণে।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে সমস্ত ভারতীয়রা সামান্য অবদান রেখেছেন তাদের অবশ্যই রাষ্ট্রিয় ভাবে সম্মান জানানো দরকার।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩১

সোবুজ বলেছেন: এমন মানুষ বেশি বেশি দরকার।এখন সার্থ ছাড়া কেই কিছু করতেই চায় না।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩১

সাসুম বলেছেন: একটা কনফিউশান ক্লিয়ার করা দরকার।

খেলাঘর নামে আমরা শিশু কিশোর দের যে সংঘটন কে চিনে থাকি সেটা আর মৈত্রেয় দেবীর 'খেলাঘর' এক নয়।

খেলাঘর নামে যাকে আমি আপনি সবাই চিনি সেটা প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বাংলাদেশের বাম ধারার মানুষদের দ্বারা ১৯৫২ সালের ২রা মে। উল্লেখ্য, সে সময় দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় কবি হাবিবুর রহমান এর পরিচালনায় একটি পাতা প্রকাশিত হতো, এর নাম ছিল ‘খেলাঘর’। সত্য, জ্ঞান, ঐক্য, কল্যাণ ও আনন্দ- এই পাঁচটি আদর্শ ছিল এই সংগঠনের ভিত্তি। আর লক্ষ্য ছিল এই আদর্শকে শিশুদের ভিতরে ছড়িয়ে দেওয়া।
১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে দৈনিক সংবাদের 'খেলাঘর' পাতার পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায় অভাবিত ভাবে এবং
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাশহরগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে 'খেলাঘর'-এর আঞ্চলিক কার্যক্রম শুরু হয়। বিভিন্ন জেলার 'খেলাঘর' সংগঠনগুলো পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে, সারাদেশব্যাপী একটি আন্দোলনের কার্যক্রম হিসেবে গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এই সূত্রে ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ২২শে জুলাই প্রথম ঢাকাতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে একটি কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়। এই সময় খেলাঘরের পরিচালক সাংগঠনিকভাবে 'ভাইয়া' নামে স্বীকৃতি পায়। খেলাঘরের প্রথম ভাইয়া হয়েছিলেন আল-কালাম আব্দুল ওয়াহাব।


মৈত্রেয় দেবীকে নিয়ে একটা বিশদ লিখা আছে। এত বিশদ লিখা পাওয়া যায়না। বেশ ডীটেইলস বর্ননা আছে। পড়ে দেখতে পারেন, অনেক ইনফরমেশান আছে।

মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু মৈত্রেয়ী দেবীর সাক্ষ্য

১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে দ্বিমত করার সুযোগ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.