নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
সার্টিফিকেট দেখানোর সময় দিচ্ছেনা......
এক বনে বাঘ সিংহ চিতাবাঘ প্রাকৃতিক নিয়মেই বনের ছোট ছোট প্রাণীদের শিকার করে খেয়েদেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছিল। অন্যদিকে বনের নিচু জাতের প্রাণীরা(বান্দর, শুয়ার - গাধা, খাটাশ, শিয়াল পণ্ডিত ইত্যাদি) বাঘ সিংহ চিতাবাঘের ভয়ে সব সময় তটস্থ থাকতো.....
নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নিচু জাতের প্রাণীরাও প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে যেয়ে নিজেদেরকে উঁচু জাতের (বাঘ-সিংহ ইত্যাদি) সমতূল্য করতে চায়, সেই সঙ্গে বনের রাজা সিংহের রাজত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ফন্দী আঁটে....বনের বুড়া গাধার নেতৃত্বে বান্দর, শিয়াল, খাটাশ গং একটা গ্রুপিং করে। বাঘ-সিংহের প্রভুত্বের বিরুদ্ধে গাধা আর বান্দরদের পরামর্শে নিচু জাতের প্রাণীরা একটা সমাবেশের আয়োজন করে.....
সমাবেশে গাধার ইচ্ছায় কমিটির আহবায়ক খাটাশ ঘোষণা করেঃ 'আমরা আর বাঘ সিংহদের শ্রেষ্ঠত্ব মানবো না। আমরা নিজেরা একটা কমিটি গঠন করে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করছি.... আজ থেকে আমাদের কমিটির সভাপতি হচ্ছেন মাননীয় গাধা। সাধারণ সম্পাদক শিয়াল পণ্ডিত। বান্দর, খাটাশ, শুয়ার গাধা, কুত্তা বিলাই বেজিরা সবাই কমিটির মেম্বার।'- সবাই হাততালি দিয়ে উল্লাস করলো। সমাবেশ থেকেই নিজেদের মধ্যে যার যার পদ পদবীর উল্লেখ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট নিজের এবং সব ছোট জাতের প্রাণীদের জন্য ইস্যু করে দিলো.....সব শেষে নব নিযুক্ত সভাপতি গাধা সমাপনী বক্তব্যে ঘোষণা করে, "এখন থেকে তোমরাও উঁচু জাতের প্রাণী। তোমাদের বাঘ সিংহ চিতাবাঘ শিকার করতে এলেই সার্টিফিকেট দেখাবে....."- বলে সমাবেশের সমাপ্তি করলো।
এদিকে নিচু জাতের প্রাণীদের গোপন সমাবেশের কারণে বাঘ সিংহ চিতাবাঘ তাদের শিকার খুঁজে পাচ্ছিলনা....হঠাৎ দেখে ওদের কাংখিত সব প্রাণী এক যায়গায়..... বাঘ সিংহ চিতাবাঘ একযোগে ঝাপিয়ে পড়লো ছোট জাতের শিকারের উপর! ছোট জাতের প্রাণীরা যে যেদিকে পারছে জীবন বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে....বান্দরের পাল দৌড়ে গাছের মগডালে উঠে গেছে। অন্যদিকে বাঘ সিংহের আক্রমণে গাধা শিয়াল কুকুর বেঘোরে মারা পরছে....
গাছের মগডালে বসে বান্দর সবাইকে অভয় দিয়ে বলছে- 'তোরা দৌড়াইসনা, সার্টিফিকেট দেখা....'।
শুয়ার - গাধা, খাটাশ, শিয়াল পণ্ডিত দৌড়াতে দৌড়াতে বলে- "ওরাতো আমাদের সার্টিফিকেট দেখানোর সময় দিচ্ছে না......"!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: নাউজুবিল্লাহ। আপনি এবং আপনার সিন্ডিকেটের আপনার সার্টিফিকেট নিলে সবাই হাসাহাসি করবে। অন্যদিকে আমার যতটুকু অর্জন সব বিফলে যাবে!!!
২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ক্যাডেট কলেজের পর মিলিটারীতে গিয়েছিলেন?
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ইতিপূর্বে আমার দুটি পোস্টে একই মন্তব্য /প্রশ্ন করেছিলেন এবং রিপ্লাই দিয়েছিলাম- সেগুলো খুঁজে জেনে নিন।
৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বেশ লিখেছেন, চমৎকার হয়েছে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি লিখেছি গল্প কিম্বা জোকস কিন্তু অনেকেই চরিত্রগুলো নিজেদের মধ্যে আবিস্কার করে!
৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
সোনালি কাবিন বলেছেন: খুব মজা পেলাম। হা হা
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
গাধার উপর আপনার লেখাগুলো খুবই ভালো হয়েছে, গাধা ছেড়ে অন্য দিকে যাইয়েন না।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি থাকতে অন্যদিকে কিভাবে যাই!
৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাঘ সিংহের সার্টিফিকেট লাগে না। ওরা গায়ের জোরে উঁচু জাত। অনেক সময় অনেক জায়গায় মাইট ইস রাইট। মিটিং, মিছিল, সার্টিফিকেটের চেয়ে গায়ের জোর বেশী প্রয়োজন হয় তখন। বিশ্বের মোড়লদের দিকে তাকালেও একই চিত্র পাওয়া যায়। যত হাঙ্গামা, যুদ্ধ, অস্ত্র ব্যবসা, কূটচাল, পরিবেশ দূষণ এরা করে আবার মানবাধিকারের ওয়াজ করে যাচ্ছে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: কঠিন বাস্তবতা। বাঘে মহিষে যুদ্ধ হয়, আমাদের মতো উলুখাগড়ার জীবন যায়!
৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৯
সোনালি কাবিন বলেছেন: আহারে! সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গাধাটা না পারছে সইতে, না পারছে মন খুলে বকতে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ইতিপূর্বে এ টিম, জিশান শা ছাড়াও অনেক ব্লগার সিন্ডিকেট করে কিছুদিন তরফাইছে....তারা এখন নিন্দনীয় নাম। কিন্তু সুস্থ্য ধারার ব্লগারগণ এখনো টিকে আছেন নিজ নিজ যোগ্যতায়। সব সিন্ডিকেটের কবর রচনা করে নিরিহ নির্ঝঞ্ঝাট ব্লগারেরাই- এটা জেনে মেনে যারা ব্লগিং করবে তারাই টিকে থাকবেন।
৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫২
সোনালি কাবিন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। সিন্ডিকেট একদিন নিন্দনীয় হবেই। জিসান সিন্ডিকেট দেখেছি। তাদের অপমানিত হয়ে যেতেও দেখেছি। আশা রাখি, এই গাধা সিন্ডিকেটও একদিন বিলুপ্ত হবে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: যোগ্য মেধাবীদের সিন্ডিকেট নির্ভর হতে হয় না। অযোগ্যরাই সিন্ডিকেট নির্ভর হয় এবং সাময়িক সুবিধা নিতে পারলেও একসময় সত্যের কাছে মুখোশ খুলে যায়।
৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি বুদ্ধিমান ব্লগার।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: বুদ্ধিমান হলে বিনা দোষে এভাবে ধরা খেতাম না!
১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহা। দারুণ গল্প।
তবে, একমাত্র গাধাই এমন পরামর্শ দিতে পারে - বাঘ, সিংহ তোমাদের খাইতে আসলে সার্টিফিকেট দেখাইবা
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: কথায় বলে না- "সিনেমার গরু গাছে চড়ে আর হাতী আকাশে উড়ে"!
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ব্লগের সেরা গল্পকার।