নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
একটা সড়ক নৈরাজ্যের কাহিনী...
সাইন্সল্যাবরেটরি থেকে ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হল পর্যন্ত ২.৬ কিঃ মিঃ দৈর্ঘ্যের ব্যাস্ততম রোডের নাম গ্রীন রোড। এই রোডের দুই পাসে বৃহৎ ও মাঝারি আয়তনের হাসপাতাল আছে ১৬টি। যথাক্রমেঃ ল্যাব এইড হসপিটাল, ল্যাব এইড স্পেশালাইজড কার্ডিয়াক হসপিটাল, গ্রীন লাইফ রিলায়েন্স এন্ড রেনাল হসপিটাল, ইউনিভার্সাল হসপিটাল, সেন্ট্রাল হসপিটাল, ধানমণ্ডি ক্লিনিক, ল্যাব এইড ক্যান্সার হসপিটাল, নিউ লাইফ জেনারেল হাসপাতাল, গ্রীন লাইফ হাসপাতাল এন্ড মেডিক্যাল কলেজে, ধানমন্ডি হাসপাতাল প্রাঃ লিঃ, কমফোর্ট হসপিটাল লিঃ, মাদার তেরেসা হসপিটাল(আন্ডার কন্সট্রাকশন), সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন, ব্রেন এন্ড কিউর হাসপাতাল, ঢাকা আই হসপিটাল। এছাড়াও বৃহৎ পরিসরের ডায়োগনাইসিস ক্লিনিক, ডাক্তার চেম্বার, ডেন্টাল ক্লিনিক, ফিজিওথেরাপি সেন্টার আছে অসংখ্য।
২ টা স্কুল, ১ টা গার্হস্থ মহিলা কলেজ এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আছে ৫টা। রোডের দুই পাসে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সায়েন্স ল্যাব থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত রোডের দুই পাসের ফুটপাত সম্পুর্ণটাই ভাসমান হোটেল, টং দোকানের দখলে। এই রোডে অর্ধশতাধিক লেগুনা চলাচল করে নিউমার্কেট পর্যন্ত।
লেগুনার চালকরা প্রায় সবাই টিনএজার-যাদের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই। এই রোড রাত বারোটা থেকে সকাল পর্যন্ত মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
লেগুনাস্ট্যান্ড না থাকায় ফার্মগেট থেকে গার্ডেন রোড পর্যন্ত রোডের দুই পাসে লেগুনা সিরিয়াল ধরে সারাদিন দাড়িয়ে থাকে। রিকশার সারাই কারখানা গোটা গ্রীন রোড জুড়ে। দাড়িয়ে থাকা লেগুনা আর রিকশায় বসে চলে গাঁজা সহ অন্যান্য মাদক সেবন। সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি নামক একটা বড়ো কোচিং সেন্টারের ছাত্র পরিবহনের ছয়টি বাস সব সময় মূল সড়কের উপর দাঁড় করিয়ে রাখায় সড়কের অর্ধেক দখল করে রাখে- দেখার কেউ নাই। গোটা রোডে গ্রীন রোড - পান্থপথ সিগনাল ছাড়া কার্যকর কোনো ট্রাফিক সিস্টেম নাই। অসংখ্য এম্বুল্যান্স, ট্রাক, লেগুনা ড্রাইভাররা বিকট শব্দে হাইড্রলিক/ইলেকট্রনিক হর্ণ বাজিয়ে আবাসিক বাসিন্দাদের কান পচিয়ে দিয়েছে।
আমি শুধু একটা সড়কের নৈরাজ্যের কাহিনী বলেছি, তবে এমন নৈরাজ্য ঢাকা মহানগরীর প্রত্যেকটা সড়কে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: কতৃপক্ষ চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৩
সোবুজ বলেছেন: একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।আশা করি কর্তৃপক্ষ নজর দিবেন।জনগন ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: হা হতোম্মি! যাদেরকে দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে চাচ্ছেন তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সব নৈরাজ্য চলছে।
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: প্রতিটি ভাসমান হোটেল দোকান থেকে ক্ষমতাসীনদের পকেটে নিয়মিত চাঁদা যায় । কেন তারা এই সব উঠিয়ে দিবে । মাসে কোটি কোটি কোটি টাকা আয় হয় এখান থেকে ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রতি রাতে গ্রীন রোডের দুই পাশে অন্তত হাজার পাঁচেক রিকশা সাড়িবদ্ধ করে রাখা হয়। প্রতিটি রিকশা থেকে মাসে নেওয়া হয় এক হাজার টাকা চাঁদা......প্রত্যেক ভাসমান হোটেল রেস্টুরেন্ট থেকে দোকানের সাইজ অনুযায়ী ১০০-৫০০/-।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৩৮
রাসেল বলেছেন: আশা করি কর্তৃপক্ষ দৃষ্টিপাত করবেন।