নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
উপমহাদেশে নারী সৌন্দর্যায়নের ইতিহাস....
সোস্যাল মিডিয়ায় অনেক ছেলেই চটুল চপল মন্তব্য করে - "মেয়েরা আটা, ময়দা মুখে মাখে", "ম্যদা সুন্দরী"- ইত্যাদি!
প্রসাধনের নামে এরকম অবজ্ঞা সুচক কথা বলে অর্ধ-শিক্ষিত ছেলেরা কতটা আনন্দ পায়, সেটা জানিনা, তবে মেয়েরা কিন্তু যথেষ্টই আঘাত পায়। প্রসাধনী বাপারটাকে এত হেয় করে ভাববার কোন অবকাশ নেই।
উপমহাদেশে দুই ভারতীয় দিকপাল পুরুষ যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে এই শিল্পের বিষয়ে ভেবেছিলেন এবং সেই অনুসারে কাজও করেছিলেন। তাদের হাত ধরেই উন্মুক্ত হয়েছিলো সৌন্দর্যায়নের ক্ষেত্রে নতুন দিশা।
ভারতীয় নারীদের সৌন্দর্যের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। উপমহাদেশের নারীদের কোমল কমনীয়তা ও সৌন্দর্যের পিছনে প্রসাধনীর একটা বড় ভূমিকা আছে। সেই পৌরাণিক কাল থেকেই ভারতবর্ষে আয়ুর্বেদীয় রূপচর্চায় সুন্দরীকে আরো সুন্দরী, মোহময়ী করে তুলতে অনেক বেশী এগিয়ে ছিলো। কালের পরিক্রমণ কারো ছোট একটু আধটু খুঁত মেকআপ করে নিতে প্রসাধনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। নারীদের সৌন্দর্যকে সম্পুর্ন রূপে ফুটিয়ে তোলার এই জাদুকাঠিরূপ প্রসাধনী তৈরির একটা ইতিহাস আছে।
ইংরেজ বিদায়ের পর ভারতীয় অর্থনৈতিক, সামাজিক সকল প্রেক্ষাপটেই পুনর্গঠনের কাজ চলছে। প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আসীন হয়েছেন কাশ্মিরী সৌন্দর্য প্রেমী জওহরলাল নেহেরু। তিনি অনুভব করলেন মধ্য এবং নিম্নবিত্ত ভারতীয় নারীদের সাজ সজ্জার সরঞ্জামের বড় অভাব। দেশীয় কোন প্রস্তুতকারক সংস্থা নেই। সম্পুর্ন ভাবে বিদেশ থেকে আমদানি করা দ্রব্যের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তাতে যে পরিমান খরচ হয় তা কেনার সাধ্য সাধারণ ভারতীয় নারীর ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আর দেশীয় নারীর ত্বক বা তার ধরণ সমন্ধে কোনরূপ ধারণা না থাকা বিদেশী প্রস্তুত কারক এবং বিদেশী কাঁচামালে তৈরি দ্রব্যের ওপর কতটা বিশ্বাস রাখা যায়, সেই ব্যাপারেও নেহেরু সন্দিহান ছিলেন। দেশীয় বাজারে প্রসাধনীর চাহিদাও যথেষ্টই ছিলো।
যৌবন, সৌন্দর্য দীর্ঘ স্থায়ী রাখতে, সুন্দর হতে সব কালেই সবাই চায়। এসব ভেবে নেহেরু দেশের এক নম্বর শিল্প উদ্যোক্তা JRD Tata এর কথা। ১৯৫২ সালে এক অনুষ্ঠানে টাটা এর সাথে দেখা হলে নেহেরু কথাটি পাড়লেন তার কাছে। বললেন - 'দেশ তৈরির জন্য লৌহ ইস্পাত তো অনেক বানালেন এবার ভারতীয় রমনীদের সুন্দর করে তোলার বিষয়ে কিছু করুন। সাজ সরঞ্জামের চাহিদা থাকলেও, দেশীয় কোন প্রতিষ্ঠানই কিন্তু নেই।'
ব্যবসায়ী টাটার মাথাতেও বিদ্যুৎ খেলে গেলো। তিনি প্রতিত্তরে বললেন, "খুব ভালো, মহতী একটি প্রস্তাব আপনি করেছেন পন্ডিতজী। আমি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি"।
সেই বছরই টাটা প্রতিষ্ঠা করলেন দেশের প্রথম বিউটি প্রোডাক্ট প্রস্তুত কারক সংস্থা - Lakme India, বর্তমানে যার নাম জানেনা তেমন ভারতীয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ল্যাকমে শব্দটা এসেছে ফ্রেঞ্চ অপেরা Lakmé থেকে। ভারতীয় শব্দ লক্ষ্মী (ধন সম্পদ ও রূপের দেবী) কথাটির ফ্রেঞ্চ ভার্সন হচ্ছে Lakmé। প্রথমে টাটা সুন্দরী নারীর প্রতিমূর্তি 'লক্ষ্মী' নামটির কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু দেবীর নামে লক্ষ্মী কাজল, লক্ষ্মী লিপস্টিক কিনতে ভারতীয় নারী স্বছন্দ্য বোধ নাও করতে পারে। তাই ঠিক হল দেশীয় লক্ষ্মীর ফ্রেঞ্চ ভার্সন Lakme, যার মধ্যে আধুনিকতা ও আন্তর্জাতিকতার ছোঁয়া থাকবে।
অর্থাৎ ভারতীয়দের ঘরের লক্ষ্মীদের কথা ভেবে, তাদের জন্য তৈরি হয়েছিলো প্রসাধন উৎপাদক সংস্থা ল্যাকমে। সেই শুরু, তারপর তো দেশীয় বাজারে প্রসাধন উৎপাদনে বিপ্লব ঘটে গেছে। চাহিদার কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে বড়, ছোট বহু কোম্পানি - যেগুলোর ব্যবহারে শুধু নারীরা নয়, পুরুষরাও সমান ভাবে আগ্রহী।
পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও।
বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনি লিভারের সাথে পাল্লা দিয়ে কেয়া কসমেটিকস, স্কয়ার টয়লেট্রিজ ছাড়াও ছোটো বড়ো অনেক কসমেটিকস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নিম্নবিত্ত'- নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের চাহিদার যোগান দিচ্ছে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: "ফর্সা হওয়ার প্রসাধনী" পণ্য এবং বিজ্ঞাপন আইন করে নিষিদ্ধ করা উচিত।
অতিরিক্ত প্রসাধনী মাখাদের আমি এড়িয়ে চলি, কিন্তু প্রসাধনী ছাড়া সোস্যাল মিডিয়ায় কারোর ছবিতে আমি লাইক কমেন্টস করি- অনেক প্রশংসা করে।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
ল্যাকমে'র গোড়াপত্তনের কাহিনী জানা হলো, ধন্যবাদ।
আর একই সঙ্গে উপরে সহব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর এর মন্তব্যের সাথে সহমত পোষন করছি।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান।
সাড়ে চুয়াত্তর এর যে কোনো মন্তব্য (অন্তত আমার পোস্টে)র সম্পুরক মনে করি।
আর একটা কথা সাড়ে চুয়াত্তর কিন্তু একজন এক্স ক্যাডেট!
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: লেকমির জন্ম ইতিহাসের পিছনে যে নেহেরু জড়িত এ জানা ছিল না, জানলাম আপনার লেখায়।
দেশি প্রসাধন ব্যবহার হয়তো আরো আগে থেকে ছিল। ঘরেপাতা কাজল। আলতা, চুলে তেল দেয়া ফুল দিয়ে সাজানো এগুলো দেশি প্রসাধনী।
রঙ মেখে রঙ বদলানো বা কালো কে সাদা করার প্রসাধনী ব্যবহার যত না প্রসাধনের জন্য তার চেয়ে মনে হয় বেশি সামাজিক চিন্তায় ফর্সা হওয়ার জন্য। ভুল এ ভাবনা বিরাজ করছে কতকাল থেকে কে জানে।
নারীরা নিজেকে ফর্সা করে তুলে পুরুষের জন্য আসলে। যে পুরুষই আবার তাদের বিরুপ মন্তব্য দেয়।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে যতটা জ্ঞান দরকার তা আমার নাই- সেকথা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই। মূলত নারীদের জন্যই প্রসাধনী- যা আমিও বিশ্বাস করি এবং আমাদের কন্য জায়া জননীদের পরিমিত সাজসজ্জা অত্যন্ত পছন্দ করি। সবার আগে জানতে হবে, বুঝতে হবে - কার কিধরনের সাজসজ্জায় আরও বেশী আকর্ষণীয় লাগবে। সাজসজ্জাও যে একটা আর্ট সেটা অনেকেই বুঝতে পারেনা। অর্থাৎ মেকআপের পরিমিতিবোধ আমাদের অনেকেরই নাই, তাই অনেকেই নিজেকে সিনেমার নায়িকাদের মতো নিজেকে দেখাতে যেয়ে কিম্ভূতকিমাকার ভাবে তুলে ধরে- যা নিয়ে পিছনে সবাই হাসাহাসি করে!
বাহ্যিক সৌন্দর্য আকর্ষণ করে, তবে অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য মনমুগ্ধ করে।
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৩
জুন বলেছেন: আসলে যুগ যুগ ধরেই মেয়েরা নিজেদের আকর্ষণীয় করার জন্য একসময় প্রকৃতি থেকেই বিভিন্ন উপাদান বেছে নিয়েছে জুলভার্ন। যেমন পুই বীজ দিয়ে ঠোট রাংগানো বা আলতা পরা, মেহেদী রাংগানো হাত, প্রদীপের শিখা থেকে বানানো কাজল।
ক্লিওপেট্রার কথা মনে হলেই তার বিশাল কাজল কালো চোখ ভেসে ওঠে। সেই কাজল বা সুরমা বানিয়ে ছিলেন সীসা দিয়ে। বৃটেনের রানী ১ম এলিজাবেথের জলবসন্ত হয়ে মুখে দাগ পরেছিল তা ঢেকে রাখতে সব সময় সাদা সীসার ব্যবহার করতেন যা ছিল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভয়ানক। তারপর ও নারীকূলকে তাদের সৌন্দর্য চর্চা থেকে কেউই দাবিয়ে রাখতে পারে নি। এটা ভালো ভাবেই বুঝতে পারে বিভিন্ন কসমেটিকস নির্মাতারা। ল্যাকমের জন্ম ইতিহাস জেনে ভালো লাগলো।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্য থেকেই প্রসাধনী ব্যবহারের অনেক অজানা বিষয় জেনে ঋদ্ধ হলাম। আপনার বর্নিত প্রাকৃতিক আলতা, কাজল ছাড়াও নিশ্চয়ই আপনার মনে থাকার কথা, আমাদের ছোট সময় প্রসাধনী বলতেই ছিলো তিব্বতের স্নো পাউডার। যাদের আত্মীয় স্বজনরা পশ্চিম পাকিস্তানে জব করতেন কিম্বা কদাচিৎ ট্যুরে বিদেশে যেতেন তাদের পরিবারে কিছুটা উন্নত মানের প্রসাধনী ব্যবহার করার সুযোগ পেতেন।
আজকাল বেশীরভাগ ফিমেলদেরই অত্যন্ত দৃষ্টিকটু ভাবে কদাকার সাজে স্বজ্জিত হতে দেখা যায়......এরা অনেকেই উচ্চ শিক্ষিত কিন্তু জানেনা কোথায় কিভাবে সাজতে হবে.... এরা ন্যাচারাল বিউটিকে অবজ্ঞা করে কিম্ভূতকিমাকার ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে বিরক্তির কারণ হয়।
আবারও আপনার অসাধারণ সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০১
জ্যাকেল বলেছেন: ফর্সা = সৌন্দর্য এই ধারণার পেছনে প্রাগৈতিহাসিক কারণ থাকতে পারে তবে ইহা সৌন্দর্যের সংজ্ঞা নয় যেকোন বিবেকবান লোক স্বীকার করবেন। লাকমে ইন্ডিয়ার কথা জেনে ভালই লাগল তবে পার্লারে গেলে আমি তো কখনই দেশী কোন ব্রান্ডের সেইরকম নাম দেখতে পাইনি। বেশিরভাগই তো ইউরোপীয় ঘরানার নাম দেখতে পাওয়া যায়। যাক, দেশে টাটা সাহেবের সাথে নেহেরুজী'র অবদান জানা হয়ে গেল।
আপনাকে ধন্যবাদ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি সুন্দরের সজ্ঞা বলতে এমনটা বুঝি- আপনি যেটা দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন অথবা যেটা দেখে আপনি তাঁর প্রশংসা করতে উদগ্রিব হয়ে উঠেন, যেটা দেখে আপনার মানসিক প্রশান্তি আসে মূলত সেটাই সুন্দর হিসেবে ধরা যায় বা সুন্দর হিসেবে বলে থাকি। সুন্দর বলতে মনমুগ্ধকর, মানসিক প্রাশান্তি এনে দেয়ে কোন কিছুকেই বুঝায়।
ফর্সা, পরিষ্কার, সৌন্দর্য একটা মন ভাল করা ধারণা। এর পেছনে আসল সত্যিটা হল, সোশ্যাল মিডিয়া ত্বকের যত্নের আলোচনার প্রসার ঘটায়। সঙ্গে তারা প্রসাধনী প্রোডাক্টগুলি সম্বন্ধে একটা ফোবিয়া তৈরি করে। সেই ফোবিয়া থেকেই ফর্সা, পরিষ্কার সৌন্দর্যের বা Clean Beauty-এর কথা এত বহুল প্রচারিত হয়েছে।
পরিচ্ছন্ন সৌন্দর্যের আন্দোলনের সূচনা বেশ কিছুটা পেছনেই, যখন থেকে সুস্বাস্থ্য এবং উন্নততর জীবনযাপনের কথা সমাজে ছড়িয়ে পড়া শুরু করে। রূপচর্চার ক্ষেত্রে, আমরা একটি পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। কোনও প্রোডাক্ট কতটা ভাল কাজ করল সেই নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তিত হয়ে যাই না। কারণ, আমরা খুব তাড়াতাড়ি উপকরণগুলি বিবেচনা করতে পারছি, সেইসঙ্গে লেবেলগুলি পড়ে বিশ্লেষণও করা হচ্ছে। আমরা সবাই প্রায় বুঝতে পারছি কীভাবে কিছু জিনিস আমাদের সাধারণ স্বাস্থ্য এবং পরিবেশকে প্রভাবিত করে।
৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সুন্দরীদের আমার সবসময়ই ভালো লাগে!!
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমাকে বাহ্যিক সৌন্দর্য তেমন একটা আকর্ষণ করে না, যতটা অন্তর্নিহিত সৌন্দর্যে বিমোহিত হই।
৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৮
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ক্যামেরায় ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য ,হাজার জনের মধ্যে নিজেকে সুন্দর দেখানো প্রসাধনের কাজ !
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: শুধু সোস্যাল মিডিয়ায় ছবি দেওয়ার জন্যই সাজসজ্জা করেনা বরং নিজেকে আকর্ষণীয় করতেই সাজসজ্জা করে বলেই আমার ধারনা।
৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:৫৬
গরল বলেছেন: আপনি একজন সুলেখক, চমৎকার লেখেন। লেখালেখি একটা সৃজনশীল কর্ম, তার মানে সৃজনশীল ও বটে। ভালো মনের মানুষ না হলে এমন সৃজনশীল লেখা সম্ভব না। কিন্তু দুএকটা পোষ্টে আপনার অত্যান্ত কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য দেখে খুবই অবাক হয়েছি।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ভালোদের জন্য ভালো, খারাপদের জন্য খারাপ-যা ব্লগের অনেকেই জানেন।
৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ইদানিং সুন্দরের নামে চামড়া পাতলা করে ফেলা বা উঠিয়ে ফেলা ক্রিম বেড় হয়েছে যা অত্যন্ত ক্ষতিকর।
অবস্থা এমন হয়েছে চামড়া থাকুক না থাকুক সৌন্দর্যই আসল!!!!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: চামড়া ফর্সাই/পরিস্কারই যে সৌন্দর্য্য নয়-সেটা আমারা আমলে নেইনা বলেই চামড়া পরিস্কার করার প্রানন্তকর অপচেষ্টা!
১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬
শায়মা বলেছেন: রুপচর্চা বা জীবনের যে কোনো চর্চারই মূল্য আছে। তবুও কেন যেন রুপচর্চাকে বাংলাদেশী সমাকে খুব হেয় করে দেখা হয়। ভুলভাল রুপচর্চার মত ভুলভাল গলা চর্চা, ভুলভাল লেখাচর্চা অনেক কিছুই আছে কিন্তু আমি মনে করি যে কোনো চর্চাই ঠিকঠাক করে যেতে পারলে ১% হলেও উন্নতি অবশ্য সম্ভাবী।
যদিও রুপচর্চার মানে ভূত চর্চা হয়ে যায় মাঝে মাঝে আটা ময়দা মেখে সেজেগুজে।
তবুও এই চর্চা মনে হয় না পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্তও কেউ আটকাতে পারবে।
যদিও এ বছরে বিয়ে বাড়ি সেজে গুজে আমি টায়ার্ড হয়ে গেলাম।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ব্যক্তিগত ভাবে আমি সুসজ্জিত নারীদের পছন্দ করি। আরও বেশী পছন্দ করি ন্যাচারাল বিউটি!
আমাদের মূল সমস্যা রুপচর্চায় নয়, সমস্যা হচ্ছে রুপচর্চার নামে ভুত সাজা! কাকে কিভাবে সাজলে আরও বেশী সুন্দর লাগবে-সেই বেসিক সেন্সটা আমাদের নারীদের বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়না।
আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের সাথে সাথে মা-খালা, ফুফু-দাদীরাও এমন সাজে সজ্জিত হয়- যে ঠাওর করতে কষ্ট হয়- কে কনে আর কে কনের মা-খালা!!!
১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪
শায়মা বলেছেন: হা হা ভূত সাজটাই এখনকার মেকাপ। আগের ভূতরা ছিলো কালো ভূত এখন হয় সব সাদা ভূত।
যাইহোক ভাইয়া মা খালারা সাজবে না বুঝি??
তারা কি মেয়ে না???
একশোবার সাজবে .......
কনে কে কে কনের মা খালা কষ্ট করে বুঝে নেবে না বুঝলে নাই তবেই তো মেকাপের সার্থকতা!
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: এই পোস্টের শ্রেষ্ঠ কমেন্ট
১২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সাজগোজ ছাড়া শায়মা আপুর কোন ছবি মনে হয় ব্লগে নাই। তাই ওনাকে রাস্তাঘাটে দেখলে মনে হয় চিনতে পারবো না।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ @শায়মা
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পণ্ডিত নেহেরু জি মনে হয় অন্দর মহলে থেকে কোন ঠেলা খেয়েছিলেন। যার কারণে নিরুপায় হয়ে টাটার দারস্থ হয়েছিলেন।
তবে সৌন্দর্যের নামে কালো মেয়েকে সাদা বানানোর গ্যারান্টি দিয়ে যেসব প্রসাধন সামগ্রী বাজারে আনা হচ্ছে সেগুলির ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক প্রতিরোধ তৈরি করা দরকার। এই অঞ্চলের মানুষদের একটা বড় অংশ ফর্সা না। কিন্তু যে কোন কারনেই হোক এটা আমাদের মগজের গভীরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে এবং হচ্ছে যে ফর্সা না হলে একটা মেয়ে সুন্দর না (ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশী সমস্যা হয় না তাই মেয়েদের উদাহরণ দিলাম)। ফলে অনেক কালো বা শ্যামলা মেয়ে আজীবন হীনমন্যতায় ভোগে। যেটা অনেক মেয়ের জন্য একটা বড় সমস্যা। যদিও অনেক মেয়েই বোঝে না যে আত্মবিশ্বাসী হলে এবং ব্যাপারটাকে গুরুত্ব না দিলেই এটা কোন সমস্যা না। ব্যক্তিত্বের মধ্যেই স্থায়ী সৌন্দর্য থাকে ( ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই)।