নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
আবার তোরা মানুষ হ.....
আবার তোরা মানুষ হ সিনেমাটি ১৯৭৩ সালে মুক্তিপায়।
দেশ স্বাধীনের পরপরই মুক্তি প্রাপ্ত সিনেমাটি তখনকার সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এই সিনেমাটির পরিচালক ছিলেন খান আতাউর রহমান, কাহিনীকার আমজাদ হোসেন। শ্রেষ্ঠাংশে সরকার ফিরোজ, ববিতা, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ফারুক সহ আরও অনেকে অভিনয় করেছিলেন।
সিনেমার মূল কাহিনীটা ছিল:
বঙ্গবাণী নামক এক কলেজে সাতজন তরুণ পড়ত, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তারা যোগ দেয় মুক্তিযুদ্ধে এবং যুদ্ধ শেষে তাদের জীবন আর আগের মত থাকেনা। দেখা যায় যে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পরেও তাদের কাছে রয়েছে অস্ত্র-বন্দুক। তবে অস্ত্রকে তারা কোনো খারাপ কাজে ব্যবহার করেনা।
তারা সমাজের কোনো জায়গায় অন্যায়/দূর্নীতি দেখলে সেটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। তরুণরা স্বাধীন দেশেও তাদের এক প্রকারের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে। বঙ্গবাণী কলেজের অধ্যক্ষ একজন অত্যন্ত আদর্শবান মানুষ, ঐ সাত তরুণ তাকে অনেক সম্মান করে।
ঐ সাত তরুণের নাম হচ্ছে হিরে, চুন্নি, পান্না, সোনা, রতন, কাঞ্চন আর মাণিক। তখনকার সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি যেমন, দোকানে বেশি দামে জিনিষ বিক্রি করা, কিংবা মানুষের প্রতি অবিচার করা--এসব দেখলেই এই সাত তরুণ ক্ষেপে যেত।
দোকানদারদেরকে অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদেরকে একবার বন্দুক দিয়ে পেটায় সোনা, হিরে আর কাঞ্চন।
মাণিকের প্রেমিকা নীলা একবার এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করলে মাণিক হতাশার সাথে উত্তর দেয় এবং তার এহেন কর্মকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গায়।
চলচ্চিত্রটির কাহিনি মূলত সাত তরুণের সমাজে চলা অসততা দমন করা নিয়েই। তবে একবার কলেজের পরীক্ষার সময়ে পরীক্ষার হলে নকল করা হচ্ছিলো, যেখানে মাণিক নিজেও নকল করে এবং অধ্যক্ষের কাছে ধরা খেয়ে সে কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হয়।
পরবর্তীতে সাত তরুণই সমাজকে তাদের আদর্শ অনুযায়ী ঠিক করতে না পেরে ব্যক্তিগত হতাশা থেকে অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।
সিনেমাটি তখনকার যুবসমাজের অস্থিরতাকে নিয়ে নির্মিত হয়েছিল। একদল তরুণ মুক্তিযোদ্ধার বেকারত্ব ও হতাশা থেকে জন্ম নেয়া সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি পুঞ্জীভূত ক্ষোভ প্রশমন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানানোই ছিল চলচ্চিত্রটির গল্পের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় এবং উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপর দেশে বিরাজমান বাস্তব পরিস্থিতিকে উপলব্ধি করে নির্মিত চলচ্চিত্র আবার তোরা মানুষ হ সাধারণ দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছিল। কারণ সিনেমাটি দেখার জন্য তখন প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মানুষের অনেক ভিড় হয়েছিল।
সিনেমাটির আবেদন ফুরিয়ে গেছে নাকি এখনো আছে তা সেসময়ের দর্শকগন ভালো বলতে পারবেন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: যোগ্যতানুযায়ী বেশীরভাগ মুক্তিযোদ্ধারা চাকরী পেয়েছেন, আবার অনেক অমুক্তিযোদ্ধারাও স্রেফ দুই নম্বরী করে বড়ো বড় চাকুরী বাগিয়ে নিয়েছে- তবে সেজন্য ততকালীন ক্ষমতাসীনদের দোয়া এবং দাওয়া প্রচলিত ছিলো।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০১
শাহ আজিজ বলেছেন: দলবল বেধে দেখেছিলাম ছবিটা । ছাতিটা আরও ফুলেছিল বুকের । পরবর্তী জীবনে অভিনেতাদের অনেকের সাথে সখ্যতা হয়েছিল ।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি ভাগ্যবান। আমি এমনই এক ব্যক্তি- যার সাথে কোনো বিখ্যাত লোকের সখ্যতা নাই!
ধন্যবাদ ভাইজান।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫১
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সিনেমাটা দেখার ভাগ্য হয়েছিল দাদা মনে ভরে দেখেছি কত বার চোখে জল এসেছে ----
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: সিনেমাটা স্বাধীনতা পরবর্তীকালে যে নৈরাজ্য এবং অনৈতিকতার মচ্ছব চলছিলো তার প্রমান্য চলচিত্র ছিলো আবার তোরা মানুষ হ।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমি মুভিটি দেখিনি। তবে আপনার লেখা থেকে কিছুটা আঁচ করতে পারছি।
নিশ্চই ঐ তরুনেরা প্রচন্ড আবেগ ও ভালোবাসা নিয়ে ভালো কাজে নেমেছিলো। তবে মানিকের পরীক্ষায় নকল করা এবং ধরা পড়াটা কেন যেন অবধারিত মনে হয়।
অনেক সময় সমাজে যারা বাতি জ্বালার সত্য চেষ্টা করেন, তাদের মধ্যে ছোট কোন খুৎ থেকে যায়। পরে মানুষ সেটাকেই বড় করে দেখে।
আমি বলছি না নকল করা কোন খারাপ কাজ নয়, তারপরও মানুষ এটিকেই বড় করে দেখবে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: পরীক্ষায় মানিকের নকল করার দৃশ্যটা ছিলো অস্থির সময়ের স্বার্বিক অবক্ষয়ের অস্বাভাবিক অবস্থার উদাহরণ- যা পরিবেশ, পরিস্থিতির ফল।
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৮
রবিন.হুড বলেছেন: আবার সবাই মানুষ হোক এটাই আমার চাওয়া।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: দূর্ভাগ্যবশত আমাদের এই প্রত্যাশা পূরণ হবেনা ভাই।
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৬
সাজিদ! বলেছেন: কি চমৎকার পোস্টার! ছোটবেলায় দেখেছি, গল্প বুঝে উঠতে পারি নি।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: সেই সিনেমার আবেদন, আবহ এখনো বিদ্যমান। কিম্বা বলা যায়, এখনকার পরিস্থিতি আরও খারাপ।
৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ছবিটার কথা মনে নেই। হয়তো দেখেছিলাম
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা প্রিয় সিনেমা। টিভিতে অনেকবার দেখেছি। কয়েকটা ভালো গান আছে। কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন মনে হয়। রাইসুল ইসলাম আসাদ এবং আল মনসুর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন যারা এই ছবিতে অভিনয় করেছেন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা এই সিনেমার গানগুলোও ছিলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। রাইসুল ইসলাম আসাদ, আল মনসুর, সরকার ফিরোজ এবং ফারুক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৮
জ্যাকেল বলেছেন:
এই সিনেমাটা বাংলাদেশের বর্তমান সিনেমাওলাদের জন্য অবশ্য পাঠ্য হওয়া উচিত। এইরকম মৌলিক কাজ চোখের সামনে রেখে তারা বলিউডের বস্তা পচা সিনেমা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে টিকিয়ে নিচ্ছে। (তেলাপোকা স্টাইলে)
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এই সিনেমাটি নিয়ে লেখার জন্য।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের উপর এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ঘটনা নিয়ে খুব বেশী সিনেমা নির্মিত না হলেও বেশ কয়েকটি ভালো সিনেমা হয়েছে। যেমনঃ জয়বাংলা, কার হাসি কে হাসে, সূর্য স্নান, কলমিলতা, আলোর মিছিল, ওরা এগারো জন, সংগ্রাম, মেঘের অনেক রঙ, ধীরে বহে মেঘনা, একাত্তরের যীশু, আগুনের পরশমণি, আবার তোরা মানুষ হ, জয়যাত্রা, ইত্যাদি। উল্লেখ্য সিনেমাগুলো টেকনিকালি খুব উন্নত না হলেও বাস্তবতার মিশেলে মানসম্পন্ন সিনেমা বলা যেতে পারে।
আবার মুক্তি যুদ্ধের সিনেমা নামে কিছু সিনেমা নির্মিত হয়েছে আইজারা, আজগুবি কাহিনী নিয়ে, যেমনঃ গেরিলা, আমার বন্ধু রাশেদ ছাড়াও আরও আছে।
বর্তমানে আমাদের সিনেমা শিল্প ধ্বংসের শেষ দ্বারপ্রান্তে।
ধন্যবাদ।
১০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আদিতে বিটিভির কল্যানে কয়েকবার দেখেছি এই সিনেমা।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি অবশ্য এই সিনেমাটা টিভিতে দেখিনি, সিনেমা হলে দেখেছিলাম। ধন্যবাদ।
১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছবি দেখে মানুষ হয় না মানুষ এখন। খান আতা ও আমজাদ হোসেনকে শ্রদ্ধা এই কালজয়ী ছবির জন্য।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ছবি দেখে অনেকেরই সুস্থ্য উপলব্ধি হয়। আর যারা অমানুষ তারা কোনো কিছুতেই পরিবর্তন হয়না।
ধন্যবাদ।
১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৩
জগতারন বলেছেন:
খাঁন আতাউর রহমান একজন রাজাকার মনের লোক ছিল।
সে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলা। তবে সক্রিয় রাজাকার-এর
কাজ কারবার করেছিল কিনা তা তলিয়ে দেখার বা গবেষনা করে দেখার জন্য এই এই ব্লগারের প্রতি আবেদন করছি।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: খান আতা স্বাধীনতা বিরোধী কিম্বা রাজাকার ছিলেন-এমন কোনো প্রমাণ কোথাও দেখিনি! তবে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেননি। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকা সত্বেও যেমন অংশ নেননি কবীর চৌধুরী, কবি শামসুর রাহমান, মুনতাশীর মামুন, জাফর ইকবাল, মহিউদ্দীন খান জাহাংগীর সহ অনেকেই।
১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০১
বিটপি বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধারা অবশ্যই মহৎপ্রাণের অধিকারী। কিন্তু কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধা তাদের টাইটেলের প্রতি অনেক অবিচার করেছে। যেমন - মোফাজ্জল হোসেন মায়া, জয়নাল হাজারী (কথিত মুক্তিযোদ্ধা), মেজর ডালিম প্রমুখ ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত। এই তালিকা অনেক দীর্ঘ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৬
সোবুজ বলেছেন: এই কথাটাই বার বার বলার চেষ্টা করেছেন চাঁদগাজী।পাকিস্তান থেকে এসেও আর্মির লোকরা চাকরি পেল কিন্তু চাকরি পেল না জীবন বাজি রেখে যে সব মুক্তি যুদ্ধা যুদ্ধ করলো তারা।বিচিত্র এই দেশ।