নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
প্রতারণার আর এক নাম জ্যোতিষী!
মানুষ বিপদে পড়লে কোথায় না ছোটে। নেতা, মন্ত্রী, দেবস্থান, গোরস্থান থেকে শুরু করে জ্যোতিষীদের দরবারে। আর এই জ্যোতিষী বাবাজী, মাতাজীরা মানুষের দুর্বলতা, অসহায়তা, কুসংস্কার এবং অসচেতনতাকে হাতিয়ার করে তাদের সর্বস্বান্ত করার জন্য শুরু করে তাবিজ, কবজ, মাদুলি, ঠিকুজি, কোষ্টি ও বশীকরণের সম্মোহনী খেলা।
জ্যোতিষ কোনো শাস্ত্র নয়, নয় বিজ্ঞান কিংবা দর্শন। স্রেফ মানুষের অবৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার ফসল। কতগুলো মনগড়া কথা বলে, কখনও ভয় দেখিয়ে তাদের ফাঁদে ফেলে পয়সা উপার্জনের ফিকির। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে কেউ ভেক ধারী সন্ন্যাসী সেজে, কেউ বা ধোপদুরস্থ ভদ্রলোক সেজে খদ্দের ধরার জন্য জাল বিছিয়ে বসে থাকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের রমরমা বিজ্ঞাপনে। সেইসব বিজ্ঞাপনের মডেল হয় সিনেমা নাটকের বাতিল হওয়া কিছু নটনটী -যারা পেশাগত জীবনের মূলত যৌনকর্মী হিসেবেই গতর খাটাতো। ওরাই মডেল সেজে টিভি, খবরের কাগজে দেয় গাল ভরা বিজ্ঞাপন। তাদের মতে রাহু, কেতু, রবি এবং চন্দ্র নাকী গ্রহ! কিন্তু তার সন্ধান আজ পর্যন্ত জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পেলেন না!!
সৌরজগতের কয়েক লক্ষ মাইল দূরে থাকা শনি গ্রহ নাকি খুবই দুষ্টু গ্রহ। যার প্রতি তার নজর পড়ে তার জীবন একদম বরবাদ হয়ে যায়! হ্যাঁ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা না পারলেও সৌরজগতের সেই গ্রহগুলোকে আমাদের এই স্বনামধন্য জ্যোতিষীরা তাদের তন্ত্র, মন্ত্র, মাদুলি তাবিজ আর পাথর দিয়ে বশীভূত করতে পারে। হররোজ বেশ মোটা টাকার বিনিময়ে তা করে থাকেন! আশ্চর্য এরা যে সবাই তন্ত্র সাধক ,মাতৃসাধক, জীন বিদ্যা বিশারদ কিম্বা জ্যোতিষ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'গোল্ড মেডালিষ্ট'! এরা সবাই এইট পাস প্রফেসর। আজগুবি নামের সব ডিগ্রি নিয়ে তারা প্রতিনিয়ত মানুষের সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দিয়ে, গালভরা কথা বলে একশ্রেণির দুর্বলচিত্তের শিক্ষিত/অর্ধ শিক্ষিত/অশিক্ষিতদের সম্পূর্ণ বোকা বানিয়ে যাচ্ছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞান একটা ফলিত বিজ্ঞান। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। কিন্তু জ্যোতিষ নয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষণা হয়। সেই গবেষণার পরীক্ষালব্ধ প্রমাণের কারণেই আজ মানুষ মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে। মনে রাখবেন, জ্যোতির্বিজ্ঞান আর জ্যোতিষ এক বিষয় নয়।
সাধু সাবধান! শুধু লিটন দেওয়ান, প্রফেসর হাওলাদার নয় এরকম বহু শাস্ত্রী, বাবাজী, মাতাজী ভেক তন্ত্রসাধক প্রতিনিয়ত মানুষ ঠকিয়ে চলেছে। ভবিষ্যতেও ঠকাবে। এদের বিরুদ্ধে না আছে কোনো আইন না আছে গণ আন্দোলন। আমার আপনার সচেতনতা, বিজ্ঞানমনস্কতা এবং গণমাধ্যম গুলির ব্যাপক প্রচারই পারে এই অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: জ্ঞানী আত্মবিশ্বাসী মানুষ জ্যোতিষিদের কাছে যায়না।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৩
সাসুম বলেছেন: বাংগালী জাতিগত ভাবে অশিক্ষিত, অজ্ঞ, মূর্খ এবং ভন্ডামি কে ভালোবাসে। শর্টকার্টে বড়লোক হইতে চায় এবং কস্ট না করে কার্য সিদ্ধি করতে চায়।
এই জ্যোতিষ, পাথর, হুজুর, তাবিজ , পানি পড়া, জিনের আসর, বান মারা, ঝাড় ফুক, স্বপ্নে পাওয়া ঔষধ , হোমিওপ্যাথিক- এসবে বাংগালি আজীবন বিলিভ করে আসছে এবং কিছু হলে সবার আগে এদের কাছে দৌড়াবে। আপনি সারাদিন বলেও এসব থেকে সরাতে পারবেন না। আপনি সারাদিন বলেও বিলিভ করাতে পারবেন না - শনি গ্রহ কিংবা মংগল কারো শরীরে কোন কিছু করতে পারে কিংবা আপনার বা কোন এক জ্যোতিষ বাবা কেন কারো বাপের ও ক্ষমতা নেই এই গ্রহ নক্ষত্র কে নিয়ন্ত্রন করার।
বাট জ্ঞান ও শিক্ষার অভাবে প্যারা মজিদের দল এদের পেছনে ছুটবে এবং বার বার করে ধোকা খাবে। সবচেয়ে বড় কথা, আপনি বলতে আসলে আপনাকে নিয়ে ছুটবে।
বিঃদ্রঃ একবার রাজারবাগের পীর নিয়ে লিখালিখির পর পীরের মুরিদ দের অত্যচারে লিটারালি পালায়া বাচতে হইছিল।
সুন্দর টপিকে লিখার জন্য ধন্যবাদ
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন বন্ধুদের নিয়ে অনেকজন জ্যোতিষের কাছে গিয়ে ভাগ্য গণনা করিয়ে জ্যোতিষের দুই গালে দুই চড় মেরে বলেছি- ব্যাটা, এটা তোর ভাগ্যে লেখাছিলো!
একবার একজন বড়ো মাপের হুজুর এসেছিলো আমার অফিসে- যিনি "কোরানের আলোকে এলেম দ্বারা সকল সমস্যার সমাধান করেন"।
আমি তাকে সাক্ষাত দিলাম সাগ্রহেই।
আমাকে দেখে আমার অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যত বললেন। তিনি প্রথমেই বললেন- "আপনার সামনে কঠিন বিপদ, আপনার মমতাময়ী মা মারা যাবেন আগামী দুই বছরের মধ্যে"! আমি তাকে বলিনি, আমার জন্মের সময় আমার মা মারা গিয়েছেন!
তিনি গ্যারান্টি দিলেন- তার পানি পড়ায় এতোই শক্তি যে তার পানি পড়ায় কেউ অবিশ্বাস করলে তিন দিনের মধ্যে মহা বিপদে পড়বে! আমি তাকে বললাম-আপনার ফুঁ তে যদি এতোই শক্তি তাহলে পানির গ্লাশটা ফুঁ দিয়ে ভেংগে ফেলুন- তিনি আমার কথা শুনে খুবই উত্তেজিত হয়ে আমাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললেন- তিন দিনের মধ্যেই আমার রক্ত বমি হয়ে মরনদশা হবে, তখন আবার তার কাছেই জীবন বাঁচাতে দৌড়াতে হবে!
আমি তার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে শুধু অবিশ্বাসই নয়- দুই গালে দুই থাপ্পড় দিয়ে বিদায় করে দিলাম।
তাকে অবিশ্বাস এবং থাপ্রানোর জন্য তিন দিন নয়, তিন দশকেও আমার কোনো অনিষ্ট হয়নি!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১১
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বেশ সাবধনতার কথাগুলো দাদা ভাল থাকবেন
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ভাই।
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৭
সোবুজ বলেছেন: ধর্মীয় কিছু কুসংস্কার এখানে সাহায্য করে।অজ্ঞতা বড় ভুমিকা পালন করে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: কুসংস্কার ও অজ্ঞতাই বাস্তবতা বিমুখ করে- যা থেকে অনেক শিক্ষিত মানুষও দূরে থাকতে পারেনা!
ধন্যবাদ।
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মানুষের কাণ্ড জ্ঞান ও বোধ শক্তি লোপ পেলেই মানুষ এই সব প্রতারকদের শরণাপন্ন হয় ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন!
৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জ্যোতিষ মানেই ভন্ডামি বিদ্যা।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ১০০% সত্য।
৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কর্মমন্ত্রে দীক্ষা চাই তবেই সফলতা।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৫১
জটিল ভাই বলেছেন:
এরা ধান্ধাবাজ সত্য। তবে ডিজিটাল দরবেশ বাবাদের কাছে এরা নস্যি।
জটিলবাদ প্রিয় ভাই এমন সুন্দর টপিকে লিখার জন্য
২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: দর্বেসবাবা হলো জাতীয় লুটেরা সর্কারের ডান হাত! তিনি সবকিছুর উর্ধে!
৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৪
নতুন বলেছেন: আমাদের শিক্ষায় ছোট বেলা থেকে অদৃশ্য সৃস্টিকতাকে বিশ্বাস করানো হয়। ধর্ম পুরোটাই বিশ্বাসের উপরে।
এখন যারা শিক্ষিত না তাদের এই ধর্মের নামে অন্য কিছু বিশ্বাস করানো খুবই সহজ। কারন তারা তো নিজেরা জাচাই করতে পারেনা তাই স্মাট বাটপারের কথা তারা বিশ্বাস করে নেয়।
এই সমস্যাটুকুই বাটপারেরা ব্যবহার করে মানুষের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খায়।
যদি আমাদের শিক্ষায় যৌক্তিক ভাবনার শিক্ষা দেওয়া হতো তবে মানুষকে এমন ভাবে বোকা বানাতে পারতো না।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার উপলব্ধির বহিঃপ্রকাশ!
ধন্যবাদ।
১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার ছোট চাচার একজন জ্যোতিষি আছে। চাচার ব্যবসা মন্দা গেলেই উনি জ্যোতিষী ডেকে আনেন।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
আমার প্রয়াত ছোট চাচা জ্যোতিষ এর নাম শুনলেই তেড়েমেরে আসতেন!
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: তবুও কিছু মানুষ এদের পিছনে লাইন দেয়। যখন বুঝে আসে তখন সব শেষ।
সুন্দর বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।