নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
"Lizzie Beautiful”..... “Be Beautiful, Be You”
এলিজাবেথ অ্যান ভেলাস্কেজ /লিজি ভেলাস্কেজ জন্মেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের অস্টিনে ১৩ মার্চ, ১৯৮৯ সনে। তিনি 'মারফানয়েড প্রজেড্রয়েড লিপোডিস্ট্রোফি সিনড্রোম' নামে অত্যন্ত বিরল একটি জন্মগত রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যা অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম শরীরের মেদ জমতে এবং ওজন বাড়ানো থেকে বাধা দেয়। যার জন্য তাকে দেখতে রীতিমত ভয়ংকর, কুৎসিত তার উপর একটি চোখ অন্ধ। ফলে শৈশব কিশোর বয়সে তাকে সাইবার বুলিংয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
আধুনিক সভ্যতা স্বীকৃতি দিয়েছিল তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিৎ মেয়ে! নিকট আত্মীয়, প্রতিবেশী অনেকেই বলতো আত্মহত্যা করতে, সবার থেকে লুকিয়ে থাকতে, মুখ ঢেকে রাখতে.... কিন্তু সেইসব কিছু কানে না নিয়ে তখনই নিজের জীবনের চারটি লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছিলেন লিজি।
(১) একজন সুবক্তা হওয়া।
(২) নিজের লেখা বই প্রকাশ করা।
(৩) স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করা।
(৪) নিজের কেরিয়ার ও পরিবার তৈরি করা।
কীভাবে অভিনবত্বকে স্বীকৃতি দিতে হয়, বাধা, বিঘ্ন পেরিয়ে কীভাবে জীবনকে গ্রহণ করতে হয়, প্রতিকুল পৃথিবীতে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, ভালোবাসতে হয়, এই সাত বছর ধরে সেই বিষয়ের ওপরই ২০০-এর বেশি ওয়ার্কশপে বক্তৃতা দিয়েছেন তিনি। এখনো বিভিন্ন সভা সেমিনারে বক্তৃতা দিয়ে চলেছেন লিজি। বর্তমানে লিজি একজন আমেরিকান প্রেরণাদায়ী স্পিকার, কর্মী, লেখক এবং ইউটিউবার।
২০১০ এ লিজি লিখেন তার আত্মজীবনীমুলক বই “Lizzie Beautiful” ২০১২ সালে দ্বিতীয় বই “Be Beautiful, Be You” যা ব্যাপক সাড়া পায় বিশ্বে। বইটির শুরুতে লিজি বলেন, "এপিয়ারেন্স নয়, মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে অর্জিত গুন দিয়ে।"
এই বছরই প্রকাশিত হতে চলেছে তার তৃতীয় বই। টুইটারে লিজির এক বন্ধু বলেছেন "This young woman is a very good example of what it means to be truly beautiful"
আসলে লিজি কুৎসিত নয়, কুৎসিত হল লিজিকে দেখার আমাদের চোখ!
অথচ সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ হয়েও আমরা শুধুমাত্র গায়ের রং এর জন্য হতাশ হয়ে পড়ি। গায়ে মুখের রং ফর্সা করার Fair & lovely, LUX এর বিজ্ঞাপন দেখে হীনমন্যতায় ভুগি! নিজের গায়ের রং বদলাতে নানান রকম ভেষজ, মশলা, শাকসব্জী, তেল নুন মরিচ হলুদ, পেঁয়াজ রশুন, আদা শসা এহেন জিনিস নাই যা আমরা মুখে লাগিয়ে ভূতের মতো বসে থাকি। রঙ্গিন কর্পোরেট বিশ্বে নিজকে অসহায় ভাবি। মনে করি মানুষের চেহারাই সব!
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: একদম সত্যি কথা।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: লিজ্জির কাহিনী খুবই অনুপ্রেরণাময়। ওকে নিয়ে আমিও ব্লগ লিখেছিলাম। Click This Link
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: পড়ে মন্তব্য করে আসলাম। তোমার লেখা অত্যন্ত তথ্যময়!
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৪
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুব সুন্দর লেখেছেন আজ কাল এরকমী দেখা যাচ্ছে প্রায় ভাল থাকবেন দাদা
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই মহিলা হতে পারেন অনেক মানুষের অনুপ্রেরণা।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে অনেক মানুষ মনের জোর দিয়ে পরাজিত করেছন। এই রকম আরেকটা উদাহরণ হোল হেলেন কেলার।
উইকিপিডিয়া অনুসারে;
হেলেন কেলার বা হেলেন অ্যাডামস কেলার (ইংরেজি: Helen Adams Keller) (২৭শে জুন, ১৮৮০ - ১লা জুন, ১৯৬৮) বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকারের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। একই সাথে তিনি ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: নেট ওয়ারকের বাইরে থাকায় মন্তব্যের জবাব দেরী করে দেওয়ার জন্য দুঃখিত। লিজ্জি, হেলেন কেলার অবশ্যই হতে পারেন অনেক মানুষের অনুপ্রেরণা।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১৮
সোবুজ বলেছেন: গুনের সাথে চেহারা ভাল থাকলে সোনায় সোহাগা।না খাকলে সমস্যা নাই।কিন্তু চেহারা ভাল কিন্তু কোন গুন নাই সেটা মাকাল ফল।