নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
শ্রদ্ধা ভালোবাসায় লতা মঙ্গেশকর......
আমি লতা মঙ্গেশকরের গান যেমন পছন্দ করি তেমনি ওনার ধর্মীয় মূল্যবোধ, সকলের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা এবং বিনয়ী তথা তাঁর জীবন চারিতাকে সম্মান করি। আমার অন্যতম প্রিয় শিল্পীর মৃত্যুতে শোকাভিভূতও। কিন্তু ওনার মৃত্যুতে আমাদের দেশের কতিপয় শিল্পী কুশলী ভক্তের মতো "নিজেকে মাতৃহারা" মনে করিনা।
একই সাথে আমি লতা মঙ্গেশকরকে "লতাজি" সম্বোধন করিনা। ভারতীয়রা ওদের দেশে ওনাকে সম্মান করে নামের শেষে 'জি' লাগায়(লতাজি)- সেটা ওদের দেশীয় সংস্কৃতি। আমরা ভালোবেসে, সম্মান করে শ্রদ্ধেয় বোন, দিদি, আপা, ফুফু কিম্বা খালা বলতে পারি। আমার অবাক লাগে, কৌতুকবোধ করি যখন দেখি আমাদের দেশের কতিপয় শিল্পী কুশলী ভক্ত "লতাজি লতাজি" বলে কান্নাকাটি করছে!
****************************************
লতা সম্পর্কে কিছু লেখার যোগ্যতা আমার নাই। তাই লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কে আমার প্রিয় শিল্পী মান্না দে'র আত্মজীবনী থেকে কিছু অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করছিঃ-
'লতা মঙ্গেশকরের কথা বলে শেষ করতে পারব না। লতার সঙ্গে প্রথম আলাপ হওয়ার দিনটা আমার খুব মনে আছে। তখন অনিলদা মানে অনিল বিশ্বাস' জোয়ার ভাঁটা' ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করছেন। একদিন আমার একটু দরকারে স্টুডিওতে গিয়েছিলাম অনিলদার সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে গিয়েই প্রথম লতাকে দেখেছিলাম। তবে দেখেছিলাম বললে একটু ভুলই বলা হবে, আসলে সেভাবে আমি লক্ষ্যই করিনি। অনিলদাই ওর সঙ্গে আমার আলাপ করিয়ে দেন। তারপর আমাকে শোনানোর জন্য অনিলদা ওকে একটা গান গাইতে বললেন। ওই কালো, রোগা মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আমি খুব একটা উৎসাহীত হইনি। কিন্তু যে মূহুর্তে ও খালি গলায় গান ধরল, ওর গলার সুর আর সুর লাগানোর ধরন দেখে আমার শরীরের ভেতর দিয়ে যেন একটা বিদ্যুত শিহরণ খেলে গেল। আমি বিস্ময়াভিভূত হলাম ওর গান শুনে, ওর গানের সুরে আমি অবশ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম এ কী শুনছি আমি! এ তো সাক্ষাৎ দেবী সরস্বতী ভর করেছেন ওর গলায়।
গান শেষ করার কিছু পরে লতা চলে গেল। তখন অনিলদা আমায় বললেন, 'কেমন শুনলি মানা?'
আমি উত্তর দেব কী, শুধু কোনওমতে আবেশ কাটিয়ে বললাম, 'এ যে অপূর্ব!'
অনিলদা বললেন - "সত্যিই অপূর্ব। দেখবি, এই লতা একদিন ওর গানে সারা পৃথিবীকে ভাসিয়ে দেবে।"
সত্যিই তাই। লতা যখন গাইতে শুরু করেছে সে সময় ছায়াছবিতে স্ত্রী চরিত্রে গান করতেন, রাজকুমারী, পারুল ঘোষ, জোহরাবাঈ আম্বালেওয়ালী, আমিন ভাই কর্ণাটকি, নূরজাহান প্রমুখেরা। এই পারুল ঘোষ ছিলেন বিখ্যাত বাঁশিবাদক পান্নালাল ঘোষের স্ত্রী। লতার গান যত বাড়তে লাগল, আস্তে আস্তে এঁরা স্মৃতির আড়ালে চলে যেতে লাগলেন। নূরজাহান অবশ্য পাকাপাকিভাবে পাকিস্তানে চলে যান। যাঁরা আস্তে আস্তে লাইম লাইটের বাইরে চলে যেতে লাগলেন- তাঁরা নানাভাবে লতাকে হেয় প্রমাণ করার চেষ্টাও করেছেন। আমি তখন হিন্দি ছবির প্লেব্যাক আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ছিলাম। আমার কাছে তাঁরা নানা ব্যাপারে কমপ্লেন করতেন। কিন্তু আমি বুঝেছিলাম, এইসব কমপ্লেন শুধুমাত্র লতার ওপর হিংসে করেই করছেন। তাই পাত্তাই দিতাম না সে সবে।
লতার নামে অনেক শিল্পী পরেও অভিযোগ করেছেন যে, লতার জন্যই নাকি তাঁরা ঠিকমতো গানের কেরিয়ারে সাফল্য পাননি। আমার মনে হয় এইসব নেহাতই রটনা। লতা তার নিজস্ব যোগ্যতার জোরেই সঙ্গীত সাম্রাজ্ঞীর আসন অধিকার করে আছে আজ পঞ্চাশ বছরেরও ওপর। ওর গলার সুর লাগানোর পদ্ধতি, গলার বৈচিত্র্য, গানের প্রতি নিষ্ঠা- এ তো অন্য কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়। ও রকম কোটিতে একটা হয় কিনা সন্দেহ।
লতার সাথে ঘনিষ্ঠতা হওয়ার পর দেখেছি- লতা রোজ পুজোর ঘরে অনেকটা সময় কাটায়। লতা স্বামী বিবেকানন্দের খুব ভক্ত। নিজে খুব বিনয়ী, নিরহঙ্কারী। যোগ্য ব্যক্তিকে সম্মান দিতে জানে। ওকে যখন শান্তিনিকেতনে দেশিকোত্তম সম্মান দেওয়া হয়- তখন মঞ্চে বসে থাকা কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে পেয়েই আগে গিয়ে প্রণাম করেছিল। এছাড়াবিনয়ী লতাকে কোনও ব্যাপারে প্রশংসা করলেই ও বলত, 'মান্নাদা, আপনিও আমার প্রশংসা শুরু করে দিলেন! এবার দয়া করে থামুন।' লতা মাঝে মাঝে দারুণ সব জোকস বলত।
তবে আমার মনে হয়, লতাকে শুধু একজন সঙ্গীত শিল্পী বললে- একটু কমই বলা হয়। লতা হচ্ছে গানের একটা টোটাল ইনস্টিটিউশন। লতা নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান। ওর গানের সঙ্গে পৃথিবীর আর কোন গানেরই তুলনা চলে না। লতা প্রত্যেক ভারতবাসীরই গর্বের সম্পদ। আমার মনে হয়, সত্যজিৎবাবুর মতো লতাকেও ভারতরত্ন পুরস্কারে সম্মানিত করা উচিত সরকারের।
লতা একবার আমায় বলেছিল যে, আমার সঙ্গে ওর ডুয়েট গানের সংখ্যা একশো সত্তরটা। আমি জানি না, আমি এসব হিসেব টিসেব কিছুই রাখিনা। যখন গান গেয়েছি, মন প্রাণ দিয়ে গানই শুধু গেয়েছি। তখন তো আর কোনও লিস্ট রাখিনি। তখন কত গানই যে গেয়েছি- হিন্দি, বাংলা তো বটেই মারাঠি, গুজরাটি, ভোজপুরি, অসমিয়া, ওড়িয়া থেকে আরম্ভ করে তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ভাষায়। এখন গানের কথা বা সংখ্যা কেউ জানতে চাইলে কোনও কিছুই আর মনে রাখতে পারিনা। মারাঠি গানের উচ্চারণ শুনে লতাই একবার বলেছিল যে, আমি একজন মারাঠি সদাচারি ব্রাহ্মণের চেয়েও ভাল মারাঠি উচ্চারণ করতে পারি।
লতা মঙ্গেশকর যখন গান গাওয়ার জন্য প্রথম স্টুডিওতে আসে- তখন ওর নাম একই থাকলেও সে নামের অন্য কোনো মাহাত্ম্য ছিলনা। খুবই সাধারণ একটা শাড়ি আর হাওয়াই টাইপের একটা খোলা চটি পরে ও প্রথম স্টুডিওতে এসেছিল। কিন্তু বিধাতা ওর জন্য অন্য কিছু লিখে রেখেছিলেন। সেই ভাগ্যকে সম্বল করে নিজের একাগ্র সত্যনিষ্ঠ সাধনায় ও অচিরেই হয়ে উঠল কোকিল কন্ঠী। অসাধারণ ওর গলার পরিধি। যে গান গাইত একেবারে একাত্ম হয়ে গাইত। সিনেমার চরিত্রের প্রয়োজনে ও গলাটাকে যে রকম খুশি, যে কোন বয়সের উপযোগী করে গাইতে পারত।
লতার সঙ্গে প্রথম ডুয়েট গান গেয়েছিলাম সেই ১৯৫১ সালে 'আওয়ারা' ছবিতে। ওই ছবির সেই বিখ্যাত গান- 'তেরে বিনা আগ ইয়ে চাঁদনি' তো এখনও সমানভাবে জনপ্রিয়। আর শঙ্কর জয়কিষণের সুরে এই গান গেয়েই তো আমারও রোমান্টিক গানের জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল। তারপর সেই 'অমর ভূপালি' থেকে শুরু করে হাল আমলের এই 'পুষ্পাঞ্জলি' ছবি অবধি ওর সঙ্গে অনেক গানই দ্বৈত কন্ঠে গেয়েছি। বাংলা ছায়াছবিতেও 'শঙ্খবেলা' ছবির 'কে প্রথম কাছে এসেছি' দিয়ে শুরু হয়েছিল ওর সঙ্গে আমার ডুয়েট গান গাওয়া।
লতার বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরও ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ মানুষ। ওঁদের পেডার রোডের বাড়ি 'প্রভুকুঞ্জ' এও আমার সেই প্রথম থেকেই যাতায়াত ছিল। লতার মা এবং বাবা দুজনেই আমায় খুব ভালবাসতেন, স্নেহ করতেন। আমাকে মাঈ বলেছিলেন, তুমি প্রত্যেক সপ্তাহে আমাদের বাড়ি আসবে। লতা মাঝে মাঝে আমাকে একটা কথা বলত, এখন সেটা খুবই মনে পড়ছে। ও বলত, 'দক্ষ কনে সাজিয়েরা যেমন বিয়ের সময় একটা অতি সাধারণ মেয়েকেও সাজিয়ে গুজিয়ে সুন্দর করে তোলে তুমিও সেইরকম যে কোন সঙ্গীত পরিচালকের যে কোন সুরকে সাজিয়ে গুজিয়ে নিজের মতো করে গেয়ে একেবারে সুপারহিট করে দিতে পারো।"
* জীবনের জলসাঘরে (মান্নাদের অাত্মজীবনী)।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: কোনো ব্লগারের ব্যক্তিগত গান শোনার ব্যাপারে আমার অতীতে, বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও কোনো কৌতূহল নাই।
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: লতামঙ্গেসকার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানলাম। ধন্যবাদ ভাইজান আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০৩
জটিল ভাই বলেছেন:
তথ্যমূলক পোস্ট। জটিল লাগলো।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২৪
সাসুম বলেছেন: আপনার পোস্টে কমেন্ট করার অনুমতি আছে আপনার থেকে তাই করছি। গালাগালি করবে না আশা করি আপনার সিন্ডীকেট এর লোকজন।
নামের শেষে -জি কোথা থেকে আসল??
বাংলাদেশ মানে আজকের বাংলা কিন্ত আজীবন বাংলা ছিলনা, আমরা ছিলাম বৃহত্তর ভারতীয় উপমহাদেশ এর মানুষ। আমাদের কালচার , সভ্যতা এবং সব কিছুতেই এই মিলকরণ খুজে পাওয়া যায়। আমরা মোটাদাগে হিন্দু ছিলাম এবং এই কয়েকশ বছর হল আগা কেটে মোসলমান হয়েছি, কিন্তু আমাদের কালচার এবং সামাজিকরন এখনো অনেক অনেক কিছুতেই সেই আদি যুগ ফলো করে। এবং আমরা আমাদের ডেইলি জীবনে সেগুলা কাজে লাগিয়ে চলেছি শত বছর ধরেই।
নামের শেষে আমাদের জি লাগানো একটা কমন প্রেক্টিস - এটা শ্রদ্ধা করে। যেমন- বুজি । বু মানে বড় বোন আর জি মানে শ্রদ্ধা করে ডাকা, ঠিক যেভাবে আমরা বড় ভাইকে- ভাই+ জান ডাকি। এটা একটা কমন প্রেক্টিস এই উপমহাদেশ এর। উর্দু, আফগান এবং হিন্দি কালচারে এই জি ডাক অনেক বহুল প্রচলিত। যেমন- জামসেদ টাটাকে জামসেদজি বলে ডাকে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এই অঞ্চলের মানুষ। সুভাষ কে এই অঞ্চলের মানুষ নেতাজি বলে ডাকেন।
এই অঞ্চলে যখন ইসলামের গোড়াপত্তন হল- তখন মানুষ ইসলাম ধর্মের নবী মুহাম্মদ কে সম্মান করে নবীজি নাম দিয়েছেন। নবীর নামের শেষে সম্মান করে জি লাগিয়েছে এবং সেটা এখন বাংগালি ইসলামিক সমাজ খুব ভাল করেই গ্রহন করেছেন।
এখন আপনার কথা মতন- যেহেতু নামের শেষে জি শব্দটা হিন্দুয়ানী তাই উনাকে নবীজি না ডেকে নবী ভাই ডাকা উচিত????
একটা কালচার এর মানুষ তাদের পছন্দের মানুষ কে কেম্নে সম্মান করবে সেটা ঠিক করবে সেই এলাকার মানুষ রাই, অন্য কেউ না। আপনার ডাকা বা না ঢাকায় কারো কিছু আসে যায়না বাট কেউ কাউকে সম্মান করতে চাইলে তার যেভাবে সম্মান করতে ইচ্ছা করে সেভাবেই করতে দেয়া উচিত।
আপনি যেরকম লতাজি নাম আর ডাক শুনে কৌতুক বোধ করছেন ঠিক সেভাবে এখন মানুষ আপনার ধর্মের প্রচারক ও সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ন এবং সবচেয়ে মহামানব কে নবীজি বলে ডাকাতে কেউ কেউ কৌতুক বোধ করলে আপনার কেমন লাগবে??
আমি লতার গানের ভক্ত নই, তার গান শুনিনা। কারন- আমি খুব বাংলা গান শুনি এবং ইউজালি ফোক গান ছাড়া আমার ভাল লাগেনা যেটা লতার গানের তালিকায় নেই। বরং নুস্রাত ফতেও আলীর গজলের কথা আর সুর আমার কাছে অনেক উপভোগ্য ।
এখন আমি আইয়ুব বাচ্চু মারা যাওয়ার পর মন খারাপ হয়েছিল, জেমস মারা গেলেও মন খারাপ হবে। ঠিক যেভাবে মন খারাপ হয়েছিল চেস্টার বেনিংটন এর মারা যাওয়ার পরেও। এই মুহুর্তে লতা মারা যাওয়ার পর কারো মন খারাপ হলে সেটাকে নিয়ে ট্রল করার কিছু নেই। কেউ কেউ লতাকে সেরা গানের তালিকায় রাখতেই পারে, তিনি মারা যাওয়ার পর মন খারাপ করতেই পারে, মাতৃহারার মতন শোক পালন করতেই পারে, ফেসবুকে লিখতেই পারে- আমার আপনার সেখানে ট্রল করা মানায় না, কারন প্রতিটা মানুষ ভিন্ন, প্রতিটা মানুষের ডিমান্ড ভিন্ন, পছন্দ ভিন্ন এবং সবচেয়ে বড় কথা শোক প্রকাশের উপায় ভিন্ন।
কে কিভাবে চলবে সেটা তাকে ঠিক করতে দিন, কেউ আমার পছন্দ অনুযায়ী শোক পালন না করলে তাকে নিয়ে ট্রল করা বন্ধ করি। কিভাবে সমাজে সকলের সাথে সহবস্থান করা যায় এটা আমাদের এখনো শিখা হয়ে উঠেনি। এটা শিখা জরুরি
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: 'জি' নিয়ে আপনার চমতকার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আমার অত্যন্ত পছন্দ হয়েছে।
আপনি বলেছেন- গালাগালি করবে না আশা করি আপনার সিন্ডীকেট এর লোকজন। - যা অত্যন্ত আপত্তিকর এবং আমার জন্য অবমাননাকর। আমি দ্যার্থহীন ভাবে বলছি- ব্লগে আমার কোনো সিন্ডিকেট নাই এবং আমি কোনো সিন্ডিকেট ভুক্তও নই। আমি ব্লগের শুরু থেকেই ছিলাম কিন্তু ২০১০ সন থেকে ২০১৯ সন পর্যন্ত মাত্র চারটা পোস্ট করেছি। মাঝের এই বছর গুলোতেই যারা ব্লগে এসেছেন- তারাই এখন ব্লগ দাপিয়ে ব্লগিং করছে। আমার মনে হয়না, এই সময়ের কোনো ব্লগার আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন বা জানেন। অন্তত আমি কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনিনা, জানিনা।
আপনি বক্তব্য শেষ করেছেন- কে কিভাবে চলবে সেটা তাকে ঠিক করতে দিন, কেউ আমার পছন্দ অনুযায়ী শোক পালন না করলে তাকে নিয়ে ট্রল করা বন্ধ করি। কিভাবে সমাজে সকলের সাথে সহবস্থান করা যায় এটা আমাদের এখনো শিখা হয়ে উঠেনি। এটা শিখা জরুরি বলে। আমিও তাই মনে করি। 'জি' নিয়ে আমি আমার মনোভাব প্রকাশ করেছি এবং আমার মনোভাবের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই আপনি 'জি' নিয়ে চমতকার বিশ্লেষণী মন্তব্য করেছেন- যা আমি এপ্রশিয়েট করেছি, এখানেই ব্লগারদের মেধা ও মনণশীলতার বিচ্যুরণ।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৬
সাসুম বলেছেন: আমি শুধু প্রতিউত্তর দেই নাই আপনার পোস্টে বরং একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছি- আপ্নি যেমন ভারতীয় কালচার অনুসারে লতার নামের শেষে জি যোগ করে সম্মান প্রদর্শন কে ট্রল করলেন এবং কৌতুক বোধ করলেন, সেইম কাজ আমি আপনার ধর্মের সবচেয়ে মহামানব এর নামের শেষে ভারতীয় হিন্দু কালচারের জি যোগ করে, নবীজি ডাকাকে ট্রল করতে পারি কিনা এবং কৌতুকবোধ করতে পারি কিনা এবং সে ক্ষেত্রে আপনার কেমন লাগবে?? আপনার প্রতি মন্তব্য এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছে।
আপনার সমালোচনা এক জিনিষ, আর আরেকজনের সম্মান প্রদর্শন কে ট্রল করা আরেক জিনিষ, এই দুইয়ের মাঝে তফাত আছে। আশা করি সেটা বুঝতে পেরেছেন।
আপনার সিন্ডিকেট বলতে আসলে সেই শ্রেণির মানুষ দের বুঝিয়েছি যাদের কাছে তাদের ধর্মই সবচেয়ে বড় এবং বাকি সব ট্রলের জিনিষ , কোন সমালচনা সহ্য করতে পারেন না, একটু আপনি যেটা বিলিভ করেন সেটাই সত্য বাকি সব মিথ্যা। সরি টু সে আপনিও সেই দোষে কিছুটা হলেও দোষী। আমার মন্তব্যে কস্ট পেলেও এটাই সত্যি।
আপনার পোস্টে কমেন্ট করার কারন- আপনি আমাকে সেই পারমিশান দিয়েছেন এবং আমি লিটারালি কাটাছেড়া করব আপনার প্রতিটা পোস্ট এবং ভুল পেলে সেটা তুলে ধরব নির্ধিধায়।
আমার বিশ্লেষণ সবাই নিতে পারেনা, কারন সবার তালগাছ তাদের নিজের কাছে থাকে। আপ্নাকে ধন্যবাদ আমাকে মন্তব্য করতে দেয়ার জন্য ও সেটাকে এপ্রিসিয়েট করার জন্য।
৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি বলেছেন: আমি শুধু প্রতিউত্তর দেই নাই আপনার পোস্টে বরং একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছি- আপ্নি যেমন ভারতীয় কালচার অনুসারে লতার নামের শেষে জি যোগ করে সম্মান প্রদর্শন কে ট্রল করলেন এবং কৌতুক বোধ করলেন, সেইম কাজ আমি আপনার ধর্মের সবচেয়ে মহামানব এর নামের শেষে ভারতীয় হিন্দু কালচারের জি যোগ করে, নবীজি ডাকাকে ট্রল করতে পারি কিনা এবং কৌতুকবোধ করতে পারি কিনা এবং সে ক্ষেত্রে আপনার কেমন লাগবে?? আপনার প্রতি মন্তব্য এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছে।
না, আমি এড়িয়ে যাইনি। বরং আপনার মন্তব্য আমার হৃদয়াগ্রহি করে আমি মেনে নিয়েছি- সেখানেই সব শেষ।
৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০১
ঈশ্বরকণা বলেছেন: আমাদের ধর্ম বিদ্বেষী ব্লাগরদের মন্তব্যে খুব বেশি কিছু বলার থাকে না তাদের ইনকোহারেন্ট আর্গুমেন্টের জন্য । এদের কারো মন্তব্যের উত্তরেই (আমার কোনো মন্তব্যের উত্তরে না হলে) আমি সাধারণত কিছু বলতে চাই না । কিন্তু বেশির ক্ষেত্রেই তাদের মন্তব্য আর আর্গুমেন্ট খুবই কন্ট্রাডিক্টরি । তারা সেটা বোঝেন কিনা সেটাও বোঝা কঠিন । এই যেমন একজন একটা মন্তব্যে বললেন "----আপনার সিন্ডিকেট বলতে আসলে সেই শ্রেণির মানুষ দের বুঝিয়েছি যাদের কাছে তাদের ধর্মই সবচেয়ে বড় এবং বাকি সব ট্রলের জিনিষ , কোন সমালচনা সহ্য করতে পারেন না, একটু আপনি যেটা বিলিভ করেন সেটাই সত্য বাকি সব মিথ্যা। সরি টু সে আপনিও সেই দোষে কিছুটা হলেও দোষী।" এখন কথা হলো এই কথাগুলো কি মন্তব্যকারীর জন্যও সত্যি না ! । ধর্ম নিয়ে কিছু পোস্ট হলেই মরুর ধূলিঝড়কে পরাজিত করা ঘোড়ার বেগে যিনি পোস্টে হাবিজাবি মন্তব্য করতে উঠে পরে লাগেন (আর যে ভাষায় উঠে পরে লাগেন তার মাধুর্য বর্ণনা করার ভাষা জ্ঞান আমার নেই তাই সেটা বাদ রাখলাম)। একটা সহজ প্রশ্ন তাই করাই যায় --আপনার মন্তব্যের মতো একই দোষে কি আপনিও দোষী না? আপনি নাস্তিক বা ধর্ম বিশ্বাস করেন না সেটা না হয় ঠিক আছে বুঝলাম,কিন্তু যিনি বিশ্বাস করেন তার লেখায় আগে পরে কদর্য ভাষায় মন্তব্য করতেই হবে কেন ?আপনার 'মধুর' ভাষাতে বলা সবটুকুই ট্রল এটা বোঝার মতো বিদ্যা না থাকলে আবার প্রাইমারি থেকে শুরু করতে পারেন ।সিনসিয়ার এডভাইস কিন্তু এটা । আব্দুল্লাহ আবু সাঈদের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রোডাক্ট হয়ে এই ভাষাতো আব্দুল্লাহ আবু সাঈদের বেইজ্যুতি সেটা র নাই বা বললাম । মন্তব্যের "---আপনি যেটা বিলিভ করেন সেটাই সত্য বাকি সব মিথ্যা। সরি টু সে আপনিও সেই দোষে কিছুটা হলেও দোষী" ব্যাপারটার মতো হয়ে গেলোনা আপনার ধর্ম বিদ্বেষী কমেন্ট বা পোস্টগুলো ! আমার কাছেতো খুবই কন্ট্রাডিক্টরি লাগছে তার কথাগুলো মাননীয় স্পিকার ! এর কথায় আরো ইনকোহারেন্সি আছে ।যেমন ব্লগার আরইউ-মন্তব্যে একবার ভুল করে তাকে 'শামসু' বলায় সে বিশাল কঠিন ভাষায় তাকে নাম চেঞ্জ করার জন্য অভিযুক্ত করলো । কিন্তু সেই একই কাজ এই ব্লগার কিন্তু দিনরাত করেই যাচ্ছে ব্লগে ইসলামকে এসলাম, মুসলমানকে মোছলমান (বা কাছাকছি কোনো বিকৃত বানানে)। এ যদি বলতো বাংলা ব্যাকরণে এর একটা পিএইচডি ডিগ্রি আছে তাহলে তার নাম বিকৃত করে লেখার বালসুলভ জাস্টিফিকেশন সে যেটা একবার বলেছিলো সেটা মানা যেত। কিন্তু সেটা তার নেই দেখে তার জাস্টিফিকেশনগুলোও যাচ্ছেতাই মনে হয় । এগুলো হিপোক্রেসি কিনা জানিনা কিন্তু খুবই বালসুলভ আর কিছু ক্ষেত্রে খুবই বিরক্তিকর। আর বাংলায় সম্ভবত কখনোই আমরা নামের পরে সম্মানসূচক 'জি' কথাটা ব্যবহার করি না। কিছু গুনবাচক শব্দের আগে/পরে হয়তো করি --যেমন গুরুজী, নবীজি এরকম। আর (স্যেকুলার নাস্তিক হলেও )তেল দেবার জন্য হুজুরের আগে 'জি' যোগ করি ! তাই বাংলাভাষী এদেশের কেউ লতাজি বলে গলা ফাটিয়ে ফেললে সেটা করলে পুরোই ইন্ডিয়ান কালচারের মূর্খ নকল। সেটাকে কোনো প্রশংসার কাজ বলা মুশকিল । লতা মুঙ্গেশকরের বেলাতে সেটা না করেও যথাযথ সম্মানের সাথে অনেক ভাবেই লতা মুঙ্গেশকরের নাম নেয়াই যায় বাংলায়। সেটা সমস্যা না । তাই বাংলাদেশের কেউ তার নামের পরে 'জি' যোগ করে তাকে সম্মান দেখতে চাইলে সেটা নিয়ে কিছু না বললেও হয়তো চলে কিন্তু সেটা ঠিক নেই বলা কোনো দোষের কিছু সেটা আমার মনে হয় না কখনোই ।
৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৩
ঈশ্বরকণা বলেছেন: মাননীয় স্পিকার, আমি আগেই বলেছি ব্লগারের ভাষার মাধুর্য বর্ণনা করা আমার জ্ঞানের বাইরে ! এখন জুলভার্ন, পোস্টার লেখক হিসেবে আপনি বলুন এই কদর্য ভাষার মন্তব্যের বিরুদ্ধে মডারেশনকে আপনি রিপোর্ট করবেন কিনা । আপনি না করলে আমি করবো আপনার মন্তব্যের পরে । আমাদের বাংলা একাডেমির ডিকশনারি হলো বাংলা ভাষার সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষা বিষয়ক প্রকাশনা । সেখানে যেই বানান আছে যেই শব্দের সেটাই এখনকার জন্য আমাদের দেশের ভাষা রীতিতে সঠিক । সেটা বাদ দিয়ে মধ্য যুগের সাহিত্য খুঁজতে হবে ইসলাম বানানের সঠিকতা জানতে ! হায় ঈশ্বর এই সব অকাট মূর্খের সাথে ব্লগিং করতে হয় ! কি অভাগা হিসেবে সৃষ্টি করলেন আপনি এই জগতে ! কাল্পনিক_ভালোবাসা, এই একুশের মাসের পবিত্রতা রক্ষার্থে আপনার এই প্রিয় ব্লগারকে তার ভাষা মাধুর্যের জন্য ব্যান করা যায় কি না তার জন্য সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করুন প্লিজ !
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০
সোনাগাজী বলেছেন:
টাইপো:
লতার *গাওয়া সিনেমার প্রেমের গান শোনেনি, সেই রকম ১ জন ব্লগারের নাম আপনার জানা আছে?