নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
যেখানে পরিক্ষাই ব্রাত্য....
বরাবরের মতোই আজ ঘটা করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়েছে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হয় না, কিম্বা নামকাওয়াস্তে পরীক্ষা দিতে হয়- তবু ঘটা করে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়!
মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক শুধু পরীক্ষা নয়, এটা একটা আবেগ। প্রয়োজন তো বটেই তারপরেও দীর্ঘ স্কুল জীবনের শেষ দাঁড়ি টানা হয় উচ্চমাধ্যমিকে। আমরা অনেক আগের মানুষ যখন টানা ৬ ঘন্টা পরীক্ষা দিতে হত, দুটি করে পেপার এর একই দিনে। এখন বুঝতে পারি কি অসম্ভব চাপ ছিলো সেটা, কিন্তু প্রতিবছর বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী সেই চাপ নিতো, সাফল্য ও পেতো। শেষ পরীক্ষার দিন মুক্তি এবং মনখারাপের সেই এক অদ্ভুত অনুভূতি। বন্ধুদের জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলা, তারপরে সব ভিন্ন ভিন্ন পথের পথিক হওয়া। মাধ্যমিক বা উচ্ছমাধ্যমিক এর এই আবেগ টুকু কেউ ভুলতে পারিনা আমরা। এখনো নতুন কারোর সাথে আলাপ হলে চট করে জেনে নিই কোন ব্যাচের SSC/HSC.
একের পর এক পরীক্ষা বাতিল হলো, বড্ড কষ্ট হচ্ছে এই ছেলেমেয়েগুলোর জন্যে। করোনা অনেকের অনেক কিছুই কেড়ে নিয়েছে কিন্তু একটা প্রজন্মের কাছে বড্ড বেশি দাম নিয়ে নিলো। বিশেষ করে যারা নিয়মিত পড়াশোনা করে, বহুদিন ধরে লালন করছে উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করার স্বপ্ন, তাদের মানসিক অবস্থাটা কি কঠিন বুঝতেই পারছি। জীবনের একটা দামী অধ্যায় থেকে তারা বঞ্চিত হলো! পরবর্তী সময়েও তাদের মূল্যায়নে একটা কথাই ঘুরে ফিরে আসবে কোভিড ব্যাচ, পরীক্ষা দিতে হয়নি....
জানি জীবনের দাম অনেক বেশী, কিন্তু কিছুই কি করা যেতোনা? এত শিল্প কারখানা, অফিস খোলা, এত দোকান পাট খোলা, উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনো কিছুই বাদ গেলোনা, অথচ প্রতিদিন মাত্র ৩ ঘন্টা সময় বিশেষ ভাবে চিন্তা করে এই ছেলেমেয়েগুলোর ভবিষ্যৎ স্বপ্নের জন্যে ব্যয় করা যেতোনা?
আমার সহপাঠীদের মধ্যে অনেকেই আছেন দেশ সেরা কলেজ অধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যাঞ্চেলর, অধ্যাপক, অনেক বন্ধুই শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সর্বোচ্চ পদের আমলা- যাদের সাথে কথা বলেছি, সবাই বলেছেন- 'সরকার ইচ্ছা করলে অবশ্যই পরিক্ষা নেওয়া যেতো কিন্তু........ '। মুর্খ অশিক্ষিত হয়ে বেঁচে থাকার চাইতে শিক্ষিত হয়ে মরাও সম্মানের- এই সহজ সত্যটা আওয়ামী লীগের শিক্ষামন্ত্রী বোঝেননা।
ক্লাস বন্ধ রেখে, সব স্কুল কলেজকে কাজে লাগিয়ে শুধু মাত্র পরীক্ষার্থীদের বিশেষ নিয়ম মেনে দূরত্ব বজায় রেখে ১০/১২ দিন পরীক্ষা নেবার ব্যবস্থা করা কি খুউব কঠিন হতো? একজন অবিভাবক হিসেবে এই প্রশ্ন গুলো বারবার ঘুরে ফিরে আসছে, আসছেই....
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই আগের লেখাপড়ায় জ্ঞানার্জনের যেমন সুযোগ ছিলো তেমনি চারিত্রিক-নৈতিক শিক্ষায় নিজেকে শিক্ষিত করার সুযোগ ছিলো।
২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: সরকার ইচ্ছে করে এমনটা অবস্থানে নিয়ে গেছে । সরকার চাইলেই পরীক্ষা গুলো নেওয়া যেত ভাল ভাবে। আমি এই শিক্ষার্থীর কিছু অংশকে দেখছি একেবারে কাছ থেকে। করোনায় সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে এদেরই । হয়তো এখন সেটা টের পাওয়া যাবে না । আরও কিছুদিন গেলে সেটা ভাল ভাবে টের পাওয়া যাবে ।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নামের কোনো স্থাপনা, শিক্ষক এবং শিক্ষা বিষয়ক প্রশাসন প্রয়োজন নাই। কারণ, টানা দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরেও ৯৫% পাস!
৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এইচ এস সি পরীক্ষার শেষের দিনের ব্যবহারিক পরীক্ষা দেয়ার সময় কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না এই কলেজে আর আসা হবে না আগের মত।
বিদায়ের সময় কলেজ জুড়ে কান্নার মহামারীর মধ্যে বুকের মধ্যে একটা অভাবনীয় শুন্যতা অনুভব করছিলাম। এত খারাপ কখনও লাগেনি।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আহ! সেই স্মৃতি, সেই দৃশ্ব্য বুকের ভেতর কান্না হয়ে এখনো জমা আছে! কলেজ জীবনের সেই স্মৃতিকে ওলটপালট করে দেখার একটা সুযোগ ছিলো এক্স ক্যাডেট রিউনিয়ন। গত পাঁচ বছর আমি আমাদের রিউনিয়নে কলেজ ক্যাম্পাসে যেতে পারিনি। এবার ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারী রিইউনিয়নে যোগ দেওয়ার জন্য দেশ বিদেশের ২০ জন এক্স ক্যাডেট চাঁদা পরিশোধ করেছিলাম। কিন্তু করোনার জন্য সেই প্রোগ্রাম কলেজ কতৃপক্ষ বাতিল করেছে।
৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দুনিয়াতে বর্তমানে কোন কোন দেশে স্কুল-কলেজ বন্ধ আছে করোনার জন্য!!!
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: সাময়ীক বন্ধ ছিলো অনেক দেশেই। কিন্তু আমাদের দেশের মতো টানা পৌনে দুই বছর বন্ধ দুনিয়ার আর কোথাও ছিলনা।
৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৩
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ২০ এর মাঝামাঝি থেকে ২১ এর অর্ধেকটা পর্যন্ত কেউই কোভিট অবস্থা বুঝতে পারেনি । তাই ওই সময় স্কুল কলেজ বন্ধ রাখাটা ঠিকই ছিলো । এরপর বন্ধ রাখা ঠিক হয়নি ।
পড়াশুনার স্বর্ণযুগ গেছে ২০০০ এর আগেই । ৯০ শেষ দশকে শুরু হলো ৫০০ টিকচিহ্ন , পাশ করা সহজ করা হলো । কলেজে ভালো স্টুডেন্টকে মিছিলে ডাকা রাজনীতিতে বাধ্য করা হতোনা । স্যার ম্যাডামদের প্রতি ছাত্রদের সন্মান সাথে যোগাযোগটা ভালো ছিলো । ২০০ ৩০০ টাকায় ব্যাচ পড়ানো শুরু হলো, ক্লাস রুম বৃদ্ধি না করে কোচিং সেন্টার তৈরী হলো । প্রত্যেক জেলায় শহরে বাজার , কোচিং সেন্টারগুলো নিদিষ্ট এলাকাজুড়ে - যেমন বগুড়া জেলায় জলেশ্বরীতলা এলাকায় শুধুই কোচিং সেন্টার ।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
এবারের পরীক্ষার স্পেশাল দিকটা নিশ্চই লক্ষ্য করে থাকবেন- এবার এইচএসসি পরীক্ষা হয়েছে তিন সাব্জেক্টে কিন্তু রেজাল্ট হয়েছে ১০ সাব্জেক্টের!
৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৭
জটিল ভাই বলেছেন:
এরা কর্ম জীবনে এলে উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: সরকার সুপরিকল্পিত ভাবে এদেরকেই প্রোমোট করছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: সব কিছু বদলে যায়।
আজ থেকে ত্রিশ বছর আগের লেখাপড়া এবং এযুগের লেখাপড়া আকাশ পাতাল তফাৎ। বিনা দ্বিধায় বলা যায় আগের লেখা পড়ার মান ভালো ছিলো।