নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
প্রসঙ্গঃ অর্থসংকট এবং বাংলাদেশ....
দেশের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন উদ্বেগজনক। বাজারে কোনো পণ্যের কমতি নাই কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নাই। হঠাৎ এই দেউলিয়াপনা নিয়ে সাধারণ মানুষের চোখ খুললেও ক্ষমতাসীনদের 'কানে পানি গিয়েছে' তেমনটা মনে হয় না। তথাকথিত উন্নয়নের বাগাড়ম্বরে বিশ্বজুড়ে আর্থিক ক্ষয়িষ্ণু দেশগুলোর পিছু নিয়েছে বাংলাদেশ। তাদের মতই আর্থিক পরিকাঠামোয় গলদ রেখে বাহ্যিক চাকচিক্য রাখতে গিয়ে আজ এই হাল! তার ওপর গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া হয়েছে সর্বস্তরে আগ্রাসী দুর্নীতি।
কিন্তু এতো গেল অর্থনীতির কঠিন ব্যাপার। সহজ কথাটি হল, অনেক আগেই এই বিপদের আভাস পাওয়া গেছে। কিন্তু বিশ্বের এক নম্বর অর্থ মন্ত্রী তথা সরকার নজর না দিলেও মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী ঠিকই এদেশের সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ বুঝতে পেরে 'কচুরিপানা খাওয়ার' নছীহত করেছেন বছর খানিক আগেই!
খেয়াল করবেন- পাড়ায়, রাস্তার মোড়ে, চায়ের দোকানে, স্কুল কলেজ, মার্কেটের গেইটে বেকার যুবকদের ভীড়৷ এই এলাকা ভিত্তিক আড্ডার নিরিখে সারা দেশের যুবসমাজের কথা ভাবুন।
অথচ, আমরা সেটাকে নেহাৎ আড্ডা বলে এড়িয়ে যাই। সামাজিক অবক্ষয়ের দোহাই দিই। আসল কথা হল লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী বেকার। অর্থাৎ দেশের একটা বৃহত্তর প্রজন্ম কর্মহীন।
শহর থেকে গ্রামেও দেখুন- দামী বাইক, দামী মোবাইল, দামী বাড়ি, দামী আসবাব। সব কিছুই যুগের সাথে পাল্টাচ্ছে। নিত্যনতুন মডেল চেঞ্জ হচ্ছে। নতুন নতুন কেনা দামী পণ্যগুলো মুহূর্তে সেকেন্ড হ্যান্ড হয়ে যাচ্ছে। তারমানে কি অর্থনীতি চাঙ্গা রয়েছে?
মানুষের হাতে টাকা আছে?
মোটেই না।
খেলাপী ঋণের দায়ে ক্ষুদ্র কৃষকের কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যায় আর হাজার হাজার কোটি টাকার লুটেরাদের ভিআইপি মর্যাদায় লালন পালন করা হয়। ঋণের অর্থনীতি, ঋণের উন্নয়ন চলছে। সহজ কিস্তি সবাইকে গিলে নিয়েছে। কৃষিজমির বিকাশ নেই। কিন্তু কৃষিজমি বাস্তুজমিতে উন্নত করতে হচ্ছে। খাদ্যসংকট আর ঋণ দুটোই আমাদের ভবিষ্যত।
আমার মনে আছে, পাব্লিক ফোন বুথ উঠে গিয়ে যখন থেকে মোবাইলের দোকান হল তখন তার আলো ঝকঝকে বিপননী আমাদের নজর কেড়েছিল। এখন অনলাইন ব্যবসা তাদের পথে বসিয়ে দিয়েছে। কাঠের অভাবে কাঠের আসবাবের দোকানগুলো এখন বন্ধ। বিদেশি চকচকে ফিনিশ ফার্নিচার, স্টিল আয়রনের আসবাব এসেছে। তাহলে কাঠমিস্ত্রীরা গেল কোথায়? পাড়ার মোড়ের বিরিয়ানির দোকানটা উঠে গেছে, যাবতীয় খাবার অনলাইন হোম ডেলিভারি এসেছে। ক্যাবট্যাক্সি-উবার-পাঠাও এসে গণপরিবহন ব্যবসায় অন্ধকার টেনে এনেছে। এভাবেই আমাদের অজান্তেই চোখের সামনে পাড়ার কাপড়ের দোকান, টেইলার্স, মুদির দোকানকে গিলে খেয়েছে বড় কোম্পানীর বড় বিপননী। চারিদিকে আরও বেকার বাড়বে। কিন্তু বেক্সিমকো, সামিট, ইউনাইটেড, এস আলম, আকিজ, ট্রান্সকম, হা মীমদের ব্যবসার কোনো ক্ষতি হবে না। তারা আরও নতুন ব্যবসায় বিনিয়োগ করবেন।
আমাদের দেশে এখন আরেক মাৎসায়নের যুগ চলছে। আমরা দেখেও দেখিনা। তাই পরে বিপদের চরম মূহুর্তে আমাদের জ্ঞান ফেরে। অনুকরণ প্রিয় বাংগালী থার্টি ফার্স্ট নাইটে বিদেশি গিলে নোংরামি করে। ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে বেলেল্লাপনা করে স্মার্ট হয়।একদিনের বাংগালীদের ইলিশ উৎসবের ছবি দেখে একবারও মনে হয় না কেন আমাদের মধ্যবিত্ত নামের নিম্নবিত্তদের পাতে এক টুকরো ইলিশ কতদিনেও আসেনি? কেন পুলিপিঠের ব্রান্ডেড উৎসবে গিয়ে মা বোন স্ত্রীর হাতের বানানো জিনিস দশগুন দামে কিনি?
আসল কথাটা হল, আমরা ভাবতে চাই না। তাই সব কিছুকে মেনে নেবার অভ্যাস হয়ে গেছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলো বণিকের মানদন্ডের ইশারায় চলছে। তাই শিল্পপতিরা হাজার কোটি নিয়ে বিদেশে পালাতে পারে আর রাজনীতিকরা হাজার লক্ষ নিয়েও বহাল তবিয়তে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগ' বলে আইওয়াশ করে দিন কাটিয়ে দেন।
'দেশী পণ্য কিনে হও ধন্য'- সস্তা বিজ্ঞাপন শুনি। কিন্তু না ঠকলে জাগি না। কিন্তু আর কতদিন?
মনে রাখবেন, অদুর ভবিষ্যতে নাহলেও সুদূর ভবিষ্যতে একটা শ্রেণীযুদ্ধ হবেই। যারা চোখ বুজে ঘুমাতে ভালোবাসেন তারাও কিন্তু রেহাই পাবেন না।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: এসব প্রশ্নের জবাব প্রকাশ করলেই ঘ্যাচাং! ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলা....
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অর্থনীতি মুদ্রাস্ফিতি দ্রব্যমুল্য নিয়ে এত হতাস হওয়ার কিছু নেই।
তেলের দাম বাড়লে সব জিনিসের দামই বাড়ে।
আর সস্তা বা ফ্রী পেলে সবদেশের লোকই ঝাপিয়ে পড়ে। লাইনে দড়িয়ে যায়।
তেলের দাম বাড়লে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ে কারন দাম বুঝে সময় সময় জালানি তেলের সাথে ভোজ্যতেল মেসানোহয়। আমেরিকায় ২০ ডলারের সয়াবিনতেল কন্টেইনার বর্তমানে ৪২ ডলার।
আর বাংলাদেশের আজকের পত্রিকার (মানবজমিন) সয়াবিনতেল ১৬৮/ লি।
২০১৪ আমি দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে ছিল ১০০- ১১০টাকা। ৮ বছরে স্বাভাবিক মুদ্রস্ফিতি হিসেব করলে অতি সামান্যই বেড়েছে।
ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫০। এটা আট বছর আগেও ১২৫-১৪০ উঠানামা করত।
প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। ৩৫ টাকা কেজি আটার।
(চিনি ২০টাকা বেড়েছে সত্য, আটার দাম বরং কমেছে ৮ বছর আগে ৪০টাকায় কিনতাম)
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাচা বাজারের তথ্যানুযায়ী দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, পাতাকপি ৪০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা ও মটরশুটি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি বিক্রি ১৫ টাকায়।(মানবজমিন থেকে কপি)
৮ বছর আগেও এই দামই ছিল। কিছু কমেছে। বেগুন ৪০ টাকা। ছিল ৬০টাকা।
বাংগালীর সবচেয়ে প্রীয় আলু ১৫ টাকা কেজি! ভাবা যায়। আমি যতবার ঢাকা গেছি আলু ৩৫-৪০ নিচে পাই নি।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: অর্থাৎ আপনি বলতে চাচ্ছেন- দ্রব্য মূল্য বাড়েনি! ওকে তাই আপনাদের কথা মেনে নেওয়া ছাড়া ভুক্তভোগীদের আর কি ই বা করার আছে!
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ৩ নং কমেন্টটা মুছে দিন প্লিজ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা ডিলিট করে দিয়েছি।
৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৪
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: হা কা র লেখায় পরে বুঝা যায় দেশের মানুষ খায় আর হাগে !
দামী গ্যাস দামী বিদ্যুত দামী যাত্রা ব্যয় এগুলা কিচ্ছু না !
সড়ক দুর্ঘটনায় যে বাচ্চাগুলো খুন হয় তারা অলরেডি নিয়মতান্ত্রিক শ্রেণীযুদ্ধের শিকার ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: রাজলোক বলে কথা! ওনাদের কথাই শিরোধার্য্য।
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৫৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সড়ক দুর্ঘটনায় কয়টা মানুষ মরে?
আমেরিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর কমবেশি - ৫০,০০০ মরে
ভারতে মরে ১ লাখ চীনে ৩ লাখ।
বিপুল ঘনবসতির দেশ আইন না মানা বিশৃক্ষল বাংলাদেশে মাত্র গত বছর ৬,২৮৪ জন তার আগের বছর ছিল - ৫,৪২২
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের জীবন প্রণালীর সাথে বাংলাদেশেরই তূলনা করুন। ওদের খারাবাটা দেখালেন- এবার একটু ভালোটার সাথে বাংলাদেশ মিলিয়ে দেখান।
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:৩২
গরল বলেছেন: ছোট বেলা থেকেই শুনে যাচ্ছি দিন দিন দেশের অবস্থা বা অর্থনিতি শুধু খারাপের দিকেই যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দেশ যেমন ছিল তেমনই আছে। তবে কিছুটা উন্নতি হলেও হতে পারে। দেশে এত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যাল একশতর উপড়ে হবে অথচ সেসব কিন্তু দিনদিন বড় হচ্ছে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। আমার বন্ধুর ছোট একটা মোবাইল দোকান দিয়ে শুরু করেছিল, ১৬ বছর পর এখন দুইটা দোকান আর একটা ফ্লাটের মালিক হয়েছে। ওর ক্রেতা কিন্তু সব একেবারেই নিম্ন আয়ের মানুষ। পাড়ার যেসব লোক মুরগী বিক্রি করত, সামান্য দোকানদারি করত বা ছোটখাট সবাই বাড়ি করেছে, ছেলে মেয়েরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়েছে অনেকের। ইট ভেঙে ও আমাদের বাসায় কাজ করত এক মেয়ে, তার মা ইট ভাঙত, তার ছেলে বিবিএ পাস করেছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমরা যখন ফুটবল খেলতাম এক ছেলে বাদাম বিক্রি করত মাঠের পাশে বসে। সে বড় হয়ে ড্রাইভার হয়েছে এবং গাড়ি চালিয়েই গাজীপুরে জমি কিনে বাড়ি করে চলে গেছে। তবে দেশের অবস্থা ভালো না এটা স্বীকার করতেই হবে। এর মধ্যেও যাদের যোগ্যতা আছে তারা ঠিকই নিজের ব্যাবস্থা নিজেই করে নিতে পারছে। আমার পাড়ার বন্ধুদের মধ্যে যে সবচে খারাপ আছে সেও ছোটখাট একটা পোষাক কারখানার মালিক।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন:
৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:৪৮
কলাবাগান১ বলেছেন: কিছু ব্লগার আলো দেখতে নারাজ, তারা আলোর নীচের অন্ধকার হাতড়ায়ে বেড়ায়...। তারা কেন এসবকরে তা বুঝতে কারো বাকী নয়..মস্তিক বন্ধক দিয়ে রেখেছে rightwing দলের এর কাছে @গড়ল
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:২৩
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: মানুষের হাতে টাকা আছে কারন আয় বেড়েছে (গড়) তবে টাকার মান কমেছে (অতিরিক্ত রিজার্ভ সরকার ভড়কে গেছে প্রবাসী আয় ও) । শিগ্রই টাকার মান ১ ডলারে ১০০শোর কাছাকাছি হচ্ছে। যেমন -১ বছরেই ৮০-থেকে ৯০ হয়েছে।
তখনো অর্থনিতির হিসাবে বলা হবে আয় বেড়েছে এবং মানুষের হাতে টাকা আছে কারন আয় বেড়েছে (গড়) তবে টাকার মান কমেছে (অতিরিক্ত রিজার্ভ সরকার ভড়কে গেছে) ।.....এই চকর চলবে
ফলাফল = !?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
যে যা-ই বলুক, আমাদের চিন্তাশক্তি কিন্তু আসলেই ঋণগ্রস্ত আর দেউলিয়া। আমরা পরের চিন্তা নিয়ে চিন্তা করি, নিজস্ব চিন্তার জন্ম দিতে পারিনে। ফলে দু'য়ে দু"য়ে যে চার হয়, একথাও আমাদের অন্যের কাছ থেকে জানতে হয়! তাই চারিদিকের হাহাকার, আসামঞ্জস্যতা আমাদের চোখের সামনে থাকলেও মন-মননে ধরা পড়েনা!
ঝাঁ চকচকে রাস্তা, বহুতল ভবন, আলো ঝলমল বিপনী হলেই সমৃদ্ধ অর্থনীতি বোঝায় না। গড়পড়তা মানুষের জীবনযাত্রা মোটামুটি স্বচ্ছল হলে তবেই বোঝা যায় একটা দেশের অর্থনীতির জোর কতোটুকু।
আলো দেখতে কেউ নারাজ নয়, কথাটা হলো সেই আলো অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে জ্বলছে কিনা তা!
যাই হোক- অর্থনীতি নিয়ে নানা মুনির নানা মত থাকবে, তবে মোদ্দা কথা হলো গড়পড়তা মানুষের একজন হয়ে আমার নিজের সমৃদ্ধির হার কতোটা হলো তা বুঝতে পারা বা তার নমুনা দেখা।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: জি এস ভাই, আপনি বলেছেনঃ- ঝাঁ চকচকে রাস্তা, বহুতল ভবন, আলো ঝলমল বিপনী হলেই সমৃদ্ধ অর্থনীতি বোঝায় না। গড়পড়তা মানুষের জীবনযাত্রা মোটামুটি স্বচ্ছল হলে তবেই বোঝা যায় একটা দেশের অর্থনীতির জোর কতোটুকু।
আলো দেখতে কেউ নারাজ নয়, কথাটা হলো সেই আলো অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে জ্বলছে কিনা তা!
যাই হোক- অর্থনীতি নিয়ে নানা মুনির নানা মত থাকবে, তবে মোদ্দা কথা হলো গড়পড়তা মানুষের একজন হয়ে আমার নিজের সমৃদ্ধির হার কতোটা হলো তা বুঝতে পারা বা তার নমুনা দেখা। আশা করি আর কোনো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের দরকার নাই।
১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৪
বিটপি বলেছেন: অর্থের কোন সংকট দেশে নেই। উত্তরা থেকে বনানীর দিকে যেতে থাকলেই অর্থের ছড়াছড়ি দেখতে পাবেন। মেট্রো রেল, র্যাপিড বাস, শাহজালাল তৃতীয় টার্মিনাল, এলেইভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রেলের ৩নং লাইন - এগুলো বানাতে সরকার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। এই টাকা কি ভূতে এসে দিয়ে যাবে? আপনার আমার পকেট থেকেই তো কাটতে হবে, নাকি? কিভাবে কাটে?
ক্রুড অয়েল আমদানিতে ১৫% ভ্যাট, ৫% এআইটি, আমদানি শুল্ক, ৩০% রেগুলেটরী ডিউটি দিয়ে ৭০ টাকার তেল আপনাকে ১৬৮ টাকায় কিনতে হয়। সেই তেলে ভাজা চিকেন ফ্রাই আবার ১০% ভ্যাট দিয়ে কিনে খেতে হয়। চিকেন ফ্রাই বিক্রেতা তার বার্ষিক আয়ের ৩০% ট্যাক্স হিসেব সরকারকে দেয়। এই টাকা কি সে পকেট থেকে দেয়? জ্বিনা। আপনার কাছ থেকেই নেয়। আরো অনেক খাত আছে, যেখানে সরকার আপনাকে ফতুর করে দিয়ে আপনার শহরের চাকচিক্য বাড়ায়। সবাই দেখেও না দেখার ভান করে থাকে, তাই দালালেরা কেবল উন্নয়নের গল্প শোনায়।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যেই পরিস্কার- আমদানী পণ্যের দাম কিভাবে বাড়ে! অথচ অথর্ব বানিজ্যমন্ত্রী জানেই না- "কিভাবে দ্রব্য মূল্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে"!
১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪০
বিটপি বলেছেন: বাণিজ্য মন্ত্রী ট্যাক্স সিস্টেম সম্পর্কে একদমই অজ্ঞ। সে কেবল বাণিজ্য (কেনা-বেচা) ছাড়া আর কিছু বোঝেনা। আপনি যা কামাই করেন, সেখান থেকে সরকার কোথায় কোথায় ভাগ বসায় - সে সম্পর্কে ধারণা থাকলে দ্রব্যমূল্য বাড়ার ব্যাপারটা নিয়ে আপনি টেনশনই করতেন না। তবে হ্যাঁ, সরকার আপনার রোজগারে কোন হাত দেবেনা, যদি
- আপনার বার্ষিক আয় তিন লাখ টাকার নিচে থাকে (মাসিক ২৫ হাজার)
- কোন আমদানি নির্ভর পণ্য না কেনেন।
- কেবল চাল, ডাল এবং মাছ খেলেই আপনার চলে যায়। সব খাবার বাসায় রান্না করেন।
- আপনার নীট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি টাকার কম হয়। সম্পদ বলতে জায়গা জমি, গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ ইত্যাদি বুঝায়।
এর বাইরে সামান্য বিলাসিতা করতে হলেও এর বড় অংশ সরকারকে দিয়েই করতে হবে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সবকিছু নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: মধ্যবিত্ত আর নিম্নমধ্যবিত্ত ধ্বংস হয়ে যাবে।
১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুধু মনে হচ্ছে অবস্থা সামনে আরো বেশী খারাপ হবে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: সন্দেহের অবকাশ নেই।
১৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: খেলাপী ঋণের দায়ে গরীব কৃষক গ্রেফতার হচ্ছে আর মিলিয়ন বিলিয়ন কোটি টাকা ঋণ খেলাফিরা ভি আই পি গেট দিয়ে বিমানবন্দরে চলাচল করে।
সত্যি সেলুকাস। বড় বিচিত্র এই দেশ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: একটুও মিথ্যা নয়, শতভাগ সত্য।
১৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: সরকার বলছে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। অথচ বাইরে বের হলেই আমি দেখছি ভিক্ষুক। দরিদ্র আর অসহায় মানুষ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: তবুও বলতে বাধ্য করা হচ্ছে- আমরা উন্নয়নের চরম শিখরে আরোহন করেছি!
১৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:৪৪
জটিল ভাই বলেছেন:
আকাশ ছোঁয়া উন্নয়নে সব ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে চলে যাচ্ছে!!!
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি অধম রইলাম পইরা!
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৬
নতুন বলেছেন: তারমানে কি অর্থনীতি চাঙ্গা রয়েছে?
মানুষের হাতে টাকা আছে?
মোটেই না।
যদি মানুষের হাতে টাকা না থাকে তবে দোকানের জিনিস পত্র কারা কিনে? যদি না কিনে থাকে তবে কতগুলি দোকান বন্ধ হয় মাসে?
দেশে সরকারী পরিকল্পনা নাই, মানুষ শুধুই চাকুরীর আশায় বেকার থাকে, নিজে চেস্টা করেনা কিছু উতপাদনমুখি বা ব্যবসা করার। দূনিতি আরেক কেনসার আমাদের সমাজে।
মুসলিম সংখ্যাগরিস্ট দেশ, শুক্রবার মসজিদের বাইরেও মানুষ নামাজ পড়ে।
এতো ভালো মানুষ তবে দূনিতি করে কারা? ভ্যজাল দেয় কারা?
ভন্ডামী ছেড়ে ভালো না হলে দেশের এমন সমস্যা কাটবেনা।