নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
কোলকাতার "আজকাল" পত্রিকায় রোদ্দুর রায়ের(Roddur Roy) সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুকমল শীল। (এটা পুরনো সাক্ষাৎকার)
● আপনার আসল নাম তো অনির্বাণ। রোদ্দূর রায় নামকরণের সার্থকতা কী? আপনি এগুলো করেনই বা কেন?
■ কোনও সার্থকতা নেই। আমি একটা লোকের ভূমিকায় অভিনয় করি। সেই লোকটা চূড়ান্ত বিভ্রান্ত ও হতাশাগ্রস্ত। আর একজন শিল্পীকে আপনি বলছেন সে শিল্প করে কেন? এটা হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে না?
● আপনার ভিডিওগুলোতে শুধু গালাগালি আর অশ্লীল প্যারডি। সেগুলোকে তো কেউ শিল্প বলছে না। আপনি নিজে তো কিছু করছেন না। রবীন্দ্রনাথের গান আর কবিতা বিকৃত করেই তো আপনার ফলোয়ার বেড়েছে।
■ হোয়াট ইজ রবীন্দ্রনাথ? আমরা যে রবীন্দ্রনাথ–রবীন্দ্রনাথ করছি, তাঁর ফিলোজফি, তাঁর ব্রহ্মসঙ্গীত, তাঁর গানে আমি–তুমিটা ঠিক কোথায়। তাঁর গানের ব্রহ্মভাব উনি কালেক্ট করেছিলেন চারপাশের দৃশ্যগ্রাহ্য জগৎ থেকে। সেখান থেকে বিষয়টাকে মননগ্রাহ্য জগতে নিয়ে গিয়েছিলেন। যে মানবতা, যে প্রেম, সেটা তো আমরা ছুঁতে পারিনি। আমাদের কাছে টেগোর শুধুই বিজনেস অবজেক্ট। কখনও শান্তিনিকেতন কখনও কিছু মুষ্টিমেয় লোকের সম্পদ। কখনও ফিল্মের লঘুসঙ্গীত। আমরা রবীন্দ্রনাথকে টেনে নামিয়েছি। ওঁর ফিলোজফি আমরা ছুঁতে পারলে আমাদের সমাজ এমন হত না। আমরা কিস্যু বুঝিনি। সাধারণ মানুষের কাছে টেগোর
ইজ এ মিথ।
● রবীন্দ্রসঙ্গীত বিকৃত করেন কেন?
■ রবীন্দ্রনাথের গানের কপিরাইট উঠে গেছে। সেটা নিয়ে একজন শিল্পীর কাজ সময়টাকে ধরা। এই গানটা ইউটিউবে যে গেয়েছে, সে আমি না। সে একটা কনফিউজ্ড, ফ্রাস্টেটেড ক্যারেক্টার। সে যখন রবীন্দ্রনাথের কথা বলছে, সে তার মতো করেই বলবে। সে রবীন্দ্রনাথের গানে নিজেকে এন্টারটেন করেছে। মানুষ কী ভাবে নিচ্ছে, তাতে আমার কোনও হাত নেই। মানুষ আমার ভিডিও ছড়িয়েছে। মানুষ রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ন্যাকা (ছাপার অযোগ্য) করছে। আমি কোনওকিছুর বিরোধী নই।
● আপনার ভক্তরা তো আপনাকে খিল্লিবাজ বা খিস্তিবাজ হিসেবেই দেখছে। এটা তো আপনার ব্যর্থতা। চাঁদ উঠেছিল গগনের আগে ওই অশ্লীল শব্দ কেন?
■ আমি আমার ফলোয়ারদের ব্যাপারে উদাসীন। আমার কোনও টার্গেট অডিয়েন্স নেই। আর একজন শিল্পীর সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে নতুন কিছু করার। অনির্বাণ রায় আর রোদ্দূর রায় দু’জন আলাদা মানুষ। সে যখন ইউটিউবে আসে, তখন সে রোদ্দূর নামক চরিত্রের হয়ে কথা বলে। সে একটা রোল প্লে করে। আর অশ্লীল বলে শব্দভাণ্ডারে কিছু হয় না। মেয়েদের মুখে বা পিঠে ওই শব্দটা দেখেই মানুষের শক্ লেগেছে। এটা একটা পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা।
● আপনার ‘মোক্ষা’ শব্দটার উৎস কী?
■ সংস্কৃত মোক্ষ থেকেই মোক্ষা। এর মানে আত্মার মুক্তি। এখানে মানবিক আত্মার কথা বলা হয়েছে। মোক্ষা হল স্বাধীনতা। নাগরিক মানুষের জন্য স্বাধীনতা, প্রেম ও শান্তি। আমি একজন সন্তের জীবনযাপন করি। বেশিরভাগ সময়েই সমাধিতে থাকি।
● কোনওদিন গ্রেপ্তার হয়েছেন? বৈপ্লবিকতার একমাত্র বহিঃপ্রকাশ কি গালাগাল?
■ (সভয়ে) না–না! গ্রেপ্তার হব মনে হচ্ছে এবার (হ্যা–হ্যা হাসি)। আর চ্যাপলিনকে যদি কেউ বলত, তুমি ওই ঢোলা প্যান্টটা পোরো না। সুকুমার রায়কে যদি কেউ বলত ওরকম লিখো না, তাহলে কেমন হত?
● আপনি কি অ্যানার্কিস্ট? আপনার ভিডিওর কথাবার্তায় তো চূড়ান্ত নৈরাশ্য! ভিডিওতে নিজেকে বিকৃতভাবে পেশ করার কারণ কী?
■ অ্যানার্কির সঙ্গে আমার কিছু দর্শন মেলে। আমি এখনও খুব ভেবে দেখিনি। আমি প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছি বলে আমার মনে হয়নি। আমি মানবাধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি। সারা পৃথিবীতেই মানবাধিকারের যাকে বলে (ছাপার অযোগ্য) মারা গিয়েছে। আমি আরও বেশি মানবাধিকার কীভাবে পাওয়া যায় তার চেষ্টা করছি। আমার বিশ্বাস, এই স্বাধীনতাটুকু আমার প্রাপ্য। আর ভিডিওতে বিকৃতি নিয়ে যেটা বলছেন, সেখানে একটা গোলমাল রয়েছে। এটা কিন্তু শিল্পের একটা ধরন। আমাকে ওই আর্ট ফর্মটার সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। আমি ওই হতাশাগ্রস্ত চরিত্রটা না–ও হতে পারি। হারমনি না থাকলে শুধু ফ্রাস্টেশন দিয়ে আর্ট ফর্ম হয় না। আমি তো আমার মতো হয়েছি। সেটা আপনার অদ্ভুত লাগলে সেটায় আমার (ছাপার অযোগ্য) যায়। তবে আমি কাউকে আঘাত করি না।
● আপনাকে কোন শিল্পী উদ্বুদ্ধ করেন?
■ সকলেই। কাউকে বাদ দেওয়ার নয়। যে বাচ্চাটা মাদারির খেল দেখায়, তার কাছ থেকেও অনুপ্রেরণা পাই। তবে আমি নবারুণের (ভট্টাচার্য) বড় ভক্ত। আমি নিজেকে ওঁর ভাবশিষ্য বলে মনে করি।
● এই ধরনের ‘অল্টারনেটিভ কালচার’ প্রয়োগের প্রয়োজন কতটা? শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, মনোবিদরা আপনার নিন্দা করছেন।
■ আমরা এখনও আর্ট ফর্মের ম্যাচিওরিটিটা বুঝতে পারছি না। যেভাবে রবীন্দ্রনাথের গানের সিম্বল বুঝতে পারিনি। ‘আমি–তুমি’র রোজকার ভার্সনে নিয়ে যাচ্ছি। কেউ পিঠে ‘চাঁদ’ লিখছে না। যা লিখছে সেটা তার ব্যক্তি স্বাধীনতা। সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। মনোবিদরা নিজের কাজটা বুঝতে পারছে না বলে করছে। এটা চায়ের দোকানে বসে লোক গরম করার একটা ফর্ম। তাঁরা সমাজকে সমৃদ্ধ করতে চাইলে নতুন কিছু করে দেখান।
● রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যের পদত্যাগ নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
■ আমি মর্মাহত। ঈশ্বর উপাচার্যের মঙ্গল করুন (অট্টহাসি)।
● আপনার ইউটিউব চ্যানেলে এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৯৪ হাজার সাবস্ক্রাইবার। রোজগার তো ভালই হয়? অশ্লীল শব্দ ছাড়া কিছু করতে ইচ্ছে করে না?
■ আমার ভিডিওতে কপিরাইট থাকে না। আমার ভিডিও নিয়ে লোকে টাকা করেছে। আমি কর্মযোগে বিশ্বাস করি। ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে যাও। ফলের আশা করো না।
অশ্লীল শব্দ বাদ দিয়ে করব কেন? কেউ নতুন কিছু করলে বেশিরভাগ লোকই বুঝতে পারবে না। আমার কাজে বহু লোক বিনোদন পাচ্ছে। কিন্তু সকলের সামনে স্বীকার করতে পারছে না। বিমূর্ত ছবি সবাই বোঝে না। যারা বুঝেছে তারা মজেছে।
● তাহলে আপনি এই ধরনের ভিডিও
চালিয়ে যাবেন?
■ আমি আমার চর্চা অব্যাহত রাখব। আমাকে জেলে দিক আর ফাঁসি দিক। আই -------(ছাপার অযোগ্য) দিস সোসাইটি। একজন নাগরিক এবং শিল্পী হিসেবে এটা আমার অধিকার। যা করার করে নিক!
০৯ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার চোখে রদ্দুর রায় জিনিয়াসদেরও গুরু! খুব মেধাবী, চৌকশ। অনেকটা আমাদের ব্রাত্য রাইসুর মতো!
২| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৫১
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার এক সাক্ষাৎকার পড়লাম দাদা ভাল থাকবেন
০৯ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
১০ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৪৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: কথার রুচি আছে কিন্তু ভাব ভঙ্গি ভীষণ অরুচিকর
১০ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই সেই রোদ্দুর রায়? তাকে তো বদ্ধ উন্মাদ মনে হয়েছিল, কিন্তু তার কথাগুলো তো অদ্ভুত বুদ্ধিদীপ্ত। মিসগাইডেড জিনিয়াস।