নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশপ্রেমের রকমফের......

১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:১০

১৯৯৪ সাল , ইংল্যান্ডের কেন্ট-এর একটি ছোট্ট গ্রামের এক সাধারণ বাড়িতে ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের পুলিশ দরোজায় কড়া নারে।

৮২ বছরের এক বয়স্ক বিধবা মহিলা দরজা খুলে দেয়। পুলিশ তার নাম জিজ্ঞেস করে কনফার্ম হতেই বয়স্ক নারীকে জানায় - তাকে দেশের বিরুদ্ধে স্পাইয়িং এবং রাষ্ট্র বিরোধী কাজের জন্য গ্রেফতার করা হলো।

৮২ বছরের বুড়ি মিসেস মেলিটা নরউড প্রথম ধাক্কাটা সামলে নিয়ে বললো - অসম্ভব , আমি একজন দেশপ্রেমিক , আমার দেশের বিরুদ্ধে আমি কোন অন্যায় কাজই করতে পারি না। তোমরা ভুল করছো।

***
১৯৩৮ সাল , দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু তখন হয়নি । মিস মেলিটা কেমব্রিজ ইউনিভার্সিতে ফিজিক্স পড়তে ভর্তি হয়।

সফ্ট হার্টেড দরদী মেলিটা নতুন পরিচয় হওয়া এক ফ্রেন্ডের মাধ্যমে কম্যুনিজমের একটি গোপন বৈঠকে কিউরোসিটিতে থেকে জয়েন করে।
সেখানে জার্মানি থেকে বিতাড়িত খুবই শার্প এক ইহুদি ছেলে ( লিও ) এর সাথে পরিচয় হয়। সে কম্যুনিজমের একজন ঘোর সমর্থক এবং সিক্রেট কর্মী।

সময় গড়িয়ে যায় , দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় ততদিনে, মেলিটা ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে একটি রিসার্চে কাজে যোগ দেয় এক প্রফেসরের আন্ডারে।

কিন্তু অল্পদিনেই বুঝতে পারে প্রফেসর এবং তার টিম আসলে যে রিসার্চ করছে আর বাইরে যা প্রকাশ করা হয় , এই দুইয়ের সাথে কোন মিল নেই। গোপন কিছু হচ্ছে যা মেলিটা ধরতে পারছে না।

ইতিমধ্যে অবশ্য প্রফেসরের আস্থা অর্জন করে মেলিটা , এবং একদিন প্রফেসর জানায় ব্রিটেন এটমিক বোম্ব তৈরি জন্য কাজ করছে। তাদের মূল কাজ হচ্ছে যতদ্রুত সম্ভব এই কাজ করা।
আমেরিকা এবং জার্মানিও একই কাজ করছে কিন্তু সে সবার আগে এই বোমা তৈরী করতে যায়। বিশেষ করে জার্মানির আগে
করতে চায় যাতে জার্মানিকে পরাস্থ করা যায় এই যুদ্ধে।

বুদ্ধিদীপ্ত মেলিটা প্রফেসরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে এবং এক সময় প্রফেসরের পার্সোন্যাল সেক্রেটারি হিসেবে কাজ শুরু করে। ফলে এটম বোমার সমস্ত ডকুমেন্ট তার হাতে আসতে থাকে এবং মেলিটা টাইপ করে ফাইলিং কেবিনেটে সংরক্ষণ করতে থাকে।

এরমধ্যে সেই ইহুদি ছেলে লিওর সাথে তার "লাভ এন্ড হেইট" সম্পর্ক চলতে থাকে এবং মেলিটাও কমুনিজমের কাজের সাথে সিক্রেটলি জড়িয়ে যায় এবং সোভিয়েত রাশিয়ার প্রতি দুর্বল হয়ে পরে।

লিও কেজিবির সাহায্যে জানতে পারে মেলিটা আসলে কোথায় কাজ করে এবং কি করে।

লিও ভালোবাসার দোহাই এবং নানা ধরণের টোপ ফেলে মেলিটার কাজে এটম বোমার নকশার কাগজপত্র চায় কমিউনিজমকে সাহায্য করার জন্য।

কিন্তু মেলিটা দেশের টপ সিক্রেট ডকুমেন্ট লিও-কে দিতে অস্বীকার করে।
এতে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে যায়, তবুও মেলিটা দেশের বিরুদ্ধে যেতে চায় না কম্যুনিজমের কর্মী হয়েও।

এরমধ্যে আমেরিকা ব্রিটেনের আগেই এটম বোমা তৈরী করে ফেলে সফল পরীক্ষা করে, এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে দুটি বোমা ফেলে সারা বিশ্বেকে তাক লাগিয়ে দেয়।

এই বোমার ভয়াবহতা দেখে মেলিটা ভেঙে পরে , সে কিসের জন্য কাজ করছে !
সে মানবসভ্যতা ধ্বংসের জন্য কাজ করছে !!!

তখনই সে সিদ্ধান্ত নেয় মানুষকে বাঁচানোর জন্য তাকে কিছু করতে হবে।

এরপর মেলিটা তার পুরোনো বন্ধুর মধ্যমে কেজিবির সাথে যোগাযোগ করে ব্রিটেনের এটোমিক বোমার বিভিন্ন তথ্য , নকশাসহ গোপন ডকুমেন্ট রাশিয়ায় পাঠাতে থাকে।

১৯৭২ সালে মেলিটা রিটায়ার্মেন্টে যায়, এবং এর বহু পরে ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিস তার এই কার্যকলাপ সম্মন্ধে জানতে পারে ১৯৯০ সালে সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙ্গে যাওয়ার পর।

তখন ছয় ট্রাঙ্ক ভর্তি ডকুমেন্টসহ এক কেজিবি সদস্য ডিফেক্ট করে ব্রিটেনে আশ্রয় নেয়। তার কাছে মেলিটার পাঠানো ডকুমেন্ট পাওয়া যায়।

এই খবর প্রকাশ পাওয়ার পর মেলিটাকে ট্রেইটর , রাষ্ট্রদ্রোহী বলে মানুষ ঘৃণা করতে শুরু করে।

মেলিটার ছেলে একজন বড় ব্যারিস্টার, সে নিজেও সবজেনে মাকে ডিফেন্ড করতে এগিয়ে আসে না। উল্টো ভর্ৎসনা করে মায়ের সাথে সম্পর্ক এক প্রকার ত্যাগ করে।

উপায় না দেখে বয়স্ক মেলিটা নিজেই নিজের বাড়ির সামনে একটি সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলে- আমি নিজেকে কখনোই দেশদ্রোহী মনে করি না। আমি একজন দেশপ্রেমিক এবং সর্বদাই দেশের ভালোর জন্য কাজ করেগেছি।
আমি নির্দোষ এবং আমি কোন ভুল করি নাই।

এরপর অবশ্য তার কেইস কোর্টে যায়।

তখন অবশ্য তার উকিল ছেলে মাকে ডিফেন্ড করতে এগিয়ে আসে।

মেলিটা তার ছেলেকে বলে- আমি দেখতে পেয়েছিলাম এই ভয়ানক অস্ত্র যদি একটিমাত্র শক্তির কাছে থাকে তবে বিশ্বে ইম্ব্যাল্যান্স তৈরী হবে। একটি পক্ষ প্রয়োজনে ব্যবহার করে অগণিত মানুষ হত্যা করবে।

কিন্তু যদি উভয় পক্ষের হাতে এই মারণাস্ত্র থাকে তবে লাভক্ষতি চিন্তা করে এই অস্ত্র কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।

ফলে বিশ্বের মানুষ বেঁচে যাবে এই ভয়ানক অস্ত্রের হাত থেকে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। এজন্যই আমি পশ্চিমের শত্রু সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে এই গোপন তথ্য পাঠাই ।

কোর্টের ফাইনাল শুনানিতে ছেলে তার মায়ের পক্ষে বলে,

- আমার মা যা করেছে একজন সাধারণ নাগরিকের চোখে হয়তো অপরাধ মনে হতে পারে। কিন্তু প্রতিটি বিবেকবান মানবিক মানুষ মাত্রই চায় সারা দুনিয়াতে শান্তি আন্তে।
কিন্তু কেউ জানে না কি করে সেই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে, এবং কিছু করতেও পারে না।

আমার মা মানব সভ্যতাকে বাঁচাতে , বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে নিজ উদ্যোগে কিছু করেত চেয়েছিল। আর তাই এই ভয়ানক অস্ত্রের টেকনোলজি সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে মানব সভ্যতাকে হয়তো রক্ষা করেছে।

তবে সবকিছু জানার পর বিচারক মেলিটার বয়স বিবেচনা করে মেলিটাকে মামলা থেকে খালাস দেয়।

২০০৫ সালে মিসেস মেলিটা নরউড ৯৩ বছর বয়সে মারা যায়।

*** মেলিটার এই কাহিনী ব্রিটেনে "গ্র্যানী স্পাই " নাম পরিচিত লাভ করে। ১৯৯৯ সালে এই সত্য কাহিনী নিয়ে একটি বই লেখা হয়। এর উপর ভিত্তি করে একটি মুভি বানানো হয় - "রেড জোয়ান " নামে।
মুভিটি বিবিসির আইপ্লেয়ারে ফ্রি দেখা যাবে যদি দেখতে চান।

তবে মূল ঘটনা থেকে বই এবং মুভি কিছুটা ভিন্ন ( হয়তো ড্রামাটাইজড করার জন্য )।
আমি মুভি থেকে নিয়ে সংক্ষেপে এখানে উপস্থাপন করেছি।

বিঃ দ্রঃ মেলিটা বিশ্ব শান্তির ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা ডিক্টেটর স্টালিনকে আণবিক বোমার তথ্য দেয় , আমিও ঠিক সেই একই কারণে রাশিয়ার উত্থানকে সাপোর্ট করছি।

শুধুমাত্র ইউক্রেনের দিকে ফোকাস না করে আপনাকে দেখতে হবে , রাশিয়া নিজে আগ্রাসন চালিয়ে আসলে কাদের আগ্রাসনকে ঠেকালো।

(কপি-পেস্ট, ইষত পরিমার্জিত)

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শেষে এসে যা বললেন, ঠিক একই কারণে আমিও রাশিয়ার উত্থানকে সমর্থন করছি, এতে অবশ্যই একটা পাওয়ার ব্যালেন্স সৃষ্টি হবে, আমেরিকা/ন্যাটোর একচেটিয়া দাপট থামবে।

মেলিটা নরউডের প্রতি আমারও শ্রদ্ধা রইল। তিনি সত্যিই মানবিক ও বিবেক সম্পন্না মানবী ছিলেন।

ভালো পোস্ট শেয়ার করেছেন।

১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২| ১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৩০

সাসুম বলেছেন: আপনার এই লিখা একটা জনতুষ্টির লিখা, সুন্দর লিখা, বাহবা পাবে অনেক। আমি নিজেই দেব। গ্রেট জব।

কিন্তু পুরা লেখা এবং লেখার কনক্লুশানে একটা এথিকাল এবং মোরাল ডিফেক্ট আছে। যেটা আপনি এড়িয়ে গিয়েছেন।

গ্রানি স্পাই সোভিয়েত কে আনবিক বোমার প্রযুক্তি দিয়েছিল মানুষ মারার জন্য না, যাতে বিপক্ষ দলের কাছে এমন কিছু যাতে যার ফলে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় থাকে।

এই ঘটনার পর, আনবিক বোমাবাহী দুই দেশের মাঝে কোন যুদ্ধ হয়নাই, কোন নিরীহ মানুষ মারা যায়নাই। কারন- মেলিটার এই কাজ!

মেলিটার মেইন উদ্দেশ্য ছিলঃ যুদ্ধ ঠেকানো, মানুষ মারা ঠেকানো।

মেলিটা যদি এটা না করে, গোপনে সোভিয়েট যোদ্ধা দের ব্রিটেনে ডেকে আনত এবং সেই সোভিয়েট কমান্ডোরা হাজার হাজার বোমা ফেলে, নিরীহ মানুষ মেরে , মানব সন্তান খুন করে, একটা স্বাধীন দেশ এর উপর মিলিটারি এগ্রেশান চালিয়ে আনবিক বোমার কৌশল আয়ত্ত করতে চাইত, তখন দুনিয়ার কোন মানুষ ই কিন্তু এটাকে সাধুবাদ জানাত না, হোক এই আনবিক বোমার কৌশল আরো লাখ লাখ ফিউচার মানুষের জীবন নাশের কারন হতে পারত যদিনা রাশার কাছে না থাকত।

এখন, রাশিয়াকে সাপোর্ট করা সেই পর্যন্ত ঠিক আছে যতক্ষন রাশিয়া ইউক্রেনের বুকে বোমা মারেনাই, ইউক্রেনের নিরীহ মানুষ খুন করা শুরু করেনাই, বোমা মারা শুরু করে নাই।

এখন , আপনার মোরাল ও এথিকাল গ্রাউন্ড থেকেই আপনাকে রাশিয়ার বিরোধিতা করতে হবে। রাশিয়ার এই আক্রমন এর বিরোধিতা করা মানে আম্রিকা বা ন্যাটোর প্রতি ভালোবাসা দেখানো না, রাশিয়ার এই আক্রমন এর বিরোধীতা মানে হল- স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্ব ও মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো।

এই ফাইন পয়েন্ট টা মিস করা যাবেনা জুল ভার্ন ভাই। মোটেই না

১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার বক্তব্য আমারও হৃদয় উৎসারিত মনোভাব। আপনাকে সশ্রদ্ধ সালাম। কিন্তু সত্য বলতে কি রাশিয়ার সিকিউরিটি গ্যারান্টির কথা কেউ মুখেও নিচ্ছে না। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাংগনের পর রাশিয়ার সাথে ন্যাটো জোটের অনেক চুক্তি হয়েছিল- রাশিয়ার দোরগোড়ায় ন্যাটো আসবেনা। কিন্তু ন্যাটো এগুলো থোড়াই কেয়ার করে বার বার সাবেক সোভিয়েত স্টেটগুলোকে ন্যাটোতে ভিড়ানোর মাধ্যমে রাশিয়ার সিকিউরিটি থ্রেট তৈরী করতেছে। ইউক্রেন হল রাশিয়ার উঠান গায়ে পরে রাশিয়াকে উষ্কেছে পশ্চিমারা, ইউক্রেনকে পশ্চিমাদের সাথে দহরমমহরম বাদ দিয়ে একটা ব্যালেন্স নীতি গ্রহন করতে পারত না? জেলেনেস্কি হল পাড়ার গাউড় ছেলে.....বর্তমান ছাড়া আর কিছুই ভাবেনি।

আবারও বলছি, একবার মনে করে দেখুন- কিউবাতে যখন সোভিয়েত মিসাইল নেয়া হয়েছিল তখন আমেরিকা বাধ সেধেছিল এই বলে যে- তার বাড়ীর দোড়গোড়ায় সোভিয়েত মিসাইল বসতে দিবেনা। অথচ এখন ন্যাটো একই কাজ করতে চাইছে রাশিয়ার দোড়গোড়ায় ইউক্রেনে ন্যাটোর মিসাইল বসিয়ে। সেটা রাশিয়া কেন মেনে নিবে? আমেরিকার এক কেন্দ্রীক ক্ষমতার ভারসাম্য রাশিয়া এবং চীন মিলে খর্ব করতে চাচ্ছে। আবার জার্মানী যেন জেগে না উঠে সেটাও লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে আবার ইউরোপ উত্তাল হতে চলেছে। দেখা যাক দানিউব নদীর পানি কোনদিকে গড়ায়।

খুব মনে পড়ছে সিরিয়ার এলোপ্পোর আর ইরাকের বাগদাদের কথা। ফিলিস্তিনি, রোহিঙ্গাদের, কাশ্মীরীদের, আর উইঘুরদের কথা। যাদের দুর্দশার কথা পশ্চিমা বিশ্ব কখনো ভাবেনি। নিজেদের দুঃখ দুর্দশায় যেমন মন কাঁদে তেমন পরেরটায় কাঁদে না। পাশ কাটিয়ে যাই, বা তেমনভাবে ফীল করতে পারি না- এটাই মানব ধর্ম।

আমি দৃঢ়ভাবে বলছি- রাশিয়ার এই যুদ্ধ অন্যায়। এই অন্যায় যুদ্ধে পশ্চিমারা আজ যেমন কষ্ট পাচ্ছে, কিংবা রাশিয়ার এই অন্যায় আর অন্যায্য যুদ্ধের বিরোধিতা করছে, তেমন তারা মুসলমানদের বেলায় করে নাই। বরং তাকে নানানভাবে জাস্টিফাই করেছে। সিরিয়া থেকে যখন হাজার হাজার শরণার্থী ইয়োরোপের দিকে ধেয়ে গেছে তারা সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে, যা আজ গোটা ইয়োরোপের সীমান্ত খুলে রেখে দুই হাত বাড়িয়ে অপেক্ষা করছে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য। ওদিকে যারা এর আগে সিরিয়ানদের উপর রাশিয়ার বোমাবাজির বিরোধিতা করছে, তাদের অনেকেই আজ রাশিয়াকে বাহবা দিচ্ছে। আমি উভয় ক্ষেত্রেই রাশিয়ার এই অন্যায় আক্রমনের বিরোধিতা করছি।

Infact I was in dark regarding the present agitation between Russia & Ukraine! The analysis crystally cleared the situation before my eyes! Nicely analyzed our relation & probable crisis we might face from our next door neighbour!

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পশ্চিমা অন্ধ দানব এর হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে ব্যালান্স অব পাওয়ার অতীব জরুরী।

১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: যারা যুদ্ধ দেখেছে তারা জানে যুদ্ধের ভয়াবহতা, যারা সর্বহারা তারা জানে সব হারানোর হতাশা, ছিন্নমূল মানুষেরা জানে বোমা হামলায় ঘর হারানোর যন্ত্রণা।

১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

৫| ১১ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকা ধরেই নিয়েছিলো ন্যাটো আর রাশিয়ার সাথে বড় ধরণের সামরিক সংঘর্ষ হবে। সব ধরণের আয়োজন ও করে ফেলেছিলো তারা। কিন্তু পুতিনের একের পর এক কৌশলগত ভেল্কির পর আমেরিকা কি করে তা দেখার বিষয়।

১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও মনে করি - পুতিনের ধিস্থীয়তা বুদ্ধিদীপ্ততার জন্যই বড়ো ধরনের আন্তঃদেশীয় যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। বৃটেন যেভাবে উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে তার আংশিক প্রতিক্রিয়াও যদি পুতিন দেখাতো তাহলেও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অনিবার্য ছিলো।

৬| ১১ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৮

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: মেলিটা তার ছেলেকে বলে- আমি দেখতে পেয়েছিলাম এই ভয়ানক অস্ত্র যদি একটিমাত্র শক্তির কাছে থাকে তবে বিশ্বে ইম্ব্যাল্যান্স তৈরী হবে। একটি পক্ষ প্রয়োজনে ব্যবহার করে অগণিত মানুষ হত্যা করবে।
........................
আমিও ঠিক সেই একই কারণে রাশিয়ার উত্থানকে সাপোর্ট করছি। শুধুমাত্র ইউক্রেনের দিকে ফোকাস না করে আপনাকে দেখতে হবে , রাশিয়া নিজে আগ্রাসন চালিয়ে আসলে কাদের আগ্রাসনকে ঠেকালো।

১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি রাশিয়ার অবস্থানকে উপলব্ধি করতে পারি কিন্তু অন্য একটি স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কেড়ে নেওয়া সমর্থন করিনা। একই সাথে ইউক্রেনের মতলবেরও বিরুদ্ধে।

৭| ১১ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২

জুন বলেছেন: দারুন একটি লেখা । দেশদ্রোহীতা করেও যে দেশের প্রতি ভালোবাসা দেখানো যায় মেলিটার ঘটনাটি তাঁর জ্বলন্ত প্রমান ।
+

১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:১১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: প্রত্যেকের ভাবনা চিন্তায় বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।

১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: সেটাই স্বাভাবিক।

৯| ১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১৯

সোবুজ বলেছেন: যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো বাইডেন ও জেলেনস্কি।কিন্তু তারা তা করে নি।সমস্ত ক্ষয়ক্ষতির জন্য এই দুইজন দায়ী।

১২ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত। দুনিয়ার সকল খারাবীর পিছনে উস্কানীদাতা হচ্ছে বৃটেন।

১০| ১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:০৪

গরল বলেছেন: যে দেশের নিজেরই ভারসাম্য নাই, যে দেশের প্রধানের নিজের ভারসাম্য নাই তাকে দিয়ে বিশ্বের কি ভারসাম্য হবে আমার ছোট মাথায় ঢুকছে না। যে দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের বাক স্বাধিনতা নাই, স্বৈরাচার ও সামরিক বাহিনী নিয়ণ্ত্রিত সরকার, যে দেশে তার নিজের জনগণের মানবধিকার নাই সেই দেশ আনবে পৃথিবীর ভারসাম্য? মানুষের বিবেক বুদ্ধির প্রশংসা না করে পারছি না।

১২ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: বিশ্বজুড়ে এখন গণতন্ত্র হচ্ছে- সুবিধাবাদীতার অপর নাম।

ধন্যবাদ।

১১| ১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।

১২ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৩২

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার পোস্টে যারা মন্তব্য করেন- আমি সব সময় তাদের মন্তব্যের জবাব দেই। এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব মনে করি। কখনো কখনো বিভিন্ন সমস্যার জন্য যথাসময়ে মন্তব্যের জবাব নাদিতে পারলেও ৪/৫ দিন পর হলেও মন্তব্যের জবাব দেই।

ধন্যবাদ।

১২| ১২ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আসলে খালি চোখে অনেক সত্যেই ধরা পড়েনা।

অজানা তথ্য শেয়ারে ধন্যবাদ।

১৩ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.