নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ভয়াবহ অভিজ্ঞতা....
....ইফতারের আধাঘন্টা আগে ফার্মগেট থেকে কিছু ফ্রুটস কিনেছি। ফার্মগেট-গ্রীন রোডে তেমন জ্যাম না থাকলেও পর্যাপ্ত রিকশাও নাই। তাই ফুটপাতে পথচারীদের ভীড় এড়িয়ে হেটে বাড়ির দিকে যাচ্ছি....আনন্দ-ছন্দ সিনেমা হলের করিডোর হয়ে হাটছি...হঠাৎই ১৮/২০ বছরের এক তরুণ আমার বিপরীত দিক থেকে দ্রুত হেটে আমাকে অহেতুক ধাক্কা দেয় এবং ওই যুবকের হাত থেকে একটা মোবাইল ফোন পরে গিয়ে অনেক গুলো টুকরা হয়ে এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়ে!
যুবকটি ভাংগা ফোনের কয়েকটা টুকরো তুলে মূহুর্তের মধ্যে আমার সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলছে- "আপ্নে ধাক্কা মাইরা আমার ২৪ হাজার টাকা দামের নতুন ফোন ভাইংগা ফালাইছেন। চারদিন আগে ফোনটা কিনছি....আমার ফোনের দাম দিয়ে যাইতে হইবে....."!
ইতোমধ্যে ৪/৫ জন যুবক এসে আমাকে ঘিরে ধরেছে...ভাংগা ফোনের টুকরো গুলো হাতে নিয়ে সবাই আপসোস করছে! ওদের কেউ কেউ আমাকে ফোনের দাম মিটিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছে, কেউ উগ্রতা প্রকাশ করছে...আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ়!
প্রথমত ধাক্কা লাগায় আমার বিন্দুমাত্র দায় নেই। কারণ আমি পদচারিদের ভীড় এড়িয়ে ফাঁকা জায়গা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। অপর দিক থেকে আসা এই যুবক অন্যমনস্ক ভাবে ফোনে কথা বলতে বলতে আমাকেই ধাক্কা দিয়েছে.....যেহেতু আমি সতর্ক ছিলাম তাই পরে যাইনি।
যার ফোন ভেংগেছে সেই তরুণ ভাংগা ফোনের টুকরো গুলো হাতে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমি ইনভার্সিটিতে পড়ি, টিউশনি করে পড়ার খরচ চাইলাই। আমার বাবা নেই। মা গ্রামে থাকে। অনেক কষ্টে ধারকর্জ করে ২৪ হাজার টাকায় ফোনটা কিনছি..... আংকেল আপ্নে আমার ফোনের দাম দিয়ে দেন...."।
আমি বুঝতে পারি- এই ঘটনা প্রতারক চক্রের পুরোটাই সাজানো......আমি ইতস্তত করছি- কি ভাবে এই সমস্যার সমাধান করবো.....
আমি খুব স্বাভাবিক ভাবে তরুণকে বলি, 'তোমার এতো সুন্দর দামী ফোনটা ভেংগে গেলো! তুমি শান্ত হও। তোমার নাম কি? কোথায় থাকো?'
তরুণের নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন সুমন। যে এলাকার মেসে থেকে পড়ে বলেছে সেই এলাকা প্রায় আমার বাড়ি সংলগ্ন।
'ঠিক আছে, তুমি শান্ত হও, কেঁদো না। আমার সাথে অল্প কিছু টাকা আছে...ইফতারের সময় বেশী বাকী নাই, আমার বাড়ি এখানেই, আমার সাথে বাসায় চলো....'- বলার সাথে সাথেই মোহাম্মদ রুহুল আমিন সুমন বলে- "আমি এই যায়গা দিয়া এক পাও যামুনা, এইখানে খাড়া খাড়া গুইন্না গুইন্না ২৪ হাজার টাকা দিতে হইবে। আমি একটা ডাকদিলে এক হাজার মানুষ আইস্যা আপ্নের ঘিররা ধর্বে!"
আমাকে ঘিরে থাকা অন্য ৩/৪ জন তরুণ যুবক মারমুখী হয়ে "মুরব্বি এইখানেই টাকা দিয়া যাইতে হইবে"- বলে আমাকে প্রায় ঠেলে পার্শ্ববর্তী গলির দিকে নিয়ে যেতে উদ্ধত হয়। একজন আমার প্যান্টের পকেট থেকে মানিব্যাগ কেড়ে নিতে হাত দেয়....এবার আমি রুখে দাঁড়াই- কুত্তার বাচ্চা, শরীরে হাত লাগাবিতো জানে মাইরা ফেলবো বলেই সরাসরি মুখের উপর এক থাপ্পর বসিয়ে দেই। মোহাম্মদ রুহুল আমিন সুমন এর একটা হাত শক্ত করে ধরে বলি- 'এই ছেলে যে মেসে থাকে সেই মেসের কাছেই আমার বাড়ি....আমি আপনাদের সহ ওকে নিয়ে আমার বাড়ি যেয়ে ওর ফোনের দাম দিয়ে দেবো। অথবা আমি আমার ছেলেদের ফোন করছি - ওরা টাকা নিয়ে আসবে- কেউ আমাকে টাচ করবেনা।'
ওদেরই একজন আমাকে আস্তে করে বলে, "আংকেল, অয় ছাত্র মানুষ ফোন্ডা ভাইংগা ফালাইছেন। অরে আপনে ইনসাফ মতো দিয়ে দেন- ঝামেলা কইররেন্না, বেশী মানুষ জড়ো করলে আপনেরই ইজ্জত নষ্ট হইবে, বোঝেনইতো এরা ভালো লোক না"।
ইতোমধ্যে ২৫/৩০ জন পথচারীদের ভীড় জমে গিয়েছে। উপস্থিত দর্শক প্রায় সবাই ফোন ভাংগা তরুণের পক্ষে! আমি ফোনে ৯৯৯ কল করতে চেষ্টা করছি .... একটু দূরে পুলিশের একটা পিকআপ দাড়িয়ে আছে। কয়েক জন পুলিশ ফুটপাতে হাটছে....আমি চিৎকার করে পুলিশ ডাকছি....হঠাৎই ভীড় ঠেলে দুই তরুণ এসে মোহাম্মদ রুহুল আমিন সুমনকে জাপটে ধরে বলে- "ধরছি ধরছি, এই লোক দুই দিন আগে আমাকে খামারবাড়ির মোড়ে ধাক্কা মেরে নিজের ফোন ভেংগে আমার কাছে থাকা ছয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে....এরা প্রতারক"।
সাথে সাথে মোহাম্মদ রুহুল আমিন সুমন এবং তার সংগীরা বলে- "ঠিক আছে কালাম ভাইরে ডাইক্কা আনি...."- বলে ভীড়ের মধ্যে হারিয়ে যায়....কিন্তু দুই তরুণ মোহাম্মদ রুহুল আমিন সুমনকে ছাড়ছেনা বরং কিল ঘুষি মেরে শোয়ায়ে ফেলেছে।
টহল পুলিশ এসে বিস্তারিত শুনে মোহাম্মদ রুহুল আমিন সুমনকে পুলিশের গাড়িতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ভাংগা ফোন চেক করে দেখে ওটা ফোনের নতুন কভারের মধ্যে একটা পুরনো ফোনের যন্ত্রাংশ ঢুকিয়ে ফোন ভাংগার নাটক করেছে....ওর পিঠে থাকা ব্যাকপ্যাক চেক করে একটা অচল ল্যাপটপ এবং আরও দুটো পুরনো অচল ফোন সেট পায়। পকেটে ১৬১০ টাকা নগদ পেয়েছে।
পুলিশ আমাকে থানায় যেতে বলে। আমি বলি- 'আমি ক্ষতিগ্রস্ত নই, আমি থানায় যাবোনা। এই দুই তরুণের অভিযোগ, ওদের থেকে দুই দিন আগেই প্রতারণা করে ছয় হাজার টাকা নিয়েছে - সম্ভব হলে ওদের হেল্প করবেন'- বলে আমি বাসায় ফিরে যাই।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪১
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই আমরা সবাই সতর্ক থাকবো। এবং কোনো অবস্থাতেই ভড়কে গেলে চলবে না। সাহস করে রুখে দাঁড়াতে হবে।
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩২
শাহ আজিজ বলেছেন: ইদ পূর্ব সালামি গলায় গামছা দিয়া টেকা নিতে চায় । ভাল করেছেন সাহস দেখিয়ে । এলাকাটি ভাল নয় ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি মূহুর্তের জন্যও ভয় পাইনি বরং ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় মনোনিবেশ করেছিলাম। ওদেরই ভাগ্য ভালো ওরা রণে ভংগ নাদিলে ওদের চেহারা বদলে ফেলতাম... ঠিক বলেছেন- ফার্মগেট, তেজগাঁ কলেজ এবং সংসদ ভবন সংলগ্ন টি এন্ড টি মাঠ এলাকায় এই চক্রটা সক্রিয়।
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: সাহসের কারণে এ যাত্রায় বেঁচে গেছেন। কিন্তু কি দেশে আমরা বাস করি! আরেকটু হলেই তো অপদস্থ হতে হতো, হয়তো।
ঘটনাটি এখানে জানিয়ে ভালো করেছেন। অন্যরা সতর্ক হবার সুযোগ পাবে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আল্লাহর রহমত কোনো রকম শারিরীক আঁঘাতের শিকার হইনি- যা এইসব ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। মজার ব্যপার হচ্ছে- উতসুক জনতা সবাই ফোন ভাংগা প্রতারকের পক্ষে কথা বলছে-"ছাত্র মানুষ, মুরব্বী আপ্নে ধাক্কাদিয়া ফোন্ডা ভাইংগা ফালাইলেন"! পুলিশ এসেও ঘটনার সাথে আমাকে যেকোনো ভাবে জড়াতে চেষ্টা করছিলো!
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ঢাকার রাস্তায় সচেতনতা কাজে দেয়না মাঝে মধ্যে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা, প্রতারকদের প্রতারণার কৌশল এক এক যায়গায় ভিন্ন ভিন্ন রকম। তাই পরিস্থিতি সামলানো সহজ হয় না। তবে ভূক্তভোগী যদি ভয়/বিচলিত নাহয়ে ধীর স্থির মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন তাহলে পরিস্থিতি হ্যান্ডল করা সহজ হবে। সবার আগে জন বিচ্ছিন্নতা এড়িয়ে স্থানীয় জনতার সহায়তা নিতে হবে।
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:১৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ওরা আপনাকে টার্গেট করলো কেন? কি মনে হয়?
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার মনে হয়, প্রতারক চক্র হয়তো ভেবেছিলো নিরিহ বয়স্ক মানুষ, হাতে ফলের ব্যাগ সহসাই কাবু করে ফেলতে পারবে....
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২১
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: এরকম হচ্ছে আমি ও একদিন এই ক্ষপরে পরেছিলাম
ফোন না হাততে হাত লাগানোর জন্য
প্রায় ২০ হাজার টাকা ছিনতাই
এমন কি হাতের আংটিটাও - ভাল থাকবেন
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি এর আগে এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন হইনি।
৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৯
সেজুতি_শিপু বলেছেন: বড় বিপদ থেকে রক্ষফ পেয়েছেন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
নতুন বলেছেন: বড় বিপদ থেকে বেচে গেছেন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: আল্লাহর রহমত।
৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩২
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি বেচে গেছেন অসম্ভব ভাবে বেচে গেছেন !!!! এরা সঙ্ঘবদ্ধ !! কয়েকদিন সাবধান থাকবেন !!! কারন এরা আপনাকে আবার এট্যাক করতে পারে ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আল্লাহ ভরসা!
১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ যে কত রকম উপায়ে প্রতারনা করে।
তবে আপনার উচিৎ ছিলো আরো কঠোর হওয়া।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: শুকরিয়া। অনেক কষ্টে রমজানের সংযম বজায় রেখেছি।
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অল্পের উপরদিয়ে ঝামেলা মিটেছে। কখনযে কার উপরে কোন ঝামেলা এসে হাজির হয় বলা মুশকিল।
ভালো থাকুন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: শুকুর আলহামদুলিল্লাহ।
ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর বাসায় ফিরে ভাবছি- এইধরনের প্রতারকদের হাতে ছুড়ি/চাকু থাকতে পারে- যার অপব্যবহার ওরা অনায়াসেই করতে পারতো!
১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৯
ইসিয়াক বলেছেন: ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা!! যাক ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে পেরেছেন এটাই অনেক।
সাবধানে থাকবেন।
প্রতিদিন নিত্য নতুন প্রতারণার ফাঁদ পাতে এই সব প্রতারক চক্র। পোস্টটি পড়ে সকলে সতর্ক হবেন আশা করি।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক।
১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সেই মুহূর্তে মাথা স্থির রাখা মুশকিল। সচেতন হয়ে লাভ হবে না। বেঁচে গেছেন আপনি। এমন ঘটনা অনেক শুনেছি , ঘটেছে বলেই শুনেছি।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি পরিস্থিতিতে ভয় না পেয়ে স্বাভাবিক থাকতে পেরেছিলাম- সেজন্যই বড়ো বাঁচা বেঁচে গিয়েছি।
১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমি নিশ্চিত ধরা খেয়ে যাবো।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: বিপদে মনোবল হারাবেন না।
১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫৪
বিটপি বলেছেন: থাপ্পরটা যখন মারলেন, তখন ৪/৫ জন মিলে যদি আপনাকে পালটা মারা শুরু করতে, তখন কি করতেন?
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: "ঢিল মারলে পাটকেল খেতেই হবে"- জানি। তবে আমি বিনা চ্যালেঞ্জে কিছুই ছেড়ে দেইনা। সর্বপরি খালি হাতে ২/৪ জনকে সামলানোর ট্রেনিং প্রাপ্ত মানুষ আমি! যৌবনে আরও বেশী ডেসপারেট ছিলাম। আমার এক থাপ্পরেই লোকটা বুঝে গিয়েছিলো- এরপর কি হতে পারে......
১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০৪
জ্যাকেল বলেছেন: থাপ্পড় মেরে ভুল করেছেন। তবে আমি প্রথম বাক্যেই বুঝে গিয়েছিলাম ঘটনাটা কি? এই ধরণের চক্র শহরের বিশেষত গুলিস্তানের গলিগুলাতে ওৎ পেতে থাকে বলে শুনেছিলাম। আল্লাহর শুকরিয়া যে আপনার কিছু হয় নি।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার ধারনা, আমি থাপ্পর মেরে রিভেঞ্জ নিয়েছিলাম বলেই এবং একই সাথে আমি ওদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওরা ভড়কে গিয়েছিলো। একদা প্রতারকদের হেড কোয়ার্টার ছিলো গুলিস্তান, যা এখন গোটা বাংলাদেশেই ছড়িয়ে গিয়েছে।
১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: দারুন লিখেছেন। এখন থেকে খুব সর্তক থাকতে হবে। এটা স্টিকি পোস্ট করা হোক।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: সদা সতর্ক থাকতে হবে যেকোনো অবস্থায়।
১৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমি ধরা খেয়ে যেতাম।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: সাহস হারাবেন না। মরার আগে মরবেন না।
১৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮
সোবুজ বলেছেন: বিপদ এড়িয়ে চলতে চাইলেও বিপদ নিজেই ঘাড়ে এসে পড়ে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি যতই বিপদ এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করবেন- বিপদ চারদিক থেকে আপনাকে ঘিরে ধরবে। এটাই বিপদের বৈশিষ্ট্য!
২০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
আপনার সাহসকে বলিহারি! মাথা ঠান্ডা রাখতে পেরেছিলেন বলেই এ যাত্রা বেঁচে গেলেন। এবং পরিস্থিতিও অনুকূলে ছিলো। বারবার এমন নাও হতে পারে।
সাবধানে থাকবেন। সৃষ্টিকর্তাকে শুকরিয়া যে, আপনি বহাল তবিয়তে আছেন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের পর আমার ভয় বেড়েছে- রাতে ঘুমোতেও সমস্যা হয়েছে, কতো বড়ো ঝুকি আমি নিয়ে ফেলেছিলাম ভেবে!
২১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২২
মেহবুবা বলেছেন: উপস্থিত বুদ্ধি এবং শক্তি কাজে লাগিয়ে উদ্ধার পেয়েছেন, আপাতদৃষ্টিতে এমনটি মনে হলেও আসলে কপাল ভাল বলে ভাল আছেন।
মূহুর্তে ছুরি বা অন্য কোন ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে ফেললে বিপদ হোত।
আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: বোন, পরিস্থিতি বিবেচনায় যা করেছিলাম আমার সামনে বিকল্প কোনো পথ ছিলোনা। পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের পর আমার ভয় বেড়েছে- রাতে ঘুমোতেও সমস্যা হয়েছে, কতো বড়ো ঝুকি আমি নিয়ে ফেলেছিলাম ভেবে! কতো বড়ো বিপদ হতে পারতো!
আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন হেফাযত করেছেন।
২২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০৪
সিগনেচার নসিব বলেছেন: সংঘবদ্ধ চক্র সত্যিই ভয়াবহ।
সময় আপনার পক্ষে ছিলো।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: আল্লাহ মহান।
২৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:২৫
সাইবার সোহেল বলেছেন: সাহস ও উপস্থিত বুদ্ধির জন্য রক্ষা পেয়েছেন...। আগে বাঙালী ছিল বীরের জাতি আর এখন হয়েছে চোরের জাতি..। মহান আল্লাহ্ তা আলা সবাইকে সব ধরনের অনাকাঙ্খিত বিপদ থেকে রক্ষা করুন...।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমীন।
২৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৩২
জটিল ভাই বলেছেন:
আলহাম্দুলিল্লাহ্। আল্লাহ্ বড় মুসিবত হতে রক্ষা করেছেন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: সত্যিই কতো বড়ো বিপদ থেকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন!
২৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাহস এবং ভাগ্যের সহায়তার কারণে বেঁচে গেলেন। আমি এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে কী করবো ভাবছি। গায়ে হাত তুলতে যাওয়া কি ঠিক হবে? যদি চাকু দিয়ে পোঁচ মেরে দেয়?
১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: হামা, ওরা যদি চাকু বের করে আমাকে আঁঘাত করতো তবুও আমি সর্বশক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পরতাম। কারন, আত্মরক্ষার জন্য এর কোনো বিকল্প পথ নাই। তবে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করা যেতো। কিন্তু তাতেও আঁঘাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার নিশ্চয়তা নাই।
২৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯
জুন বলেছেন: জুলভার্ন,
আপনার এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথাটি আমি অনেকের সাথে শেয়ার করেছি। আজ এয়ারপোর্ট রোডে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের দুই হাত এর মধ্যে যানজটে ধীরে চলা বাসের জানলা দিয়ে যাত্রীদের জিনিসপত্র ছিনতাই করার চেষ্টা করছিল তিনজন। আমার ড্রাইভার দেখালো, দুজন মিলে একজনকে উচু করে জানালার কাছে ধরছে সে ভেতরে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছিল। কারো কাছ থেকে কিছু নিতে পারেনি, যাত্রীরাও বোধ হয় সতর্ক ছিল। কোন দেশে বাস করি আমরা! কি ভয়ংকর অবস্থা! বাসে চলাচলকারীদেরও সাবধান হতে হবে। আপনার এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথাটি আমি অনেকের সাথে শেয়ার করেছি। আজ এয়ারপোর্ট রোডে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের দুই হাত এর মধ্যে যানজটে ধীরে চলা বাসের জানলা দিয়ে যাত্রীদের জিনিসপত্র ছিনতাই করার চেষ্টা করছিল তিনজন। আমার ড্রাইভার দেখালো, দুজন মিলে একজনকে উচু করে জানালার কাছে ধরছে সে ভেতরে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছিল। কারো কাছ থেকে কিছু নিতে পারেনি, যাত্রীরাও বোধ হয় সতর্ক ছিল। কোন দেশে বাস করি আমরা! কি ভয়ংকর অবস্থা! বাসে চলাচলকারীদেরও সাবধান হতে হবে।
২১ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: এই সমস্যা এখন গোটা দেশ জুড়ে। কিছুদিন আগে আমি মতিঝিল থেকে বাসায় ফিরছিলাম। পান্থপথ বসুন্ধরা সিটির সামনে জ্যামে গাড়ি স্থবীর হয়ে আছে। আমার পাশে দাঁড়ানো প্রাইভেট গাড়িতে অফিস ফেরত মহিলা গাড়ির গ্লাস নামিয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। হঠাতই এক তরুন ছিনতাইকারী ছো মেরে মহিলার হাত থেকে ফোন টেনে নিয়ে সড়ক বিভাজন পেড়িয়ে বিপরীত দিকে দ্রুত চলে যায়! মহিলা চিতকার করছে- "আমার আই ফোন , আমার আই ফোন নিয়ে গেলো....."- কিন্তু কারোর কিছু করার ছিলোনা। এমন কি যার ফোন ছিনতাই হয়েছে- তিনিও গাড়ির ডোড় খুলে বের হতে পারেননি বাম্পার টু বাম্পার- বডি টু বডি জ্যামের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:২৬
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: ভাগ্য ভালো। এই পোষ্ট দেখে আশাকরি সবাই সতর্ক হবে।