নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ঐতিহ্যময় ঢাকা নিউ মার্কেটের সেকাল - একাল.....
কথায় আছে ঢাকার গৃহিণীরা চুলের ক্লিপ কিনতেও নিউমার্কেটে ছোটেন। কিন্তু সেই ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মুখে চুনকালি দিচ্ছে ঢাকা কলেজের 'একশ্রেণীর ছাত্র নামধারী চাঁদাবাজ গুন্ডা'। 'রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এই ছাত্র নামধারী গুন্ডাদের' সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে নিউমার্কেট এলাকায় ক্রেতা সাধারন এখন জান-মালের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত!
আধুনিক নগর সভ্যতায় কেনাকাটার গুরুত্ব যেভাবে বেড়েছে সে হারে বেড়েছে মার্কেটের গুরুত্ব। একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, রাজধানীর কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের একদা প্রথম পছন্দই ছিলো নিউমার্কেট এবং তৎসংলগ্ন গাউছিয়া মার্কেট। যদিও এখন ঢাকা শহর মানেই মার্কেটের শহর। পাড়া মহল্লা সর্বত্রই এখন বিশাল বিশাল শপিং কম্পলেক্স। এমনতরো অজস্র শপিং কম্পলেক্স থাকা সত্যেও ঢাকা নিউ মার্কেটের আবেদন এতোটুকু কমেনি!
এবার চলুন জেনে নেয়া যাক নিউমার্কেটের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ ১৯৫২ সালে ৩৫ একর জায়গা নিয়ে এ মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু করে শেষ হয় ১৯৫৪ সালে। বিকিকিনির জন্য নিউমার্কেটকে বলা যায় এ-ওয়ান। অবশ্য রাজধানীতে আয়েশী অবকাশ কাটাতে ঘুরে ঘুরে প্রশস্ত চত্বরে শপিং করার বেশ কিছু মার্কেট এবং এ সমস্ত শপিং মলে ক্রেতাসাধারণ আকর্ষণীয় সেবা পেলেও নিউমার্কেট তার আকর্ষণ ঠিকই বজায় রেখেছে। নিউমার্কেটের সরকারী ভাবে বরাদ্ধ ৪৪০টি দোকানে আপনি এমন কিছু নেই যা পাবেন না। অভিজাত বেনারসী শাড়ি থেকে শুরু করে শাটিং-স্যুটিং, অলংকার, লেদার আইটেম, বই-পুস্তক, ফটো স্টুডিও, রেস্টুরেন্ট- সবকিছুই পাচ্ছেন কেন্দ্রে অবস্থিত পার্কের চারপাশে। ৫০ এবং ৬০ এর দশকে ঢাকার নিউমার্কেট শপিং এবং চমৎকার সময় কাটাবার সবচেয়ে সুন্দর জায়গা ছিল। ঢাকা রক্ষণশীল শহর হলেও উঠতি যুবকদের বান্ধবী নিয়ে ঘোরার জন্য নিউমার্কেট ছিল নিরাপদ স্থান। কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা একে অপরকে কিছু গিফট করতে সান্ধ্য ভ্রমণটা নিউমার্কেটেই সেরে থাকে।
আশির দশকে নিউমার্কেটের উত্তর মুখে গড়ে ওঠে ক্রোকারিজ সামগ্রীর জন্য নিউ সুপার মার্কেট, কিচেন সামগ্রীর জন্য বনলতা মার্কেট, বিবিধ জিনিসের জন্য চন্দ্রিমা মার্কেট এবং ডি ব্লকে গ্রোসারিজ মার্কেট। মসজিদের পাশে নতুনভাবে বরাদ্ধ দেয়া ৬২টি দোকান দ্রব্যসামগ্রীর পসরা খুলে বসেছে। তবে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের সহায়তায় গোটা নিউমার্কেট জুড়ে ফুটপাত হকারদের দখলে।
অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে এর অনেক পরিবর্তন-বিবর্তন এবং অন্তর্ভুক্তি ঘটলেও নিউমার্কেট সকলের কাছে এখনোর “নিউ”। সময়ের প্রয়োজন মেটাতে নিউমার্কেট তার পরিধি বাড়িয়েছে, সাথে সাথে প্রাচ্য সভ্যতা ও ঐতিহ্যের ধারক নিউমার্কেট মানুষের চাহিদার কথাও ভোলেনি। গ্রোসারি থেকে শুরু করে বই-পুস্তক, ম্যাগাজিন, জুয়েলারি, চশমা, লোকাল এবং ওয়েস্টার্ন ক্রোকারিজ এবং গৃহসজ্জার যাবতীয় সামগ্রী অর্থাৎ আপনার সম্ভাব্য সব প্রয়োজন মেটাতে নিউমার্কেট জুড়ি নেই। গৃহিণীরা অনেকেই জানে নিউমার্কেটের কোন দোকানে তার কাঙিক্ষত দ্রব্যটি মিলবে। ছাত্র থেকে শুরু করে পিতা-মাতারা তাদের প্রয়োজনীয় স্টেশনারী গুডসের সবটাই পেয়ে যায় নিউমার্কেটে।
প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ এবং সহনীয় দামের প্রশ্নেও নিউমার্কেট তার অবস্থান ধরে রেখেছিলো ২০০০ সন পর্যন্ত। ব্যতিক্রম নিউ সুপার মার্কেটের দোতলা-তিনতলার রেডিমেড গার্মেন্টসের দোকানগুলো। উল্লেখ্য দুই ফ্লোরে কেনাকাটার নুন্যতম অনুকূল পরিবেশ নাই। ওখানে ২০০ টাকার জিনিস দাম হাকাবে ২০০০ টাকা। দোকানের মালিক এবং সেলসম্যান সবাই এক কথায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী এবং প্রতারক। কোনো পণ্যের দাম জিজ্ঞেস করলেও ধরা খেতে হয়। দাম পছন্দ না হলে ক্রেতা পণ্য কিনবেন না- এটাই স্বাভাবিক হলেও এই মার্কেটের দোকানীদের হাতে অপমান অপদস্ত এমনকি শারীরিক আক্রমণের শিকার হতে হবে। কাজেই ওই দুটি ফ্লোর এড়িয়ে চলুন।
তবে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের সহায়তায় গোটা নিউমার্কেট জুড়ে ফুটপাত হকারদের দখলে। এহেন খারাবীর পরেও আজও নিউমার্কেট শহরের ঐতিহ্যের কেন্দ্রবিন্দু। তার তোরণ এবং টাওয়ার ধ্রুপদী ইতিহাসের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। নিউমার্কেটের ছোট ছোট কর্নারেও মিলবে আপনার প্রত্যাশিত সামগ্রী। ঢাকাবাসীরা নিউমার্কেটের জন্য রীতিমত গর্ববোধ করে।
দেশ বিদেশের লেটেস্ট ফ্যাশন যদি আপনি হাতের নাগালে পেতে চান তাহলে নিশ্চিতভাবে নিউমার্কেটে চলে আসতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোয়ালিটি পোশাক-পরিচ্ছদ সরবারাহ করছে আমাদের দেশীয় পোশাক শিল্প ফ্যাক্টরিগুলো। ঢাকা কলেজের বিপরীতে বা ওডিসিতেও এগুলো পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশের প্রচুর সংখ্যক মানুষ বিশেষ করে পুরুষেরা পশ্চিমা স্টাইলের পোশাকে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করেই ওডিসি ফেয়ার প্রাইজ এই অভিরুচি পূরণ করছে। নিউমার্কেটের বিশাল ছাদের নিচে রয়েছে বাহারি পোশাকের বিপুল সমাহার। টি-শার্ট, ট্রাউজার, গরম কাপড়ের তো কথাই নেই। যিনি নিউমার্কেটে মার্কেটিং এর প্রথম অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তিনি বুঝতে পারবেন নিউমার্কেটের বিপুল সম্ভারের আভিজাত্য। বিশেষ করে বিপুল সম্ভারের বড় বড় স্টোরগুলোতে যদি কেনাকাটা করতে যান তাহলে ভীড়ের চাপ, কটাক্ষ বা দুই এক বার মৃদ্যু কনুইয়ের গুঁতো আপনাকে কবুল করে নিতে হবে।
পোশাক সম্ভার বিভাজনে এই মার্কেটের রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য। এক্সপোর্ট কোয়ালিটি পোশাক তা যে রং বা যে ডিজাইনের চান না কেন, তা ওখানে মিলবে। ছেলে এবং মেয়েদের জিন্স এবং টিশার্ট প্রাপ্তির মনোলোভা স্থান হচ্ছে ওডিসি। গ্যাবার্ডিন এবং ট্রাউজার প্রচুর বিক্রি হয় এখানে। প্যান্ট, শার্ট, থ্রি কোয়ার্টার তো আছেই। খাঁচ কাটা, স্পষ্ট দাগ এবং বিচিত্র প্যাটার্নের টি শার্টের জুড়ি নেই। ওদের দ্রব্য সম্ভারের মূল্য যথেষ্ট নমনীয়, অধিক উপার্জনক্ষম ব্যক্তিরা ছাড়াও সহনীয় মূল্য মধ্যম আয়ের ব্যক্তিদেরও এর ক্রেতা সাধারণের অন্তর্ভূক্ত করেছে। শীত মৌসুমে ছেলে-মেয়েদের আকর্ষণীয় আইটেম হচ্ছে ডেনিম, জ্যাকেট, সোয়েটার এবং হাতাওয়ালা টি-শার্ট। শরীরের নানা ডিজাইনের বাহারি রংয়ের পোশাকের আকর্ষণীয় প্রাপ্তিস্থানের নাম হচ্ছে ওখানে। বিপুল সমাহার বড় কথা নয়, এর ফেয়ার প্রাইজই সাধারণ ক্রেতাদের টানছে। মোটামুটি মানসম্পন্ন একটা পোশাক ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় পেয়ে যাবেন।
নিউমার্কেট শুধু শপিং’র জন্যই নয়, ঢাকার গর্বের সাথে নিজেকে অংশীদার করারও একটা সুযোগ।
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার আজন্মের স্মৃতি জড়িত নিউমার্কেট এর বর্তমান নৈরাজ্য দেখে সত্যিই যারপরনাই ব্যথিত। আসলে পুলিশ হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল "আমরা আমরা" যুদ্ধে কার পক্ষালম্বন করবে ভেবে!
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:১৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ছাত্র নামধারী চাঁদাবাজদের দমন করতে না পারলে এই মারামারী কোনদিন বন্ধ হবেনা মাঝে মাঝেই হতে থাকবে।
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত। কিন্তু দুর্ভাগ্য সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকরা আইনের উর্ধে!
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:০৩
রবিন.হুড বলেছেন: নিউ মার্কেটের ঐতিহ্যের চেয়ে ঢাকা কলেজের ঐতিহ্য বহুগুণ বেশি। নিউ মার্কেটের সেলস ম্যানদের অসৌজন্যমূলক আচরণ সম্পর্কে সকলে অবগত। মেধাবীদের অভয়রণ্য ঢাকা কলেজের ছাত্ররা রাজনৈতিকভাবে সব সময় সক্রিয় ভূমিকা , অন্যায়ের প্রতিবাদ আন্দোলন করলেও তারা গুন্ডা বা চাঁদাবাজ নয়। ঢাকা কলেজের ছাত্রদের নিয়ে আপনার নেতিবাচক মন্তব্য প্রত্যাহার করা উচিৎ। ধানের মধ্যে যেমন চিটা থাকে তেমনি সব ভালো জায়গায় কিছু দুষ্টু লোক থাকবেই।
২১ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ঢাকা কলেজের সব ছাত্রদের নিয়ে আমি নেতিবাচক মন্তব্য করিনি। আমি "ছাত্র নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ"দের কথা বলেছি। ঢাকা কলেজের ঐতিহাসিক ভূমিকা সম্পর্কে আমি কম অবগত নই। ঢাকা কলেজ আমারও অহংকার। আমার বাবা, দুই চাচা, আমার দুই ছেলে এই কলেজের কীর্তি ছাত্র ছিলেন। আমার স্ত্রীর বড়ো ভাইয়ের স্ত্রী এই কলেজের প্রথম মহিলা প্রিন্সিপাল ছিলেন। ছাত্র নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের সাথে যদি নিজেকে একাত্ম করে নেন- সে দায় আপনার।
ধন্যবাদ।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪১
জুন বলেছেন: নিউ মার্কেট নিয়ে অনেক অনেক স্মৃতি মনে পরলো আপনার লেখাটি পড়ে । বিশেষ করে জিনাত বুক স্টল ও তাঁর আশেপাশের বইএর দোকানে আব্বা আম্মার হাত ধরে, পরে কাজিনদের সাথে বই কিনতে যাওয়া । ভেতরের গোল চক্করে একটা সবুজ চত্বরে বাশের তৈরি মসজিদ ছিল , বিখ্যাত আগফা ফটোগ্রাফির দোকান, নদীয়া ড্রাই ক্লিনার্স । সেখানে দুই একজন মিলে গেলেও ভয় ভয় করতো। বেবি আইসক্রীমের পার্লার, খান ব্রাদার্স , কত শত পরিচিত দোকান আর দোকানী। শেষের দিকে একদা সেই খোলামেলা নিউ মার্কেট চত্বরকে মনে হতো কাওরান বাজার। অনেকদিন আগে শেষ একবার গিয়েছিলাম, এখন তো যাওয়াই হয় না ।
ভালোলাগা রইলো
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: এক কথায় আপনার স্মৃতির সাথে আমার স্মৃতিও সমান্তরাল। তবে আপনি যেটাকে আগফা ফটোগ্রাফার উল্লেখ করেছেন ওটার নাম আকস স্টুডিও। আকস স্টুডিও বাংলাদেশের অন্যতম পুরনো এবং অভিজাত স্টুডিও। যার আদি মালিকানা ছিলো নায়িকা জহরত আরার বাবা। নিউমার্কেট এর আর একটা বিখ্যাত আইসক্রিম পার্লারের নাম আপনি ভুলে গিয়েছেন, সেটা হলো নভেলী আইসক্রিম পার্লার।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:১০
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম দাদা তবে গতকাল যে মারামারি হলো বড়ই দুঃখজনক
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:১২
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট এর এরকমই একটি সংঘর্ষের প্রত্যক্ষ সাক্ষী হয়েছিলাম উনিশ শ বিরানব্বই কি তিরানব্বই সালে। প্রথমে ছাত্র ও নিউমার্কেট কর্মচারীদের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, তারপর মার্কেট এর ছাদ থেকে ইট পাটকেল নিক্ষেপে ছাত্রদের পশ্চাদপসরণ, তারপর পুনরায় মুখে মাফলার পেঁচিয়ে কয়েকজন ছাত্রের নিজেদের আড়াল করে কাটা রাইফেল নিয়ে ব্যাপক গুলি বর্ষণ এর চোটে একজন গুলি খেয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লো, রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে গেলো, বেচারা পুলিশ রাস্তা থেকে ঢাকা কলেজ এর গেট এর সিকিউরিটি বাক্স নিতে বাধ্য হলো। তারপর সবাই চলে গেলে পুলিশের টিয়ার সেল নিক্ষেপ।
এখন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আর তখন ছিল বিএনপি।
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন সেই সরকারের সমর্থক ছাত্ররাই চাঁদাবাজি করে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে।
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: খবরে তো দেখলাম বললো সিসিটিভি ফুটেজে চাঁদাবাজি না দোকানের স্টাফ এর অসৌজন্যমূলক আচরণ থেকেই ঘটনার সূত্রপাত হয়। আপনি কি কিনাকাটা করতে গিয়ে কখনো নিউমার্কেটের দোকানদারদের হ্যারাজমেন্টের স্বীকার হয়েছিলেন? বা কাউকে হতে দেখেছেন? আমি দেখেছি অনেকবার।
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি নিজেও নিউ সুপার মার্কেটের দোতলায় অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছি।
৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৩
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: বেচারা পুলিশ রাস্তা থেকে ঢাকা কলেজ এর গেট এ সিকিউরিটি বক্সএ গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হলো। (বাক্য সংশোধন)
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা আমারাইতো!
৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৯
শাহ আজিজ বলেছেন: আমরা অনেকদিন হয় নিউমার্কেট যাইনা । ৭৬ সালে নিউমার্কেটের পাশেই শাহনেওয়াজ হোস্টেল থাকতাম । বিকেল সন্ধ্যায় লাইব্রেরি এলাকায় অথবা মাঝের বাগানে ( তখনো মসজিদ ওঠেনি) বসে গুলতানি । একদম ফাকা ধুসর নিউ মার্কেট ১০ বছরেই জমে উঠল । ২০১০ ১২ থেকে এখন তো পুরো এলাকাটা মাছের বাজার হয়ে গেছে । আমি হলের ডাইনিং ম্যানেজার হিসাবে পিছন দিক দিয়ে উচুনিচু পথ ভেঙ্গে কাচা বাজারে আসতাম প্রতিদিন । কাজেই আমি এটার পুরো বিষয়টি ভাল করে জানি । চন্দ্রিমাতে আমি ও আমার স্ত্রী সেই ৯ বা ১০ সালে 'কিনবেন না তো জিগাইলেন কেন" এবং পিচ্চি বালক আমাদের বলল 'আপনারা মার্কেটের কলঙ্ক' বলার পর থেকে সতর্ক হয়েছি । এসব বিষয় এক দুদিনে গড়ে ওঠেনি । তবে এবারের মারামারি মার্কেটের ভিতরের দুই রেস্টুরেন্ট বয়দের হাতাহাতি থেকে সৃষ্ট । আমি একা গেলে সস্তার দোকান এড়িয়ে উচুমানের দোকানে যেতাম । করোনার আগে শুধু রঙ পেপার কিনেছি , গেছি আর ফিরেছি মাত্র । যাদের সারাদিন বিক্রি বাটা ভালনা তারাই অনেক গোলমালের নেতা । এরপরেও লোক নিউমার্কেট , চন্দ্রিমা , নুর ম্যানশন , গাওছিয়া না গেলে পেটের ভাত হজম হয়না। যা ঘটেছে তা অপ্রতিরোধ্য এবং আরও হবে । একে মানানোর শক্তি কোন প্রশাসনের নেই । আমার তোলা নিউমার্কেটের ভিতরের বিশৃঙ্খলার কিছু ছবি তোলা ছিল যে দোকানীরা কিভাবে বারান্দা আর রাস্তা দখল করে আছে , পেলাম না বিশাল কালেকশনের মধ্যে ।
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার স্মৃতির সাথে আমার স্মৃতিও একাকার। শাহনেওয়াজ হলে খুব যেতাম আমার বন্ধু শিল্পী অশোক কর্মকার, জাফর সাদেক, ধ্রুব এশ, রাশা এদের সাথে আড্ডা দিতাম।
১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দিন কাল কেমন পালটে যায়!!
সেই নিউমার্কেটও পালটে গেছে।
শেষ করে নিউমার্কেট গেছি মনেও করতে পারি না এখন।
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: এখন নিউমার্কেট যেনো হকার্স মার্কেট।
১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: খেয়াল করে দেখুন, প্রায় প্রতি বছরই ঢাকা কলেজের ছাত্ররা এরকম মারামারিতে জড়িয়ে যাচ্ছে।
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: নিত্যকার ঘটনা।
১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:০৬
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ওই এলাকার সিটি ও ঢাকা কলেজে মেধাবীরা পড়াশোনা করে ,আগামীর দেশ চালকরা মেধার বিভিন্ন ব্যবহার তালিম নিচ্ছে এবং ব্যাবসায়ী ও প্রশাসনও কম যায় না
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত পোষণ করছি।
১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬
আশিকি ৪ বলেছেন: জুলভার্ণ@ মার্কেট কর্মচারীদের দোষও কিন্তু কম না। এদের ব্যাবহার খুবই খারাপ। ১৯০০ টাকার পাঞ্জাবি ২৯০০ টাকা বিক্রি করে বদমাশ গুলো। পৃথিবীর সব দেশে বিভিন্ন উৎসবে পণ্যে ছাড় দেয়া হয়। এদেশে ডাকাতি।
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: সেকথা আমি আমার পোস্টেই উল্লেখ করেছি এবং হাইলাইটস করেছি।
১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইজান পড়ে তো মনে হলো আপনি কলকাতার নিউমার্কেটের কথা লিখেছেন। এখন তো দেখছি নিউমার্কেট মানেই একটা আলাদা অনুভুতি আলাদা উম্মাদনা। কলকাতার আবার গোটা নিউমার্কেট এলাকার রাস্তাটাও একটি চলমান মার্কেট। খুব কম দামে এমন সব জিনিস পাওয়া যায় যা গোটা রাজ্যের কোথাও নেই।
যাইহোক ঢাকাতে গেলে অবশ্যই নিউমার্কেটে যেতেই হবে দেখছি।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ত্রিশ বছর আগে কলকাতার অব্যবস্থাপনা দেখে আমাদের নিউমার্কেট নিয়ে গর্ব করতাম... এখন আমাদের নিউমার্কেট নিয়ে রীতিমতো লজ্জিত।
১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫১
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: গ্রীন রোড, ডানমন্ডি, এলিফেন্ট রোড, কাটা বন এর আশে পাশে যারা থাকে তারা মূলত খুব বড়লোক। তাদের ভাব সাব দেখলেই মনে হয় তারা আমার মত লোকদের ১০০ বার ক্রয় করতে পারে।
যাই হউক। নিউ মার্কেটে আমার অভিজ্ঞতা খুব খারাপ। সাল ২০১৯ সাল। একদিন আমি আর আম্মু নিউ মার্কেটে মার্কেট করতে গেছিলাম। আম্মুর মার্কেট করতে দেখে আমি হাপিয়ে গেছিলাম। দুপুর ২টা বাজে নিউ মার্কেটে এন্ট্রি। ৫ টা বাজে বাহির হলাম। আমার তো মনে করেন তৃষ্ণায় পরান যায় যায় অবস্থা।
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশ অপ্রাসঙ্গিক।
দ্বিতীয় অংশ বাস্তবতা।
ধন্যবাদ।
১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫৪
শাহ আজিজ বলেছেন: অশোক আমার ১ বছরের জুনিয়র । যোগাযোগ নেই অনেক দিন ।
২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: অশোকের সাথে আমারও যোগাযোগ নাই কমপক্ষে দশ বছর। আপনি আমার সমবয়সী হবার সম্ভাবনা আছে। অশোক আমারও একবছরে জুনিয়র। তবুও বয়সের কারণে আমাদের বন্ধুত্বের সমস্যা হয়নি।
১৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:০৫
শাহ আজিজ বলেছেন: আমার ৬৫ চলছে । আমি আমার সতীর্থদের চেয়ে দুবছর বড় , স্কুল দেরিতে শুরু করেছি বুদ্ধি সুদ্ধি না পাকার ফলে , গার্জেনদের কথা।
২১ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: স্যালুট। আপনি আমার দুই বছরের সিনিয়র। আমি ইস্কুল শুরু করেছিলাম সময়ের আগে.... তাই পরিপক্কতা অর্জন করতে পারিনি সেই গোড়া থেকেই!
১৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০
জটিল ভাই বলেছেন:
ছাত্রদের চাঁদাবাজি আর দোকানিদের সন্ত্রাস দুটোই সমান হুমকির।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই। আরো বেশী বিতর্কিত আইন শৃংখলা বাহিনীর ভুমিকা। এবারের মারামারি করেছে কারা- তা আপামর মানুষ জানেন, বোঝেন এবং দেখেছেনও। কিন্তু আসামী করা হয়েছে কাদেরকে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে কাদেরকে!
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:১১
ঢাবিয়ান বলেছেন: কত যে সুন্দর সুন্দর স্মৃতি নিউমার্কেটকে ঘিরে। শৈশবে যেতাম মা বাবার সাথে। তারুন্যে এসে বন্ধুদের সাথে। বই এর দোকানগুলো ছিল মুল আকর্ষন। সে সময়ে ব্যবসায়ী বা ছাত্রদের এইরকম বাজে আচরন কখনই দেখিনি। গতকালের ঘটনার দুই পক্ষের দায় থাকলেও মুল দায় ছাত্র নামধারী চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটদের। ব্যবসায়ীরা খেটে খাওয়া মানুষ। এটা তাদের জীবিকা । অসংখ্য পরিবারের থাকা খাওয়া নির্ভর করে এই জীবিকার ওপড়। তারা অকারনে মারমুখী হয়ে ওঠার কথা নয় । সবচেয়ে প্রশ্নবিদ্ধ ভুমিকা পুলিশের।