নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শব্দদূষণ.......

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

শব্দদূষণ.......

শব্দদূষণ বলতে মানুষের বা কোনো প্রাণীর শ্রুতিসীমা অতিক্রমকারী কোনো শব্দ সৃষ্টির কারণে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে বোঝায়। যানজট, কলকারখানা থেকে দূষণ সৃষ্টিকারী এরকম তীব্র শব্দের উৎপত্তি হয়। স্বাভাবিক বা সহনীয় শব্দের মাত্রা ৫৫ থেকে ৬০ ডেসিবেল। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৬০ ডেসিবেলের অধিক শব্দ যদি দীর্ঘসময় ধরে থাকে তাহলে সাময়িক বধিরতা আর ১০০ ডেসিবেলের বেশি হলে স্থায়ী বধিরতা (Permanent Deafness) হতে পারে।

‘শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬’ হল একমাত্র আইনি হাতিয়ার, যা অনেক পুরনো এবং এতে অনেক আইনের ফাঁকফোকরও আছে। তবুও এটাই একমাত্র লিগ্যাল ইন্সট্রুমেন্ট।
এই বিধিমালা অনুযায়ী নীরব এলাকা, আবাসিক এলাকা, মিশ্র এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা, শিল্প এলাকা এরকম জায়গার ক্যাটাগরি অনুযায়ী দিন ও রাতের জন্য আলাদা আলাদাভাবে শব্দের ‘মানমাত্রা’ বা স্ট্যান্ডার্ড লেভেল নির্ধারণ করা আছে। তাতে দিনের বেলায় সবচেয়ে কম নীরব এলাকায় ৫০ ডেসিবেল আর সবচেয়ে বেশি শিল্প এলাকায় ৭৫ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ অনুমোদনযোগ্য। অথচ ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় রেকর্ডকৃত দেশের সর্বোচ্চ শব্দমাত্রা ১৩২.০২ ডেসিবেল!
এই বিধিমালা অনুযায়ী, প্রথমবার শব্দদূষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল অথবা ৫০০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড, আর দ্বিতীয়বার করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ৬ মাসের জেল অথবা উভয় দণ্ড।

বিদ্যমান এই আইনের ব্যাপারে সচেতন গড়ে ৫০ ভাগ মানুষ। আর আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে খুলনা (প্রয়োগ হার ২৫.২০%) ও পিছিয়ে আছে ঢাকা (প্রয়োগহার ৩.৬%)। এছাড়া আরো যে সকল আইন, বিধি, ধারা শব্দদূষণকে রোধ করতে পারে সেগুলো হলো- ‘আমদানী নীতি আদেশ ২০১৫-২০১৮, বাঙ্গালদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯, মোটরযান আইন ১৯৮৮, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮, ইমারত নির্মান বিধিমালা ২০০৮ ইত্যাদি।
নানাবিধ কারণে শব্দ দূষণ ঘটে। মোটর গাড়ি ও এর হর্ণ শহর এলাকায় শব্দদূষণের প্রধান কারণ। অনেক সময় গাড়ি চালকরা অনর্থক হর্ণ বাজান। এই প্রবণতা বেশি দেখা যায় লেগুনা, মোটরসাইকেল, সরকারি যানবাহন এবং ভিআইপি গাড়িবহরগুলোতে। ইদানিং এমনকি ব্যক্তিগত গাড়িতেও উচ্চস্বরে ইমার্জেন্সি সাইরেন বাজিয়ে চলার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাছাড়া বিয়ে, অনুষ্ঠান, উৎসব, মিলাদ মাহফিল, রাজনৈতিক সভা, পার্টি, কনসার্ট, ইমারত নির্মাণ, আবাসিক এলাকায় ফ্যাক্টরি ইত্যাদি নানান কারণে শব্দ দূষণ ঘটে।
পরিতাপের বিষয় হলো, শব্দ দূষণকে একটা সমস্যা বলেই কেউ মনে করে না, সবাই এটাকে একটা স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে ধরে নিয়েছে।

শব্দদূষণে যত স্বাস্থ্য ঝুঁকিঃ
শব্দদূষণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির তালিকা নেহাত ছোট নয়। যেমন- কানে কম শোনা, বধিরতা, হৃৎকম্প, হৃদরোগ, শিশুদের লেখাপড়ায় মনোযোগ কমে যাওয়া, মানসিক বিকাশ বিঘ্নিত হওয়া, খিটখিটে মেজাজ, অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া, মানসিক উত্তেজনা ও উদ্বিগ্নতা বা অ্যাংজাইটি, স্ট্রোক ইত্যাদি।

কর্মজীবীদের ভেতরে কাজের দক্ষতা, মনোযোগ কমে যাওয়া ও সহজেই মেজাজ হারিয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা যায়। শব্দদূষণ এমনকি মায়ের গর্ভের শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিকেও প্রভাবিত করে।
আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের মতে শব্দের মাত্রা প্রতি ১০ ডেসিবেল বৃদ্ধি পেলে যেকোন বয়সে স্ট্রোকের ঝুঁকি ১৪ ভাগ করে বাড়তে থাকে। আর যদি তা হয় ৬৫ বছরের বেশি বয়সে তাহলে প্রতি ১০ ডেসিবেল বাড়লে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৭ ভাগ করে বাড়তে থাকে!
শব্দ দূষণ রোধে করণীয় কী?

আরেকটি জরিপে দেখা যায় যে, কোথাও শব্দ দূষণ হলে শতকরা ৫৯ জন কেবলমাত্র বন্ধ করার অনুরোধ জানান, ১৮ জন পুলিশে ও ১৪ জন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন, ৫ জন ঝগড়া বাধিয়ে দেন আর ৪ জন কিছুই করেন না। অর্থাৎ, দেখা যায় যে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ছাড়া আসলে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই দুরূহ।

এবার শব্দদুষণে আমার অবস্থান বলিঃ- আমার দাদা(বাবার বাবা)কে আমি দেখিনি। তিনি নাকি তাঁর ছেলেদের বলতেন- "বাড়ি কিম্বা বানিজ্যিক স্থাপনা তৈরীর চিন্তা করে রাস্তার পাশে জমি কিনবে"। তিনি নিজেও যেমন রাস্তার পাশে জমি কিনে রেখে গিয়েছিলেন তেমনি তার ছেলেরাও একই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে রাস্তার পাশে জমি কিনেছেন। ব্যক্তিগত ভাগে আমিও সেই ধারাবাহিকতায় রাস্তার পাশে বাড়ি করেছিলাম। কর্ণার প্লটে আমাদের বর্তমান বাড়িটার সম্মুখ দিকে ৬০ ফুট চওড়া ব্যস্ত রোড, আর এক পাশে ৩০ ফুট চওড়া একটা রোড। একদা এই রোডের উভয় পাশের সকল বাড়িঘর আবাসিক এলাকা হিসেবে রাজউক স্বীকৃত ছিল। খুব শান্তিতে বাস করতাম। গত ২০ বছরে এলাকাটি অলিখিত ভাবে বানিজ্যিক কাম আবাসিক রুপান্তরিত হয়ে গিয়েছে। যান্ত্রিক-অযান্ত্রিক যানবাহন বেড়েছে হাজারগুণ! সব সময় লোকে লোকারণ্য থাকে। লেগুণা নামক বাহনের বিদঘুটে হর্ণের শব্দে সারাক্ষণ অতিষ্ট! সব চাইতে বড়ো মছিবত শুরু হয় রাত দশটার পর। তখন থেকে মালবাহী ট্রাক-ট্রেইলার চলাচল করে এবং হাইড্রোকিল হর্ণের শব্দে রাতের বিদীর্ণতা আর্তনাদের পরিনত করে! প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা নেই। বেড রুমের জানালা কবে খুলে ঘুমিয়েছি- তা মনে করতে পারবোনা।

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রথমত জনসচেতনতা সৃষ্টির কোনও বিকল্প নেই। এরপর আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি নীতিনির্ধারকদেরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। নাহলে খুব বেশি দেরি নেই, যখন আমরা দেশ ভর্তি প্রতিবন্ধী ও বিকলাঙ্গ মানুষ দেখতে পাবো।

[তথ্যসূত্র: পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালিত জরিপ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক।]

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: শব্দদুষণ নিয়ে আমাদের অধিকাংশেরই কোন ধারণা নেই।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: জনসচেতণতাই এই সমস্যা থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। এবং এই বিষয়ে জনসচেতণতা বাড়াতে কাউন্সেলিং এর বিকল্প নাই।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৭

গরল বলেছেন: শব্দদূষণ আইনে কি মসজিদ গুলোকে কোনরকম ছাড় বা আওতা বহির্ভুত রাখা হয়েছে? শুধু মাত্র জানার জন্য জিজ্ঞাসা করেছি।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি যদি আজানের কথা ঈংগীত করে থাকেন তাহলে বলবো- প্রথমত মসজিদের আজান প্রচারিত হয় নির্দিষ্ট সময়ে। দুনিয়ার সকল কোলাহলে ফজর নামাজের আজান ছাড়া অন্য চার ওয়াক্তের আজানের শব্দ হারিয়ে যায়। আজানেও শব্দ দুষণ হয় সত্য। তবে দিনমান অন্যান্য শব্দ দুষনের চাইতে নেহায়েত কম। একটা উদাহরণ দেইঃ আপনি যদি ধানমন্ডি, কলাবাগান, গ্রীণ রোড এলাকার বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে দিন রাত ২৪ ঘন্টা গগণবিদারী এম্বুল্যান্সের শব্দে অতিষ্ট হয়ে যাবেন। কারন, উল্লেখিত এলাকাগুলোতে রয়েছে অর্ধশত হাসপাতাল, ক্লিনিক।

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই শব্দদূষন নিয়ে বড্ড বিরক্ত আছি। জ্যামে দাঁড় করানো গাড়ী কানের কাছে যেভাবে হর্ণ দেয়া শুরু করে বাপরে, কখনো কেঁপে উঠি। অথচ জ্যাম যাওয়ার উপায় নাই সামনে। এত বেদ্দপ ড্রাইভারগুলো।

ধন্যবাদ সুন্দর সচেতনতামূলক পোস্টের জন্য

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের ড্রাইভারদের বিন্দুমাত্র কমনসেন্স নাই। ওরা ভাবে হর্ণ বাঁজালেই জ্যাম ছেড়ে যাবে কিম্বা গাড়ি রাস্তা ছেড়ে আকাশে উড়ে চলে যাবে!

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৪

রোকসানা আরমিন বলেছেন: আপনার পোষ্টটি সুন্দর হয়েছে। আমি আপনার পোষ্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছি। নতুনভাবে আমরা মেয়েদের পোশাক ও জুয়েলারি নিয়ে কাজ করছি। আপনারা যদি কেউ আগ্রহী থাকেন তাহলে ভিজিট করতে পারেন আমাদের ই-কমার্স সাইটে

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৫২

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: খিটখিটে মেজাজ, ইনসমনিয়া এই দুইটা আমার মূল সমস্যা। মাঝে মাঝে মনে হয় স্ট্রোক হতে আর বেশী দেরি নেই।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: এই সমস্যাগুলো আমি শতভাগ বহন করছি!

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঢাকায় যে হারে শব্দ দূষণ হয় তাতে করে আমাদের আগামী প্রজন্মের স্থায়ী কানের সমস্যা হওয়ার কথা।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আগামী প্রজন্ম নয়, বর্তমান প্রজন্মের ৭৫% লোকেরই কানে-চোখে সমস্যা। মাথায় যন্ত্রণা হয় শুধু শব্দ দুষণের কারনে।

৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৫৮

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সত্যই শব্দদূষণএক ভয়ঙ্কর, মারাক্ত আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত শব্দদূষণ হয়ে যাচ্ছে
মাঝে মাঝে মনে ----------------

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: এই সমস্যা হেলমেট-হাতুড়ী বাহিনীর সমস্যার চাইতেও বড়ো সমস্যা। এর পরিনতি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আরো বেশী ভয়াবহ হবে।

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমরা প্রতিনিয়ত এমন অনেক শব্দ করি যা আসলেই চাইলেই এড়ানো যায় বা যেত । বিশেষ করে আমাদের দেশে অপ্রয়োজনে যেমন গাড়ীর হর্ণ বাজানো হয় (বিশেষ করে হাইড্রোলিক হর্ণ) অনেক দেশে তা কল্পনাতেও সম্ভব না।

আবার আমাদের দেশে আবাসিক এলাকায় কল-কারখানা,বাজার,ঝালাই কারখানা, হাসপাতাল - এ এক আজব কারবার । আর এসব মিলে যে কি রকম এক ত্রাহি মধুসুদন অবস্থা তা বলে প্রকাশ করার মত নয়।

আর সর্বোপরী কে কাকে মানবে ? কে কার কথা শুনবে ?

আমরা সবাই রাজা , রাজার রাজা --------

আর ফলাফল হিসাবে যা হচছে বা হবে তা ভাল হবেনা কারোর জন্য , এটা নিশ্চিত।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: শুধু মাত্র অহেতুক হর্ণ বাজানো বন্ধ করলেই অর্ধেক শব্দ দুষণ কমে যাবে। হাইড্রোলিক হর্ণের মতোই একধরনের ইলেক্ট্রনিক হর্ণ ক্ষতিকর।
আমার বাড়ীর সামনেই ঢাকা শহরের অন্যতম বড় একটা গাড়ীর গ্যারাজ( গাড়ী সারাইয়ের কাজ হয়) আছে- যেখানে কয়েকশত গাড়ীর নানাবিধ মেরামতের কাজ চলে ২৪ ঘন্টা। রাতেও ওয়েল্ডিং এর কাজ চলে গোটা এলাকায় ওয়েল্ডিং এর বিকিরণে মানুষ আক্রান্ত। কিন্তু কারোর কিছু করার নাই, কারণ গ্যারাজ মালিক ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতা....।

৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:১৩

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: দেশে শব্দ দূষন জঘন্য পর্যায়ের। ঘর থেকে বের হলে রাস্তা ঘাট বিল্ডিং নির্মানের কাজের শব্দ, রিক্সার বেল, কার, বাইকের হর্ন, সিন এন্জির ইন্জিনের শব্দ, অনবরত মাথায় ভিতর বাজতে থাকে।চারদিকে অধৈর্য,কার আগে কে যাবে।আবার কোন কারন ছাড়া, হুদাই হর্ণ টিপবো।কিছু ট্রাক ড্রাইভার আছে হর্ন প্রেস করে বসে থাকে ২০/৩০ সেকেন্ড, মানে 'আমি আইতাছি সর সামনেত্তে'। আর সিন্জিতে বসলাম মানে একটা 'ইন্জিনে'র ভিত্রে বসলাম। জার্নির পুরাটা সময় এক্টা আজাবের মধ্যে পার হতে হয়।বাসায় ফিরে মুখের উপর ধূলার স্তূপ উপরি পাওনা।কারো এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নাই।চারদিকে এতো নয়েজ!!
আমি ভাবছিলাম সামু এ ব্যাপারে কোন ভূমিকা পালন করতে পারে কিনা? যেমন খুব অল্প পরিসয়ে হলেও এলাকা ভিত্তিক বাস, ট্রাক, ও অন্যান্য যানবাহনের ড্রাইভারদের নিয়ে কোন কর্মশালা,সেমিনার বা মিটিং করা যায় কিনা?সামুর ব্লগাররা এসব ড্রাইভারদের শব্দ দূষনের সাইড এফেক্ট নিয়ে বুজাবে বা সচেতন করে তুলবে।এটা আমার এক্টা আইডিয়া।সামু শাহবাগ সৃস্টিতে ভুমিকা পালন করলেও সমাজ বা পরিবেশ রক্ষায় কোন ভুমিকা নাই, আমার জানা মতে।সামুর ব্যানারে এসব নন পলিটিকাল ব্যাপারে কিছু করা যায় কিনা।উই নিড টু স্টার্ট সামহোয়ার। এ ব্যাপারে মডুর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।পারলে পোস্ট টা স্টিকি করে আরো আলোচনা করা হউক।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৩২

জুল ভার্ন বলেছেন: ঢাকা শহরে শব্দ দুষণ, বায়ু দুষণ, গণপরিবহন সমস্যা, ফুটপাথ দখল, চাঁদাবাজী, ছিনতাই, লাগামহীন দ্রব্যমূল্য, ১০০% ভেজাল পন্য। ভূক্তভোগীদের আইনশৃংখলা বাহিনীর যথাযথ অসহযোগীতা- এতোসব খারাবীর মধ্যেও আমরা কীভাবে বেঁচে আছি- সেটাই মহাবিশ্বের সর্বশেষ অত্যাশ্চার্য্য!

সামুর প্রতি আপনার প্রত্যশা দেখে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে গিয়েছি, নস্টালজিক হয়ে গিয়েছি! সামুর স্বর্নালীদিনে কয়েক হাজার ব্লগার সক্রিয় ছিলো। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক, ধর্মীয় দ্বিমত ছিলো কিন্তু পাস্পরিক সৌহার্দ্যতার অভাব ছিলনা বলেই আমরা ব্লগারগণ অনেক ব্যক্তিজনহিতকর কার্যে স্বতফুর্ত ভাবে অংশ গ্রহন করে অনেকের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। সামুতে এখন সাকুল্লে ২৫ জন এক্টিভ ব্লগার নাই। এই ২৫ জন ব্লগারের মধ্য ব্যক্তিগত রেশারেসি, বিভাজন মারাত্মক পর্যায়ে... এই অবস্থায় সামুর ব্লগারদের থেকে সামাজিক/জনহিতকর কিছুই আশা করা যায়না।

আপনার স্বদিচ্ছাকে সাধুবাদ জানাই।
শুভ কামনা।

১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আর বলবেন না ..... কান ঝালাপালা করে দেয়।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: অন্যতম নাগরিক যন্ত্রণার নাম শব্দদুষণ।

১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩২

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: আমি খেয়াল করিনি যে আপনার এ পোস্টটা নির্বাচিত পাতায় নাই।অয়েল রিটেন এমন জরুরী বিষয়ে পোস্ট, নির্বাচিত পাতায় না দেখে আশ্চর্য হলাম।কিছুদিন আগে ক্যাচাল মার্কা সাবজেক্ট শোভাযাত্রা নিয়া পোস্ট স্টিকি করে রাখছিল, জনহিতকর বা সমাজের জন্য কল্যানকর কিছু সামু দেখি গুরুত্ত দেয় না। মডুরে মনে হয় রোজায় ধরছে।

এ শব্দদূষণের পেইন থেকে মুক্তির কোন উপায় নাই।

০১ লা মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি সবসময়ই ধারাবাহিক ভাবে পোস্ট পড়ি। মনে পরেনা কতো বছর যাবত নির্বাচিত পোস্ট আলাদা করে দেখিনা! আর আমার লেখা খুব সাধারণ মানের যার পাঠক নাই বললেই চলে- সেখানে নির্বাচিত পাতায় স্থান পাবার কথা নয়।

১২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১

জটিল ভাই বলেছেন:
পোস্ট পড়ে মন্তব্যে আটকে গেছি। মসজিদের আজানে আমার মনে হয় শব্দ দূষণের চেয়ে মাথা ব্যাথাটা বেশি হয়। অনেকেরই দেখি এটা মাথা ব্যাথার কারণ, যদিও আজ পর্যন্ত এই মাথা ব্যাথার জন্যে কাউকে ডাক্তারের দারস্থ হতে দেখিনি। তবে সেইক্ষেত্রে আমি যেটা ফেইস করি তা হচ্ছে, এখন পাশাপাশি অনেক মসজিদ হওয়ায় আজানের সময় উত্তর করতে তালগোল পাকিয়ে যায়। যদিও ধর্মে শুনি বিধান আছে এক মসজিদের আজান যতদূর যায় সেই দূরত্বে অপর মসজিদ তৈরীর। কিন্তু এখনতো এক বাড়ির মুসল্লি আরেক বাড়ির মসজিদে নামাজ পরতে নারাজ। ঈদেই দেখেন না ইমাম নিয়ে কোথাকার পানি কোথায় যায়। সো, যেখানে আমরা নিজেরাই এমন ভেদাভেদের সৃষ্টি করি, অন্যেরা সেখানে ভাঙ্গন ধরাবার সুযোগ নেবে এইতো স্বাভাবিক।

০১ লা মে, ২০২২ দুপুর ১:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: পাশাপাশি মসজিদ বেশী হওয়ায় একসাথে আজানের সময় আসলেই একটা অস্বস্তিকর সাউন্ড পলিউশন হয়.....তাই লাউডস্পিকার এর ভলিউম কন্ট্রোল করা উচিৎ। ব্যক্তিগত ভাবে আমি আজান শুনে নামাজের অপেক্ষা করিনা বরং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই নামাজ আদায় করতে অভ্যস্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.