নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
হালদা নদীতে মাছের ডিম সংগ্রহ.........
এপ্রিল এবং মে মাসে(বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ)বিশ্বের একমাত্র মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে কার্পজাতীয় (মেজর কার্পঃ রুই, কাতলা, মৃগেল, কালোবাউশ), মাইনর কার্পঃ বাটা, পুটি, সিলভার/মিরর কার্প ইত্যাদি) মা-মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম। তাই মার্চ মাস থেকেই জেলেদের উদ্দীপনা শুরু, যা শেষ হয় মে মাসের মধ্যে ডিম আরোহন করা পর্যন্ত। এই কয়মাস নদীই হয়ে উঠে স্থানীয় জেলেদের আবাসস্থল। নদীর পাড়েই নিবিড় পর্যবেক্ষণে কাটে সময়। নদীতে মা মাছের আনাগোনা দেখে তারা খুশিতে উদ্ববেলিত হয়। বৃহত্তর পরিসরে হালদাকে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র বলা হয়। প্রতিবছর এ সময়ের জন্য অপেক্ষা করেন জেলে ও ডিম সংগ্রহকারীরা।
স্থানীয় এক বন্ধুর আমন্ত্রণে ২০০৮ সনে হালদা নদীতে মাছের ডিম সংগ্রহ অভিযান দেখতে গিয়েছিলাম। তখন খুব কাছে থেকে দেখেছিলাম মাছের ডিম সংগ্রহের আনন্দমুখর পরিবেশ। স্থানীয় জেলে/ ডিম সংগ্রহকারীদের কাছে শুনেছি- একই মা মাছ বছরের পর বছর শুধু ডিম ছাড়তেই এখানে আসে। ডিম ছাড়া শেষে আবার ফিরে যায় অন্যত্র। সচারাচর ডিম সংগ্রকারীর কখনো মা মাছ শিকার করেনা। তবে ইদানীং কিছু প্রভাবশালী অসৎ লোক গোপনে মা মাছ শিকার করছে।
এখানকার অভিজ্ঞ ডিম শিকারিরা মাছের ডিম দেখেই বলতে পারেন - যে মাছগুলো ডিম দিয়েছে কোন মাছ কতো বছর যাবত ডিম দিচ্ছে, কিম্বা প্রথমবার ডিম দিয়েছে! এখানকার নারী কর্মী এবং শিশুরা মাছের প্রকার অনুযায়ী ডিম আলাদা করার কাজ করে। হালদার মাছ গবেষকগণ বলেন, কোনো কোনো মাছ জীবনে ৫০/৬০ লক্ষ টাকার ডিম দিয়ে থাকে।
২০০৮ সনে যখন এসেছিলাম তখন অনেক ছবি তুলেছিমা- যা এখন আর সংগ্রহে নাই। হালদা নদী বাংলাদেশের পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১০৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১৩৪ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।
হাটহাজারী-রাউজান-ফটিকছড়ি উপজেলা সীমানা দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদী। প্রথম কয়েক দিন মা মাছ নমুনা ডিম ছাড়তে শুরু করে। হ্যাচারি পোনার চেয়ে হালদার পোনা দ্রুত বর্ধনশীল বলে এ পোনার কদর সারাদেশে। ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করে তা থেকে রেণু ফুটিয়ে বিক্রি করেন। রেণুর আয় দিয়ে পুরো বছর জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। প্রতি কেজি রেনু বিক্রি হয় ১ লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকায়।
(ছবি সংগ্রহ করেছি দৈনিক প্রথম আলো থেকে)
১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: গত এক যুগের মধ্যে করোনা কালে এক বছর সর্বচ্চ পরিমান ডিম সংগ্রহ করেছিল হালদা থেকে। এখন হালদাও ক্ষমতাসীনদের দখলে। নদীর দুই পারে গড়ে উঠেছে শিল্প কারখানা, ইটের ভাটা- যার জন্য মাছের অভায়রণ্য এখন জনারণ্য হয়ে গিয়েছে। নদীর পানি দুষিত- তাই মাছের আনাগোনা অত্যন্ত কমে গিয়েছে।
২| ১৯ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: হালদা নদীতে আমি কখনও স্নান করি নাই। নৌকা করে যাইনি।
২১ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: নদী মাতৃক বাংলাদেশের গুটিকয়েক নদী দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।
৩| ১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:১৯
গরল বলেছেন: এই প্রাকৃতিক উৎসস্থল এর পরিবেশ সংরক্ষণ করা জরুরী, সরকারে অতি শীঘ্রই ব্যাবস্থা না নিলে এটাও ধ্বংস হয়ে যাবে। ছবিগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ, দেশের খাল-বিল গুলোতে প্রাকৃতিক ভাবে মাছের বংশ বিস্তার করতে পারলে আবার হ্য়ত দেশি মাছের সম্ভার ভরে উঠবে। নদ-নদি, খাল-বিলের পরিবেশ চড়মভাবে দূষিত হয়ে যাচ্ছে।
২১ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: হালদা নদীর ভবিষ্যত অত্যন্ত খারাপ। বর্তমান অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে নাআরলে অচিরেই এই নদীর পানি দুষিত হয়ে যাবে। মাছ ডিম দিতে আসবেনা। আমাদের মৎস সম্পদ ধ্বংশ হয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এবার নাকি মা মাছেরা ডিম কম দিয়েছে হালদায়!
সব দিক থেকেই নিশানা খারাপের দিকেই কি যাচ্ছে!!