নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
দুনিয়া বদলে দেবার শক্তি আমার নেই......
একটা বয়স ছিলো যখন আমার মনে হতো দুনিয়াটাই বদলে দেওয়া যায় অনায়াসে। তখন নিজেকে ছাড়া প্রচলিত সব কিছুকে মনে হতো ফালতু। মনে হতো আমি বিপ্লব করার জন্যই জন্মেছি। সে বয়সে আমরা কামু, কাফকা পড়তে শিখি, যে বয়সে বব মার্লো, বব ডিলান, জর্জ হ্যারিসনের ভক্ত হয়ে উঠি, নারী পুরুষের ভেদাভেদ নস্যাৎ করি, সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাসীদের সে বয়সে বোকা মনে হয়, ধর্ম বিশ্বাসীদের ভন্ড আর বুর্জোয়াদের মনে হয় পাপী। সে বয়সটা দুঃসাহসিক, টগবগে, সে বয়সে সত্যিই যদি কিছু করে ফেলার শক্তি থাকত তাহলে হয়তো পৃথিবীটা বদলেই যেতো।
কিন্তু সবার তো সে শক্তি থাকেনা। জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্দোলনে সাড়া জাগানো সুইডেনের কিশোরী কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ গোটা বিশ্বকে যেমন নাড়িয়ে দিয়েছেন, নিদেনপক্ষে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনে নুরুল হক নুর স্বৈরশাসকের ভীত নাড়িয়ে দিয়েছিলেন- আমি অধমের তাতে শরিক হওয়ার যোগ্যতাও রাখিনা!
তাই আমরা কেউ আজ পর্যন্ত কিছু করে উঠতে পারলাম না। কারণ আমরা যা বিশ্বাস করি বলে বিশ্বাস করতাম ওটা আসলে কৃপণের কৃচ্ছসাধনের মতো। ওপরের ত্যাগের আড়ালে ভোগের স্পৃহাটুকুই সুপ্ত। তাই 'আউট সাইডার' অথবা 'দ্যা ক্যাসেল' আমরা পড়েই গেছি, আত্মস্থ করিনি, ওর মধ্যে দেখানেপনাই বেশি ছিলো অনেক। আমাদের আসলে বেড়ে ওঠাটাই আরামের চাহিদা দিয়ে গড়া। প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের জন্য দোয়াই হলো 'অনেক বড় হও'! কিন্তু মুরব্বিদের দোয়া নিয়ে অনেক বড় হবার ইচ্ছে নিয়ে সামাজিক প্রথা বদলানো যায়না। কেউ কোনও দিন বদলাতে পারেনি।
মধ্য তিরিশ থেকে দেখেছি বিশ্বাসগুলো সব বদলে গেছে। যদিও সেটারও আলাদা বদলে দেবার শক্তি আছে। এ বয়েস থেকে প্রতিবাদের থেকে নিবেদনে আরাম বেশি। আর বর্তমান বয়সে বুঝতে পারি দুনিয়া বদলে দেবার শক্তি আমার মধ্যে নেই। বুঝি এ পৃথিবীর একটা আলাদা ছন্দ আছে। এখানে মানুষ ধর্ম করবে, সংসার করবে, নিজেকে নিয়ে ভাববে, নারী পুরুষের ভেদ থাকবে, লড়াই থাকবে, বিপদে পড়লে সৃষ্টিকর্তার স্মরণাপন্ন হবে, টাকা জমাবে, স্বার্থপর হবে, আবার এ পৃথিবীতেই পাখি ডাকবে, ফুল ফুটবে, সূর্য উঠবে, প্রেম হবে।
বাবা-মায়ের আদরে থেকে কামু কাফকা বদলেয়ার পড়া আর জন লেনন, বিটলস শুনে বড় হওয়া বাচ্চাদের বাস্তব জীবনে এসে প্রথমে অবাক, পরে মানিয়ে নেয়া, শেষ জীবনে আপনার লেখাটার মত করে ভাবাটাই হল মধ্যবিত্তের জীবন। কিছুই পাল্টানো যায় না কিন্তু প্রচুর ভাবতে শেখায়। এটাই বা কম কি। কয়জনই বা ভাবতে পারে?
এটাই জীবন। আমরা যারা ভেবেছিলাম দুনিয়া বদলে দেবো সে শক্তি আমাদের নেই। আমার যদি সত্যি কোনও শক্তি থাকে তা "দুনিয়া বদলে দেবার শক্তি আমার নেই" এই সহজ সত্যটুকু আমি মানতে শিখেছি।
০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলেই আমরা এখন নিবেদিত প্রাণ নাগরিক হয়ে গিয়েছি।
চমতকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: রাষ্ট্র, সমাজ এবং পারিপাশ্বিাকতার কারনে আমাদের অবস্থান হলো প্রতিবাদের চেয়ে নিবেদনে স্বাচ্ছন্দ্য অনেক বেশি; কি দরকার প্রতিবাদের?
০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি আপনার নাগরিক অধিকার নিয়েই অধিকারের জন্য প্রতিবাদ করতেই পারেন। কিন্তু এখন প্রতিবাদ মানেই সরকারদ্রোহিতা, রাস্ট্রদ্রোহিতা। ফলাফল- গুম, ক্রশ ফায়ার, মিথ্যা মামলা-হামলা এবং পরিবারের চৌদ্দগুষ্টির হয়রাণী। অতএব, সহ্য করাই বেঁচে থাকার তরিকা।
৩| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাস্তব চিত্র এটাই।
০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আলবাত।
৪| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩৬
আরইউ বলেছেন:
একজন মানুষের দুনিয়া বদলানোর আসলে কোন প্রয়োজনও নেই। শুধু প্রয়োজন ভালোর জন্য নিজেকে বদলানো, দুনিয়া এমনিতেই বদলে যাবে!
০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: একটা পরিবার, একটা দেশের কিম্বা দুনিয়ার সবাই ভালো হবেনা-এটাই স্বাভাবিক তাই একটা পরিবারে অন্তত একজনকে, একটা রাস্ট্রে কয়েকজনকে ভালো হতে হবে- যারা অনেক কিছু বদলে দিতে পারবে।
৫| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: ছোট বেলা থেকে প্রায় সবাই এই চিন্তা নিয়েই বড় হয় যে নিজের কাজ কর্ম দিয়ে সে সমাজ দেশ বদলে দিবে । যতই বড় হয় সে, যতই চারিপাশের সব কিছু সে দেখতে শিখে বুঝতে শিখে তার ভেতরে সেই উপলব্ধিটা আসে যে আসলে তার ভেতরে সমাজকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা নেই । যদিও খুব অল্প কিছু মানুষের মাঝে সত্যিই সত্যিই পৃথিবী বদলে দেওয়া ক্ষমতা থাকে । তারা সাধারণ মানুষ থেকে আলাদা ! আমি অতি সাধারন মানুষ । আমার ভেতরেও পৃথিবী বদলে দেওয়ার ক্ষমতা নেই !
০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: অপু, আমি, তুমি কিম্বা আমরা পারিনি- কিন্তু অনেকেই পারেন। যার ছোট্ট একটা প্রমাণ- কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গ! আমরা নিজেরা যদি প্রতক্ষ্যভাবে কিছু নাও করতে পারি- একজন গ্রেটা থুনবার্গের পাশে দাঁড়াতে পারি। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তি একত্র করলে বৃহত শক্তি হতে পারে।
শুভ কামনা।
৬| ০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০০
রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়া বদলে দেওয়া সম্ভব। সেটা তীব্র ইচ্ছা থাকতে হয়। বয়স কোনো সমস্যা না।
০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও তাই বিশ্বাস করি। কেউ না কেউ সেই কাজটি একদিন করবেই।
৭| ০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১২
রানার ব্লগ বলেছেন: নিজেকে ও আশেপাশের কিছু কিছু অনিয়ম বদলে দিন দেখবেন দুনিয়া বলদলে গেছে।
০৬ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: নিজেকে প্রতিনিয়তই বদলাতে চেষ্টা করি, কিন্তু নিজেকে বদলানোর সুযোগ নেয় প্রতিপক্ষ।
৮| ০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৩০
খাঁজা বাবা বলেছেন: একা গায়ের জোরে দুনিয়া বদলানো যায় না। বদলাতে হলে অনেক মানুষের একসাথে একই উদ্দেশ্যে বদলাতে হয়। আর মানুষকে বদলে দেয়ার শক্তি যার মধ্যে আছে, সে দুনিয়া বদলাতে পারে।
০৬ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: দুনিয়া বদলে দেবার শক্তি যেমন আমাদের নেই ঠিক তেমনি আমরা প্রতিবাদের থেকে নিবেদনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি বেশি। সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।