নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমামতী- \'আজব এক চাকরি\'!

২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪২

ইমামতী- 'আজব এক চাকরি'!

"আজব এক চাকরী- ইমামতী"- এই শিরোনামে একটা লেখা অনলাইনে দীর্ঘদিন যাবত দেখতে পাচ্ছি। সামাজিক ভাবে আমি একটা মসজিদের ব্যবস্থাপণার সাথে দীর্ঘদিন জড়িত ছিলাম। "আজব এক চাকরী- ইমামতী" বিষয়বস্তু নিয়ে আমি আমার যৎকিঞ্চিত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছিঃ-

আমাদের পারিবারিক ওয়াকফা করা জমিতে নির্মিত মসজিদের বয়স অর্ধ শত বর্ষ অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে আরও দুই যুগ আগে। উত্তরাধিকার সূত্রে আমি সেই মসজিদের একজন মোতয়াল্লী হলেও ব্যবস্থাপনায় আমার কোনো ভূমিকা নাই। সব ক্ষমতা জোরজবরি মসজিদ কমিটি নামের লুটেরাদের।

প্রায় এক বিঘা জমির উপর নির্মিত এই মসজিদ শুরুতে ছিলো শুধু একটা টিনের ঘর। মসজিদ- মক্তব্যের সাথে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জীন-খাদেমদের কোনো রকম আবাসিক ব্যবস্থা। সময়ের ব্যবধানে ৯৫% ব্যক্তিগত অনুদান ও ৫% সরকারী সহায়তায় দশ কোটি টাকা ব্যয়ের সেই মসজিদ এখন অত্যাধুনিক ছয়তলা ভবন। প্রতি ফ্লোর ৬ হাজার স্কয়ার ফুট। সাথে একটা এতিমখানা কাম হাফেজী মাদরাসা। মসজিদের ভিতর বাহির মিলিয়ে একসাথে ১২ শত জন মুসুল্লী নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদ সংলগ্ন যায়গায় চার তলা একটা ভবন নির্মাণ করে নিচ তলায় ১৪ টা দোকান "নয়ছয়" করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে- যা থেকে ভাড়া পাওয়া যায় তিন লাখ টাকা(প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে পজিশন ভাড়া দেওয়া হলে আরও ৪/৫ লাখ টাকা বেশী পাওয়া যেতো)। ২য়, ৩য় তলায় মাদরাসা-এতিমখানা ও ৪র্থ তলায় মাদরাসা শিক্ষক এবং এতিমদের আবাসিক ব্যবস্থা।

সম্প্রতি একজন সককারী ঈমাম নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ দেওয়া হয়। ঈমামের শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ স্বীকৃত মাদরাসা থেকে কোরআনে হাফেজ, মাওলানা ও মুফতি হতে হবে। উল্লেখিত যোগ্যতার প্রায় দেড়শজন আলেম ইমাম পদের জন্য আবেদন করেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ইমাম নিয়োগ দেওয়ার জন্য মসজিদে নির্দিষ্ট দিনে ইমাম প্রার্থীদের পরীক্ষা/ইন্টারভিউ নিতে ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে বিশেষজ্ঞ আলেমদের নিয়ে আসা হলো। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ইমাম প্রার্থীদের যাতায়ত, থাকা, খাওয়া নিজ নিজ দ্বায়িত্বে হলেও ইসলামী ফাউন্ডেশন এর তথাকথিত বিশেষজ্ঞ আলেমদের সম্মানী, যাতায়ত, খাওয়া বাবদ বাজেট হলো ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। অবশেষে অনেক যাচাই বাছাইয়ের পর মসজিদের ইমামের বেতন মাত্র ঠিক হলো মাত্র ১৪ হাজার টাকা! দুই ঈদে এক মাসের সম পরিমান দুই বোনাস। ইমাম সাহেবের থাকার জন্য মসজিদের সিঁড়ির নিচে টয়লেট সংলগ্ন জানালা বিহীন একটা খুপরি ঘর। এই ঘরটা মূলত একটা স্টোর রুম। ইমাম সাহেবের খাওয়ার ব্যবস্থা মসজিদের সাথে এতিমখানা-মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকদের সাথে।

এই মসজিদ-মাদরাসা-এতিমখানার আয়ের কিঞ্চিত বর্ণনা দেইঃ-

আয়ের নিয়মিত উৎস মুসুল্লীদের এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিদের দান খয়রাত এবং কোরবাণীর সময় পশু কোরবাণীর চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করা। মসজিদটি সম্পুর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং এলইডি লাইজ সজ্জিত হলেও জানালা বিহীন এতিমখানায় টিমটিম করে জ্বলা লাইট আর ক্লান্তিকর অবস্থায় ঘুরতেথাকা ফ্যান। মাসজিদের পায়খান প্রশ্রাবখানার ফ্লোরও অত্যাধুনিক টাইলস/মার্বেল পাথরে মোড়ানো। কিন্তু ইমাম সাহেবের থাকার রুমের কথা আগেই বলেছি।

গত ৩০ বছর যাবত আমি লক্ষ্য করছি- মসজিদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রগুলো ৩/৪ বছরের মাথায় বদল করা হয়। যা মসজিদের ফান্ড থেকে কেনা হয়না। সবই মসজিদের মুসুল্লীদের দান। তিন বছর আগে একজন ধনাঢ্য ব্যাক্তি একাই ১০ টন ক্যাপাসিটির ২৬ টা এসি দান করেছিলেন ইন্সটলেশন খরচ সহ। কিন্তু ঈমাম সাহেবে থাকার রুমে ২০ বছর পুরনো ফ্যান এখনো ঘেনর ঘেনর করে ঘুরছে। মসজিদের অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম ৩/৪ বছর পর পর বদল করা হয়, প্রায় প্রতি বছর মসজিদের কার্পেট বদল করা হয় মুসুল্লীদের টাকায়। প্রতি দিন মুসুল্লীদের দানে দান বাক্সে হাজার টাকা এবং প্রতি জুম্মায় মসজিদে মুসুল্লীরা দান করেন গড়ে ৫০ হাজার টাকা। রমজান মাসে এই দাণের পরিমাণ দশ লক্ষাধিক টাকা। এরশাদ সরকার মসজিদের পানি ও বিদ্যুৎ বিল মাফ করে দিয়ে ছিলেন- সেই প্রথা এখনও বহাল আছে। তবে ইদানীং বিদ্যুৎ বিলের অর্ধেক মসজিদ কমিটিকে দেওয়ার নির্দেশনা চালু হয়েছে। এতো এতো সুবিধাদি এবং প্রাপ্তিতে মসজিদের ফান্ড কোটি কোটি টাকা হলেও (যদিও মসজিদ ফান্ডের হিসাব কমিটির প্রভাবশালী সদস্যরা ছাড়া অন্যরা জানেনা) ইমাম সাহেবের বেতন এবং সুযোগ সুবিধায় কোনো পরিবর্তন নেই।

এতিমখানার ছাত্রদের জন্য কোনোদিন চাল কিনতে হয়না। প্রতি মাসেই বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তিরা যে চাল দান করেন তা মাদরাসা/এতিমদের উদ্ববৃত্ব থেকে যায়। অনেক সময় কেউ কেউ কার্টুন ভরা তেল, বস্তা বস্তা ডাল-আটা, চিনিও দান করেন। কোরবানীর সময় কোরবানীদাতারা যে পরিমাণ গোশত দান করেন- সেই গোস্ত অল্প অল্প করে সারা বছর এতিম ছাত্র শিক্ষকরা খায়। সামগ্রীক ভাবে এতিমখানার ছাত্র শিক্ষকদের খাবারের মান অত্যন্ত খারাপ।

অর্থাৎ মসজিদ কমিটির নির্দেশে ইমাম সাহেব মসজিদ-মাদরাসা
এতিমখানার জন্য যা কিছু চান- সাথে সাথে মুসুল্লীরা আলাদিনের চেরাগ নিয়ে সব চাহিদা পূরণ করেন। অল্প ব্যবহৃত পুরনো পণ্য (এসি, সাউন্ড সিস্টেম, কার্পেট ইত্যাদি) মসজিদ কমিটির কেউ কিম্বা তাদের বাছাই করা ব্যবসায়ী নাম মাত্র মূল্যে খরিদ করে নেন। মসজিদের ইমাম সাহেবের চাকরির স্থায়িত্ব নির্ভর করে কতটা আবেগ দিয়ে ওয়াজ নসিহত করে বেহেশতের লোভ দেখিয়ে মুসুল্লিদের মন গলিয়ে দান খয়রাত জোগাড় করতে পারে তার উপর।

আগের ইমাম সাহেব এই মসজিদে ২৮ বছর ইমামতী করে মারা গেলেন। ইমামের পরিবারের জন্য মসজিদ কমিটি কিছুই করলো না। তাঁর পরিবার কেমন আছে, সেই খোঁজ নেওয়ার জন্য কেউ যাননি।

দিনশেষে ইমাম সাহেব ও তার পরিবারের সদস্যরাও মানুষ! সমাজের অবহেলিত একদল মানুষ। এ জাতির কাছে ইমামরা অবহেলিত! এভাবেই ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ২০/২৫ হাজার টাকা বেতনে শেষ হবে ইমাম সাহেবদের ঈমামতীর জীবন। মসজিদ কমিটি তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করবে। এদিকে আবারও মসজিদে ইমাম নিয়োগের ঘোষণা হবে। কিন্তু ইমাম সাহেবদের আর্থিক অবস্থান বদলাবে না।

তাই মহান আল্লাহ জেনো সমস্ত মৃত এবং জীবিত ইমামদের পরিপূর্ণ মর্যাদা দান করেন, আমিন।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইমাম পদটা অত্যন্ত সম্মানের একটা পদ। কিন্তু আমরা ইমামকে সম্মানজনক অর্থ প্রদান করি না। এসি দেখা যায়। কিন্তু ইমাম সাহেবকে দিলে সেটা দেখা যাবে না। তাই আমরা দিতে চাই না।

২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:২২

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব কাছে থেকে ইমাম-মোতোওয়াল্লী, মুয়াজ্জিন, খাদেম এবং মাদরাসার শিক্ষকদের মানবেতর দুরাবস্থা দেখেছি- অথচ আমার কিছুই করণীয় সুযোগ নাই। তবে সীমিত সংখ্যক ভালো আলেম ইমামদের হজ্জ-ওমরাহ টিমের সাথে অর্গানাইজ করার সুযোগে বাড়তি আয়ের সুযোগ আছে।

২| ২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৩৪

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আসলে সব কিছু কি পরিবর্তনশীল
তাই সব পরিবর্তন হচ্ছে কোরআন হাসিদের কথা বলি কিন্তু
মানি না--------------

২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক তাই।

৩| ২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

মসজিদ কমিটিতে অপরাধীরা চেয়ার পেয়ে গেছে,সমস্যা ঐখানেই।

২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: বেশীরভাগ মসজিদ কমিটিতে এলাকার চিনহিত মন্দ লোকের সমাবেশ- কারোর টু শব্দটি করার সুযোগ নাই। প্রতিবাদ করলেই জামাত-বিএনপি ট্যাগ দিয়ে হেনস্তার চুড়ান্ত করে ছাড়ে!

৪| ২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইমাম সাহেবের নিম্ন বেতন ও নিম্ন মানের বাসার ব্যাপারটা বেদনাদায়ক। তার পরিবার এত অল্প টাকায় কীভাবে চলতো, তা ভাবলে খারাপই লাগে। পবিত্র মসজিদকে ঘিরে দুর্নীতি গড়ে ওঠাও দুঃখজনক বটে।

২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: সীমিত সংখ্যক ভালো আলেম ইমামদের হজ্জ-ওমরাহ টিমের সাথে অর্গানাইজ করার সুযোগে বাড়তি আয়ের সুযোগ আছে। এরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছোট শিশুদের আরবী পড়িয়ে/শিখিয়ে বাড়তি কিছু আয় করে। মিলাদ পড়িয়ে কিছু বখশিস পায়।

৫| ২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা আমাদের সরকারগুলোর কারণে হয়। ইমামের বেতন যদি সরকার নির্ধারণ করে দিত বা দায়িত্ব নিত তাহলে এই সমস্যা থাকত না। ইসলামী সমাজে ইমামের দায়িত্ব মসজিদ কমিটির নয়, বরং ঐ সমাজের। আবার আমাদের দেশের ইমাম রা ইমামতি ছাড়া অন্য কিছুই করতে চান না। হয়তো বা সুযোগও দেয়া হয় না। যদি ২ ইমাম রাখার সিস্টেম থাকতো। তাহলে ২ জনেই ইমামতির বাইরে চাকুরি, ব্যবসা করে আরও স্বচ্ছল জীবন যাপন করতে পারত...

২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: এখন অবশ্য অনেক বড় বড় মসজিদেই একাধিক ইমাম আছেন। যেমন গুলশান মসজিদে চারজন ইমাম আছেন- যারা বাই রোটেশন জুমার নামাজ পড়ান। তারা এক এক সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন মসজিদে ইমামতী করেন। আমাদের মসজিদের বর্তমান ইমাম সাহেব এক জুম্মা গুলশান মসজিদে নামাজ পড়ান। সেখানে একটা নির্দিষ্ট অংকের হাদিয়া পান।

৬| ২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:২১

অপু তানভীর বলেছেন: কেবল এই মসজিদেই না প্রতিটি মসজিদেই এই একই অবস্থা !

২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩১

জুল ভার্ন বলেছেন: দেশ জুড়ে একই অবস্থা।

৭| ২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩১

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: কিছু কিছু লোক ধর্ম, পাকিস্থান এসব পছন্দ করে না।

২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ব্যাপারটা পাকিস্তান-হিন্দুস্তানের বিষয় না- বিষয় হচ্ছে একজন শিক্ষিত সম্মানীত ব্যাক্তির নুণ্যতম আর্থিক সহায়তার বিষয়ে আমাদের উদাসীনতা। একজন ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদরাসার শিক্ষকেরও মা-বাবা, স্ত্রী সন্তান পরিবার পরিজন আছে- সেই বিষয়টা আমরা আমলে নিচ্ছিনা।

৮| ২৫ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইমাম পদটা অত্যন্ত সম্মানের একটা পদ। কিন্তু আমরা ইমামকে সম্মানজনক অর্থ প্রদান করি না। এসি দেখা যায়। কিন্তু ইমাম সাহেবকে দিলে সেটা দেখা যাবে না। তাই আমরা দিতে চাই না।

সহমত।

২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩২

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১২

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। জানিয়ে গেলাম।

২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনাদের মসজিদের অবস্থাতো বেগতিক!!
এতো ইনকাম ওয়ালা মসজিদে এমনই হয়।
আমাদের মসজিদে আয়ে আলহামদুলিল্লাহ সব কিছুই চলে যায়। টান থাকে না। নির্মাণ বা উন্নয়ন ব্যয়ে মুসুল্লিরা সামিল হয়।

২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের মসজিদ ৭৫ বছরের পুরনো। নির্মাণ ব্যয় নাই, মেন্টেনেন্স ব্যয় যৎসামান্য। এখন দৃষ্টি পরেছে লুটেরাদের।

১১| ২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১৭

নিমো বলেছেন: এ দেশের ভৌগলিক ও জনসংখ্যার অনুপাতে মসজিদের সংখ্যা কত হওয়া উচিত ? ইমাম ইসলামের ইতিহাসে কখন থেকে পেশা হল ? নবী ও তার সাহাবিরা সবাইতো ব্যবসায়ীই ছিল। দানের টাকায়ই কেন চলতে হবে ? প্রথম দানের টাকা বিনিয়োগ করে কেন সুনির্দিষ্ট আয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না ? বিল মাফ কেন করতে হবে ?

২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: কতো মসজিদ হওয়া উচিৎ সেই পরিসংখ্যান আমার জানা নাই। ছোট ছোট এবং নির্মাণাধীন মসজিদে বিত্তবান মুসুল্লি কম যায়, তাই সেইসব মসজিদে ব্যয় সংকুলান সহজ নয়। এই দেশের সব মসজিদই দানখয়রাত নির্ভর। মসজিদের ইউটিলাইজ বিল মাফ করা উচিৎ নয়। অনেক মসজিদে পানি বিক্রি করে...মিস ইউজ করে।

১২| ২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,




দেশের প্রায় সব মসজিদেরই বাস্তব চিত্র এটা এবং সমাজেরও!
ইমামগন আসলেই সর্বত্র অবহেলিত। এ অবস্থার উন্নতি হওয়া দরকার।

২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি ভাইজান, এটাই বাস্তবতা।

১৩| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দুঃখজনক হলেও ইমাম সাহেবদের বাস্তব চিত্র তুলে
ধরার জন্য ধন্যবাদ। তবে সম্ভবত সব মসজিদে
এমন অবস্থা নয়। ব্যতিক্রমও আছে তবে তা
সীমিত।

২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া আমাদের দেশের ইমাম সাহেবদের সামগ্রীক চিত্র এটা।

১৪| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ৩:৪৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেক ইমামকেই মানবেতর জীবনযাপন করতে দেখেছি। অথচ মসজিদ কমিটি ঠিকই ধান্দা করে।

২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

১৫| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:০০

বিটপি বলেছেন: ইমাম কখনোই পেশা হওয়া উচিৎ নয়। একটা সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরই ইমামের দায়িত্ব পালন করা উচিৎ - তিনি হতে পারেন অবসরপ্রাপ্ত কোন সরকারি চাকুরিজীবি, বা কোন ব্যবসায়ী অথবা ওয়ার্ড কাউন্সিলর - এরকম কেউ। ইমাম পদে অর্ধশিক্ষিত অশিক্ষিত কুশিক্ষিত লোক বসে জুমার খুতবায় অর্থহীন আকথা কুকথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা সমাজের জন্য খুব বড় ধরণের ফেতনা। আমাদের মসজিদ ঢাকা শহরের অল্প কিছু মসজিদের অন্যতম সেখানে কোন এসি লাগানো হয়নি। তাতে মানুষের সমাগম কম হয়না। ফজরের নামাজেও ৫০/৬০ মানুষ আসে নামাজ পড়তে। ইমাম সাহেবের তেলাওয়াত শুনলে গরমের কষ্ট কোন কষ্টই মনে হয়না। আমাদের ইমামের বেতন ১৫ হাজার, দুই ঈদে ১০ হাজার করে বোনাস। প্রতি শনিবার কোন না কোন বাসায় খাওয়ানো হয়। বেতনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সোর্স থেকে আরো হাজার দশেক টাকা ইনকাম করেন। এ দিয়ে তার দিনকাল বেশ ভালোই যায়, তিনি শুকরিয়া আদায় করেন।

২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: বিটপি ভাই, আপনার মন্তব্যে বোঝা যায়- ইমাম সাহেবেরা সবাই অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, কুশিক্ষিত- যেটা আমার ধারণার বিপরীত। ঢাকা শহরের অনেক মসজিদ এবং মসজিদের ইমাম সাহেবদের সম্ঢাপর্কাকে আমার কিঞ্চিত ধারণা আছে। ঢাকা শহরের বেশীর ভাগ মসজিদের ইমাম সাহেব উচ্চশিক্ষিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কাটাবন মসজিদ, নিউমার্কেট মসজিদ, গাউসুল আযম জামে মসজিদ, গুলশান আজাদ মসদিজ, রাজাবাজার জামে মসজিদ, গ্রীন রোড স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদ, ধানমন্ডি ঈদগা মসজিদ, ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদ সহ অনেক মসজিদের ইমাম দেশের ছাড়াও বিদেশের বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং বেশ কয়েকজন পিএইচডি ডিগ্রীধারী। উচ্চ শিক্ষিত আলেমদের চাকরীর সুযোগ সীমিত। আর একটা কথা দেশের সকল বড় মসজিদেই একাধিক ইমাম থাকেন, এমনকি কোথাও কোথাও ৭ জন ইমাম আছেন- যারা এক দিন করে নামাজ আদায় করান।

আর একটা কথা, আমি কোনো মসজিদের ইমাম সাহেবদেরই কম বেতনের জন্য আপসোস করতে শুনিনি বরং আপনাদের মসজিদের ইমাম সাহেবের মতোই শুকরিয়া আদায় করেন- নুণ্যতম প্রাপ্তিতেও।

১৬| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কথায় কথায় মসজিদের ইমাম পরিবর্তন করা হয় কিন্তু তাদের বেতন এত কম যে ভাবলে অবাক হতে হয়।

সমজিদ কমিটি মনে করে তারাই সব। পরিবর্তন সময়ের দাবী।

২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

১৭| ২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইমাম এবং মুয়াজ্জিমের চাকুরী খুবই কঠিন একটা জব, এক মিনিট এদিক সেদিক হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই তাদের যথাযথ সম্মানী দেয়া খুবই জরুরী।

২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:১৯

জুল ভার্ন বলেছেন: সত্যিই বছরের পর বছর উনারা যে কতটা নিয়মানুবর্তিতা রক্ষা করেন- ভাবতেই অবাক হই! অবশ্যই উনাদের আর্থিক স্বচ্ছলতার বিষয়টা গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

১৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ ভোর ৫:৫৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার বাড়ির পাশে ২৫ বছর আগেও মসজিদ ছিলো না। ৯৭/৯৮ সালে মসজিদ স্থাপন করা হয় বাশের বেড়া আর টিনের চাল দিয়ে। নির্মানের সময় আমি নিজে সেই মসজিদের মাটি দর্মুজ করেছি, বেড়া বাধায় সাহায্য করেছি, মুয়াজ্জিন ছিলো না তাই আজান দিয়েছি, দীর্ঘদিন ইমামের ছাত্র হিসেবে বাচ্চাদের পড়িয়েছি, নিজেও শিখেছি। ধীরে ধীরে মসজিদটির ৩য় তলার নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। কিছুদিন আগে মা ঐ মসজিদের ব্যাপারে আমাকে আর্থিক সহযোগীতার কথা জানালেও আমি কোন সহায়তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি।

বিশ, পঁচিশ বছর আগেও যদি আমরা কোন ফ্যান ছাড়াই নামাজ পড়তে পারি, তবে সেখানে এখন কেন এসি লাগবে সেটা আমার বোধগম্য নয়। দালান হওয়াতে সেখানে ফ্যান লাগালে কোন সমস্যা দেখছি না। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো মসজিদে এসি লাগানোর প্রয়োজন নেই, সেই টাকা অন্য কাজে ব্যয় করা যেতে পারে যেহেতু এ্যাপরেরেন্টলি দে নিড মোর মানি।

মসজিদের পাশের (দ্বিতীয়) বাড়ি আমাদের তাই সেখানে কম-বেশী আমাদের কিছু বলার থাকতেই পারে, কিন্তু সেখানে এসে কমিটি করছেন অন্য মসজিদের আশে-পাশে থাকা লোকজন। কমিটির নামে মসজিদে এসে চলছে তাদের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, তাদের একজন আবার চিহ্নিত সন্ত্রাসী যে কিছুদিন আগেই মানুষ হত্যার জন্য বর্তমানে জেলে রয়েছে। কম-বেশী এই হলো মসজিদ ঘটিত অল্প-স্বল্প গল্প। আমি এগুলোর মধ্যে নাই। এসব স্থানে আমি চার আনা পয়সাও দিতে নারাজ।

আমার ফুপু আমাদের গ্রামের একটা মসজিদের উন্নয়ন কাজে সাহায্য করার জন্য আমাকে অনুরোধ করেছিলেন, মা'কে জিজ্ঞেস করে সব জানার চেষ্টা করলাম। বাবার মৃত্যুর পর সেই মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে এসে, আমার মনে হয়েছে সেখানে আসলেই কিছু আর্থিক সহযোগীতা প্রয়োজন। আমি কিছু সহযোগীতা ইতোমধ্যেই করেছি। মা, ফুপু দু'জনকেই বলা আছে আগামীতে প্রয়োজন হলে যেন আমাকে জানান। মূল সারমর্ম হলো, না জেনে বুঝে "মসজিদের" তকমা থাকলেই আমি সেখানে সহযোগীতা করতে অপারগ। বুঝতে হবে কার আসলেই সহযোগীতা প্রয়োজন। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের দেশে এমন গরম পড়েনা- যেখানে নিয়মিত নামাজের জন্য সর্বচ্চো ৩০ মিনিট সময় লাগে, সেখানে টন টন ক্যাপাসিটির এসি লাগাতে হবে- এটা আমিও বুঝিনা! কিছু মুসুল্লি আছেন- যারা মসজিদে ঢুকেই "এসি ছাড়েনা ক্যান"- বলে চিল্লায়! অথচ এই চিল্লানো লোক গুলোই বাসায় একটু বেশী সময় ফ্যান ছাড়া নিয়ে বৌ বাচ্চাদের সাথে চিল্লাচিল্লি করে! মসজিদে এলেই এসি ছাড়া চলে না!

মসজিদ কমিটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য বর্তমান মসজিদ কমিটির বাস্তবতা। আমার বর্ণিত মসজিদের কমিটির সবাই এলাকার চিনহিত দুর্বিত্ত....! এরা মসজিদের সাথে পরিচালিত এতিমখানার এতিমদের প্রাপ্ত সাহায্য সহযোগিতার উপরেও বখরা আদায় করে।

আমিও শান শওকত জৌলুশময় মসজিদে দান করিনা। সুযোগ এবং সামর্থ অনুযায়ী নির্মানাধীন মসজিদে সহায়তা করি।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.