নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
টোকাইয়রে কাম না করলে খাইতাম কেমনেঃ
দেশ জুড়ে দেখা যায় ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী কিশোর কিশোরী রাস্তার পাশে পাপ্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ইত্যাদি কুড়ায়। লোকে বলে টোকাই। যেন জন্মটাই হয়েছে মানুষের উচ্ছিষ্ট আর অবহেলা কুড়িয়ে জীবন ধারণের জন্য। অথচ এবয়সে তাদের স্কুলে যাওয়ার কথা। দিন মজুর বাবা। কেউ ঠেলা চালক, মুটে, রিকশাচালক। মা'য়েরা প্রায় সবাই লোকের বাসায় বুয়ার কাজ করেন। আবার অনেক শিশুর মা-বাবারই কোন হদিস নেই!
আমাদের বয়স্কদের একটা গ্রুপ আছে- যারা সকাল বিকাল ধানমন্ডি লেকে হাটাহাটি করি, ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করি...। আমি কৌতূহলী মানুষ। খুচরা আলাপচারিতায় অনেক কিছু জানতে পারি। আমি প্রায়দিনই এই পথশিশুদের সাথে ওদের কারোর অবিভাবকদের পেলে তাদের সাথে কথা বলি। ওদের জীবনের কথা শুনি- জানি।
পলিথিনের বড়ো বস্তা নিয়ে ওরা বেরিয়ে পরে ধানমন্ডি, কলাবাগান, গ্রীণরোড, নিউ মার্কেট সহ সব এলাকাতেই। সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত ছেড়া কাগজ, ভাঙ্গা বোতল, লোহার টুকরো পরিত্যক্ত টিনের কৌটা, পানি ও সয়াবিন তেলের কনটেইনার ইত্যাদি কুড়িয়ে বেড়ানোর কাজ। এসব কুড়াতে কুড়াতেই ওরা তাকিয়ে দেখে পরিষ্কার পোশাক পরা তাদের সমবয়সীদের কেউ বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। কেউ যাচ্ছে খেলতে। কেউ বা বাবা-মায়ের সঙ্গে বাজারে। বা চকচকে গাড়িতে করেও যায় কেউ কেউ। তারা সযত্নে গা বাঁচিয়ে চলে। টোকাইদের নোংরা শরীরের সঙ্গে তাদের যেন ছোঁয়া না লাগে। প্রথম প্রথম মন খারাপ হলেও পরে সব সরে যায়। সারাদিন আবর্জনা ঘেঁটে যা পাওয়া যায় তা ওরা বিক্রি করে আশেপাশের "ভাংগারির দোকানে"। মিজান, জমির, টিটু, সোহেল, মতিয়া, পিন্টু, আব্বাসরা সবাই আসে এসব দোকানে।
ধানমন্ডি ৮ নম্বর রোডের তাকওয়া মসজিদের কাছে সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং ডাস্টবিনের কাছে ভাষমান ভাংগারির দোকানে ওদের প্রায়ই দেখা মেলে। সকাল-বিকাল হাটাহাটির সময় আমি ওদের সাথে কথা বলি। মতিন জানায়, ওরা ৩/৪ বন্ধু প্রতিদিনই টোকাইয়ের কাজ করে। বিকেলের দিকে বিক্রি করতে নিয়ে আসে কাছের যে কোনো দোকানে।
সুমিয়া আর সিলিকে দেখা গেল- কলাবাগান ১ম লেনের এক ভাংগারির দোকানে। আরো ক'জন সঙ্গীসহ কলাবাগান, লেক সার্কাস এলাকাতেই কাজ করছে ওরা। সুমিয়া জানায়, গত কয়েক মাস ধরে এ কাজ করছে সে। এর আগে বস্তির কাছের একটি মসজিদে আরবি পড়তো। এখন টোকাইয়ের কাজ করছে। সুমিয়া আর লিলি দু'জনই বলে, ইশকুলে যামু- টেহা পামু কই! হেই কাম না করলে খাইতাম কেমনে? নাদিয়া জানায়, স্কুলে যাওয়া তার ভারি ইচ্ছে। কিন্তু যেতে পারে না। সারাদিন টোকাইয়ের কাজ করে যে ৫০-৬০ টাকা আয় করে ওরা, তা তাদের সংসার চালানোর জন্য বড় দরকারি। তবে অনেক পথশিশুরাই চুরি চামারীতে হাত পাকানো! ওরা সুযোগ পেলেই গাড়ির সাইড মিরর, ফুয়েল ট্যাংকির ঢাকনা কিম্বা ইন্ডিকেটর লাইট, এমনকি হেড লাইট মুহুর্তেই খুলে নিয়ে পগারপার হয়ে যায়!
ভাংগারী ক্রেতা বউ বাজার বস্তির শাহাবুদ্দিন জানান, তিনি ২৮শ টাকা মাসিক ভাড়ায় এক রুমের কাঁচা ঘরে থাকেন বউ, ছেলে-মেয়ে নিয়ে। বউ লোকের বাসায় কাজ করে। সে রাতে ২/১ জনের খাবার নিয়ে আসে। নিজের দৈনিক ১৫০ টাকার বেশি রোজগার হয় না। ছেলে মেয়েরা টোকাইয়ের কাজ করে আরো ৫০-৬০ টাকা দেয়। সব মিলিয়ে কষ্টে-সৃষ্টে চলে সংসার। ভালো কিছু ছেলেমেয়েদের মুখে তুলে দেয়ার সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোয় না। লেখাপড়া করাবেন কি ভাবে। মোমেনা নামে এক বয়স্ক মহিলা টোকাই জানান, দিনমজুর স্বামী আর নিজের ঠোংগা বিক্রির রোজগারে ২ ছেলে মেয়েকে কলাবাগান ২য় লেনের ফ্রী-প্রাইমারী স্কুলে পড়াচ্ছেন। এক ছেলে আগামী বছর হাইস্কুলে যাবে। বড়ো দুটোকে স্কুলে পাঠাতে পারেনি। নিজে লেখাপড়া করেছেন দয়াগঞ্জের এক প্রাইমারী স্কুলে। যে কোনোভাবেই ছোট ২ ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর ইচ্ছে মোমেনার।
কলাবাগান ১ম লেনের কয়েকজন ভাংগারী ব্যবসায়ী জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বোর্ড মিলেই পাঠানো হয় এসব। খুবই সামান্য বিক্রি হয় স্থানীয় কয়েকটি বোর্ড ফ্যাক্টরিতে। রমিজ উদ্দীন নামে এক ভাংগারির দোকানদার জানান, তারা মূলতঃ খুবই কম পুঁজি নিয়েই ব্যবসা করছেন। বাড়তি পুঁজির প্রয়োজন তারা অনেক সময় তাদের মহাজনদের কাছ থেকে অগ্রীম নেন। ক'জন টোকাই জানান, তাদের কোন নগদ পুঁজি নেই। পুঁজি বলতে পলিথিনের বস্তা ও সারাদিনের ঝড় বৃষ্টি, গরম উপেক্ষা করা শারীরিক শ্রম। ৪০/৫০ টাকা থেকে কেউ কেউ একশত টাকা পর্যন্ত আয় করছে ওরা। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে বৃদ্ধিপায় আয়।
এদের শ্রমে-ঘামে সংগৃহীত উপকরণই রিসাইকিলিং-এর মাধ্যমে ব্যবহৃত হচ্ছে পুনঃ আয়না, বোর্ড, প্লাস্টিক সামগ্রীসহ রকমারি পণ্য। বোর্ড ও কাগজের মণ্ড তৈরির জন্যে বিবিধ প্রক্রিয়ায় এ সবই একটি পর্যায়ে নিয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে কাঁচামাল হিসেবে। কার্যতঃ কিছুই আজ আর ফেলনা নয়। রুজি-রোজগার, জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে শিশু থেকে বয়স্ক নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন এ পেশা।
প্রায় সব বস্তিতেই রয়েছে মা-বাবাদের মধ্যে ছেলেমেয়েদের লেখা পড়া করানোর ইচ্ছে। কিন্তু বাধা হয়ে আছে সামর্থ্য। কাজেই ছেলে-মেয়েরা টোকাই হয়েই আছে।
এক অভিভাবক জানালেন অনেক বস্তিতেই রয়েছে এনজিও স্কুল। কিন্তু এই এলাকায় বস্তি নেই বলে এখানে কোন এন জি ও কাজ করেনা- নেই কোন ফ্রি প্রাইমারী স্কুল। এখানে কাছাকাছি এন জি ও স্কুলের নাম "সুরভী"। কিন্তু ওই স্কুলে সবাইকে গণহারে ভর্তি করা হয়না। এরকম আরো স্কুল থাকলে এবং "সুরভী"র মত সুযোগ থাকলে আরো কিছু ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শিখতে পারতো। প্রাইমারি স্কুল যেগুলো আছে তার বেশিরভাগই বস্তি এলাকা থেকে বেশ দূরে। তাই যাদের "ইচ্ছে এবং সামর্থ্য" মোটামুটি কাছাকাছি, তারাও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে পারছে না। বেশির ভাগ ছেলে-মেয়ে ৭/৮ বছর বয়স হওয়ার সাথে সাথে নেমে পড়ে পলিথিনের বস্তা নিয়ে টোকাইর কাজে। ছেড়া কাগজ আবর্জনা কুড়াতে কুড়াতেই ওরা বড় হয়.........
২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: জীবন যাদের নির্মম পরিহাস!
২| ২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কিছু অসাধু ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী আছে যারা টোকাইদের পলিথিনের প্যাকেটে গাম সরবরাহ করে যা দিয়ে টোকাইরা নেশা করে, বুদ হয়ে পরে থাকে ঝিমায়।
২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি অনেক পথ শিশুদেরই দেখেছি- রাস্তার পাশে বসে পলিথিন ব্যাগ থেকে আইকা জাতীয়(গন্ধটা আইকা গামের মতো- যা পাশ থেকে হেটে গেলেই গন্ধ পাওয়া যায়) নাক-মুখে টানতে!
৩| ২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:২৭
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এই যে আপনি 'রিসাইকিলিং' বললেন এর কারনেও কিছু ব্যবহারযোগ্য পণ্য আমাদের হাতে আসছে। এই পণ্যগুলো হাতে আসার পেছনে যাদের বেশি অবদান তারা এই পথ ফুল। অথচ আমরাই বা ক'জন এদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করি?
আমার মনে পড়ে, সুরমা ব্রিজের আশপাশের এরকম কিছু পথ ফুলেরা দুর্গন্ধ দূর করে সুগন্ধি ছড়ায়। আমি নিজে ওদের সাথে সময় কাটিয়েছি অনেক। ওরা আমায় বাতাম ভেঙে খাইয়্যেছে। এদের মধ্যে একটা ছিল বোবা। ওর চাহনিতে একটা আদর ছিল। ছেলেটা দুষ্টও ছিল খুব। আমি ওদেরকে কখনো ঐসব ছাইপাঁশ টানতে দেখিনি৷ আসলে এই যে ছাইপাঁশ, এগুলোর প্রতি সেইসব লোকেরাই তাদেরকে নেশাগ্রস্ত হিসেবে তৈরি করে যাদের জন্য এরা কাজ করে। আমার সামর্থ্য নেই কিংবা আপনার তাই আমরা এসব সহ্য করে যাই। আসলে সাধ্যের মধ্যে অনেক কিছুই আছে, চিন্তা করলে খোঁজে পাওয়া যায়!
সুন্দর পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ।
২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্য, স্পেশালী পথ শিশুদের পথফুল সম্বোধন- আমার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। কষ্ট যাদের নিত্যসঙ্গী তারাই ছিন্নমূল শিশু বা সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু- যে নামেই ডাকি না কেন শহরের চলার পথে সন্ধান মিলবে এমন হাজারো শিশুর। ছিন্ন, নোংরা বস্ত্র আর হাত-পায়ে ময়লা, কাদা লাগানো এসব শিশুর সবাই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকে। দিনের সারাটা সময় তাদের খাটতে হয় খাবারের জন্য।
আমি খুবই সাধারন একজন মানুষ। তবুও চেষ্টা করেছিলাম- পথশিশুদের জন্য কিছু করার, যা নিয়ে ২০০৭-২০০৮ সনে এই ব্লগেই লিখেছিলাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২৭ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১২
অপু তানভীর বলেছেন: আমার এই টোকাই পথ শিশুদের দেখে কেবল এদের বাবা মায়েদের দোষ দিতে ইচ্ছে করে । এরা নিজেরা ঠিক ঠাক মত খেতে পারে না কিভাবে একটা নতুন প্রাণ প্বথিবীতে ডেকে আনে । তারপর সেই ছোট বয়স থেকেই তাদের কাজে ঠেলে দেয় !
আমি প্রতিদিন আড়ং হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সামনে দিয়ে ফার্মগ্রেট যাই । আড়ং সিগনাল এসে দাড়ালেই দেখা যায় ৫/৬ বছরের দুজন ছেলে মেয়ে গাড়ি গাড়িতে গিয়ে টাকা চাইছে । পাশেই এদের মাকেও দেখি । নির্বিকার ভাবে বসে আছে । এই এই পিচ্চি ছেলে মেয়েরা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করছে, টোকাইয়ের কাজ করছে - এর জন্য প্রধান দায়ী কে? সবার আগে দায়ী এদের বাবা মা ।
২৭ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: বিষয়টা পরিকল্পিত। ওদের বাবা-মা'র প্ল্যান হচ্ছে- যতো বেশী সন্তান ততবেশী ভিক্ষা!
৫| ২৭ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট লিখেছেন।
এত টোকাইরা কেন স্কুলে যায় না? খেয়াল করে দেখবেন এরা জুতোর আঠা দিয়ে নেশা করে। যাকে নেশার ভাষায় ড্যান্ডি বলা হয়।
সরকার এদের জন্য কি কি ব্যবস্থা গ্রহন করেছে?
২৭ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সবাই নিজ নিজ ক্ষমতা ধরে রাখার কুটকৌশল করায় ব্যস্ত। সাধারন মানুষের কথা, অসহায় মানুষের কথা কারোর ভাবার সময় নাই। সর্বপরি এখন ভোটের জন্য ভোটারদের দ্বারস্থ্য হতে হয়না তাই আমজনতার কোনো মূল্য রাজনীতিবিদদের কাছে নাই।
৬| ২৭ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: এগুলো দেখলে খারাপ লাগে, ভয়ও লাগে। ছোট মানুষ তাই কিছু বলাও যায় না। ভারতে খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে।
২৭ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ওদের জন্য আমাদের এই সামান্য ভাবনাটুকুই মানবিকতা।
৭| ২৭ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:০৫
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: এরা "পৃথিবীতে একজনও খারাপ মা-বাবা নেই" কথাটা মিথ্যে করে দেয়।
২৮ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে এক্ষেত্রে নিয়তিও কম দায়ী নয়।
৮| ২৮ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:০৭
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট । যে পরিমানে অর্থ দেশ থেকে পাচার হচ্ছে তার এক অংশ ও এদের জন্য খরচ করলে দেশে কোন "পথ কলি" থাকতো না ।
২৮ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। তার থেকেও বড়ো কথা, আমরা যদি নিয়ম মাফিক আমাদের জাকাত প্রদান করি- তাহলেও এই অসহায় শিশুদের পূণর্বাসন করা অসাধ্য নয়।
৯| ২৮ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ওদের পুনর্বাসন দরকার। নইলে ওরা ভালো থাকতে পারবে না।
২৮ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: সবাই তেলা মাথায় তেল দেয়। ছিন্নমূলদের কথা কেউ ভাবেনা। কে কার পুনর্বাসন করবে- জনগনের সরকার হলেই আমজনতার কথা ভাববে।
১০| ২৮ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: জন্মই ওদের আজন্ম পাপ,
মাতৃজরায়ু থেকে নেমেই
জেনেছে ওরা সন্ত্রাসের
ঝাঁঝালো দিনে বিবর্ণ
পত্রের মত হঠাৎ ফুৎকারে
উড়ে যাবে সুদূরে
চৌদিকে রৌদ্রের ঝলক
বাসের দোতলায় ফুটপাতে
রুটির দোকানে দ্রুতগামী
নতুন মডেলের
চকচকে বনেটে
রাত্রির জমকালো
আধারে কাটবে রাত।
(কবি দাউদ হায়দারের
কবিতা "জন্মই আমার আজন্ম পাপ"
এর সামান্য পরিবত'ন)
২৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: পথশিশুদের জীবনচারিতা প্রেক্ষাপটে পার্ফেক্ট কবিতা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:১২
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: জীবনযাত্রা এভাবে আর কতদিন
গল্প ইতিহাস আর ফুরাবে না--------
ভাল থাকবেন দাদা