নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জামাই ভাগ্য....
জামাতাদের নিয়ে বিড়ম্বনা, দুর্ভোগ রবীন্দ্রনাথকে শ্বশুর হিসেবে অনেক বিব্রত হতে হয়েছে। সেইসব অভিজ্ঞতা বড়ই মর্মান্তিক, যন্ত্রণায় পরিপূর্ণ। অতি সংক্ষেপে তার সামান্য বিবরণী তুলে ধরছিঃ-
(১) রবি ঠাকুরের বড়ো মেয়ে বেলার স্বামীর নাম- শরৎকুমার চক্রবর্তী। জামাতা শরৎকুমার চক্রবর্তীর মোটেও পছন্দ ছিল না যে, শ্বশুর তার বাড়িতে আসেন। জামাইর মনোভাব জেনেও রবীন্দ্রনাথ যেতেন। মেয়ের কাছে গিয়ে বসে থাকতেন। তখন শরৎকুমার চক্রবর্তী টেবিলের ওপর পা তুলে সিগারেট খেয়ে শ্বশুর রবীন্দ্রনাথের প্রতি অপমানকর মন্তব্য করত। আর সে অপমান নীরবে সহ্য করে রবীন্দ্রনাথ দিনের পর দিন মেয়েকে দেখতে যেতেন। এক দিন দেখতে গেছেন বেলাকে কিন্তু মাঝপথে শুনলেন বেলা যক্ষ্মারোগে মারা গেছে। মেয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে তিনি আর ওপরে উঠলেন না। মেয়ের শেষ মুখটি না দেখে ফিরে এলেন বাড়িতে। তার ছেলে রথীন্দ্রনাথ লিখেছেন বাড়িতে এসে তার মুখে কোনো শোকের ছায়া নেই। কাউকে বুঝতে দিলেন না, কী অসহ্য বেদনার মধ্য দিয়ে তিনি সন্তানকে হারিয়েছেন ....
বড় জামাই শরৎকুমার চক্রবর্তী, বিয়ের সময় তার বয়স ৩১ বছর। তিনি শ্বশুরমশাইয়ের চেয়ে নয় বছরের ছোট, শাশুড়ি মৃণালিনী দেবীর চেয়ে চার বছরের বড়। আর স্ত্রী বেলার সঙ্গে তার বয়সের ব্যবধান ১৬ বছর। এই বিয়েতে পণ দাবি করা হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। শেষতক রফা হয়েছিল ১০ হাজার টাকায়। তবে শর্ত ছিল, বিবাহের অন্তত তিন দিন আগে এই টাকা দিয়ে দিতে হবে। পাত্রীর তুলনায় তেমন সুদর্শন ছিলেন না পাত্র। কুলশীল বিচারেও সমান ছিলেন না। বিয়ের পর রবীন্দ্রনাথ শরৎকে বিলাতে পাঠিয়েছিলেন ব্যারিস্টারি পড়তে। প্রতিমাসে তাকে খরচ দিতে হতো ১০ পাউন্ড, সে সময়ের হিসেবে ১৫০ টাকা। বিলাত থেকে ফিরে এসে মেয়ে এবং তার জামাই শরৎকুমার চক্রবর্তী জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে চার বছর ছিলেন। এই ঠাকুরবাড়িতে শরৎকুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে কবির ছোট জামাই নগেন্দ্রনাথের বিবাদের সূত্র ধরে শরৎকুমার বাড়ি ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীরামপুরের পৈতৃক নিবাসে চলে যান। এরপর রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে শরৎকুমার চক্রবর্তীর সম্পর্কের ইতি ঘটে। বিদেশ থেকে চিঠি লিখে মেয়ে ও জামাই এর সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করে করে ব্যর্থ হন রবীন্দ্রনাথ। মেয়ে ও জামাই এর মনোভাব জানতে পেরে কবি লন্ডন থেকে ক্ষমা চেয়ে জামাইয়ের কাছে চিঠি লেখেন, ‘কিছুদিন থেকে অনুভব করতে পারছি যে তোমরা কোনও কারণে আমার উপর রাগ করেছ এবং এই ব্যাপারে মনের মধ্যে খুব কষ্টও বোধ করেছি। এর ভিতরকার কারণটা কি তা আমি ভেবে স্থির করতে পারি নি, কেননা আমি ইচ্ছে করে তোমাদের প্রতি অন্যায় ব্যবহার করি নি। যদি তোমরা মনে করো থাকো যে, তোমাদের প্রতি আমার আন্তরিক স্নেহের অভাব আছে তাহলে তোমরা ভুল বুঝেছ-এর বেশি আমি আর কিছু বলতে পারি নে।’
রবীন্দ্রনাথ নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পর কলকাতা থেকে বহু লোক শান্তিনিকেতনে তাঁকে অভিনন্দন জানাতে যান। বেলা ও শরৎকুমার যাননি। বেলা ক্ষয়রোগে আক্রান্ত, এটা ধরা পড়ে ১৯১৭ সালে। নিয়মিত মেয়েকে দেখতে যেতেন রবীন্দ্রনাথ। চিকিৎসার দায়িত্বও নিয়েছিলেন।
(২) দ্বিতীয় জামাতা সত্যেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ছিলেন দরিদ্র পরিবারের ছেলে। ডাক্তারি পাস করে আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা নেয়ার জন্যে পাথেয় খুঁজছিলেন। এই বিয়েতে খরচ হয় ৫০০ টাকা। রেণুকার পিতামহ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর যৌতুক হিসেবে দেন চারটি গিনি সোনা। আমেরিকায় যাওয়া ও থাকার ব্যয় নির্বাহ করা হবে বলে কোনো যৌতুক দেওয়া হয়নি বিয়েতে। জামাই এর মায়ের মাসোহারা দেয়া হতে থাকে ৫০ টাকা করে। ওই সময়ে রবীন্দ্রনাথের শাশুড়ি দাক্ষায়ণী দেবীর মাসোহারা ছিল ২০ টাকা। পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে দেশে ফিরে আসেন মেজো জামাতা। তার ফিরে আসবার ইচ্ছা জানামাত্র রবীন্দ্রনাথ তার দেশে ফেরার খরচ পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সত্যেন্দ্রনাথের অকৃতকার্যতা নিয়ে ঠাকুরবাড়ির মেয়েমহলে নানা কথা ছড়িয়ে পড়ে। তবে শ্বশুরমশাই একটি কথাও বলেননি এ ব্যাপারে। স্বামীর ব্যর্থতায় রেণুকার মন ভেঙে যায়।
যতদিন জামাই বাবাজি বিদেশে ছিলেন, ততদিন নানা অঙ্কের অর্থ পাঠাতে হয়েছে তাকে। দেশে ফিরবার পর মাসোহারা ঠিক করা হয় ১৫০ টাকা। ডাক্তারির ডিসপেনসারি সাজিয়ে দেওয়া বাবদে ব্যয় হয় ২০০০ টাকা। কিন্তু জামাই বাবাজি এক্ষেত্রেও সফল হতে পারেননি।
১৯০৩ সালে শান্তিনিকেতনে জামাতা সত্যেন্দ্রনাথকে অধ্যক্ষ নিয়োগ করেন রবীন্দ্রনাথ। এ জন্যে যথেষ্ট মূল্য দিতে হয়। বাবাজি আগের মতোই শ্বশুরের বিশ্বাসের অমর্যাদা করেন। এই জামাতার চরিত্র বৈশিষ্ট্য হলো, কোনো কাজই তিনি মন দিয়ে করতে পারতেন না। খানিকটা এগিয়ে নিয়ে মাঝপথে সেই কাজ ছেড়ে দিতেন। অধ্যক্ষ নিযুক্ত হওয়ার এক মাসের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের অত্যন্ত বিশ্বস্ত কর্মী মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বিদায় নেন শান্তিনিকেতন থেকে। পদত্যাগের কারণ দেখিয়েছিলেন ‘স্বাস্থ্যগত’, কিন্তু আসল কারণ ছিল জামাতার দুর্ব্যবহার। কাউকে কিছু না জানিয়ে ব্রহ্মচর্যাশ্রমের দায়িত্ব ত্যাগ করে জামাতা বেড়াতে চলে যান পাঞ্জাবে। স্ত্রী রেণুকা তখন অসুস্থ। রেণুকার মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথ আবারও শান্তিনিকেতনে সত্যেন্দ্রনাথকে শিক্ষক হিসেবে কাজ করবার সুযোগ দেন। এমনকী তার দ্বিতীয় বিবাহেরও ব্যবস্থা করেন।
(৩) সবশেষে ছোট জামাই নগেন্দ্রনাথের কথা। নগেন্দ্র বরিশালের ছেলে। উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড যাওয়ার বাসনা তার। ধনবানদের কাছে অর্থসাহায্য চাচ্ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের কাছে এলে ‘প্রিয়দর্শন’ নগেন্দ্রকে ভালো লেগে যায় কবির। বিদেশে যেতে ইচ্ছুক পাত্রদের পছন্দ করতেন না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মীরা-নগেন্দ্রনাথের বিয়ের দু’বছর আগে মোহিতচন্দ্র সেনকে এক পত্রে তিনি লিখেছিলেন, ‘কোনও পাত্রকে আমি বিলেত পাঠাতে চাইওনে,পারবোও না।’ অদৃষ্টের লিখন এই যে, তিন জামাতাকেই বিলেতে পাঠাতে হয়েছিল কবিকে।
বিয়ের সময় নগেন্দ্রনাথের বয়স ছিল ১৭ বছর ৭ মাস। মীরার বয়স ১৩ বছর ৬ মাস। বিয়ে হয় শান্তিনিকেতনে, ১৯০৭ সালের ৫ জুন। খরচ হয়েছিল ২৯২৩ টাকা ৮ আনা ৬ পাই। সেই কালের হিসেবে এই খরচ বিপুল। ১১ জুন কন্যা ও জামাতা কে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বরিশালে যান। নগেন্দ্রনাথের জাহাজের টিকিট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রবীন্দ্রনাথ কেনেন তার ভাগ্নে সত্যপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ৭২১ টাকা ৫ আনা ধার করে। নগেন্দ্র আমেরিকা থেকে কৃষিবিদ্যা শিখে এসেছিলেন। শ্বশুর তাকে শিলাইদহে পাঠান কৃষি গবেষণায় সাহায্য করতে। সেইসঙ্গে দিয়েছিলেন জমিদারি ও পতিসরে কৃষি ব্যাংকের কিছু কিছু দায়িত্ব। তার জন্যে মাসোহারার বন্দোবস্ত ছিল ১৫০ টাকা। ছোট জামাই অপরিমিত ব্যয়ের কারণে ঋণ করতে থাকেন। ঋণ করে বরিশালে একটি বাড়িও কেনেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথ ১৯১২ সালে ইউরোপে যান নগেন্দ্রনাথের ওপর সংসার ও জমিদারির আর্থিক দায়িত্ব অর্পণ করে। আদি ব্রাহ্মসমাজের ট্রাস্টিগণ সমাজের সম্পাদক নিয়োগ করেন তাকে, যদিও এ সমাজের সদস্য তিনি ছিলেন না। এই সমাজের বিশ্বাস ও নিয়মাবলির ওপর জামাতার আস্থাও ছিল না। এবস্থায় জামাতার হঠকারী কার্যকলাপ, ক্ষমতাপ্রিয়তা ও অহমিকা প্রকট হয়ে ওঠে। ফলত শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের প্রধান কর্মসহায়ক অজিতকুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় তার। জামাতা প্রতিটি ক্ষেত্রেই ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। আর্থিক অনিয়মও করেছেন প্রচুর। অনিয়মের ওইসব টাকার সুদ দেননি, মূলও শোধ করেননি। শেষ অবধি তা টানতে হয়েছে শ্বশুর রবীন্দ্রনাথকে।
(তথ্যসূত্র : 'রবীন্দ্র জীবনকথা' - প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়)
০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।
২| ০১ লা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩৮
শায়মা বলেছেন: অর্থই অনর্থের মূল রবিঠাকুর তা জেনে বুঝেও পরম মহানুভবতায় জামাইদের প্রতি সদয় হয়েছিলেন।
জামাইগুলি যেহেতু দরিদ্র পরিবারের ছিলো তাই তাল সামলাতে পারেনি। বদহজম হয়ে গেছিলো।
সবাইকে কি সবকিছু আর সাজে?
রাগে গা জ্বলে যায় এই হঠকারী ছোটলোকটাইপ জামাইগুলার কান্ডকীর্তিগুলোর জন্য।
সারাজীবন এবং পরজীবনেরও ভাগ্য তাদের যে রবিঠাকুরের মত শ্বশুর পেয়েছিলেন।
০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: জামাই নির্বাচনে ঠাকুরের অদুরদর্শিতা।
৩| ০১ লা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জামাতা নির্বাচর্ণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর স্ট্যাটাসের কথা বিবেচনায় না রেখে সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন মনে হচ্ছে।
০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৪| ০১ লা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ তার জীবনে বহু ভুল করেছেন। তার কন্যাদের জন্য প্রাত্রী নির্বাচনেও ভুল করেছেন। তিনি যৌতুক দিয়ে তার কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন।
০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: দুঃখজনক সত্য। তবে তিন বদ জামাইয়ের মধ্যে বরিশাইল্লা জামাই তুলনামূলক ভালো - যেহেতু পড়ালেখা শেষ করে দেশে ফিরেছিলেন এবং ঋণ করে হলেও একটা বাড়ি কিনে বরিশাইল্লা ঐতিহ্য বজায় রেখেছে।
৫| ০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: আরগুলো যাই হোক বড়টাই বড় ফাজিল ছিল।
জীবনে কিছুই করতে পারে নাই কিন্তু ভাব ছিল ষোল আনা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এত কষ্ট ও তাচ্ছিল্য কারো কাছ থেকে পেয়েছে বলে
জানা নেই। মেয়েও জামাইয়ের পক্ষ টানত- আশ্চর্য!!
০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা রবি ঠাকুরের দুর্ভাগ্য অমন জামাই ভাগ্যে! তবে তিনটার মধ্যে বরিশাইল্লাই সেরা!
৬| ০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: তথ্যগুলো আমি জানতাম না। জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বড়ই দুর্ভাগা ছিলেন আমাদের কবি।
জানাইরা তাকে এক দন্ড শান্তিতে
রাখেন নি যদিই জামাই মেয়েদের
অত্যন্ত স্নেহ করতেন কবি।
০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৮| ০১ লা জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৩
কামাল৮০ বলেছেন: ভাবুক মানুষরা বৈষয়িক হয় না।চালাক চতুর মানুষরা বৈষয়িক হয়।নিজের বিবাহিত জীবন শুখের ছিল না।
০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: : হয়তো নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন মেয়ে জামাইদের অপমান তাচ্ছিল্যে।
৯| ০১ লা জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩
জুন বলেছেন: মেয়েদের বিয়ে নীয়ে উনি কোন দুরদর্শিতার পরিচয় দেন নি । আমাদের গ্রামের গরীব-গুর্বোদের মত যা আসছে তাই সই। কবিতা রচনা, সাহিত্য সভা এসব নিয়ে বিজি ছিলেন, বৈষয়িক বিষয়ে নন । উনি তাঁর স্ত্রীর প্রতিও ততটা অনুরক্ত ছিলেন না বলেই বিভিন্ন বই পত্রে পড়েছি ।
০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত। তবে বৈষয়িক সাফল্য কিন্তু তার যথেষ্ট ছিলো। সেই সাথে যোগ করতে চাই, মেধাবী আর গুনীজনরা একটু আধটু 'রসু খা' স্বভাবের হয়েই থাকে- তার উপর যদি তারা লেখক কবি সাহিত্যিক হন তাহলেতো ষোলকলা পূর্ণ করে!
১০| ০১ লা জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮
জগতারন বলেছেন:
কতটা মানসিক যন্ত্রণায় কাতর হলে একজন মানুষকে
আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়।
বোধ, অবোধ, নির্বোধ কাদম্বরী দেবী মরিলেন, আত্মহত্যা করে !
ইতিহাস থেকে জোড়াসাঁকো-র ঠাকুর বাবুদের
অনেক বজ্জাতিই সযত্নে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে...
কাদম্বরী দেবী আত্মহত্যা!
এ'ও তাদের মধ্যে একটি...
রবীন্দ্রনাথের এ সমস্ত বিরম্বনা কাদম্বরী দেবী-এর অভিশাপ!!!
০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। নিজের লুচ্চামির খেসারত দিতে হয়েছে নিজ কন্যাদের জীবন নিয়ে।
১১| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৩৮
কালাচাঁদ আজিজ বলেছেন:
রবি ঠাকুর কবি ও লেখক হিসাবে বাংলা সাহিত্যে এক মুকুটহীন সম্রাট তবে মানুষ হিসাবে খুব সুধিবার নয় মানে যতটুকু উদার হওয়ার কথা ছিল একজন সুনামধন্য কবি হিসাবে ততটুকু ছিলেন না। আর দশজন জমিদারের মত ছিল।
০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত পোষণ করছি।
১২| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: এই লেখাটা কয়দিন আগে ফেসবুকে পড়েছিলাম বলে মনে হলো।
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি, ফেসবুকে লিখেছিলাম।
১৩| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪০
শ্রাবণধারা বলেছেন: "নিজের লুচ্চামির খেসারত দিতে হয়েছে নিজ কন্যাদের জীবন নিয়ে।" এটা কি লিখলেন? রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে এত কম জেনেই তাঁর জামাইদের নিয়ে পোস্ট দিয়ে ফেললেন! আশ্চর্য!
বাঙ্গালীদের সাত জন্মের ভাগ্য যে তাদের মধ্য থেকে একজন রবীন্দ্রনাথ জন্মেছিলেন!
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের শিল্প সাহিত্যে অবদান অস্বীকারের কোনো সুযোগ নাই।
১৪| ০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫| ০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ৩:৩৬
জগতারন বলেছেন:
@শ্রাবণধারা
'রবি ঠাকুর কখনোই কাজী নজরুল ইসলামের ভালো চায়নি।
যদি চাইত তাহলে নজরুলের এত জেল এবং শতাধিক কবিতা বাজেয়াপ্ত হতো না।
এমনকি জরিমানা করা হচ্ছিল।
'রবি ঠাকুর সাহেব ইচ্ছে করলে শুয়ারের মতো সাদা ইংরেজদের কাছে চিঠি লিখে বা তাদের কাছে তদবীর করে
কাজী সাহেবের কষ্ট লাগভ করতে পারতো।
এমনকি রবি ঠাকুর কখনোই পূর্ব বাংলার উন্নতি চায়নি।
রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের সাথে কাজি সাহেব তুলনা হয় না……
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন,
মানব জীব জগতের প্রেম বিতরন আতি দৃশ্যমান বিশ্ব কবি…
রবীনদ্রনাথ ঠাকুর নয়…
একটি ও না, রবি ঠাকুর ১০০০ বার জন্ম নিলে ও নজরুল ইসলামে
কবিতা ও গান বুঝতে পারবে না অন্য সব ত দুরের কথা।
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ০২ রা জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:০৩
জগতারন বলেছেন:
@শ্রাবণধারা
বাংলা ভাগ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে তৎকালীন হিন্দুত্ববাদীরা
যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন যার ফলাফল তাদেরও ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়েছে।
কিভাবে?
১. রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লীতে স্থানান্তরিত হয়েছে…
২. বিহার, উড়িষ্যা ও আসাম আলাদা প্রদেশ হয়েছে…
৩. মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে যার ফলে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হয়ে…
৪) আখেরে বাংলা চীরদিনের জন্য ভাগ হয়ে…
৫) আর এখন শোনা যাচ্ছে পশ্চিম বাংলাকে ভেংগে উত্তরবঙ্গ রাজ্য করা হবে।
ইংরেজদের নিকট হতে ১৫৪ বছর সুবিধাপ্রাপ্ত হিন্দুত্ববাদীরা (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর'রা)
সাময়িক ভাবে বাংলা ভাগ ঠেকাতে পারলেও উপরোক্ত কারণে আজীবনের জন্য সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে।
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৭| ০২ রা জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:১৩
জগতারন বলেছেন:
@শ্রাবণধারা
(আপনাদের)
পশ্চিমবাংলায় কাজী নজরুল ইসলাম এত অবহেলিত কেন?
আপনি হয়ত নানা কথা বলবেন।
দুটো পরিচিত ভারতীয় বাংলা চ্যানেলের উদাহরণ দিয়েই বলি।
আমাদের মা-খালারা জি বাংলা, স্টার জলসায় বুদ হয়ে থাকেন।
সেখানে ২৫শে বৈশাখ কিংবা ২২শে শ্রাবণ সারাদিন ঘটা করে উৎসব হয়,
নানা অনুষ্ঠানে সুযোগ পেলেই রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা ঢুকিয়ে দেয়া হয়।
অথচ নজরুলের জন্মবার্ষিকে (১১ই জৈষ্ঠ্য) কিছুই করা হয়না,
নামটি পর্যন্ত উচ্চারণ করা হয় না এমনটি কেন?
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৮| ০২ রা জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:১৮
জগতারন বলেছেন:
@শ্রাবণধারা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার অনেক গান লালন শাহের গানের সুরে নকল করেছেন।
এমনকি বাউল গগন হরকরার "আমি কোথায় পাবো তারে" গানের রিমেক বা
নকল সুর দিয়ে "আমার সোনার বাংলা" গান লিখেছেন।
আমরা বাংলাদেশীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নজরুল ইসলামকে কে সমান চোখে দেখি কিন্তু
পশ্চিম বঙ্গের লোকেরা কাজী নজরুল ইসলামকে খুবই খর্ব করে দেখে।
অথচ সাহিত্য সাধনার বিচারে নজরুল ইসলামি এগিয়ে।
কাজি নজরুল ইসলাম মাত্র ১৮ থেকে বিশ বছর সাহিত্য সাধনার সুযোগ পেয়েছে।
অপরদিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৬৫ বছর সাহিত্য সাধনার সুযোগ পেয়েছেন।
কারন নজরুল ইসলাম ৪২ বছরের পর স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলেন ও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
যদিও তিনি অসুস্থ জীবন নিয়ে আরও অনেক বছর বেঁচে ছিলেন।
সময়ের বিচারে নজরুল "ক্ষণজন্মা ধূমকেতু" হয়ে এসেছিলেন।
কাজী নজরুল ইসলাম জিন্দাবাদ !
অমর তুমি হে মহামানব !!
অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক !!!
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৯| ০২ রা জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:৩৯
কামাল৮০ বলেছেন: জগতারন কি ছেলের বিয়ে দিয়ে পাগল হয়ে গেলো।
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: কনে কে?
২০| ০২ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:১৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: জগতারনের মন্তব্য পড়তে পড়তে হয়রান হয়ে গেলাম।
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও ধন্যবাদ দিতে দিতে ক্লান্ত।
২১| ০২ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫০
হাসান রাজু বলেছেন: @জগতারন
একটু বলবেন, সালমান খান এবং শাহরুখ খানের মধ্যে কে গ্রেট।
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: @জগতারন।
২২| ০২ রা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৩
জগতারন বলেছেন:
কামাল৮০ বলেছেন:
জগতারন কি ছেলের বিয়ে দিয়ে পাগল হয়ে গেলো।
আমি;
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন:
২৩| ০২ রা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৯
জগতারন বলেছেন:
@সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন:
জগতারনের মন্তব্য পড়তে পড়তে হয়রান হয়ে গেলাম।
আরও আছে;
রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশে জমিদারী করেছিলেন।
তখন বাংলাদেশের জনগনের বৃহত্তর স্বার্থে কোন অর্থ নৈতিক
উন্নয়নকারী কোন কর্মকান্ড তাঁর অবদানের কোণ ইতিহাস
তাঁর সময়ে পাওয়া যায় না। তিনি শুধু জনগনের কষ্টার্জিত অর্থ নিয়েছেন।
তা ছাড়া সে (রবীন্দ্রনাথ) ছিল ইংরেজদের তল্পি বাহক।
ঠিক সেই সময়ে কাজী নজরুল ইসলাম ভারতের স্বাধীনতার পক্ষে এবং
ইংরেজদের বিরুদ্ধে কবিতা লিখে জেল খেটেছিলেন।
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৪| ০২ রা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১২
জগতারন বলেছেন:
আরও একটি,
শুনবেন ?
সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথ'রা ছিল জমিদার-কোটীপতি,
পূর্বা বাংলার গরীব মুসলমানদের সামাজিক, অর্থনৈতিক বা
দেশের সামগ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নে তাঁর কোন কর্মকান্ডে পাওয়া যায় না।
শুধু পাওয়া যায় বাংলা সাহিত্যে বকর বকর করা কিছু সাহিত্য (!)
ঐ সমস্ত বস্তা পচা সাহিত্য দিয়ে কী হবে (?)
যদি দেশের মানুষ না বাঁচে (?)
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৫| ০২ রা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২২
জগতারন বলেছেন:
আমি আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম নিয়ে গবেষনা করি।
কাজী নজরুল ইসিলাম যে কী ধরনের মহা-কবি ছিলেন এবং মানব দরদি মহা মানব ছিলেন !
তা বলে ও লিখে শেষ করা যায় না।
অথচ, বাংলা সাহিত্যর প্রধান কবি'র মালা অন্যায় বহুল প্রচারের মাধ্যমে
সাম্প্রদায়িক ও লুইচ্চা কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাতে।
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৬| ০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জগতারন সাহেব কি আবোলতাবোল বকছেন? মাথা কি নষ্ট হয়ে গেছে? কী বলতে কী বলছেন? স্বয়ং নজরুল রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব সম্বোধন করতেন। দুজনের তুলনা আসে কেমনে?
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৭| ০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৭
জগতারন বলেছেন:
@অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য ঃ
গতকাল অথবা তার আগের দিন এই "সা্মু" ব্লগেই একটি কার্টুন ছবি দেখেছিলামঃ
ছবিটিতে বিষয় বস্তু;
মোসাহেব সাহেবের পা চেটে খুব মজা পাচ্ছেন।
আর মোসাহেবের দেহ ফুলে ফেঁপে খুব মোটা ও তাজা হয়েছে।
এই মোটা ও তাজা হওয়ার কারন;
হালুয়া-রুটি'র ভাগ বেশ পেয়েছেন।
সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথ'রা ছিল ইংরেজদের তল্পি বাহক এবং কোটী পতি।
ঠিক সেই সময়ে কাজী নজরুল ইসলাম ভারতের স্বাধীনতার পক্ষে এবং
ইংরেজদের বিরুদ্ধে কবিতা লিখে জেল খেটেছিলেন।
তাই তাঁহাদের (রবীন্দ্র'দের) টাকার পোটলা, প্রভাব, প্রতিপত্বি ছিল আকাশ ছোঁয়া।
তাই সব্বার সাথে তাল না মিলায়ে কাজী সাহেব স্রোতের বিরুদ্ধে গিয়ে
প্রতিবাদ করা! অসম্ভব!!
"গুরুদেব সম্বোধন" না করলে বেচেঁ থাকাই দায়।
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দুর্ভাগ্য।