নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
রাজতন্ত্রের ভিতর গণতন্ত্র......
২০০ বছর ভারত বর্ষ শাসন ও শোষনের কারণে বৃটিশদের উপর উপমহাদেশের সাধারণ মানুষের একধরনের ক্ষোভ আর অভিমান আছে নিঃসন্দেহে। শুধু উপমহাদেশেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শাসকের আসনে বসে শুধু সেইসব দেশ শোষণ করেই থেমে থাকেনি বরং সেইসব দেশ থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে নেওয়ার আগে কোনো না কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কিম্বা জাতিগত বিষবৃক্ষ রোপণ করে এসেছে..... সেই বৃটিশরা এখন প্রায় একঘরে হয়ে মার্কিনীদের বরকন্দাজ হিসেবে নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানতে পারলাম- রাণীর ৭০তম করোনেশন উত্সবে মেতেছে বৃটেন(আমি জানিনা সেটা কতো বর্ষব্যাপী হবে)। রাণীর শাসন নিয়ে উচ্ছ্বসিত শিশু থেকে বৃদ্ধ, নিগ্রো-এশিয়ান-সাদা চামড়ার ইউরোপীয়-সবাই উদ্বাহু হয়ে উৎসবে মেতেছে। কেউ কারো খুঁত ধরে উৎসবের মেজাজ নষ্ট করছে না।
আমাদের অক্ষমতায় যতই রাগ ক্ষোভ থাকুক, বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা রাণীর প্রাক্তন প্রজারা রাণীর দেশের অনেক কিছুকেই বিশ্বসেরা মানতে দ্বিধা করিনা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, গোটা দুনিয়া থেকে এখনো উচ্চশিক্ষার জন্য, চাকুরীর সন্ধানে যেকোনো ভাবে বেশীরভাগ মানুষ ইংল্যান্ড যেতে চায়। ওদের ডাক্তারী শিক্ষা প্রশিক্ষন, আইনী শিক্ষা এখনো বিশ্বসেরা। ওদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো জ্ঞানের চর্চা হয়। ধর্ম-বর্ণের অন্ধগলিতে এখনো ওরা খুব একটা পথ হারায়নি। সামন্তবাদের পীঠস্থানে ধ্রুপদী সাহিত্য চর্চা যেমন হয় তেমনি সারা পৃথিবী থেকে গণতন্ত্রপ্রিয় নির্বাসিত মানুষেরও আশ্রয়ভূমি এই ছোট্ট দেশটি।
বৃটিশদের থেকে বিশ্ববাসী অনেক কিছু শিখেছে। আমরাও বৃটিশ এর উত্তরসূরি। বৃটেনে রাজতন্ত্রের ভিতর গণতন্ত্র পুরো মাত্রায় বিদ্যমান থাকলে অনেক দেশেই গনতন্ত্রের ছ্দ্মাবরণে স্বৈরতান্ত্রিক রাস্ট্র ব্যবস্থা চালু আছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই যেখানে আন্দোলন সংগ্রাম করেও স্বৈরশাসকদের সিংহাসনচ্যুত করা যায়না, সেখানে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী অল্পতেই গদি ছেড়ে দেন- এটা অবশ্যই সম্মানের। আমরা বৃটিশ এর উত্তরসূরি হয়েও ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার মোহ চ্যুত হতে পারিনি।
বৃটিশ ইতিহাসের একদিকে সিভিলিয়ানদের অত্যাচারের কাহিনী যেমন লেখা আছে, তেমনি আছে শিক্ষা-সাহিত্যে তাদের অবদান। দেশ ভাগ করে যে বিষবৃক্ষ তারা রোপন করে গেছেন তার ফল আমরা ভোগ করে চলেছি, আরো কত প্রজন্ম সেই বিষ পান করে চলবো জানিনা।
তবু, জ্ঞান ও শিক্ষার পীঠস্থান ইংল্যান্ড যে তার সমন্বয়ের সংস্কৃতি ধরে রাখতে পেরেছে, সারা পৃথিবীর জন্য স্বাস্হ্য-ব্যবস্থার একটি উন্নত মডেল প্রস্তুত করতে পেরেছে তার জন্য অবশ্যই প্রশংসা দাবী করতে পারে।
কাজকর্ম না থাকলেও রানীর সিংহাসন অটুট থাকুক; তার সাথে অটুট থাকুক মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ, শিক্ষার উন্নত আদর্শ ও স্বাস্থ্যের যুগান্তকারী সর্বজনীন ব্যবস্থা।
ছবিঃ গুগল।
০৯ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: রাণীর ভূমিকা কম থাকলেও ব্রিটিশ এবং তাদের বর্তমান উত্তরসূরি কানাডা সহ আরও যারা এখনো রাণীকে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়। অথচ আমাদের দেশের প্রেসিডেন্টের সার্বজনীন সম্মানিত নয়.....
২| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
যোগ-বিয়োগ করলে বৃটিশ এগিয়ে থাকবে।
০৯ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: মাত্রই একশ' বছর আগে ব্রিগেডিয়ার ডায়ার জালিয়ানওয়ালাবাগে নির্বিচারে গুলি করার হুকুম দিয়েছিলেন৷ শত শত নিরীহ ভারতীয় নারী ও শিশুকে হত্যা করেছিলো এরা৷ ক্ষমতার দম্ভে আর ব্রিটিশ অহমিকায়৷
১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লব ব্যর্থ হওয়ার পরে মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহের সবকয়জন ছেলেকে হত্যা করে তার সামনে সবগুলো কাটা মুন্ডু পেশ করা হয়েছিলো৷ বৃদ্ধ বাহাদুর শাহকে বাধ্য করা হয়েছিলো সেই অমানবিক দৃশ্য দেখার জন্য৷
মাত্র ৭৫ বছর আগেও চট্রগ্রাম সহ ভারতের অনেক ক্লাবে লেখা থাকতো, ভারতীয় ও ব্রিটিশদের প্রবেশ নিষেধ৷
সেই ব্রিটিশ অহমিকার পতন হয়েছে অনেক আগেই৷ কালের আবর্তে নিজেদের অর্থনীতি সচল রাখার প্রয়োজনে ব্রিটেনকে প্রচুর ইমিগ্রান্ট নিতে হলো৷ এইটা একটা ইন্ডাস্ট্রি হয়ে গেলো৷ দিতে হলো নাগরিকত্ব, অধিকার৷ রাজতন্ত্র জৌলুস হারালো৷
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫০
তালাল উদ্দিন বলেছেন: বেশ ভালো বলেছেন।
০৯ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশের মত গণতন্ত্রের চেয়ে রাজতন্ত্র ভালো। ইউরোপের অনেক জাতি অন্যায়ভাবে অন্য দেশে আগ্রাসন করেছে এক সময়। এগুলি সব সময়ই ছিল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। তবে এরা গরু মেরে জুতা দান করেছে অনেক সময়। ভারতের উদাহরণ দিলে বলা যায় ঐ সময় ঐ জুতা পেয়ে অনেকে ওদের পা চেটেছে। যাদের অনেককে উপাধি দেয়া হয়েছে রায় বাহাদুর, খান বাহাদুর। এরা আসলে ঐ সময়ের রাজাকার এবং চুষিল। আগে সশরীরে উপনিবেশিক শাসন ছিল। এখন প্রযুক্তি এবং আধুনিক অস্ত্রের কারণে কূটনীতি, অর্থনীতি এবং হুমকি ধামকির মাধ্যমে উপনিবেশ প্রথা চালু আছে। ইউরোপের দেশগুলি পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে এখনও উপনিবেশিক মন মানসিকতা পোষণ করে। যুদ্ধ ও অস্ত্র ব্যবসার বিরুদ্ধে কোন ইউরোপের সভ্য দেশ কথা বলে না। তবে ইউক্রেন যুদ্ধে মনে হচ্ছে নিজেরা নিজেরা কামড়া কামড়ি করছে।
০৯ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নাই, একদম বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ।
৫| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৪৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমরাও বৃটিশ এর উত্তরসূরি।
এইটা কেমন কথা বললেন!!
এই হিসেবে তো আমরা আরো অনেকেরই উত্তরসূরি হয়ে যাই।
০৯ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন:
আমরাও বৃটিশ এর উত্তরসূরি- এই কথার মধ্যে নতুনত্ব কিছু নাই। একটা দেশে প্রশাসনের চচরিত্রের উপর নির্ভর করে সেই দেশের শাসন ব্যবস্থা। আমাদের দেশে প্রশাসন, শিক্ষা ব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা, আইন সবকিছুই ঔপনিবেশিক আমলের ধারাবাহিকতা মাত্র। আর হ্যা, সেই সূত্রে আমরা অনেকেরই উত্তরসূরি। আমাদের ধর্মীয় উত্তরাধিকার সূত্রে এসেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের থেকে। তারপর অটোমানদের হাত ধরে এরাবিয়ান সংস্কৃতি, মোঘল খাদ্য সংস্কৃতি.....পরম্পরায়....
৬| ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৩:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ঈদ মোবারক।
১০ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: পবিত্র ঈদ উল আজহার শুভেচ্ছা
❤️ঈদ মোবারক❤️
৭| ১০ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পোস্টটি ফেসবুকে পড়েছিলাম। ভালো লাগলো। ঈদ মুবারক।
১০ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৫৭
কামাল৮০ বলেছেন: বৃটিশদের কিছু দ্বীপ আছে,দ্বীপগুলো তাদের আয়ত্তে রাখার জন্যই তারা রাজতন্ত্র বহাল রেখেছে।শাসন কাজে রানীর কোন ভুমিকা নাই।অনেকটাই আমাদের প্রেসিডেন্টের মতো।