নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ঈশ্বরের সন্ধানে......
সব ধর্ম অনুযায়ীই তাঁদের ঈশ্বর এই পৃথিবী এবং সমগ্র মানবজাতির স্রষ্টা। মানুষের কথা পরে হবে, আগে পৃথিবী সম্পর্কে কিছু জেনে নিই।
সবাই জানি যে পৃথিবী হলো সূর্য নক্ষত্রের একটি গ্রহ। তা এই সূর্য তার সব গ্রহ- উপগ্রহ নিয়ে (ছায়াপথ) বা Milky Way নামক নক্ষত্রপুঞ্জের (Galaxy) অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি অংশ। বর্তমান হিসেব অনুযায়ী ঐ নক্ষত্রপুঞ্জের মূল চক্র এবং ছটাপুঞ্জ মিলিয়ে প্রায় চল্লিশ হাজার কোটি নক্ষত্র আছে, যার মধ্যে অনেকে সূর্যের চেয়েও বড়ো। এই নক্ষত্রপুঞ্জের ব্যাস এক লক্ষ আলোকবর্ষ ।
এক আলোকবর্ষ বলতে বোঝায় ৯৪৬০৮ ০০ ০০০ ০০০ কিলোমিটারের কিছু কম দূরত্ব।
পৃথিবী থেকে সূর্য পনেরো কোটি কিলোমিটার দূরে এবং ছায়াপথ নক্ষত্রপুঞ্জের মূল কেন্দ্র থেকে সূর্যের দূরত্ব কমবেশি ত্রিশ হাজার আলোকবর্ষ। যখনই আলোকবর্ষের কথা বলব তখনই একবার এক আলোকবর্ষ কত কিলোমিটারের সমান একবার চোখ বুলিয়ে নিন।
এখানেই শেষ নয়। আমাদের এই নক্ষত্রপুঞ্জ আবার অনেকগুলো নক্ষত্রপুঞ্জের সঙ্গে মিলে যে মহানক্ষত্রপুঞ্জ (Clusters of Galaxy) তৈরি হয়েছে তার অংশ!
এখানেও শেষ নয়। এইরকম মহানক্ষত্রপুঞ্জ মহাশূন্যে কোটি কোটি আছে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা যন্ত্রের মাধ্যমে যতদূর দেখতে পাচ্ছেন বা হিসেব করছেন কোনোদিকেই শেষ দেখতে পাচ্ছেন না! আমাদের পৃথিবী মহা মহা মহাবিশ্বের তুলনায় একটা বালিকণার এক কোটি ভাগের এক ভাগেরও ছোটো!
কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূর থেকে এবার আমরা ফিরে আসি আমাদের পৃথিবীর মাটিতে।
বৈজ্ঞানিকভাবে পৃথিবীর বয়স আনুমানিক সাড়ে তিনশো থেকে চারশো কোটি বছর। আর আমরা মানুষেরা আমাদের চেহারার এই বর্তমান আকার, (যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স বলে) সেই আকার পেয়েছি কয়েক লক্ষ বছর আগে। আর পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মের বয়সও খুব বেশি হলে পনেরো হাজার বছরের। তার আগের নয়।
তাহলে কে আগে- মানুষ না ধর্ম!
পবিত্র কুরআন ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো ধর্মগ্রন্থে এই সুবিশাল মহাবিশ্বের কথা আছে?
''কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক ?
কে বলে তা বহুদূর ?
মানুষেরই মাঝে স্বর্গ - নরক
মানুষেতে সুরাসুর। ''
১২ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: এটা কি ধরনের মন্তব্য, কি বলতে চেয়েছেন বুঝতে পারিনি।
২| ১২ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার লেখায় অবিশ্বাসীদের চুলকানী শুরু হয়েছে।
১২ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: যাদের চুলকানি শুরু হবে তারা মলম লাগাবে।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
পবিত্র কুরআনে সব আছে 'হালের জেমস টেলিস্কোপ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ডাইনোসোর - শুধুমাত্র গবেষণা করতে হবে আর কি "
বুঝেছেন?
১২ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একজন নাদান মানুষ, আমার জানার সীমাবদ্ধতা অসীম। তবুও কৌতুহল মেটাতেই কখনো কখনো কিছু জানতেই আপনাদের মতো জ্ঞানী বুজুর্গদের স্মরণ করি।
৪| ১২ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: একটা উদাহরণ দিচ্ছি, ধরুন আমি আপনি যখন মায়ের গর্ভে ছিলাম তখন এই পৃথিবীতে কি হয়েছে তা কি আমাদের পক্ষে নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব ছিলো? বা আমার আপনার জন্মের আগের দিন সন্ধ্যা ঠিক ৬ টায় আমার বা আপনার বাজবা কি করছিলেন সেটা কি আপনার বা আমার জানা সম্ভব? উত্তরটা স্বভাবতই "না" হবে। তবে উত্তরটা "হ্যাঁ" হতে পরে যদি সেই সময়ের কেউ থেকে থাকেন যিনি তাদের সে সময়ে দেখেছেন। মানে দাঁড়ালো আমার আপনার এক্সপেরিয়েন্স মূলত আস্তিত্বের উপর নির্ভরশীল। সত্যটা নির্ভর করছে যারা আমার আপনার আগে যারা এসেছেন তাদের উপর (স্বাভাবিক দৃষ্টিতে)।
হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন মিলিয়ে পানি সৃষ্টির নিয়ম সৃষ্টির আদি থেকেই ছিলো, শুধু আমরা জানতে পেরেছি অনেক পরে। তার মানে এই নয় যে, মানুষের আর্বিভাবের আগে পানি ছিলো না বা পানি তখন অন্যকোন মৌলের সমন্বয়ে তৈরী হতো। সৃষ্টিকর্তা মানুষ সৃষ্টির আগে না পরে ধর্ম (তার সৃষ্ট নিয়ম) বা সম্পর্কিত বিধান সৃষ্টি করেছেন তার সঠিক উত্তর কেবল তার পক্ষেই দেয়া সম্ভব। যদি সৃষ্টিকর্তার ধারনা মেনে নেয়া হয় তবে, মানুষের আগে পানির অস্তিত্ব নিয়ে আলোচানার কোন অবকাশ নেই। কারন সেই মৌল তারই সৃষ্টি এবং তিনিই সেই যৌগ বা পানি সৃষ্টি করেছেন।
আপনি যদি আইনস্টাইনের স্পেশাল রিলেটিভির ব্যাপারে ধারনা রেখে থাকেন তাহলে স্পেস টাইম বিষয়টা পরিষ্কার বুঝতে পারবেন। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা সেটা হলো সময় (যেটা আপনি উল্লেখ করেছেন), সেক্ষেত্রেও মনে রাখা জরুরী যে "সৃষ্টিকর্তা" সময়বদ্ধ নন। এমন কি আপনি যদি আলোর গতির আগে ছুঁটতে পারেন তবে সেটা আপনার জন্যেও প্রযোজন্য হবে না। সৃষ্টিকর্তার ধারনা নিয়ে যদি কারো দ্বিমত থেকে থাকে তবে সেটা নিয়েও আলোচনা হতে পারে, তবে এই লিখায় সেটা সম্ভব নয়। ধন্যবাদ।
১২ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য করে আমার প্রশ্নের আংশিক কৌতূহল মেটাতে পেরেছেন।আগে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহ এবং ধর্ম হলো তাঁর নির্দেশিত নীতি! আল্লাহর নিজেরও ধর্ম বা নীতি আছেঃ তিনি সৎ কাজের পুরস্কার ও অসৎ কাজের তিরস্কার করেন, তিনি সুবিচার করেন ও খুনিকে নিজে মাফ করেন না - এরকম অসংখ্য। পৃথিবীর আর কোনো ধর্মগ্রন্থে সুবিশাল মহাবিশ্বের কথা নেই, সমুদ্রের বিশালতার কথা নেই, দানের বাধ্যবাদকতার কথা নেই, সমাজনীতি ও রাজনীতির প্রসংগ নেই। তবে কবি সরাসরি অর্থে (রূপক অর্থে নয়) আল্লাহর উদ্ধৃত স্বর্গ ও নরককে অস্বীকার করেছেন। ধন্যবাদ।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ঈশ্বর কি হারিয়য়ে গেছেন যে ঈশ্বরের সন্ধানে যেতে হবে?
১২ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ঈশ্বর হারিয়ে যাননা, ইশ্বর আছেন সর্বত্র। কিন্তু ঈশ্বরের সান্নিধ্য খুঁজে নিতে হয় বান্দাকে।
৬| ১২ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমাদের ওয়াজবাজ হুজুররা কোরানকে বিজ্ঞান প্রমান করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আপনার মত ওরা বক্তব্যে সাবলিল নন। ভুলভাল ওয়াজ করতে গিয়ে হাসির খোরাক যোগাচ্ছে এরা।
১২ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১২ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ঈদ মোবারক। ঈশ্বর আল্লাহ ভগবান মানুষের অন্তরে বসবাস করেন।
১২ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ঈদ মুবারক। আপনার বক্তব্যে দ্বিমত নেই। শুভ কামনা ❤️
৮| ১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
পবিত্র কুরআন ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো ধর্মগ্রন্থে এই সুবিশাল মহাবিশ্বের কথা আছে?
কোরআনে কি আলোকবর্ষের কথা আছে?
সুবিশাল মহাবিশ্বের কথা অন্য ধর্মগ্রন্থেও আছে, ভিন্ন রকম ভাবে।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন:
সুরা সেজদার ৮ থেকে ১৩ আয়াতেই সব স্পষ্ট বর্ননা করা আছে -
আয়াত ০৯ -
" বলুন, তোমরা কি তাঁর সাথেই কুফারী করবে। যিনি যমীন সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ তৈরী করছ? তিনি সৃষ্টিকুলের রব্ব্!”
আয়াত ১০-
"আর তিনি স্থাপন করেছেন অটল পর্বতমালা ভূপৃষ্ঠে এবং তাতে দিয়েছেন বরকত এবং চার দিনের মধ্যে এতে খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন সমভাবে যাচ্ঞাকারীদের জন্য।”
আয়াত-১১
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ছিল ধূম্রপুঞ্জবিশেষ। অতঃপর তিনি ওকে (আকাশকে) ও পৃথিবীকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এস।’ ওরা বলল, ‘আমরা তো অনুগত হয়ে আসলাম
আয়াত -১২
“তারপর তিনি দু’দিনে আসমানসমূহকে সাত আসমানে পরিণত করলেন। আর প্রত্যেক আসমানে তার কার্যাবলী ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন। আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নির্ধারণ।”
সুরা আম্বিয়ার ৩২ নম্বর আয়াত -
"আর আমি আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ, কিন্তু এ সবের নিদর্শন থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। ”
অন্য একটা ধর্ম গ্রন্থ দেখান যাতে এইসব নিদর্শন দেয়া আছে?
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৪৫
কামাল৮০ বলেছেন: আপনি যতটা জ্ঞানের কথা বললেন কোরানে অতটা নেই।এমন কি আমেরিকার কথাও কোরান হাদিসে কোথাও নাই।