নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন রকম খাবার এনে খাওয়াতেন। আমি যখন ক্লাস থ্রি কিম্বা ফোরে পড়ি তখন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের 'বড়ো দিন' উৎসব উপলক্ষে মামার সাথে হোটেল শেরাটনে গিয়ে প্রথম 'বোতলজাত পানি' দেখি। মামা বলেছিলেন - এই বোতল বন্দী পানি ফ্রান্স থেকে আমদানি করা, নামটা সঠিক মনে নেই তবে যতদূর মনে পরে সেই পানি 'এলি'/'এভিয়ান' ব্রান্ডের। স্বাধীনতার পর বোতলবন্দী পানির প্রচলন কিছুটা বাড়লেও তাও ছিলো বিদেশ থেকে আমদানি করা- যা ধনাঢ্যরা পান করতো। প্রসঙ্গত আমি সেই বোতলজাত পানির গল্প করেছিলাম আমাদের গৃহশিক্ষক বিশ্বেস্বর মন্ডল স্যারের সাথে....বড়ো চাচার বাল্যবন্ধু এবং সহপাঠী বিশ্বেস্বর মন্ডল স্যারকে আমারা 'কাকু' ডাকতাম। তিনি শুধু আমাদের বৃহত্তর যৌথ পরিবারের কাজীনদের গৃহশিক্ষকই ছিলেননা, আমাদের অভিভাবকসম পরম সুহৃদ স্বজন ছিলেন।
বিশ্বেস্বর মন্ডল কাকু সেই বৃটিশ আমলে মেট্রিক পাশ করে পুরনো ঢাকার নবকুমার ইন্সটিটিউশনে শিক্ষকতা শুরু করেন। অন্যদিকে গৃহশিক্ষকতা এবং আমাদের পরিবারের সুহৃদ হিসেব তিনি আমাদের ইংরেজি বাংলা অংক সবই পড়াতেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন একজন দার্শনিক টাইপের মানুষ। আমার কাছে বোতলজাত পানির কথা শুনে বললেন, 'অদূর ভবিষ্যতে ওই রকম বোতলবন্দী পানি পয়সা দিয়ে সাধারণ মানুষেরও কিনেই তৃষ্ণা নিবারন করতে হবে!' এই কথা শুনে আমরা সবাই হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। ছোট চাচা অট্টহাসি হেসে বলেছিলেন- 'পাগলের প্রলাপ! পানির দেশের মানুষ পানি কিনে খাবে!'
মাত্র ৪০/৫০ বছর পর আজকে প্যাকেজড মিনারেল/ ড্রিংকিং পানির চাহিদা নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারছেন সবাই। আপনি আমি আমরা বোতলের পানি শুধু খা-ই না, পানির বোতল কেনার আগে পানিতে কি কি মিশ্রণ আছে সেটাও ভালো করে পড়ে দেখে কিনি। এখন একজন দিনমজুর-রিকশাওয়ালাও হোটেল রেস্টুরেন্টে বোতলের পানি নাহলেও ফিল্টারের পানি দুই টাকায় এক গ্লাস কিনে খায়।
এখন যদি আমি বলি আরও ৫০ বছর পরে বাতাস কিনতে হবে- কি বলবেন আপনারা?
'পাগলের প্রলাপ'- তাইতো?
আমরা, যারা বয়সে ৬০ এর কোটা পেরিয়ে এসেছি, তারা ওই দিনটা দেখার সুযোগ পাবোনা; কিন্তু এটাই বাস্তব। অদূর ভবিষ্যতে বাতাসে অক্সিজেনের ঘাটতি এমন জায়গায় পৌঁছবে সবাইকে ব্যাগ নিয়ে ঘুরতে হবে- অক্সিজেন ব্যাগ, যার পোষাকী নাম হবে ''ওটু ব্যাগ' বা 'অক্সিজেনেটেড এয়ার ব্যাগ'। এখন যেমন হয় সোনার চোরাচালান, তখন হবে বিশুদ্ধ পানি আর অক্সিজেনের চোরা চালান। গাড়ীগুলো হবে শুধু এসি নয়, অক্সিজেনেটেড এসি কার। বাড়ি, অফিস, মল, বিনোদন হলগুলোতে থাকবে সেন্ট্রালি অক্সিজেন জেনারেটিং সিস্টেম/ প্ল্যান্ট। কিন্তু এসব কাদের জন্য? আর হ্যা, 'মেডিক্যাল অক্সিজেন ব্যাগ' বহু বছর যাবতই ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও একটু এগিয়ে যাই- ধরুন এই শতকের শেষ দিকটা, যখন পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা দাঁড়াবে তের বিলিয়ন (গতকালই পত্রিকায় পড়েছি এখন ৭.৬ বিলিয়ন+ প্রতি ১৫ বছরে ১ বিলিয়ন বাড়ছে- সেই হিসাবে এই শতাব্দীতেই পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে ৮০০ কোটি)। অথচ প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রেখে পৃথিবীর জন- ধারন ক্ষমতা তো মাত্র ৯ থেকে ১০ বিলিয়ন।
তখন?
তখন খাদ্যের জোগান কমে এমন একটা পর্যায়ে পৌছবে যখন রসিয়ে রসিয়ে চর্ব্ব চোষ্য রান্না করে খাওয়ার দিন শেষ হবে। কারন তখনতো পৃথিবীতে সবুজের চিহ্নই থাকবেনা, থাকবেনা কোন বন্য পশু পাখি। গবাদি পশুও থাকবেনা জলাভাবের ও সবুজাভাবের কারনে। দু একটা যুদ্ধ হবে শুধুমাত্র পানীয়জলের দখল পাওয়ার জন্য। তবু মানুষ বেঁচে থাকবে- খাদ্যের চাহিদা মেটাতে কিনতে হবে 'ফুড্ পিল্' - গবেষনাগারে তৈরী শারিরীক চাহিদা পুরনের জন্য তৈরী কৃত্রিম খাদ্য-ট্যাবলেট!
এটাও 'পাগলের প্রলাপ'- তাইনা?
কিন্তু যদি শেষের সে ভয়ংকর দিন আসে, কারা পারবে ওসব কিনতে?
এর পরেও মানব সভ্যতা(?) টিকে যাবে বিজ্ঞান- প্রযুক্তির হাত ধরে। তৈরী হবে মহাশূন্যে কৃত্রিম পৃথিবী।অন্য গ্রহে বসতি স্থাপন হবে। ৫০০০ বছর পরে উষ্ণায়নের জেরে যখন ভূ-মন্ডলের সমস্ত জমা বরফ গলে মহাপ্লাবনে ডুবে যাবে পৃথিবীর সব স্থলভাগ, তখন তৈরী হবে ভাসমান কৃত্রিম পৃথিবী- যেখানে মানুষ বেঁচে থাকবে। হাঁ, একমাত্র মানুষই থাকবে- আর কেউ না।কিন্তু এত লোককেতো কৃত্রিম পৃথিবীতে স্থান দেওয়া যাবেনা, তাহলে কারা হবে সেই ভাগ্যবান?
এটা নির্দ্ধারনের জন্য হবে বিশ্বযুদ্ধ। জোর যার, মুল্লুক তার। বাকিরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে চিরতরে। গরীব, মধ্যবিত্ত দেশগুলোতো বিশ্বের বোঝা- কি দরকার ওদের বেঁচে থাকার?
এটাও পাগলেরই প্রলাপ!
আরে বাবা, এখন থেকে এত ভাবার কি দরকার? আমার, পরের আরো পাঁচশো টা জেনারেশন তো ওই দিনটা দেখার জন্য বেঁচে থাকবেনা, তাহলে?
খাও দাও নিশ্চিন্তে ঘুমোও। বংশবিস্তার চলুক। চলুক অরন্য ধ্বংস, বন্য পশু-পাখি নিধন, কংক্রীটের আর প্লাস্টিকের চাদরে ঢেকে ফেলি মৃত্তিকা। আকাশ-বাতাস- নদীনালা দুষিত করে চলি, নদীর স্বাভাবিক গতি রোধ করে তৈরী হোক বড়বড় ড্যাম।উন্নয়নের দোহাই দিয়ে জলাভূমি ভরাট করে উঠুক বহুতল আবাসান আর অফিস ভবন। পৃথিবীর গর্ভ খুঁড়ে- ছিঁড়ে লুটে নিই আকরিক। আপনার পয়সা আছে, তাই পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাদ্যের বস্ত্রের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের অধিকার আপনার আছে। নিজের পয়সা দিয়ে কিনছেন, কারো বাপের পয়সায় নয়- কাজেই ধ্বংস করার ক্ষমতা ঠেকাবে কে!
আমার এই কথা শুনে হয়তো অনেকেই বলবেন-"কবে কি হবে সেসব মাথায় ঢুকিয়ে সুখ-নিদ্রার ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন কেন? পাগল কোথাকার"
১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: উদ্দেশ্য হীন নয়, ভবিষ্যতের বিষুদ্ধ বায়ু নিয়ে শংকা তুলে ধরেছি।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০১
শাহ আজিজ বলেছেন: একটা দিক দিয়ে বাংলাদেশ সুবিধাজনক স্থানে আছে । পানি প্রবাহ । ৫৪ টি নদী হিমালয় এর বরফের আঁধার গলিয়ে আর প্রশান্ত , আটলান্টিক উৎস থেকে মেঘের পতন ঘটিয়ে যে পানি আমাদের দেয় তা খুবই উন্নত মানের নির্ভেজাল পানি । এই পানি ম্যানেজ করে দক্ষিণে সাপ্লাই দিয়ে পানি শুন্যতা দূর করতে হবে । এই পানি আমাদের মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে ফসলের যোগান দেয় , ফসলের ব্যাপারেও নিশ্চয়তা পাচ্ছি । কিন্তু অক্সিজেনের ব্যাপারে কোন সমাধান দিতে পারছি না , আপনি যা দিয়েছেন তাই চলুক ।
১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের দেশে প্রবাহিত ৫৪ টা নদীর উৎস আমাদের "বন্ধু দেশ" ভারত, যার ৪৫ টা নদীতেই বাঁধ দিয়ে কিম্বা বিভিন্ন রকম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে ভাটির দেশে পানির প্রবাহ বন্ধ কিম্বা সংকুচিত করেছে। এমন বন্ধু দেশ থাকতে আর কোনো শত্রুর দরকার নাই- পানিতে ডুবে এবং শুকিয়ে মারবে।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সবইতো হবে
কিন্তু আমার হয়তো
দেখা হবেনা।
১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমারও দেখা হবে না.... কিন্তু ভবিষ্যত প্রজন্ম অবশ্যই দেখবে।
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিশ্বেশ্বর মাস্টারমশাই দূরদর্শী ছিলেন। নগরায়নের ফলে যেভাবে বহুতল শহর বা শহরতলীতে মাথা তুলছে তাতে আগামী দিনে বাতাস ও যে কিনতে হবে না একথা জোর দিয়ে বলা যায় না।
১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: কয়েকদিন আগে বিবিসি আর্থ চ্যানেল একটা ডকুমেন্টারি দেখিয়েছিলো, সেই প্রতিবেদনেরও যে আশংকার কথা বলেছে তাতে বুঝতে পেরেছি ৫০ বছর আগে আমাদের মাস্টার কাকু যা আশংকা করেছিলেন তা প্রমাণিত হওয়া সময়ের ব্যপার মাত্র। ছেলে বেলায় বিভিন্ন সময় আমাদের তিনজন গৃহশিক্ষক ছিলেন তারা প্রত্যেকেই ছিলেন অত্যাচারী পণ্ডিত ব্যাক্তিত্বের অধিকারী, যা এখন উপলব্ধি করতে পারি।
শুভ কামনা।
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কল্প কাহিনী লেখক জুলভার্ন অনেক কিছু কল্পনা করেছিলেন এবং সেই কল্পনার অনেক কিছুই পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছে। আপনার নিকও জুলভার্ন, তাই আপনার কথা সত্য হতেও পারে।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: এবং সত্য হবে, যা আমরা এই শতাব্দীতে দেখে যেতে পারবোনা।
৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩০
নিমো বলেছেন: view this link
১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা দেখেছি। কি বাস্তবতা!
৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৪
কোনেরোসা বলেছেন: হতভাগ্য কংকালেরা সেইদিন পানির জন্য হাহাকার করবে
১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: নিশ্চিত।
৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৭
কোনেরোসা বলেছেন: হতভাগ্য কংকালের দল যখন জানতে পারবে তাদের পরদাদারা নদীর উজানে বাঁধ নির্মানের জন্য ঘুষ খেয়ে বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে হাত মিলিয়েছিল..........
১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের বিপদ তরান্বিত হবে আপনার মন্তব্যে উল্লেখিত কারনেই।
৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪৫
কোনেরোসা বলেছেন: জলবিদ্যুৎ আমদানির স্বার্থে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাকে বিসর্জন নয়
১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ক্ষমতায় টিকে থাকতে যেখানে দেশটাকেই বিষর্জন দিতে দ্বিধা করেনা- সেখানে ব্রম্মপুত্র-যমুনা কোন ছাড়া!
১০| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪৯
কলাবাগান১ বলেছেন: কারন তখনতো পৃথিবীতে সবুজের চিহ্নই থাকবেনা কিন্তু মানুষ থাকবে?????
এখানে তো আপনি বিজ্ঞান কে খুন করে ফেলেছেন। সবুজ গাছ/গাছালি নাই তো কোন প্রানই নাই। সমস্ত প্রানের শক্তির উৎস হল সান লাইট এর শক্তি, সবুজ গাছ/গাছাল ই এই সান লাইট শক্তি কে ক্যামিক্যাল এনার্জিতে পরিনত করে সকল প্রান কে এনার্জি প্রদান করে।
বিজ্ঞান বলে যে নতুন কোন এনার্জী তৈরী করা যায় না, এনার্জী কেবল মাত্র রূপান্তর করা যায়।
আর অক্সিজেন তৈয়ার করার কথা বাদই দিলাম।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি বিজ্ঞানকে খুন করিনি, বরং বিজ্ঞানের থিউরি অনুসরণ করেই লিখেছি। বিবিসি আর্থ, ন্যাশনাল জিওগ্রাফী চ্যানেলে আলোচ্য বিষয়ে ধারাবাহিক ডকুমেন্টারী প্রচার হচ্ছে- তাতে দেখানো হচ্ছে কিভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন প্রাণী জগতের জন্য হুমকী হয়ে আসছে। একই ধারাবাহিকতায় মানুষের এবং প্রাণীজগতের কিভাবে বিবর্তন হচ্ছে। হ্যা বিজ্ঞানের কথা সত্য- "নতুন কোন এনার্জী তৈরী করা যায় না, এনার্জী কেবল মাত্র রূপান্তর করা যায়।" তবে মানুষ যদি না থাকে বিজ্ঞানতো নিজে নিজে চলতে পারবেনা।
পরিবেশ এবং বায়ু কিভাবে দুষিত হচ্ছে, তার প্রমাণ এই ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকা আপনার ধানমন্ডি-কলাবাগান মাঠের উত্তর প্রান্তে সিটি কর্পোরেশন বর্জ নিঃস্বরণের একটা ডাম্পার নির্মাণ করেছে- ওখান থেকে একবার চলাচল করলেই বুঝতে পারবেন- কি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখিন আমরা হয়েছি।
শুভ কামনা।
আর অক্সিজেন এর বিষয়টা অনুধাবন করতে The Lorex মুভিটা দেখবেন। কীভাবে শহরের মানুষ বাতাস কিনে শ্বাস নেয়।
শুভ কামনা।
১১| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
চলুন বাতাস দূষিত করি,তারপর বিশুদ্ধ বাতাসের ব্যবসা দাড়া করি।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার আমার চিন্তা করার আগেই সেই ব্যবসা দাঁড়িয়ে গিয়েছে। শুনেছি, কানাডায় বিশুদ্ধ বায়ু ব্যাগিং করছে বানিজ্যিক ভাবে!
১২| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:৩৪
কামাল৮০ বলেছেন: পরিবেশকে যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন খুব ভালো লাগলো।এভাবে সমাজ এবং সমাজের মানুষের চিন্তা চেতনাকে আমাদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করতে হবে।তাহলেই আমরা অন্ধ বিশ্বাস থেকে বের হয়ে আসতে পারবো।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্যাঁচা নাকি অমঙ্গলের প্রতীক। কিন্তু সেটারও একটা পজিটিভ দিক আছে - অমঙ্গের পূর্বাভাস দিয়ে সতর্ক করে দেয়া। শ্রদ্ধেয় শিক্ষক বিশ্বেশ্বর বাবু প্রলাপ বকলেও তা তো ফলে গেছে। এবং অনেকগুলো প্রলাপের ভেতর দিয়ে অসাধারণ এক সতর্কবাণী আপনিও প্রচার করে গেলেন। পরিবেশকে রক্ষা করা না গেলে এ সুন্দর পৃথিবী একদিন হয়ত সত্যিই ডুবে যাবে। আমাদের এই ৫০ বছর বয়সেই আবহাওয়ার যে পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি, বায়ু দূষণ ও নদীদূষণসহ, ভয়াবহ পরিণতি খুব দ্রুতই আমরা দেখতে যাচ্ছি মনে হয়।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: সোনা ভাই, আমরা যা ভাবছি উন্নত বিশ্ব তা অনেক আগেই শুরু করে দিয়েছে। কোমলমতি শিশুদের পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে অস্ট্রেলিয়ার মাইনক্রাফট নামের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে বিশেষ একটি ভিডিও গেম। যেটি খেলতে খেলতে শিশুরা জানতে পারবে পৃথিবী জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বন উজাড়ের মতো মানবসৃষ্ট কারণে হওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর বিষয়ে। এ ছাড়া গেমটির মাধ্যমে শিশুরা আসন্ন ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি মোকাবিলার শিক্ষাও পাবে। শিক্ষাজীবনের শুরুতে পাঠ্যক্রমকে কীভাবে আরও ইন্টারেক্টিভ করে শিশুদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করা যায়, এ ধরনের ভাবনা থেকে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের শুরুতে নতুন ধারার শিক্ষা উপকরণ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় উন্মোচিত হয় মাইনক্রাফট এডুকেশনের মোড়ক। এরপর নিউ সাউথ ওয়েলসের শিক্ষা বিভাগ সেখানকার সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে মাইনক্রাফটের শিক্ষা সংস্করণটি বিনামূল্যের পরিষেবা হিসেবে প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যা পরবর্তীতে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যু সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে আশার আলো দেখাচ্ছে।
আজ এই পরিবেশ বিভিন্ন সংকটের মুখোমুখি। এ সংকট বিশেষ কোনো গোষ্ঠী, দেশ বা জাতির নয়; সমগ্র মানবজাতির। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কর্মকাÐের ফলে পরিবেশ আজ বিপন্ন। মানুষের বসবাস উপযোগী বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে চাই দূষণমুক্ত পরিবেশ। বিভিন্ন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় ‘পরিবেশ দিবস’।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশের তালিকায় ভারত ও চীনের পরে বাংলাদেশের অবস্হান। অন্যদিকে, বড় শহরগুলোর মধ্যে দূষণের দিক দিয়ে বিশ্বে রাজধানী ঢাকার অবস্হান তৃতীয়। ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল বার্ডেন ডিজিজ প্রজেক্টের প্রতিবেদনে বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর ক্ষেত্রে বায়ুদূষণকে চার নম্বরে দেখানো হয়েছে। বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর ৫৫ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্যকরী পদক্ষেপ ও জনসচেতনতা না বাড়ালে ভবিষ্যতে ভয়াবহ বায়ুদূষণে পড়বে বাংলাদেশ।
১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: পানির বেলাতে যেমন ভাবে পাগলের প্রলাপ সত্য হয়েছে ঠিক এমন ভাবে প্রতিটি প্রাকৃতিক জিনিসের বেলাতে হবে । ১০০/২০০ বছর হোক, হবেই । এখনই তো আমরা ব্যাপারটা টের পাই । কেবল ঢাকা শহরে আমরা যখন নিঃশ্বাস নিই আর গ্রামে গিয়ে নিঃশ্বাস নিই তখনই পার্থক্যটা টের পাওয়া যায় ভাল ভাবেই । যেভাবে প্রকৃতি দূষিত হচ্ছে আর গাল পালা কমছে অক্সিজেন মানুষকে কিনে নিতে হবে ।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সহজ উদাহরণঃ ঢাকা শহরে নাকে রুমাল চেপে রাস্তায়-যানবাহনে চলাচল করতে হয়। একটা শার্ট গায় দিয়ে বাসায় ফিরেই ধূয়ে দিতে হয়, গোসল করতে হয়। অথচ গ্রামে এখনও মুক্ত বাতাসে শরির জুড়িয়ে যায়।
ড. মিহির কান্তি মজুমদার এর একটা লেখায় পড়েছিলাম- 'আন্তর্জাতিক মান অনুসারে, বায়ুর মান শূন্য থেকে ৫০ থাকা মানে বায়ু সাস্থ্যকর। ৫০ থেকে ১০০ হচ্ছে সহনীয় অবস্থা। ১০০ থেকে ১৫০ সংবেদনশীল, ১৫০ থেকে ২০০ অস্বাস্থ্যকর, ২০০ থেকে ৩০০ খুবই অসাস্থ্যকর, ৩০০ থেকে ৫০০ হচ্ছে বিপদজনক অবস্থা। আমাদের ঢাকা শহরের ৮০ ভাগ এলাকায়ই বিপদজনক অবস্থা বিরাজ করছে।'
১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৩
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সুন্দর লেখেছেন দাদা ভাল থাকবেন-------
১৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১৩
বিটপি বলেছেন: আমি একটা ভবিষ্যৎ বাণী করলাম। এই পৃথিবীর জনসংখ্যা কখনোই ১০ বিলিয়ন ছাড়াবেনা। পৃথিবীর ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে যাবার আগেই মানুষ প্রজনন ক্ষমতা হারাবে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ৮% পুরুষ প্রজনন ক্ষমতা হারিয়েছে। এই পরিমাণ নারী যদি যৌন ক্ষমতা হারায়, তাহলে বিশ্বের জনসংখ্যা নিশ্চিতভাবেই কমে যাবে।
প্রজনন ক্ষমতা মানে প্রয়োজনীয় পরিমাণ শুক্র উৎপাদন বা ডিম্ব নিষিক্ত করার ক্ষমতা - সেক্স করার সক্ষমতা নয়।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি ম্যালথুশিয়ান থিউরী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আপনার মতামত প্রকাশ করেছেন- যা বাস্তব সম্মত। তবে শুধু জনসংখ্যা বৃদ্ধিই পৃথিবীর জন্য সমস্যা নয়। জনসংখ্যার চাইতেও বড়ো সমস্যা জলবায়ুর পরিবর্তন। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর মতো সমস্যা- যা জীববৈচিত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনবে।
অন্যদিকে মানুষের প্রত্যাশিত আয়ু বাড়ার কারণে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটে তুলনামূলক বেশি ধনী ও উন্নত দেশগুলির মধ্যে। কারণ বিশ্বের বর্তমানে প্রত্যাশিত আয়ু ৭২ দশমিক ৬ বছর যা বাংলাদেশের সমান এবং যা আবার গরিব দেশগুলোর মধ্যে ৬৫ বছর। ফলে ভবিষ্যতে বিশ্বে বয়স্ক (৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে) মানুষের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে প্রতি ১১ জনে একজন বয়স্ক লোক পাওয়া যায়, যা ২০৫০ সাল নাগাদ প্রতি ছয়জনে একজনে পরিণত হবে। ৮০ বছরের উপরে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বর্তমানে যা আছে তা ২০৫০ সাল নাগাদ তিনগুণ বেড়ে যাবে। যদি কর্মক্ষম লোকের অভাব হয়, যদি সবুজের ঘনত্ব কমে যায়, নদী নালার পানি শুকিয়ে যায়, কৃষক ফলন ফলাতে নাপারে- তার প্রভাবেই মানব্জাতির যে ক্ষতি হবে সেগুলোও বিবেচনায় নিতে হবে।
১৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: উদ্দেশ্য হীন নয়, ভবিষ্যতের বিষুদ্ধ বায়ু নিয়ে শংকা তুলে ধরেছি।
ভবিষ্যের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: তাহলে আমিও জ্ঞানী হলাম!
১৮| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৩
আখেনাটেন বলেছেন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নানাবিধ বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হবে বিশ্বকে। এর ফলেই হয়ত নতুন কোন বিশ্বে/গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন হলেও আ্শ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। আজকে যা কল্পনা, আগামীকাল তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে/নিবে বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতায়।
***পোস্টে তথ্যগত ভুল রয়েছে--লিখেছেন "গতকালই পত্রিকায় পড়েছি এখন ৬.৭+ প্রতি ১৫ বছরে ১ বিলিয়ন বাড়ছে- সেই হিসাবে এই শতাব্দীতেই পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে ৮০০ কোটি -- বর্তমানে পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় ৭.৯ বিলিয়ন, সেখানে আপনি কোন শতাব্দির কথা বলছেন।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। গত ১৪ তারিখে প্রথম আলোর রিপোর্টে বিশ্বে এখন ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন জনসংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছিলো। আমার টাইপো হয়েছে- সংখ্যাটা ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন হবে। এডিট করে দিচ্ছি।
আবারও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
১৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ছোট বেলায় যখন শুনতাম খাওয়ার পানি বোতলে বিক্রি হয় তখন কত আশ্চর্য হতাম আমরা!
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: একই অবস্থা আমারও। আমিতো হোটেল ইন্টারকন থেকে পানির বোতলটা বাসায় এনে অনেকদিন সংরক্ষণ করেছিলাম আর সব বন্ধুদের তা দেখাতাম!
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: এই লেখাটা কি উদ্দেশ্যহীন?