নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

Ben-Hur.......

২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২৭

Ben-Hur



প্রথম দেখেছিলাম ১৯৭৫ সালে, সম্ভবত নাজ সিনেমা হলে। তারপর আবার দেখেছি, আবারও দেখেছি, আবারও - এভাবে কতোবার দেখেছি....অনেক বছর পর সম্প্রতি আবার দেখলাম এইচবিও চ্যানেলে।
ছবি তো নয়, যেন এক মহাকাব্যের দৃশ্যের পর দৃশ্য উন্মোচন। সাড়ে তিন ঘন্টার বেশি (২১২ মিনিট) দৈর্ঘ্যে, গাম্ভীর্যে, বিপুলতায়, বীরত্বে, বিষণ্ণতায় অতুলনীয়।
১৯৬০ সালে প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে এটি রেকর্ড পরিমাণ ১১টি একাডেমি পুরস্কার জয় করে। বিরল 'Golden Globe Awards' বেন-হার'কে আরও গৌরব এনে দিয়েছে।

ছবির কাহিনী অনেক পুরনো। ১৮৮০ সালে লেখা Leo Wallace-এ "Ben-Hur : A Tale of the Christ" উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি। এই মহাকাব্যিক ছবির পরিচালক William Wyler, চিত্রনাট্য রচনার কৃতিত্ব Karl Tunberg-এর। নাম ভূমিকায় অভিনয়ে বিখ্যাত Charlton Heston.

১৯২৫ সালে প্রথম এই ছবির নির্বাক রূপায়ণ হয়। সেই থেকেই 'বেন-হুর' চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য দিকচিহ্ন হয়ে আছে। পুননির্মাণ এর পর Wyler-এর ছবিটি '১৮ নভেম্বর, ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিতে এটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়। এর পুনর্নির্মাণ, বিশাল বাজেটে, বিরাট সেটে, ২০০'র মতো শিল্পী নিয়ে ছবিটির অসীম বিস্তার। নিখুঁত এই ছবির শিল্পীদের অভিনয়, প্রতিটি দৃশ্য পরিকল্পনা এবং দৃশ্য গ্ৰহণ। Wyler পান থেকে চুন খসতে দেননি, দর্শককে মগ্ন করে রেখেছেন ঘটনা প্রবাহের দ্রুত গতিশীলতায়, চোখ ফেরানোই যায়না। ইতালিতে ছবির দৃশ্য গ্ৰহণ শুরু করে একটানা ৯ মাসের মতো বিরামহীন 'স্যুটিং' চলেছে এই চিরায়ত সৃজনকে মূর্ত মহিমা দিতে। ছবিটি তৈরির ইতিহাস পড়তে পড়তে অবাক হয়ে গেছি। ছবির সেটে ২০০ উট, ২৫০০ ঘোড়া এবং প্রায় ১০,০০০ 'এক্সট্রা' কাজ করেছে। কমবেশি ১০ মিনিট ধরে রথের দৌড়ের নিখুঁত দৃশ্যায়ন এত সজীব, প্রাণবন্ত ও শিহরণ জাগানো যে আজও ভাবলে মনে হয় যেন রথ নিজের বুকের পাঁজরের ওপর দিয়ে দুরন্ত গতিতে গড়িয়ে চলেছে। আর চার্লটন হেস্টনের অভিনয় সে তো সেই প্রাচীন যুগের আপসহীন, অনতিক্রমণীয় বীরত্বের এক উদাত্ত পুনরোচ্চারণ। বিপুল সংখ্যায় দর্শকের উৎফুল্ল অভিব্যক্তি ও জয়ের মুহূর্তে তাদের চরম উত্তেজনার উল্লাসে দর্শকও স্বতঃস্ফূর্ততায় সামিল হয়ে যায়। ছবির গৌরব এবং কৃতিত্ব এখানেই, যে লক্ষ লোকের দর্শন ও মননকে যুগপৎ মুগ্ধ, বিচলিত ও চিন্তান্বিত করে তা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের প্রসন্ন রেখাচিহ্ন এঁকে যায়। এমন ছবি বারবার দেখা যায়।

"••• culturally, historically, or aesthetically significant" বলে বিবেচিত হয়ে Ben-Hur এখন
National Film Registry of the Library of Congress-এ সংরক্ষিত হয়েছে। আমেরিকার কোনো ছবির জন্য অসীম গৌরবের অর্জন।

(বেন হার সিনেমার পোস্টারের ছবি নিয়েছি গুগল থেকে)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: হায় হায় এমন ধ্রুপদী ছবি দেখা হয়নি এখনো :(
বেন-হারের নাম শুনেছি বহুবার কিন্তু দেখার ফুসরত পাইনি।
দুর্দান্ত সাবলীল শৈল্পিক বর্ণনায় মুগ্ধ হলাম!

২১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: এমন একটা মুভি না দেখা সত্যিই মুভি বিষয়ে অতৃপ্তি! আশা করি সময় সুযোগ করে দেখবেন। এটা কিন্তু তিন ঘন্টারও বেশী লম্বা সিনেমা!

২| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৭

কামাল৮০ বলেছেন: কাহিনীটি জানা হলো না।

২১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে এই ছবির কাহিনী বলে বোঝানো যাবেনা। তারপরও আমি সংক্ষিপ্ত ভাবে বলছিঃ- জুডিয়াতে বসবাসকারী একজন অভিজাত ইহুদি সম্পর্কে মহাকাব্যিক কাহিনী, যিনি শৈশবের বন্ধু, একসময় একটি রোমান গোষ্ঠীর ক্রোধের শিকার হন। তাকে দাসত্বে বাধ্য করা হয় এবং তার পরিবারের নিষ্ঠুর নিপীড়ন প্রত্যক্ষ করতে বাধ্য করা হয়, তবুও তিনি বেঁচে আছেন, প্রতিশোধের স্বপ্নকে আশ্রয় করে।

ছবির কাহিনী আবর্তিত হয় বেন হার (জ্যাক) এবং মেসালাকে (টবি) ঘিরে, যারা দুই অন্তরঙ্গ বন্ধু। মেসালাকে নিজের পরিবারের অংশ মনে করে বেন হারের পরিবার। বেনের মা মেসালাকে নিজের ছেলের মত স্নেহ করে। সময়ের আবর্তনে মেসালা মনে করতে শুরু করে যে বেনের পরিবার আসলেই তাকে আপন মনে করে না। তাই সে রাগ করে রোমের সৈন্যবাহিনীতে যোগদান করে। তিন বছর পর ফিরে আসলেও বেনের সাথে কথা কাটাকাটি এবং অন্যান্য কারণে বেনের বোন এবং মাকে ফেরে ফেলার নির্দেশ দেয়। আর বেনকে দাস বানিয়ে রাজ্য ছাড়া করে। তারপরের কাহিনী আর বলছি না, কাহিনী জানতে দেখতে হবে ‘বেন-হার’ ছবিটি। তবে এই ছবির কাহিনী যীশুর জীবদ্দশার সময়কার। আর ছবিতে যীশুর চরিত্রও আছে পার্শ্বচরিত্র হিসেবে। আর ছবিতে দেখানো হয়েছে ক্ষমাশীলতা এবং মহত্ত্বের অসাধারণ দৃষ্টান্ত।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যখন স্কুলে পড়তাম স্কুলের লাইব্রেরী থেকে বেন হুরের বঙ্গানুবাদ পড়েছিলাম। ভালো লেগেছিল। কিন্তু কিশোর বয়সের সেই অনুভূতি তো ঐ সময় তৈরি হওয়ার নয়। এখন যদিও এর গল্প কাহিনী কিছু আর মনে নেই। আপনার পোস্টটি পড়ে আগ্রহ তৈরি হলো মুভিটি দেখতেই হবে।

শুভেচ্ছা ভাইজান আপনাকে।

২১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইয়া, এই সিনেমাটি শিশু কিশোরদের বোঝার মতো নয়। আমি গলের কাহিনী সংক্ষিপ্ত ভাবে আপনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছিঃ-
জুডিয়াতে বসবাসকারী একজন অভিজাত ইহুদি সম্পর্কে মহাকাব্যিক কাহিনী, যিনি শৈশবের বন্ধু, একসময় একটি রোমান গোষ্ঠীর ক্রোধের শিকার হন। তাকে দাসত্বে বাধ্য করা হয় এবং তার পরিবারের নিষ্ঠুর নিপীড়ন প্রত্যক্ষ করতে বাধ্য করা হয়, তবুও তিনি বেঁচে আছেন, প্রতিশোধের স্বপ্নকে আশ্রয় করে।

ছবির কাহিনী আবর্তিত হয় বেন হার (জ্যাক) এবং মেসালাকে (টবি) ঘিরে, যারা দুই অন্তরঙ্গ বন্ধু। মেসালাকে নিজের পরিবারের অংশ মনে করে বেন হারের পরিবার। বেনের মা মেসালাকে নিজের ছেলের মত স্নেহ করে। সময়ের আবর্তনে মেসালা মনে করতে শুরু করে যে বেনের পরিবার আসলেই তাকে আপন মনে করে না। তাই সে রাগ করে রোমের সৈন্যবাহিনীতে যোগদান করে। তিন বছর পর ফিরে আসলেও বেনের সাথে কথা কাটাকাটি এবং অন্যান্য কারণে বেনের বোন এবং মাকে ফেরে ফেলার নির্দেশ দেয়। আর বেনকে দাস বানিয়ে রাজ্য ছাড়া করে। তারপরের কাহিনী আর বলছি না, কাহিনী জানতে দেখতে হবে ‘বেন-হার’ ছবিটি। তবে এই ছবির কাহিনী যীশুর জীবদ্দশার সময়কার। আর ছবিতে যীশুর চরিত্রও আছে পার্শ্বচরিত্র হিসেবে। আর ছবিতে দেখানো হয়েছে ক্ষমাশীলতা এবং মহত্ত্বের অসাধারণ দৃষ্টান্ত।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এটির অনুবাদ পড়েছি অনেক অনেক আগে।

২১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে অনুবাদ আর মুভির মধ্যে অনেক পার্থক্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.