নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে না পারলে বাংলাদেশ কখনও স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া যাবে না।

২৯ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৮

ভারতীয় নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে না পারলে বাংলাদেশ কখনও স্বাধীনতার স্বাদ পাবে না....

আওয়ামী লীগ মানেই ভারত। আওয়ামী সরকার ছিলো ভারতের রক্ষিতা সরকার। দীর্ঘ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের পর গত জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের পর ভারতীয় রক্ষিতা সরকারের ৯০% নেতা পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই ভরতে পালিয়ে গিয়েছে এবং ভারত সরকারের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সেই দেশে অবস্থান করছে। শুধু তাই নয়, ভারতে থেকে তারা বাংলাদেশ বিরোধী রাজনৈতিক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে, বাংলাদেশে নাশকতা বিশৃঙ্খলা পরিচালনা করছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন করতে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। ভারত সরকার চায়না, বাংলাদেশে একটা ভালো নির্বাচন হোক। কারণ, একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে অবশ্যই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি স্বাধীনচেতা আত্মমর্যাদায় বিশ্বাসী, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিষয়ে আপোষহীন একটি রাজনৈতিক দল। বিএনপিকে বশিভূত করার সাধ্য ভারত সরকারের নাই। শহীদ জিয়া দেশ গড়েছেন ১৯ দফার আলোকে। ম্যাডাম জিয়া রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে ২১ দফা ঘোষণা দিয়েছেন এক যুগ আগে। বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা দিয়েছে প্রায় তিন বছর হতে চলছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারত-মার্কিন প্রেসক্রিপশনে ভাড়াখাটা বিদেশী পণ্ডিতের মাধ্যমে "সংবিধান সংস্কার, জাতীয় ঐক্য কমিশন" নামে উদ্ভট অগণতান্ত্রিক তত্ত্ব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে- নির্বাচন না দেওয়া এবং বিএনপিকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

ভারতের সাথে তাল মিলিয়ে এবং একাত্ম হয়ে বাংলাদেশে আরও কারা নির্বাচন চায়না?

এই প্রশ্নের জবাবের আগে একটু পুরনো কাসুন্দি বর্ননা করতে হবে। স্বাধীনতার পর জাসদ সৃষ্টি হয়েছিল আওয়ামী লীগকে চাপে রাখতে, যাতে আওয়ামী সরকারের ভারত নির্ভরতা বেশী হয়।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের উপর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতো ভারতও বেজায় ক্ষ্যাপা হলেও ভারত বরাবরের মতো তাদের চানক্য নীতিতে অগ্রসর হয়েছে.... বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ব্যপক জনপ্রিয়তা এবং জনসমর্থন ছিলো। সেটাকে পুঁজি করেই ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে একই প্রকৃয়ায় ভারতীয় গোয়েন্দাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সৃজন করা হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। যদিও তাদের কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি নাই। নাগরিক পার্টির নেপথ্যে কিম্বা সম্মুখ সারিতে যারা আছে তাদের সকলেরই রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড জা-শি এবং আওয়ামী লীগ, তাই বৈষম্য বিরোধী নেতাদের সাথে ভারতীয়দের যোগাযোগ সহজ হয়েছে। আজীবন ভারত বিরোধী জামায়াতে ইসলাম ক্ষমতার লোভে ভারত বিরোধিতা থেকে বেরিয়ে এসে ভারতের সাথে যোগাযোগ করে ভারতের সমর্থন এবং আস্থালাভ করেছে। জা-শি, জানাপা'র সাথে যোগ দিয়েছে আজীবন মোনাফেক, সুবিধাবাদী টাউট বাটপার মোল্লাদের দল।

ভারতের নেপথ্যে আছে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া রাষ্ট্রটি এবং তাদের গডফাদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় চিনের সাথে বিএনপির সম্পর্ক ভালো। যদিও চিন শুধু বানিজ্যিক সম্পর্ককেই প্রধান্য দেয়। যার প্রমাণ, গত ষোলো বছর ভারতের পাশাপাশি চিনই ছিলো ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের প্রধান মিত্র। ২০২৪ এর প্রহসনের নির্বাচনকে যে কয়েকটি দেশ বৈধতা দিয়েছিল তারা হলো- ভারত, চিন, রাশিয়া এবং ইরান। চীনকে ঠেকাতে ইউরোপ আমেরিকা ভারতের পাশে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

সামগ্রিকভাবে, জুলাই বিপ্লব একটি জটিল পরিস্থিতি পার করছে এবং এর ভবিষ্যৎ পথ এখন অস্পষ্ট। বিশেষ করে, জুলাই বিপ্লবের ছাত্র সমন্বয়কের রাজনৈতিক ক্ষমতার লোভ রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করেছে। সরকার এবং জনগণের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। এমতাবস্থায়, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় তারেক রহমানকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:০৭

কাঁউটাল বলেছেন: ভঁড়ৎের দালাল, এবং বালকুকুরদের দমন করতে হবে, নাইলে উল্টা আমরা পরাধীন হয়ে যাব।

২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ওরা আমাদেরকে অষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে, খুব সহজে বের হওয়ার সুযোগ নাই। বের হলেও কঠিন মূল্য দিতে হবে।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:১০

কাঁউটাল বলেছেন: বিএনপি, জামাত, এনসিপি, হেফাজত এবং অন্যান্য দলগুলো মিলে "যু্দ্ধকালীন কাউন্সিল বা ঐক্য" অথবা এইধরণের কিছু তৈরী করতে হবে। নাইলে হাউয়ামী ভাদা এবং বালকুকুরদের সাথে পারা যাবে না।

২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: বিএনপি গত পাঁচ বছর যাবত বলে আসছে- যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার উৎখাত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তারা সবাইকে নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ সংস্কারের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার পরিচালনা করবে। কিন্তু জাশি, নাপা এবং ফটকাবাজ পীরের গুষ্ঠি একত্রিত হয়ে সেই সুযোগ নষ্ট করে দিয়েছে।

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:০৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: শতভাগ সত্য কথা।

২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইনটেরিম সরকার ভারত-আমেরিকার ফরমুলা ফলো করছে কিভাবে বুঝলেন ? আমেরিকার থেকে যে সব ফরমুলা দেয়া হয়েছে সেগুলো আসলে কতটা খারাপ ? সবাই চাইতেসে যাতে বিএনপি আরেক শেখ হাসিনা না হয়েূ উঠে। যা যা ফরমুলা দিয়েছে সব দল কেই তা মেনে নিয়ে পাওয়ারে আসতে হবে।

ভারত এখন কোনো কামের না বাংলাদেশে । তারা যে এসেট হারিয়েছে সেটা ফিলআপ হবে না বাকি দল দিয়ে ।

২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: এক কথায়- সব অগনতান্ত্রিক ফরমুলা দিয়েছে।

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:১৮

আব্দুল হাদী আল নাফী খান বলেছেন: ১৯৯০ এর পর যখন সরকার পরিবর্তন হত, ততদিন পর্যন্ত মানুষের মনে একটা ভয় থাকত যে, সরকার চলে গেলে তাদের বিপদে পড়তে হবে। তাই হয়ত অন্যায় কিংবা দুর্নীতিতে একটু রাখঢাক ছিল। কিন্তু আওয়ামী আমলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের যুগে গোটা সমাজের নৈতিক ভিত্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। বিএনপিও এর বাইরে নয়। দেশকে ভালোবেসে আত্নোৎসর্গ করবে এরকম নেতৃত্ব বিরল। আমি আগে থেকেই জানতাম যে, জুলাই বিপ্লব ব্যর্থ হবে, কারণ মানুষের মূল্যবোধের পরিবর্তনের ভিত্তিতে এই আন্দোলন হয়নি। অপেক্ষায় থাকুন আরও খারাপ কিছু দেখার।

২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে কেউ কারোর জন্য অপরিহার্য নয়। সরকার পরিবর্তনও তাই। আমি মনে করি না, জুলাই আন্দোলন ব্যার্থ হয়েছে। বরং সাফল্য এবং ব্যার্থতা দুটোই আছে। খোলা চোখে জুলাই আন্দোলনের সাফল্য ও ব্যর্থতার সংক্ষিপ্ত কারণগুলো-

সাফল্য:
সরকারের স্বৈরাচারী নীতির বিরুদ্ধে জনগণের ব্যাপক সচেতনতা তৈরি।
গণআন্দোলনে তরুণ ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি।
আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি।

ব্যর্থতার কারণ:
ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্ব ও সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনার অভাব।
আন্দোলনের পরবর্তী পরিকল্পনা (পোস্ট-মুভমেন্ট রোডম্যাপ) স্পষ্ট না থাকা।
রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও পারস্পরিক অবিশ্বাস।
সরকারি দমননীতি ও নিয়ন্ত্রণের কারণে গতি হারানো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.