নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার চেহারা চোরের মতো....

০৩ রা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:০২

আমার চেহারা চোরের মতো....

সম্ভবত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম- "একটি বাড়ির অসমাপ্ত আত্মজীবনী......"- শিরোনামে। সেই পোস্টের আগের ঘটনাটা আজ লিখছি.....

আমি অনেকটাই নিভৃতচারী, এমনকি খুব কাছের আত্মীয় স্বজনদের সাথেও তেমন যোগাযোগ রাখি না। স্বাধীনতা পূর্ব আমাদের বৃহত্তর যৌথ পরিবারের ৯০% নিকট আত্মীয় স্বজনই ঢাকা শহরে স্থায়ী বাসিন্দা হলেও কদাচিৎ ফোনে যোগাযোগের বাইরে কোনো বিশেষ উপলক্ষ ছাড়া কারোর সাথে দেখা সাক্ষাৎও হয় না।

আমার সমবয়সী, সহপাঠী চাচাতো ভাই জামীর সাথে আমার সম্পর্কটা সেই ছেলে বেলা থেকেই ভালো ছিলো। সেই চাচাতো ভাই ১৯৮০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায় এবং মিশিগানে থিতু হন, তবে আমার সাথে সব সময়ই যোগাযোগ ছিল। আমি আমার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বেশ কয়েক বার ওনার ওখানে গিয়েছিলাম। তিনি প্রায় একযুগ পর আমেরিকা থেকে দেশে এসেছেন। আমাদের দাদা-পৈত্রিক বাড়ি ওয়ারী, বরাবরের মতো ওখানেই স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে উঠেছেন। দুই ইউনিটের ছয়তলা বাড়ির তিন তলার দুই ফ্ল্যাট নিয়ে জামীর বড়ো, জাকী ভাই স্ব পরিবার থাকেন। অন্য ফ্ল্যাটগুলোয় ভাড়াটেরা থাকেন।

জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের একদিন পরন্ত বিকেলে আমি জামীর সাথে দেখা করতে ওদের বাড়িতে যাই (এই বাড়ি আমারও পৈত্রিক বাড়ি)। বিশাল যায়গা নিয়ে বাড়ির বাউন্ডারির মধ্যেই সবুজ চত্ত্বরে একদংগল শিশু কিশোর কিশোরী খেলা করছিলো। গেইটে সিকিউরিটি গার্ডদের না দেখে আমি বাড়ির পকেট গেইট খুলে ভেতরে ঢুকতেই ৭/৮ বছরের একটা মেয়ে চিতকার করে বলে- "চোর এসেছে, চোর এসেছে...."!

অমনি অন্যসব বাচ্চারাও "চোর এসেছে, চোর এসেছে"- বলে ভয়ে দৌড়ে বাড়ির মধ্যে চলে যায়....
বাচ্চাদের চিতকার চেচামেচি শুনে দুইজন সিকিউরিটি গার্ড, কেয়ার টেকার ছাড়াও প্রায় সব ফ্ল্যাটের বড়োরাও ছুটে আসে....ছুটে আসেন জাকী ভাই, ভাবী এবং জামীও....

....."চোর এসেছে, চোর এসেছে"- চিতকারের জন্য সবাই বাচ্চাদের ধমকাচ্ছে....

আমি বলি- 'বাচ্চাদের কোনো দোষ নাই, ওদের মনো রাজ্যে এবং বাস্তবে চোরের চেহারা আমার মতোই....'!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এরকম মনে হওয়ার কারণ কি তাদের ?

০৩ রা আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: হৈচৈ করতে থাকা একদল শিশুর শিশুতোষ মনের খেয়াল।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৫৫

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া......

চোরেদের চেহারা বুঝি অন্যরকম থাকে!!!!!!!

তবে হ্যাঁ ছবিতে চোরের চেহারা থাকে রোগা পটকা ছেড়া গেঞ্জি খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। তুমি নিশ্চয় সেভাবে যাওনি ...

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আমিতো রোগা-পটকা, ছেড়া গেঞ্জি পড়া না বরং আমি সব সময়ই ঘরে বাইরে পাজামা পাঞ্জাবী / ক্যাজুয়াল ড্রেসে থাকি...সেদিন জামীর সাথে আমার একটা ছবি আছে, যা জাকী ভাই (আমাদের বড়ো ভাই) তুলে দিয়েছিলেন- আমাকে কি চোরের মতো লাগে?।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:০৫

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: বাহ ,একটু অন্য রকম লেখা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৭:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: যেহেতু ঘটনাটাও অন্যরকম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.