নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপি’র ৪৭ বছরের অর্জনঃ এক দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার ইতিহাস......

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩

বিএনপি’র ৪৭ বছরের অর্জনঃ এক দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার ইতিহাস......

বাংলাদেশ টেলিভিশন কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ 'বিএনপি’র ৪৭ বছরের অর্জন' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে আমাকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ১৯৭৮ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দলটির লক্ষ্য ছিল জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা। চড়াই উৎরাই আর কঠিন সময় অতিক্রম করে বিএনপি আজ ৪৭ বছরে পদার্পণ করেছে। এই দীর্ঘ সময়ে দলটির অর্জন, অবদান এবং সংগ্রাম বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিশেষ অধ্যায় হিসেবে স্থান পেয়েছে- অনুষ্ঠানের নির্ধারিত ৩০ মিনিটে বলা অসম্ভব। তবুও আমি ৭ টি পয়েন্ট নিয়ে কথা বলতে চাইঃ-

১. বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনঃ

স্বাধীনতার পর একদলীয় শাসনব্যবস্থা দেশে গণতন্ত্রকে সংকুচিত করেছিল। শহীদ জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেন এবং বিএনপি সেই ধারার প্রধান বাহক হয়ে ওঠে। ফলে জনগণ মুক্তভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিকাশে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে।

২. অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও উন্নয়নমুখী পদক্ষেপঃ

বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে অর্থনীতিকে মুক্তবাজারভিত্তিক করার উদ্যোগ নেয়। শিল্পায়ন, কৃষিখাতে ভর্তুকি, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে আত্মনির্ভরতার পথে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এর ফলে দেশীয় অর্থনীতি চাঙা হয় এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।

৩. অবকাঠামোগত উন্নয়নঃ

বিএনপি শাসনামলে দেশের যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ বিদ্যুতায়নসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।

৪. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে অবদানঃ

শিক্ষা খাতে নারী শিক্ষার প্রসার, প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ার প্রচেষ্টা ছিল বিএনপির একটি বড় অর্জন। স্বাস্থ্য খাতেও হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ স্থাপন এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখে।

৫. আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্যঃ

বিএনপি সরকার বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যায়। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়ার উদ্যোগ বাংলাদেশকে আঞ্চলিক সহযোগিতার অগ্রদূত করে তোলে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনা প্রেরণও বিএনপির সময়কালে শুরু হয়, যা আজ দেশের গৌরবের অন্যতম প্রতীক।

৬. নারীর ক্ষমতায়নঃ

বিএনপি নারী নেতৃত্বকে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রে নিয়ে আসে। দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া—যিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তার শাসনামলে নারীর সামাজিক মর্যাদা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়।

৭. গণআন্দোলনে নেতৃত্বঃ

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন হোক কিংবা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম- প্রতিটি আন্দোলনে বিএনপি ছিল জনগণের অগ্রভাগে। দলটি বারবার দমন-পীড়ন, কারাবরণ ও ষড়যন্ত্রের শিকার হলেও গণতান্ত্রিক চেতনা থেকে পিছিয়ে আসেনি।

৪৭ বছরের এই দীর্ঘ যাত্রায় বিএনপি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বারবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামোগত রূপান্তর, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্য ও নারীর ক্ষমতায়ন- সব ক্ষেত্রেই দলটির অবদান সুস্পষ্ট।
চড়াই উৎরাইয়ের পথ পাড়ি দিয়ে বিএনপি আজও গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও জাতীয়তাবাদের প্রতীক হিসেবে জনগণের কাছে প্রাসঙ্গিক। ৪৭ বছরের এই অর্জন বিএনপিকে আগামী দিনের সংগ্রামে আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী করে তুলবে।

ধন্যবাদ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনাকে অভিনন্দন।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩

সামছুল আলম কচি বলেছেন: বিএনপি'র থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কারা- কারা ??!! এমন কেউ আছে কী; কিংবা আছে কি তাদের কোনও গবেষণা কেন্দ্র ?? কেন নেই ?? এরা একেক মুখে একেক রকম কথা বলে কেন ?? দলের নেতা কর্মীদের বুলেট-বোমা-গুমের মুখে ঠেলে দিয়ে; কেউ কেউ আরামে এসি রুমে শুয়ে-বসে দিন কাটাচ্ছে, উপদেশ-বুলি ঝারছে- ভবিষ্যতে মন্ত্রী-তন্ত্রী হয়ে রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে শত শত সিকিউরিটি পারসোনেল নিয়ে দেশের ভিতরে ঘুরে বেড়াবে !!!! আহ্ কি স্বার্থপরের রাজনীতি....এদের আচরন দেখলে ঘৃণা হয় !!!! এক মায়ের সন্তান কে বাচিয়ে রাখার জন্য কত শত মা'র সন্তানের জীবন বিসর্জন !!! ঘৃণা হয় !!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০

জুল ভার্ন বলেছেন: বিএনপির থিংক ট্যাংক বলতে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। কিন্তু দলীয় নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ মহল ও প্রবাসী পরামর্শকরা মিলেই এক ধরনের বিকল্প চিন্তাশীল কাঠামো হিসেবে কাজ করেন। Bangladesh Nationalist Research Centre-BNRC (Research Wing of BNP) সাম্প্রতিক সময়ে গঠিত হয়েছে।


৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: বিএনপি আরো ভালো করতে পারতো।
এখন আবার সুযোগ এসেছে। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক যে কালচার চলছে তা থেকে কতটুকু বের হতে পারবে জানিনা।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: এটা একেবারেই বাস্তব প্রশ্ন। বিএনপি যদি আবার নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করে, তাহলে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা। কিছু দিক তুলে ধরা যায়ঃ

(১) গণতন্ত্র চর্চা ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি বৃদ্ধিঃ
অতীতে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে গণতান্ত্রিক চর্চার ঘাটতি ও দলীয়করণ নিয়ে সমালোচিত হয়েছে। এবার যদি তারা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক আচরণ করে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে, তাহলে জনগণের আস্থা ফিরে পাবে।


(২) দুর্নীতি ও দুঃশাসনের দায় থেকে মুক্তিঃ
দুর্নীতির অভিযোগ বিএনপিকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে কঠোর জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার ব্যবস্থা নিতে হবে।


(৩) দলকে ব্যক্তি নির্ভরতা থেকে বের করে আনাঃ
"নেতা নির্ভরতা" বিএনপির জন্য একটি বড় সমস্যা। আদর্শ ও সাংগঠনিক শক্তিকে অগ্রাধিকার দিলে দল আরও টেকসই হবে।


4. জাতীয় স্বার্থকে দলীয় স্বার্থের উপরে রাখাঃ
অতীত ভুলের বড় অংশ এসেছে ক্ষমতার রাজনীতি থেকে। যদি সত্যিই জাতীয় স্বার্থে আপোষহীন থাকে এবং দলীয়করণ কমায়, তবে জনগণের আস্থা টিকবে।


(৫) তৃণমূল কর্মীদের ভূমিকা ও জনআকাঙ্ক্ষা:
বিএনপির শক্তি সবসময় তৃণমূলে। সেখানকার কর্মীদের মতামত ও দাবি নীতি নির্ধারণে প্রতিফলিত হলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

বিএনপির সামনে সুযোগ আছে- অতীতের ব্যর্থতা কাটিয়ে আদর্শ, ত্যাগ আর সুশাসনের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার। কিন্তু সেজন্য দরকার সংসদে শক্ত বিরোধী দল।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

বিজন রয় বলেছেন: অনেক যুক্তিপূর্ণ উত্তর হয়েছে।
দলীয় দৃষ্টিকোণের বাইরে এসে উত্তর করেছেন।

সব দল যদি এভাবে বুঝতো তো দেশে সমস্যা অনেক কমে যেত।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১৫

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আপনার জন্যে শুভকামনা।
কোন দল ও নেতা ই ভুল ত্রুটির উদ্ধে নয়,
বুদ্ধি ভিত্তিক গঠনমূলক সমালোচনা করে দলকে সঠিক নির্দেশনা দিবেন আশাকরি।
দেশ ও জাতির কল্যাণে দলীয় বুদ্ধিজীবীদের দায় অনেক।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি, যথার্থ বলেছেন। কোনো দল বা নেতা ভুলত্রুটি থেকে মুক্ত নয়- এটাই বাস্তবতা। গঠনমূলক সমালোচনা দলকে দুর্বল করে না, বরং সঠিক পথে এগিয়ে নিতে সহায়ক হয়। যদিও আমি বিএনপির এমন কেউ নই যে আমার কোনো কথা দলের কোনো পর্যায়ে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। তারপরও বিভিন্ন ফোরামে / প্লাটফর্মে আমি আমার বক্তব্য নির্দিধায় বলি। যেকোনো দলের কর্মীদের দায়িত্ব শুধু প্রশংসা নয়, সঠিক সময়ে নির্ভীকভাবে পরামর্শ না হোক সঠিক বক্তব্য দেওয়া। দেশ ও জাতির কল্যাণই যদি সবার লক্ষ্য হয়, তবে সত্য বলা ও ইতিবাচক সমালোচনা গ্রহণ করার মানসিকতা- দল ও নেতৃত্ব দু’পক্ষেরই থাকা জরুরি।
ধন্যবাদ।

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন, বুদ্ধি ভিত্তিক গঠনমূলক সমালোচনা করে দলকে সঠিক নির্দেশনা দিবেন আশাকরি।
দেশ ও জাতির কল্যাণে দলীয় বুদ্ধিজীবীদের দায় অনেক। =p~ =p~ =p~

জাতীয় বেইমান পার্টির লাভার এসেছে জুলভার্ন ভাইকে সবক দিতে!!! জুলভার্ন ভাইকে আমরা খুব ভাল করেই জানি। বিএনপির প্রতি উনার যত অনুরাগই থাকুক লীগ ও তার দোসরদের প্রশ্নে জিরো টোলারেন্স।এই দেশের জন্য এই মনোভাবটাই যথেষ্ঠ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ভাই, বয়সের সাথে অভিজ্ঞতাও কম হয়নি....রাজনীতিতে মুখোশ পরে কেউ কেউ ফেরেশতা সাজার ভান করেন, কেউ আবার সাধু হয়ে বসেন। কিন্তু আসলেই কি মুখোশে চরিত্র ঢাকা যায়? অভিনয় যতই দক্ষ হোক, মুখোশটা যতই শক্ত হোক, একটু ঘাম বা সময়ের বাতাসেই মেকআপ ছেড়ে দেয়! তখন ভেতরের আসল রূপ এমনভাবে 'ভুয়া'দের আসল চরিত্র বেরিয়ে আসে যে- নাটক থেমে যায়, দর্শক হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায়। রাজনৈতিক মুখোশ আসলে টিকটক ফিল্টারের মতো- কিছুক্ষণ কাজ চলে, কিন্তু শেষমেশ আয়না সত্যিই দেখিয়ে দেয়!
কাজেই, মুখোশে নয়- চরিত্রেই রাজনীতির আসল পরিচয় লুকিয়ে আছে। শেষ পর্যন্ত সততার জয় হবে।

৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: জাতীয় বেইমান পার্টির লাভার এসেছে জুলভার্ন ভাইকে সবক দিতে!!!

জুলাই বেঁচে খাওয়া কিংস পার্টি লাভার্সের কথায় আমি কিছু মনি করি নাই। :P প্রকৃত নাকি কখনো তার শূন্যস্থান খালি রাখে না।
ঢাবিয়ানকে ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী জায়গা পুরন করার জন্যে; তবে মনে হয় না ভালোবাসা খুবই দীর্ঘস্থায়ী হবে।
ফ্রেব্রুয়ারি নির্বাচন পর্যন্ত =p~

আর জুল ভার্নকে বিনীত অনুরোধ এনসিপি কে কিংস পার্টি মনে করেন‌ কিনা-
আপনার গড়ের নিচে আশ্রয় নেওয়া দলকানাদের জানান?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: কে কোন দল করে কিম্বা করে না- তা নিয়ে আমার কোনো বিকার নাই। সবাই যদি এক দল করে তাহলে ভিন্নমত বলে কিছু থাকবে না। ভিন্নমত না থাকলেই ফ্যাসিবাদের উত্থান হবে, জন্ম নেবে নতুন কোনো লেডি হিটলার শেখ হাসিনা।

ব্যক্তিগত ভাবে আমি সবসময়ই নতুন নেতৃত্ব স্বাগত জানাই। মূলত জুলাই বিপ্লবের ছাত্রসমন্বকদের গড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি- একটি নব-উদিত রাজনৈতিক দল, যা ছাত্র-নেতৃত্বের শক্তি, তরুণ জনতার অনুভব ও একটি নতুন সামাজিক চেতনা নিয়ে গড়ে উঠেছে। তাদের মূলভিত্তি গণতন্ত্র এবং অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব; যা বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনীতিতে এক নতুন আলো আনতে পারে। তবে দল গড়ে ওঠার পথে অভিজ্ঞতার ঘাটতি, অভ্যন্তরীণ বিভেদ, কার্যকর প্রতিষ্ঠা এবং অভ্যন্তরীণ-বাহ্যিক রাজনৈতিক চাপে তাদের পরীক্ষা এখনও বাকি। সর্বপরি, তাদের দ্রুত ক্ষমতায় যাওয়ার আগ্রাসী মনোভাব এবং আর্থিক কেলেংকারি, বেপরোয়া আচরণ তাদের সকল সম্ভাবনাকে অংকুরেই বিনষ্ট করে দিচ্ছে। যতদ্রুত উত্থান হয়েছে, নিজেদের ভুলের জন্য ততই দ্রুত পতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে....

সর্বপরি দিনে দিনে প্রমাণিত হচ্ছে- এনসিপি'র নেতৃত্ব জা-শি র ডামি..... জুলাই বেচে খাওয়া পার্টির মতো স্বাধীনতার পর অব্দি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে সর্বগ্রাসী আওয়ামী হওয়ার দিকে এনসিপি'র পরিনতি না হোক, জাসদের পরিনতি না হোক- সেই প্রত্যাশা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.