| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
গোয়েন্দাদের আচরণ আগের মতোই ডার্ক মোডে!
গুম নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীরা সবসময় তক্কেতক্কে থাকে- এই বিষয়ে মামলা মকদ্দমার আপডেট জানতে। ২২ অক্টোবর মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির করা হবে- সেটা সবাই নিশ্চিত ছিলাম। তাই ভুক্তভোগীরা ট্রাইবুনালের সামনে ন্যায় বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি নিয়েছিল।
সকাল সাড়ে আটটার মধ্যেই বেশীরভাগ ভুক্তভোগী নারী পুরুষ সদস্য এবং মানবাধিকার সংস্থার কর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন প্লেকার্ড নিয়ে উপস্থিত হয়্যে সুশৃঙ্খল ভাবে দাঁড়িয়েছেন। কেউ কেউ বিচার চেয়ে মেঘাফোনে বক্তব্য দিচ্ছেন। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ অসংখ্য সদস্য গোটা এলাকায় তৎপর। মানববন্ধনকারীদের অনেককেই সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদ সম্মুখীন হতে হয়....(২০২৪, ৫ আগস্টের আগে যেখানে গোয়েন্দারা টানাহেঁচড়া, শক্তিপ্রয়োগ করে যে কাউকে তুলে নিয়ে যেতো এবার সেই প্রকৃয়া প্রয়োগ না করে নাম পরিচয় ইত্যাদি জিজ্ঞেস করে লিখে এবং বক্তব্য রেকর্ড করে নিয়ে গিয়েছে)।
সাদা পোশাকের একজন লোক সাবেক সেনাকর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রদূত, ১৬ মাস আয়নাঘরে বন্দী ছিলেন মারুফ জামান ভাইর মুভমেন্ট ভিডিও করছিলো এবং অসৌজন্যমূলক ভাবে বারবার তার নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করে....মারুফ জামান ভাই উলটা তার পরিচয় জিজ্ঞেস করে এবং তিনি কেন তার বক্তব্য এবং মুভমেন্ট ভিডিও করছে জিজ্ঞেস করলে লোকটা বেশ দাম্ভিকতা নিয়ে বলে- "আমি ডিবির লোক.....আমি আমার ডিউটি পালন করছি।"
মারুফ জামান ভাইও ঝাড়ি মেরে তাকে চার্জ করেন- "আপনি কেন আমার বক্তব্য এবং ভিডিও রেকর্ড করবেন? কে আপনাকে অর্ডার দিয়েছে, আপনার অফিসার কে- আমি তার সাথে কথা বলবো...."।
তখন ডিবি পরিচয় দেওয়া লোকটা সেনাবাহিনীর একটা গাড়ির ভিতরে গিয়ে বসে থাকে (ডিবি'র লোক হলে নিশ্চয়ই আর্মির গাড়িতে উঠে বসতো না। অর্থাৎ লোকটা ডিজিএফআই সদস্য) .....
মারুফ জামান ভাই ট্রাইবুনালে প্রেসমিটে চলে যাওয়ার পর সেই গোয়েন্দার সাথে ওয়াকিটকি হাতে আরও একজন গোয়েন্দা এসে আমার হাতে থাকা ব্যানারটা কেড়ে নিয়ে Killers কেন লিখেছি জিজ্ঞেস করে। আমি ওনার প্রশ্ন না বোঝার ভান করে বলি- ইংরেজিতে 'কিলার' না লিখে মাতৃভাষায় 'খুনী' লেখা উচিৎ ছিলো?
একজন ভিডিও ধারণ করে আমার নাম জিজ্ঞেস করেন। আমি আমার নাম, বাবা-মা, দাদা-দাদী, নানার নাম বলে বললাম- "নানির নাম ভুলে গিয়েছি- কোনো সমস্যা হবে?"- জিজ্ঞেস করে আমার বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা লোকেশনও বলে দিয়েছি....
অপেক্ষাকৃত কম বয়সীজন আমার দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে....আমি বললাম- "স্যার, আগে গুম থেকে জীবন নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন- আবারও গুম করবেন নাকি?"
আমার সাথে গোয়েন্দা অফিসারের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় দেখে একটু দূরে থাকা কর্নেল অবঃ ফেরদৌস, কর্নেল অবঃ হাসিন, ডিউক হুদা, ব্রীগেডিয়ার জেনারেল অবঃ আযমী এবং আরও ৪/৫ জন সেনাকর্মকর্তা (সবাই গুমের শিকার) ছুটে আসেন.... তখন তারা আবারও আর্মির গাড়িতে উঠে চলে যায়।
জুলাই বিপ্লব, ৫ আগস্ট ২০২৪-
দেশে নাকি “বড় পরিবর্তন” এসে গেছে!
আসলে- আমাদের গোয়েন্দাদের স্বভাব-চরিত্রে একটুও পরিবর্তন আসেনি!
আগে গোয়েন্দারা কোনো কথা না বলে টেনেহিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে নিয়ে যেতো- এখন হয়তো সেইভাবে ধরে নিয়ে যাচ্ছে না, তবে গোয়েন্দা ভাইদের মুখ দেখে মনে হলো- আচরণ আগের মতোই ডার্ক মোডে!
সেই রক্তচক্ষু, সেই হিংস্র মানসিকতা আগের মতোই টগবগ করছে!
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা ভীত সন্ত্রস!
"আইনের চোখে সবাই সমান" হলেও সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা যথাযথ হলেও তাদের মধ্যে একটা অংশ সেটাকে সহজ ভাবে নিচ্ছে না, এটা দেশবাসীর জন্য একটা অশনি সংকেত!
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৩২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সেনাকর্মকর্তা বা সাধারন পাবলিক
করোরই আচরন পরিবর্তন হয়নি !
..........................................................
বাস্তবতা হলো আমরা এখনো আমাদের কে
সংশোধন করতে পারি নাই ।
আমজনতা মনের গভীরে যে, সবুজ চারা রোপন করেছিল
সুস্হ ,সুন্দর বাংলাদেশ তা
অংকুরেই মরে যেতে দেখে আমি অত্যন্ত হতাশ ।