| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
সানজিদা ইসলাম তুলি- এক সাহসী বোনের নাম, এক ইতিহাসের প্রতিধ্বনি....
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়গুলোর একটি হলো- “গুম”।
হাজারো পরিবার আজও অপেক্ষায়- খোলা দরজায় অপেক্ষায় থাকেন- প্রিয় সন্তানের জন্য মা-বাবা, স্বামীর জন্য স্ত্রী, ভাইয়ের জন্য বোন, বাবার জন্য সন্তান- প্রিয়জন ফিরে আসবে। কিন্তু সেই খোলা দরজায় কেউ ফিরে আসে না। ফিরে আসে শুধু শূন্যতা, কান্না আর দীর্ঘশ্বাসের প্রতিধ্বনি। এই কান্নার নদীর মাঝেই জন্ম নিয়েছে এক অনন্য নাম- সানজিদা ইসলাম তুলি।
সন্তান হারা মায়ের সাথে দুই মেয়ে- আঁখি আর তুলি, দুই বোনের চোখে তাদের ভাইয়ের হারিয়ে যাওয়া শুধু ব্যক্তিগত শোক ছিল না, ছিল গোটা জাতির বিবেকের চূড়ান্ত পরীক্ষার মুহূর্ত।
আঁখি আর তুলির ভাই, বিএনপির তরুণ নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, আর কখনো ফিরে আসেননি। সেই একই রাতে হারিয়ে যায় আরও ছয় তরুণ কর্মী- কেউই ফিরে আসেনি, কেউই খুঁজে পায়নি তাদের লাশ।
ভাই হারানোর পর এক এক বোন আঁখি তার কিশোরী বোন তুলি এবং সাজেদুল ইসলাম সুমনের স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে যদি ভেঙে পড়তেন, কেউ দোষ দিত না। কিন্তু তুলি ভেঙে পড়েননি- বরং তিনি হয়ে উঠেছেন সহস্র হারিয়ে যাওয়া মুখের একক কণ্ঠস্বর। তিনি জানতেন, প্রতিটি গুম হয়ে যাওয়া ভাই, বাবা, স্বামী, সন্তানের পেছনে আছে আরেকটা পরিবার- যারা নীরব, আতঙ্কিত, নিঃস্ব। এই নীরব পরিবারের কান্নাকে তিনি একত্র করলেন, নাম দিলেন “মায়ের ডাক”। আর্জেন্টিনার 'মাদারস অফ দ্য মায়ো'র মতো যা আর্জেন্টিনার মায়েদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যাদের সন্তান ১৯৭৬ - ১৯৮৩ সালের মধ্যে সামরিক স্বৈর শাসনের সময় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা "নিখোঁজ" হয়েছিল।
এই “মায়ের ডাক” শুধু একটা সংগঠন নয়,
এটা এক আন্দোলনের নাম,
এক আর্তনাদের জবাব,
এক জাতির বিবেককে জাগিয়ে তোলার শপথ।
শেখ হাসিনার ষোলো বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনে যখন সারা দেশ এক দমবন্ধ অন্ধকারে ডুবে ছিল, তখন তুলি তার চোখে চোখ রেখে বলেছিলেন-
“তোমরা ভয় দেখাও, কিন্তু আমরা থামব না।”
মামলা, হুমকি, গালাগাল, আক্রমণ- কোনো কিছুই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি শুরু করেছিলেন নিজ পরিবার নিয়ে, তারপর একে একে শত শত মা-বোন তার পাশে দাঁড়িয়েছে। তুলির অদম্য নেতৃত্বেই “গুম” ইস্যু বাংলাদেশের সীমা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিশ্বজুড়ে।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার Sanjida Islam Tulee হয়েছেন মানবতার দূত। তিনি সুইজারল্যান্ডের মাটিতে দাঁড়িয়ে বলেছেন-
“আমার ভাইকে ফিরিয়ে দাও।”
এই একটিমাত্র বাক্যই কাঁপিয়ে দিয়েছে মানবতার বিবেককে।
আজ বিশ্ব জানে- “মায়ের ডাক” মানে বাংলাদেশের আর্তনাদ। আর এই আর্তনাদের মুখ, অজস্র গুম পরিবারের কণ্ঠস্বর- সানজিদা ইসলাম তুলি।
গুম পরিবারের সদস্য সেই সাহসী বোন, সেই মানবতার প্রতীক, সানজিদা ইসলাম তুলিকে সংসদীয় আসন ঢাকা- ১৪ প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন।
ঢাকা- ১৪ আসনের নির্বাচনে তুলি শুধু একটি রাজনৈতিক প্রার্থী নয়- এটি ন্যায়ের, মানবতার এবং নিপীড়িতের পুনর্জাগরণের প্রতীক। যে নারী তাঁর নিজের ভাইয়ের জন্যই কাঁদেনি, হাজারো গুম পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন,
যে নারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার রক্তচক্ষুকে ভয় পায়নি,
যে নারী সত্যকে মুখে মুখে নয়, কর্মে প্রতিষ্ঠা করেছেন-
আজ তাকেই নির্বাচিত করা মানে
বাংলাদেশের বিবেককে পুনর্জীবিত করা।
ধানের শীষে শুধু ভোট নয়,
এটা এক মানবিক প্রতিবাদের ঘোষণা।
যে পরিবারগুলো হারিয়েছে তাদের সন্তানদের,
যে মায়েরা আজও রাতের শেষে দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে- তাদের চোখের জল শুকানোর দায়িত্ব আমাদেরই।
তুলিকে জয়ী করা মানে-
গুমের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে,
নির্ভীক মানবতার পক্ষে দাঁড়ানো।
সানজিদা ইসলাম তুলি শুধু কোনো দলের প্রার্থী নন,
তিনি এই জাতির নৈতিক শক্তির প্রতীক।
তাকে জয়ী করা মানে
“মায়ের ডাক”-এর সাড়া দেওয়া-
আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন বলতে পারে,
“তুমি একা ছিলে না, বাংলাদেশ তোমার সাথে ছিল।”
ভোট দিন সাহসের পক্ষে, ভোট দিন মানবতার পক্ষে, ভোট দিন সানজিদা ইসলাম তুলিকে।
কারণ তিনি কেবল একজন প্রার্থী নন- তিনি এক ইতিহাসের আলোক বর্তিকা।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেকের ভালো কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও বাস্তবতার নিরিখে সম্ভব হয়না। উদাহরণ হিসেবে তুলির নির্বাচনী এলাকার কথাই বলি- তার জন্ম এবং স্থায়ী বাসিন্দা ঢাকা- ১২ (তেজগাঁও-শের ই বাংলা নগর থানার অংশ বিশেষ)। নিজ এলাকার ভোটার/বাসিন্দাদের উন্নয়নমূলক কাজগুলোর জন্য একটা অধিকার, আবদার এবং অগ্রাধিকার থাকে। নিজ এলাকার বাইরে অন্য এলাকায় নির্বাচন করতে হলে সেই এলাকার কর্মীদের উপর নির্ভর করতেই হবে। সেক্ষেত্রে অনেক অন্যায্য দাবির সাথে আপোষ করতেই হবে.....
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:১৩
নতুন বলেছেন: আশা করি জয়ী হলে তিনি অতীত ভুলে যাবেন না। একজন দেশপ্রেমিক এমপির ভুমিকায় তাকে দেখতে পাবে জনগন।