![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিমু মত এলোমেলো পথে জোছনায় ময়ুরাক্ষীর পাড়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা, ধীরে নদীর পানি গ্রাস করতে থাকে আমাকে .....। ফেসবুকে আমিঃ https://www.facebook.com/hiimmuu
আজ অনন্যার বিয়ে ,
কথাটা মায়ের মুখে শুনে কষ্ট পেয়ে জাহিদুল পার্কে এসেছে । ফোন ধরছে না কারো । মা ফোন দিয়েছে । এমনকি অনন্যা ও অনন্যার বাবাও । তাদের সম্পর্কের কথা জানতো । উপহাসের পাত্র হতে রাজি নয় ।
অনেক ভাবনা চিন্তার পর পকেট থেকে ফোন নিয়ে কাব্যকে ফোন দেয় । বলেঃ
আসতে পারবি ?
কাব্য কিছু হ্যাঁ বা না সূচক কিছু না বলে ফোন রেখে দেয় ।
খানিকবাদে বাইক নিয়ে চলে আসে ।এসেই চুপ করে ফেসবুকে কারো সাথে টাংকি মারতে থাকে।
ফেসবুকিং ছাড়া আর কিছু পারে না । ইতিমধ্য আওশা ও আরো কয়েকজন এসে গেছে ।
জাহিদুল বলতে শুরু করেঃ
কাল অনন্যার বিয়ে । আম্মু বললো ।
কয়েকজন হেসে ফেললো ।
কাব্যঃ বিয়ের কার্ড দেখছিস ?
জাহিদুলঃ I'm serious.
কাব্যঃ আমরা লাগে ফাজলামো করতাছি । শালা ন্যাকামী করবি না । :@
জাহিদুলের রাগ ওঠে আওশার মাত্র ধরানো সিগারেট টেনে নেয় হাতে ।
আওশা কাব্য ও সবাইকে চোখের ইশারা করে বলেঃ
তাই নাকি JP?
জাহিদুল কথা বলে না ।
সবাই মিলে একসাথে বললোঃ চল আগে খাওয়া ।সব গিয়ে তোর সাথে ওর ইয়ে ঠিক করে দিবো ।
জাহিদুলঃ ইয়ে মানে ?
কাব্যঃ বিয়ে ।
এ পর্যায়ে তারেক এসে পড়েছে।
ছেলেটা আগে ভদ্র ছিল ।
এখন পুরাই গান্জাখোর টাইপ ।
সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়া কিছু বোঝে না ।
অতঃপর ?
খাওয়া দাওয়া করে ট্রেনে চেপে রওনা হলো বগুড়া । বাসে গেলে ৫ ঘন্টা অথচ ট্রেনে ১১ ঘন্টা লাগবে জেনেও ওদের বাঁধা দেয়নি । ওর ফোন কেড়ে নিয়েছে । আড়ালে গিয়ে কথা বলেছে এর ওর সাথে । অথচ জাহিদুলকে কেউ দেখছে । প্লান ও করছে না ।
জাহিদুল খুব অবাক হলো ।
এরা এত স্বার্থপর ?
গান গাইছে , ফান করছে । চিত্কার করছে।কাব্য কুত্তাটা গিয়ে এক মেয়ের সাথে ফ্লার্ট করছে।
আর
আওশা ফোনালাপে ব্যস্ত । অফিসের মিটিং সংক্রান্ত ঝামেলা।
তারেক গাইছে অর্থহীনের বিখ্যাত একটা গানঃ
চাইতেই পারো !
অসাধারণ লাগছে ওর কন্ঠে ।
অনন্যার চেহারা ভেসে উঠছে মনের আঙিনায়।
ক্ষুধা পেয়েছে জাহিদুলের।কাব্য আর আওশা একটা প্যাকেট কিনেছিলো বসিয়ে রেখে।খুলে দেখলেই পারে।
হাত দিতে যাচ্ছে দেখেই কাব্য তেড়ে আসে।
ছোঁ মেরে কেড়ে নিয়ে বলেঃ
শালা মুড়ি খা ।
জাহিদুল এ পর্যায়ে রেগে যায় ।
ট্রেন একটা স্টেশনে থামতেই নেমে যায় ।
ব্যাগ হাতে কাব্য আসে ।সবাই নেমে পড়ে পিছু পিছু । একটু দূরে গিয়ে চায়ের দোকানে বসে । সিগারেট খেতেই জাহিদুল ঠান্ডা হয় ।
বলেঃ চল ।
খানিকবাদে এসে দেখে ট্রেন চলে গেছে । এবার মেজাজ বিগড়ে কাব্য একটা লাথি হাঁকায় জাহিদুলের পিছে।
অতঃপর ?
একটা সিএনজি ধরে সবাই আসতে থাকে বগুড়া ।
ঘুম ভাঙতেই জাহিদুল একটা ঘরে আবিষ্কার করে নিজেকে ।
ঘুমিয়ে পড়েছিলো সিএনজিতে ।
অচেনা একটা বাড়ি। দরজা খুলে বাইরে গিয়ে দেখে বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতি চলছে ।
তারেক গান গেয়ে মাতিয়ে রেখেছে মেয়েদের ।
কাব্য তদারকি করছে কিসবের।
আওশাকে দেখা গেলো মেয়েদের হাত দেখছে পামিস্ট হয়ে ।
হঠ্যাত্ গেটে লেখা দেখেঃ
আজ অনন্যার বিয়ে।
এসেই কাব্যকে একটা থাপ্পর দেয়।হঠ্যাত্ এমন এক কান্ডে পুরো বাড়ির উত্সব আমেজ কেটে যায় ।
ওদের ঘিরে দাঁড়িয়ে পড়ে লোকজন ।
কারো কারো মুখে মিটিমিটি হাসি ।
চিত্কার করে কাব্যকে শাসায় জাহিদুলঃ শালা ! আজ অনন্যার বিয়ে আর তুই নাচিস?কাল থেইক্কা এইসব করতাছোস।
এ পর্যায়ে কাব্য উল্টা একটা চড় দিয়ে একটা কার্ড ধরায় দেয় জাহিদুলের হাতে।
বলেঃ শালা টিউবলাইট এই নে বিয়ার কার্ড ।
দিয়ে হাসতে হাসতে চলে যেতে যেতে সবাইকে যার যার কাজে যেতে বলে ।
জাহিদুল কাব্যের কলার ধরতে যাচ্ছে ঠিক সে সময় একটা হাত তার কাঁধ ছুঁয়ে দেয়ঃ
থামো !
কন্ঠটা অনন্যার ।
মেয়েটা হেসে বলেঃ
আগে কার্ডটা তো খুলে দেখো ।
কার্ড খুলতেই জাহিদুল হা হয়ে যায়।
কার্ডটিতে লেখা ছিলঃ
আজ অনন্যা ও জাহিদুলের বিয়ে ।
গাধার মত দাঁড়িযে আছিস ক্যান বলে আওশা রাতের প্যাকেট ধরিয়ে দেয় জাহিদুলের হাতে ।
প্যাকেটে নতুন শেরওয়ানী ।
পরিশিষ্টঃ গল্পটি অবাস্তব ও কাল্পনিক । সুতরাং অযথা জ্ঞান দিবেন না । এটা কলেজের বেস্ট ফেন্ডদের নিয়ে লেখা একটা গল্প । গতকাল বিদায় উপলক্ষে একটি বিশেষ কাল্পনিক গল্প ।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩০
পথহারা নাবিক বলেছেন: রুপকথা!
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
মন্দ নয় ! ভালো হয়েছে !!
সুতরাং অযথা জ্ঞান দিবেন না
শিখার কি শেষ আছে ভাইয়া ! আলোচনা সমালোচনা না হলে শিখার পরিধিও থেমে যাবে। ভালো থাকুন নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২১
মদন বলেছেন: প্রথম কয়েক লাইনেই বোঝা গেছে পরে কি হবে।
চালিয়ে যান। আগামিতে আরো ভালো গল্পের আশায় রইলাম।