নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কবির, কবির য়াহমদ; এক ও অদ্বিতীয়...

কবির য়াহমদ্্

কবির য়াহমদ ওয়েবসাইট: thekabirahmed.com প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা জন্ম সিলেটে। তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় ব্রাহ্মণগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে তিনি ঢাকাউত্তর মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয় (ডিএম হাইস্কুল) থেকে মাধ্যমিক এবং বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন সিলেটের এমসি কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞানে। সাহিত্যকর্ম কবির য়াহমদ লেখালেখি শুরু করেন নব্বইয়ের দশকে। তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে সিলেটের আজকের সিলেট পত্রিকায়। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন জাতীয় এবং স্থানীয় সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন ও ব্লগে লেখালেখি করেছেন। ২০০৮ সালে তার প্রথম কবিতার বই ‘রাত আর ঘুমের কৃষ্ণপাঠ’ প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি আরও কিছু কবিতার বই এবং কলাম সঙ্কলন প্রকাশ করেন: ১. রাত আর ঘুমের কৃষ্ণপাঠ (২০০৮, বনসাই প্রকাশন) ২. আমাদের ঈশ্বরের অ্যাপয়েনমেন্ট দরকার (উৎস প্রকাশন) ৩. নিরবচ্ছিন্ন পাখিসমূহ (বাঙলায়ন) ৪. জাগরণের পূর্বাপর (কলাম সঙ্কলন, অনুপ্রাণন প্রকাশন) ৫. আগুনজলে ভূকম্প (অনুপ্রাণন প্রকাশন) সাংবাদিকতা ও পেশাগত জীবন কবির য়াহমদ দীর্ঘ সময় ধরে সাংবাদিকতা করছেন। ১৯৯৬ সালে দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় কলাম লেখা শুরু করেন এবং পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় কাজ করেছেন। ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাকাগজ নামক ম্যাগাজিনের বাংলাদেশ সমন্বয়ক ছিলেন। তিনি ২০১৪ সাল থেকে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর অনলাইন পোর্টালের প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বার্তা২৪.কম-এ অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন। মৌলভীবাজার থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল আইনিউজের শুরুর দিকে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। লেখালেখি জীবনে কবির য়াহমদ বিভিন্ন সংবাদপত্র ও অনলাইন নিউজপোর্টালে লিখছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: চ্যানেল আই অনলাইন, বার্তা২৪.কম, এনটিভি, সমকাল, আইনিউজ, বিডিডাইজেস্ট, অপরাজেয় বাংলা, জাগোনিউজ, সারাবাংলা, নিউজ২৪, বিডিনিউজ২৪.কম, বাংলানিউজ, খবরের কাগজ, সংবাদপ্রকাশ অনলাইন, জাগরণসহ আরও অনেক। সামাজিক ও রাজনৈতিক ভূমিকা ২০১৩ সালে তিনি গণজাগরণ মঞ্চ–এর সিলেট শাখার একজন সংগঠক ছিলেন। সিলেটের মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া, তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এবং ব্রাহ্মণগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকাউত্তর মোহাম্মদপুর জামেয়া দ্বীনিয়া আস-আদুল উলূম রামধা মাদ্রাসার মজলিসে শুরার সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যক্তিগত জীবন কবির য়াহমদ এক দশকের মতো সময় একটি বিদেশি ব্যাংকে চাকরি করেছেন। তিনি ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কা এবং ২০২৪ সালে ভারত ভ্রমণ করেছেন। কবির য়াহমদের পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম আজিজ উদ্দিন চৌধুরী (সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান)। মাতা মরুহুমা ফখরুন নেছা আজিজ। পিতা আজিজ উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ ও সালিশ ব্যক্তিত্ব। ২০১৯ সালের ১৪ জুন তিনি মারা যান। মাতা ফখরুন নেছা আজিজ ২০২১ সালের ২ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। সম্মাননা ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কবির য়াহমদকে ‘লেখক সম্মাননা’ প্রদান করা হয় অনুপ্রাণন সাহিত্য পত্রিকা ও প্রকাশনের পক্ষ থেকে।

কবির য়াহমদ্্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাগরণের পূর্বাপর নিয়ে আমার কিছু কথা

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৬



তারুণ্যের অবিস্মরণীয় অবাক কাণ্ড গণজাগরণ। গণজাগরণ বাংলাদেশের ইতিহাসকে নতুন করে লিখে দেবার নতুন এক অধ্যায়। কসাই কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায়ের বিরুদ্ধে তারুণ্য যে প্রতিবাদের ইতিহাস লিখেছে যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশ তা ধারণ করবে।



তারুণ্যের গণজাগরণ ব্যর্থ হয়নি। গণদাবির মুখে সরকার আইন সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছে। আপীল হয়েছে, আপীলের কারণে কসাই কাদের মোল্লা সমুচিত শাস্তি পেয়েছে। বাংলাদেশকলংকমুক্তির পথে এগিয়ে গেছে ১২ ডিসেম্বর কসাই কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে। এই জাগরণ ব্যর্থ হলে রাজাকারের বিচারপ্রার্থি লক্ষ লক্ষ তরুণ 'বিদ্রোহী' হিসেবে আখ্যা পেতো। মামলা ঝুলতো তাদের ওপর। ইতিহাস তার ব্যর্থ নায়কদের মনে রাখে না; তাই তারাও স্থান পেতো সেভাবেই!



ইতিহাসের পাঠ, মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। ইতিহাসের এ পাঠ অধিকাংশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম সন্দেহ নেই। ব্যতিক্রমী পাঠের অনন্য নজির শাহবাগে গর্জে ওঠা তারুণ্যের আন্দোলন; গণজাগরণ আন্দোলন। শহীদ জননী যে শুরু করেছিলেন চেতনার অবিনশ্বর শিখা হয়ে তা ধরে রাখছে এই প্রজন্ম এবং ধারণ করে যাবে পরবর্তী প্রজন্মগুলো অনাদিকাল! একাত্তর বাংলাদেশে প্রমাণ করেছিল এখানে থাকতে হলে দেশপ্রেমিক বাঙালি হিসেবেই থাকবে হবে। ধর্ম যার যার দেশ সবার- এই আপ্তবাক্য বুকে ধারন করে দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম এবং অতপর বাংলাদেশ। অথচ একাত্তরের পরাজিত শত্রু পাকিস্তানি দল জামায়াত-শিবির একাত্তরে তাদের পরাজয়ের বদলা নিয়েছিল বিভিন্নভাবে। মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পর নিষিদ্ধ ঘোষিত এই সংগঠনটি এক সময় আবারও সিদ্ধ হয়ে যায়, পেয়ে যায় রাজনীতির সুযোগ। যা আমাদের সবচেয়ে বড় লজ্জার ইতিহাস। আমরা লজ্জিত হই যখন দেখেছিলাম রাজাকারেরা মন্ত্রি হয়ে যায়, প্রাণের পতাকা উড়িয়ে ভেদ করে যায় রাজপথের বাতাস। হায় লজ্জা! অবাঞ্ছিত এক অধ্যায়!



মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়কার সবচেয়ে কার্যকর গণআন্দোলন ২০১৩’র গণজাগরণ। রাজাকার কাদের মোল্লার প্রহসনের রায়ের বিরুদ্ধে যেভাবে প্রতিবাদে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ সেটা ছিল এক ইতিহাস। এই গণআন্দোলন সফল হয়েছিল। শাহবাগের গর্জনে সারাদেশ জেগেছিল। আমরাও জেগেছিলাম সিলেট থেকে। এই আন্দোলনের সাথে জড়িত হয়ে বুঝতে পারি এই দেশের মানুষ দেশকে কতখানি অন্তরে ধারণ করে, কতখানি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ মানুষ ভুলে যায় তার অবস্থানের সাংঘর্ষিকতা।



‘জাগরণের পূর্বাপর’ মানবতাবিরোধী অপরাধী রাজাকারদের অপরাধের কিছু তথ্য, গণজাগরণ মঞ্চ পরবর্তী সময়ের দেশের পরিস্থিতির আলোকপাত, রাজাকারদের বিচার, হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াত-শিবির এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং অন্যান্য কিছু বিষয় নিয়েই। এক তরুণ যেভাবে দেখে সময় আর দেশ- আমিও এর বাইরের কেউ নই। যেখানে চেতনায় জাগরূক সদা বাংলাদেশের হৃদয়, সেখানে আমি এক মুগ্ধ পথিক। আমি আমার চোখেই বাংলাদেশকে দেখি; বাংলাদেশও নিশ্চয়ই আমাকে দেখছে!



বই সম্পর্কিত কিছু তথ্য:

প্রকাশ: অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৪

প্রচ্ছদ: তৌহিন হাসান

অনুপ্রাণন প্রকাশন (লিটলম্যাগ চত্বর, উন্মুক্ত স্টল-২)

মূল্য: ২০০ টাকা, পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৯৬

=> অনুপ্রাণন প্রকাশন, বি-৬৪, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স, কাঁটাবন, ঢাকা ১২০৫, মোবাইল- ০১৭৬৬৬৮৪৪৩৬ ইমেল- [email protected]



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার । বইটি সংগ্রহের ইচ্ছে আছে ।


শুভ কামনা :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.