নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেমন করে বাঁজাও বাঁশি সুর যেন গো সর্বনাশী থাকতে আমায় দেয়না গৃহ কোনে , ওঝা যেমন বীনের টানে গর্ত থেকে সর্প আনে তেমনি করে টানছো তোমার পানে।
(আগমনী-বাহন)
বছর শেষে দুর্গা আসে চার বাহনে চড়ে,
নৌকা, দোলায়, গজ ও ঘোড়ায় জানেন সর্বজনে।
কিন্তু কবে, কখন আসেন, কোন বাহনের 'পরে,
বলতে পারো ওসব কথা বসে নিরজনে?
বলছি এবার শোন তবে খুব মনযোগ দিয়ে,
ঘোড়ায় বসে আসেন দেবী শনি ও মঙ্গলে,
বুধবারেতে সদলবলে নৌকাটি ভাসিয়ে,
বৃহস্পতি, শুক্রবারে আসে দোলায় দুলে।
গজে চড়েন গজমতি রবি ও সোমবারে,
এ কথাটি জেনে রাখো সকল সনাতনে;
সপ্তমীতে আসেন ভালোবেসে ধরাটারে,
দশমীতে ফের চলে যান কৈলাসেরই বনে।
অসুরনাশী দুর্গা আসার বাহন হলো চার,
কবে, কিসে আসেন দেবী জানলে সমাচার।
(বিদায়ী-বাহন)
অসুরনাশার মন্ত্রণার পর কৈলাসে মা যান,
করুণ-রসের বিদায় গীতে কাঁদিয়ে ভক্তপ্রাণ।
যাওয়ার কালে চড়েন তিনি কোন বাহনের 'পর?
একে একে বলবো তোমায় সমস্ত খবর।
মোরগ পিঠে শনিবারে, মঙ্গলবার আর,
রবি, সোমে চড়েন মহিষ, এইতো সমাচার।
বুধবারেতে গজে চলেন বলি সবার প্রতি,
মনুষ্যেরই ঘাড়ে ফিরেন যেদিন বৃহস্পতি।
এ হলো মার ফিরে যাওয়ার আসল বাহন চার,
ভুলে গেলে, ছড়াখানি পড়ো হে আবার।
(বাহন-নিদর্শন)
ঘোড়ায় এলে যুদ্ধ বাড়ে প্রতিবেশি দেশের সাথে
ঝড়-ঝঞ্ঝা, রাজক্ষমতা বদল হয় যে মধ্যরাতে।
নৌকা করে এলে দেবী সাথে আনে শষ্য-ধন,
তারই সাথে বৃষ্টিপাত ও বন্যাজলের নিদর্শন।
দোলায় এলে যায় যে বেড়ে ভূমিকম্প, মহামারি,
ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিতবহ বলছে পুরাণ গল্প তারই।
গজের 'পরে আসলে পরে সব শুভতার নিদর্শন,
সুজলা-সুফলা ধরা, আনন্দে রয় মানব-মন।
মোরগে ও মহিষ চড়ে করলে গমন রোগ ও শোক
বাড়ে ধরায়, কষ্ট-জ্বালা, করতে হয় যে দুঃখভোগ।
মানুষ এবং গজে গমন আনে শুভ বৃষ্টিপাত,
আনন্দ ও সুখের ধারায় ভক্তেরা হোন প্রণিপাত।
পুরাণ শাস্ত্রের কথাগুলো করছি প্রকাশ ছন্দতায়,
বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের সমস্তই যে তোমার দায়।
২১/০৯/২০২১
মিরপুর, ঢাকা।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে। মনোমুগ্ধকর।
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৯
এস সুলতানা বলেছেন: সুন্দর হয়েছে কবি কিন্ত....................................................।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এসব লিখা বা ছবি দেয়াও যে শিরক রে ভাই।