![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদেশ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করি । দেশের কথাও ভাবি । আমার এলার্জি বা ক্ষোভ রক্তচোষা পরাশক্তিধর সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তাদের অনুগত দালাল,সুবিধা ভোগী ব্যক্তিত্বহীন জি হুজুর হহুজুর মার্কা চাটার দলদের ব্যাপারে । ব্যক্তিগত ভাবে কারো সাথে কোন শত্রুতা নেই । মত প্রকাশ ও লেখার কারণে মাঝে মধ্যে ঝগড়া হওয়া অস্বাভাবিক না কিন্তু পরক্ষনে সেটা ভুলে যায় । কারণ এ পৃথিবী বড় ক্ষনস্থায়ী !
বিশ্বের এতো যুদ্ধ ও অশান্তির কারণ কি?
অর্থনৈতিক সুবিধা,ব্যক্তি স্বার্থ ও নের্তৃত্ব বিশেষভাবে দায়ী ।অনেক ক্ষেত্রে আঞ্চলিকতা,জাতি,ধর্ম,বর্ণ,ভাষা,হিংসা এবং সেচ্ছাচারিতাও কাজ করে । আপনি দুচার টাকার প্রচলিত পণ্য বিক্রি করে খুব সামান্যই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু একটা আধুনিক ক্ষেপনাস্ত্র বা মারনাস্ত্র রপ্তানীর মাধ্যমে বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন অর্থ উপার্জন সম্ভব । অস্ত্র ব্যবসার জন্য বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা আজ মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন । এ জন্য সাম্রাজ্যবাদীদের দেশে দেশে যুদ্ধ ও অশান্তি বাধানোএকান্ত দরকার হয় অস্ত্র ব্যবসার জন্য । তৃতীয় বিশ্বকে ঐ অর্থ দ্বারা সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যায় ।অর্থনৈতিক ব্যাপার ছাড়াও আছে ব্যক্তিগত স্বার্থ সেটা কোন জাতি বা রাষ্ট্র ধ্বংস হলেও কিছু যায় আসে না ঐসব ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের । বিশ্বকে ডোমিনেট বা নের্তৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারটা অনেক বড় একটি ফ্যাক্টর। কেউই চায় না ক্ষমতা অন্য কারো হাতে চলে যাক। ক্ষমতার সাথে অনেক কিছু জড়িত থাকে । ক্ষমতার দ্বারা অর্থনৈতিক সুবিধাসহ বহূমুখী সুযোগ গ্রহন করা যায় ।খনিজ সম্পদ কব্জা করতে শক্তি বা ক্ষমতা দরকার হয় । আফ্রিকার নাইজার দেশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ হয়েও পরাশক্তিধরদের কালো অাইনের কারনে সেটা উত্তোলন করতে পারে না । কতো দরিদ্র গরীব নাইজেরিয়ার পাশের দেশ নাইজার একটু ভাবুনতো ? আঞ্চলিকতা বিশ্ব অশান্তির জন্য কম দায়ী নয় ।ইউরোপ অন্য অঞ্চলের চাইতে সর্বদা নিজেদের উত্তম মনে করে ।অথচ ইউরোপের ইতিহাস হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ ও শোষনের কালো অধ্যায় ।বিশ্বে কোন অঞ্চল তাদের অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি এমন কি এখনও চলছে । জাতি বিদ্বেষ কমবেশী সব দেশে দেখা যায় । ভারত উপমহাদেশে কিছু অঞ্চলে সেটা প্রকট ।দলিত অপেক্ষাকৃত নিচু কাজে নিয়োজিতরা মেথর -মুচিরা বেশী ভুক্তভুগি। পাকিস্তানে কোন ক্ষেত্রে বিয়ে-শাদী পর্যন্ত নিষিদ্ধ ।কুর্দিরা তুরস্কে অবহেলিত ।বর্তমান বিশ্বে অন্যতম প্রধান ফ্যাক্টর হচ্ছে ধর্ম । কোন খারাপ কিছু ঘটনা ঘটলে সম্পুন্ন দায়-দায়িত্ব গিয়ে পড়ছে বিশেষ কোন ধর্ম গোষ্ঠীর উপর ।শিয়া সুন্নি বিভেদ কতোটা প্রকট তার প্রমান সম্প্রতি সৌদির ইয়েমেনে অন্যায় হামলা। ইরানের সাথে শত্রুতা করে সৌদি অথচ ইসরাইলের সাথে মিত্রতা করে।পেট্রো ডলার সমৃদ্ধ সৌদির সিরীয় অভিবাসি গ্রহন করে না । এ থেকে বুঝা যায় সৌদি কতটা ইসলাম প্রিয় । প্রায় সকল ক্ষেত্রে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত আকর্ষনীয় সাবলীলভাবে মিডিয়া মিথ্যা গদবাধা প্রপাগন্ডা প্রচার করে । আর সকল নামী-দামী প্রভাব শালী মিডিয়া ঐ বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে । কোন প্রমান বা সত্যের বাধ্য-বাধকতা বা ধার তারা ধারে না । জোর যার মুল্লুক তার এ নীতি অত্যন্ত প্রকট এ ক্ষেত্রে । বিশ্বে সব চাইতে নির্যাতিত,নিষ্পেষিত ও সর্বপ্রকার অন্যায়ের স্বীকার যে মুসলিম অথচ তাদের কে ঘৃন্য জঘন্য জীবন্ত নিকৃষ্ট দানব হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে । বর্তমান বিশ্বে কোন ধর্মের কতো পার্সেন্ট লোক ক্ষতিগ্রস্থ ? দেখবেন মুসলিমরা সর্ব শীর্ষে । মুলতো দোষ করে পরা শক্তিধর দেশ আর দোষ হয় ছিচকে চোর ছ্যাছড়ার । বিশ্ব জন্ম থেকে এ পর্যন্ত যত গুলি বিশ্বযুদ্ধ বা বড় ধরনের যুদ্ধবিগ্রহ বা হত্যাকান্ড ঘটেছে তার জন্য দায়ী কারা বলতে পারবেন ? প্রমান করতে পারবেন কারা ঐসব ঘটনা ঘটিয়েছিলো মুসলমান ? খোদ যুক্তরাষ্টে রেড ইন্ডিয়ানদের কারা গনহারে মেরেছিলো ? অস্ট্রেলিয়া আদিবসীদের কারা হত্যা করেছিলো ? আফ্রিকার কালো মানুষদের সাথে কি ব্যবহার করা হয়েছিলো এমনকি দক্ষিন আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে কি করা হয়েছে ? এসব কি মুসলমানরা করেছে ? উন্নত ইউরোপ,নর্থ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াতে বর্ন বৈষম্য প্রকট। কর্ম ক্ষেত্র ,চাকুরী বা অন্যান্য সামাজিক ক্ষেত্রেও সেটা লক্ষনীয় । জিনোদিন জিদানের সাথে,হরভাজন সিংয়ের সাথে যথাক্রমে ফুটবল ও ক্রিকেট মাঠে কি করা হয়েছে ? শিল্পা শেঠীর মতো বিখ্যাত সেলিব্রেটিকেও ছাড়ে নাই । জার্মান ভাষীরা নিজেদের ভাষাকেই শুধু রাজকীয় মনে করে অন্য ভাষাকে নিচু চোখে দেখা হয় । বাংলা ভাষা কে পাকিস্তানের অনেকে নিচু মেলেচ্ছ হিন্দু ভাষা মনে করতো ।মুঘল আমলে ফার্সি না জানলে ভালো চাকুরী বা কর্ম জুটতো না । সর্ব পরি হিংসা মানূষ কে পশুতে পরিনত করে ।অন্যদিকে ইউরোপে সার্বদের দ্বারা বসনিয়ার অনেক নিরীহ মুসলমানেদের গনহারে হত্যা করা হয়েছিলো।তৎকালীন ব্রিট্রিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জন মেজরের ইউরোপের বুকে মুসলিম কান্ট্রি মেনে না নেওয়ার প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছিলেন।বিশ্ব নের্তৃবৃন্দ অনেক ক্ষেত্রে একতরফা সিদ্ধান্ত নেয় যেটা খুবই ত্রুটি যুক্ত । যেমন ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ করে পক্ষান্তরে ইসরাইল শত শত প্রকাশ্য মারাত্মক অন্যায় করেও থাকে নিরাপদে । ইসরাইলের নিকট পারমানবিক বোম্ব থাকা সত্বেও কোন সমস্যা হয় না। বিশ্বের সকল অশান্তির জন্য তাই পরাশক্তিধর রাষ্ট্র দায়ী । বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এবং তাদের অনুসারী গুন্ডাবাহিনী । তথা কথিত সুসভ্য নামধারী কর্তৃক জাতিসংঘের তামাসা দেখি । ডবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি যা দেখলে হাসি পায় দুঃখও লাগে সেই সাথে লজ্জা লাগে কিভাবে প্রকাশ্য দিবালকে তারা বিতর্কিত কাজ-কর্ম করে এবং ফলাও করে তা প্রচারেওে ব্যবস্থা করে । মানুষ কে কতো বোকা মনে করে উন্নত বিশ্বের লোকগুলি বরং ওদের চাইতে আমাদের মেধা বেশী বেকুপরা কি সেটা জানে ? সাদা চামড়াদের ভালো হওয়া উচিত । এখন ও সময় আছে সংশোধনের । হে বিশ্ব বিবেক ! জাগ্রত হও আর ঘুমিয়ে থেকো না । অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ হউক । মানব কল্যানমুখী বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ব্যবহারে আগামী বিশ্ব স্বপ্নের মতো সুন্দর হউক । অস্ত্রমুক্ত সবুজ ঘাসের মতো, সরল প্রকৃতির মতো প্রানবন্ত সতেজ হয়ে উঠুক আমাদের প্রিয় পৃথিবী নামক গ্রহ ! বিশ্বের সকল মানুষ শান্তি ও নিরাপত্তায় সুখে বাস করুক এ প্রত্যাশা রইলো ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩
বিদেশ পাগলা বলেছেন: কথা ঠিক বলেছেন তবে একটু শালীন ভাষায় বললে মনে হয় আরও সুন্দর হতে পারতো । । ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭
আঁধার রাত বলেছেন: মাটি
মাগী
মানি