![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামহয়ারের আমি একজন নিয়মিত পাঠক। এই প্রথম কোন নিক খুলে লিখতে যাচ্ছি। সকলের সহযোগিতা কামনা করি।
আমরা দক্ষিন বঙ্গের লোকগুলো যে কতো বড় হতভাগা তা আর বলে শেষ করা যাবে না। ছয় ঘন্টা ফেরী ঘাটে আটকে থাকতে হয় আমাদের ঢাকা আসতে হলে বা দেশের বাড়িতে যেতে হলে। তীব্র গরমে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে গাড়ির মধ্যে বসে থাকা যে কি কষ্টকর তা একমাত্র সেই জানে যে এই রুটে চলাচল করেছে। এই রুটের গাড়ি সাধারণত ভাল না, ড্রাইভার থেমে থাকা গাড়িতে ফ্যান ছাড়েন না!! স্বপ্ন দেখতাম সেতুর উপর দিয়ে ৩ ঘন্টায় বাড়িতে যাব। আজ সকালের খবর পড়ে মনে হলো আমরা শুধু রাজনৈতিক চাটাম শুনে যাচ্ছি। দেশের মঙ্গলের কথা কি কেউ ভাবে না? কেন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি?
পদ্মা সেতু নির্মাণে মালয়েশিয়ার এবারের প্রস্তাবেও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। ঢাকায় ঘটা করে সংবাদ সম্মেলনে পদ্মা সেতুতে মালয়েশিয়া ২৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বলে জানানো হলেও আসলে মালয়েশিয়া কোনো বিনিয়োগই করবে না। মালয়েশিয়ার এক্সিম ব্যাংক অর্থায়ন করবে বলে ঢাকা ঘোষণায় বলা হলেও কুয়ালালামপুরে সেখানকার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে অর্থায়ন চাওয়া হয়েছে চীনা কোম্পানির কাছে। এমনকি নির্মাণ ঠিকাদারির কাজটিও মালয়েশিয়া নয়, করবে একটি চীনা কোম্পানি। অর্থায়নের বিষয়টি এখনও রয়ে গেছে ‘আশা’ এবং ‘লবিং’য়ের পর্যায়ে। মালয়েশিয়া সরকারের নির্দেশে দেশটির গণপূর্ত মন্ত্রণালয় চীনা কোম্পানির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে চীন-মালয়েশিয়া যৌথ কনসোর্টিয়াম গঠনের চেষ্টা করছে। মালয়েশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা বারনামার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
শেষ পর্যন্ত তৃতীয় সূত্র থেকে অর্থ জোগাড় করে মালয়েশিয়া প্রস্তাবমত পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারলে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিতে হবে। এ অর্থ দিতে হবে বিনিয়োগের সুদ বাবদ। পক্ষান্তরে আগের চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের অর্থে সেতু নির্মিত হলে সুদ বা সার্ভিস চার্জ বাবদ বাংলাদেশকে পরিশোধ করতে হতো মাত্র আড়াইশ’ কোটি টাকার সমপরিমাণ তিন থেকে সোয়া তিন কোটি মার্কিন ডলার। সেতু থাকত বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। টোল হার থাকত সহনীয়। এছাড়া মালয়েশিয়ার প্রস্তাবে রাজি হলে সেতু নির্মাণের মূল ঠিকাদার নিয়োগের কর্তৃত্বও থাকবে মালয়েশিয়ার হাতে; বাংলাদেশের কোনো মতামত গ্রাহ্য হবে না।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মূলত দুর্নীতির কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়া পদ্মা সেতুর কারণে রাজনৈতিক ভরাডুবির মুখোমুখি সরকারকে উদ্ধারের জন্যই ভারতীয় প্রভাবশালী লবির মধ্যস্থতায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ান রাজনীতিক এস সামি ভেলু দফায় দফায় প্রস্তাব হাজির করেছেন। আশাহত দক্ষিণবঙ্গের মানুষের স্বপ্ন জিইয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করা হচ্ছে।
অবশ্য যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকালও জানিয়েছেন যে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে।
অর্থায়ন নিয়ে ধূম্রজাল : শুক্রবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সামি ভেলু জানান, সেতু নির্মাণে অর্থায়ন করবে সে দেশের এক্সিম ব্যাংক। অথচ দশ দিন আগে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা জানিয়েছে, অর্থায়নের জন্য চীনা কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছে দেশটির গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এর আগে গত বছর ১০ এপ্রিল সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজ্জাক জানান, পদ্মা সেতুর অর্থায়নের জন্য তার সরকার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে শিগগিরই আলোচনা শুরু করবে। মালয়েশিয়ার পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরকারী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সামি ভেলু জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে মালয়েশিয়া সরকার এক পয়সাও দেবে না। একই সময় মালয়েশিয়ার সর্বাধিক প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য স্টার’-এর অনলাইন সংস্করণে মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ সমঝোতা স্মারকের সংক্ষিপ্ত সংবাদে জানানো হয়, স্মারক সই অনুষ্ঠান শেষে সামি ভেলু বলেছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে মালয়েশিয়া সরকার এক পয়সাও দেবে না। সামি ভেলুর ভাষায়, ‘নট এ সিঙ্গেল সেন্ট উইল কাম ফ্রম দ্য গভর্নমেন্ট।’
তারও আগে গত বছরের গোড়ার দিকে মালয়েশিয়া পদ্মা সেতু নির্মাণে যে আগ্রহপত্র ঢাকায় পাঠিয়েছিল, তাতে দুবাই থেকে অর্থ জোগাড় এবং ৫০ বছর সেতুর মালিকানা তাদের কাছে রেখে ৫ গুণ অর্থ তুলে নেয়ার কথা বলে।
হিসাবে গোঁজামিল : সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশীয় দূত মুনাফাসহ বিনিয়োগ তুলে নেয়ার যে হিসাব দিয়েছেন, তা খণ্ডিত বলে সেতু বিভাগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সামি ভেলু ২৬ বছরে টোল থেকে আয়ের ৭০ শতাংশ বা ৫২০ কোটি টাকা তুলে নেয়ার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি কৌশলে গোপন করেছেন ওই ৫২০ কোটি টাকার বাইরে প্রথম ৫ বছরের সেতুর শতভাগ আয় বাবদ কত শত কোটি টাকা নেবেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, প্রথম ৫ বছরের আয় থেকে বাংলাদেশকে কোনো অর্থ দেয়া হবে না। জানা গেছে, সেতু চালুর পর ৫ বছরে মালয়েশিয়া মূল বিনিয়োগ তুলে নেবে। তার পর আয় ভাগাভাগি করবেন। এতে মোট নেয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে সাড়ে সাতশ’ কোটি টাকার বেশি। অর্থাত্ বিনিয়োগের তিন গুনেরও বেশি অর্থ ফেরত নেয়া হবে। অথচ এর আগে বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের অর্থায়নে সেতু নির্মাণের যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে সার্ভিস চার্জ বাবদ দিতে হতো মাত্র তিন কোটি ডলারের কিছু বেশি। দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হওয়ায় এখন দেশকে কমপক্ষে ৪১ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ৫২০ কোটি ডলার গচ্চা দিতে হবে।
ঢাকায় এস সামি ভেলু যে প্রস্তাব তুলে ধরেছেন, তাতে অনেক ফাঁকফোকর রয়ে গেছে। সেতু থেকে আয়ে মালয়েশিয়ার টার্গেট পূরণ না হলে বাংলাদেশ সরকারকে যে ভর্তুকি দিতে হবে, তা তিনি গোপন করেছেন। সেতুর টোল এখন নির্ধারণ না করার ক্ষেত্রেও রয়েছে চাতুর্য। সেতু ব্যবহারকারী যানবাহনের টোল এখন নির্ধারণ না করে নির্মাণ শেষ হওয়ার পর নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী হবে বলেও অনেকে মনে করেন। মূল সেতু নির্মাণ ও নদী শাসনে যে অর্থ ব্যয় করা হবে বলে মালয়েশিয়ার প্রস্তাবে জানানো হয়েছে, তা-ও বাস্তবতাবর্জিত বলে সংশ্লিষ্ট ওয়াকিবহাল সূত্র জানিয়েছে। তাদের মতে মালয়েশিয়া ২৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ না করেও ওই পরিমাণ অর্থ সুদসহ তুলে নেয়ার সুযোগ থাকবে।
বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে মূল সেতু ও নদীশাসনে সে সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। আর সংযোগ সড়ক, সার্ভিস এলাকা নির্মাণ, জমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসনসহ আনুষঙ্গিক খরচ ধরা হয় ৮০ কোটি মার্কিন ডলার। এই অর্থ ব্যয় করার কথা ছিল বাংলাদেশের।
পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের দেয়ার কথা ছিল ১২০ কোটি ডলার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৬১ কোটি ডলার, জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকার ৪১ কোটি এবং ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) ১৪ কোটি ডলার।
বিশ্বব্যাংকের ঋণের জন্য বাংলাদেশকে সার্ভিস চার্জ দিতে হতো দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে। প্রথম ১০ বছর কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হতো না (গ্রেস পিরিয়ড)। নিয়ম হচ্ছে, ১১ থেকে ২০তম বছর পর্যন্ত সময়ে মোট নেয়া ঋণের ২ শতাংশ হারে পরিশোধ করতে হয়, পরবর্তী ২০ বছরে দিতে হতো ৪ শতাংশ হারে। এই হিসাবে ১১ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত সময়ে প্রতি বছর পরিশোধ করতে হতো তিন কোটি ৩০ লাখ ডলার। এর মধ্যে মূল ঋণ দুই কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং সার্ভিস চার্জ ৯০ লাখ ডলার। পরবর্তী বছরগুলোতে দিতে হতো পাঁচ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর মধ্যে মূল ঋণ চার কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং সার্ভিস চার্জ ৯০ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে মোট সার্ভিস চার্জ দিতে হতো দুই কোটি ৭০ লাখ ডলার।
জাইকার ঋণের সুদ আরও কম। ৪০ বছরে পরিশোধযোগ্য এই ঋণের সার্ভিস চার্জ দশমিক ০১ শতাংশ। তাদের বেলায়ও প্রথম ১০ বছর কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হতো না। এডিবির ঋণের সুদও গড়ে দেড় শতাংশের বেশি নয়। আইডিবির সুদ ৩ থেকে ৪ শতাংশ। তবে জাইকার গ্রেস পিরিয়ড আট এবং আইডিবির পাঁচ বছর।
পক্ষান্তরে মালয়েশিয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে প্রথম ৫ বছরের পুরো আয় নিয়ে যাবে মালয়েশিয়া। এ সময়ে মোট কত টাকা মালয়েশিয়া নেবে তার কোনো হিসাব প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিনিয়োগকৃত অর্থ ও তার সুদ প্রথম ৫ বছরে তুলে নেয়ার হিসাব কষেছে মালয়েশিয়া। ষষ্ঠ থেকে ২৬তম বছর পর্যন্ত সেতু থেকে আয় ধরা হয়েছে ৮৩০ কোটি ডলার। এই আয় থেকে ৯১ কোটি ডলার ব্যয় হবে বিভিন্ন কর ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ। বাকি ৭৩৯ কোটি ডলারের ৩০ শতাংশ বাংলাদেশ এবং ৭০ শতাংশ পাবে মালয়েশিয়া। অর্থাত্ মালয়েশিয়া পাচ্ছে ৫২০ কোটি এবং বাংলাদেশের ২১৯ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ অর্থ পাওয়া শুরু করবে নির্মাণ শেষ হওয়ার পাঁচ বছর পর। প্রথম পাঁচ বছর টোলের পুরোটাই চলে যাবে মালয়েশিয়ার ভাগে। মালয়েশিয়া ২৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে সে দেশের এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে।
বারনামার খবর : মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামার গত ৫ মার্চ ‘প্রিলিমিনারি এগ্রিমেন্ট অন’ ইএস ডলার ২.৩ বিলিয়ন পদ্মা ব্রিজ রিচড, সেজ সামি ভেলু’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, মালয়েশিয়ার তান শ্রী হালিম সাদের মার্কমোর গ্রুপের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম পদ্মা সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে কনসোর্টিয়ামের মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়েছে। প্রস্তাবিত কনসোর্টিয়ামে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতনামা চীনের একটি নির্মাণ কোম্পানিও রয়েছে। এই কোম্পানিটি প্রকল্পটিতে অর্থায়ন ও নির্মাণকাজ করবে। মালয়েশিয়ার বিশেষ দূতের সুপারিশের আলোকে দেশটির সরকার কনসোর্টিয়াম বাছাইয়ে ক্রয় নীতিমালা অনুসরণ করবে। বারনামার প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় মালয়েশিয়ার বিশেষ দূত দাতু সেরি এস সামি ভেলু জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দু’দিনব্যাপী ব্যাপক আলোচনার পর চুক্তিতে পৌঁছা সম্ভব হয়েছে।
কনসোর্টিয়াম নিয়ে বিভ্রান্তি : সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সময় জানানো হয়েছিল মালয়েশিয়ার ৫টি কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম পদ্মা সেতুর ঠিকাদারি কাজ করবে। ‘বারনামা’ পরিবেশিত খবরে সামি ভেলুর উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়- দ্বিতীয় পেনাং সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদার মূল দায়িত্ব পালন করবে। সামি ভেলু তখন বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে কনসোর্টিয়াম গঠনের বিষয়ে ইতোমধ্যেই যেসব কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-ইউনাইটেড ইঞ্জিনিয়ার্স, মালয়েশিয়ান রিসোর্সেস করপোরেশন বিএইচডি, পিজিএ কনসাল্ট এসডিএন বিএইচডি এবং এভারসেনডাই করপোরেশন বিএইচডি। এখন বলা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে চীনের চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানির (সিসিসিসি) সেতু নির্মাণ ও অর্থায়ন করবে।
পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে হবে-যোগাযোগমন্ত্রী : খুলনা অফিস জানিয়েছে বর্তমান সরকারের মেয়াদেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মূল অংশের নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেতুটি নির্মাণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে এক হাজার চারশ’ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং মে মাস থেকে অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
গতকাল সকালে খুলনা শহীদ হাদিস পার্কে মেয়র পদক-’১৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খুলনা সিটি করপোরেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, গত ২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জাজিরা পয়েন্টে ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী শাসন কাজের উদ্বোধন করেন। ১ হাজার তিনশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণের কাজ আগামী মে মাসে শুরু করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মূল সেতুর নির্মাণকাজ নিজস্ব অর্থায়নে এবং সরকারের এই মেয়াদেই শুরু হবে। এছাড়া যোগাযোগ মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়ার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ বিবেচনার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অর্থ পাওয়া সাপেক্ষে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে সেতু বাস্তবায়ন করা হবে।
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন: ক্ষমতা থেকে যাবার আগে পদ্মা সেতুর টাকা ভাগাভাগি করে নিতে চেয়েছিল আগে থেকেই তাই এই দশা। গাছে কাঁঠাল গোপে তেল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩
আিম এক যাযাবর বলেছেন: দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হওয়ায় এখন দেশকে কমপক্ষে ৪১ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ৫২০ কোটি ডলার গচ্চা দিতে হবে।
তবুও আবুলকে বাচাতে হবে