![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন যদি একটা চলচ্চিত্র হয় তবে আমি অনেক চরিত্রে অভিনয় করি,এখানে যেমন একজন ব্লগারের অভিনয় করছি...
একটা প্রশ্ন বারবার মগজটারে লাথি দিয়ে যাচ্ছে,"কেন নববর্ষবরন হয় গনধর্ষন?"অনলাইনে এসে আমি ম্যাও ম্যাও করি আরেকজন হাম্বা হাম্বা করে কই কোথাও কোন বাঘের গর্জন কেন শুনতে পাইনা?আমাদের কফি হাউজে কিছুদিন আগে একটা ছেলেকে দেখেছিলাম ঝাকি বানাচ্ছে আর বাইরে দাঁড়ানো পুলিশের চায়ের বিল তখনো বাকি।সর্বত্র আমি সেই নেশাখোর চোখ দেখতে পাই,সেই ছেলেগুলো বানায় ঝাকি আর আমরা বানাই বাকি।নববর্ষের নারীর অপমানের বিচার আমরা বাকির খাতায় তুলে রাখি।রাজনৈতিক একটা ইস্যু হোকনা অথবা শিক্ষাব্যাবস্থার একটু গরল পরিবর্তন হোকনা লাখ লাখ ছাত্র ছাত্রী রাজপথে নামবে প্রয়োজনে অনশন করবে,অবরোধ করবে,ব্যাপক ভাংচুর করবে অথচ এমন বর্বরতার পরও এখনো প্রতিবাদীর সংখ্যার হাজারজন মাঠে নেমেছে কিনা সন্দেহ।যারা নেমেছে তাদেরকে বলা হচ্ছে সুযোগসন্ধানী কারন তাদের অপরাধ তারা বিড়ালের মত চুপ করে না থেকে বাঘের গর্জন দেখিয়েছে।সাক্ষরতার হার বাড়ানোর কি অর্থ যেখানে আগামী বৈশাখে আরও কয়েকজন নারীকে বিবস্ত্রা হতে হবে?সারা বাংলার ছাত্রসমাজ এক হলেও কি এই নোংরামির শেষ নেই?যে জাতি জীবন দিয়ে দেয় ভাষার সম্মান,যারা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে পবিত্র করে এই বাংলার মাটি তাদের উত্তরাধিকারীরা মায়ের সম্মান রাখতে পারেনা, বোনের সম্মান রাখতে পারেনা এই অপারগতা আমার মগজটাকে আরও কয়েকবার লাথি দেয়।যুদ্ধের কি দরকার ছিল যদিবা পঙ্গু প্রজন্মের জন্ম হয় অথবা প্রজন্ম পঙ্গুত্ববরন করে।কেউ কিছু করতে পারবেনা কথাটি ভুল এবং মারাত্নক ভুল যদি সঠিক হত তবে এই কথাগুলি আমি বাংলায় লিখতে পারতামনা আর 'বাংলাদেশ" নামটা উচ্চারন করতে পারতামনা।প্রতিবাদ সম্ভব এবং এই বর্বরতার প্রতিরোধও সম্ভব দরকার কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার...
©somewhere in net ltd.