নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা লেখি সবই লেখি নিষ্ঠুর পৃথিবীর পক্ষে অথবা বিপক্ষে।রচয়িতার রচনা সার্বজনীন আর পাঠকের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্তিগত।

কল্লোলিত সমুদ্র

জীবন যদি একটা চলচ্চিত্র হয় তবে আমি অনেক চরিত্রে অভিনয় করি,এখানে যেমন একজন ব্লগারের অভিনয় করছি...

কল্লোলিত সমুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধন

০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ১:২০

বয়স তো মাত্র বাইশ,,এই বয়সে এত বড় কথা বলা সাজেনা।তারপরও মনে হল ব্যাপারটা শেয়ার করা উচিত,বুকের পাথরটা হয়ত একটুখানি হালকা হবে। ভূমিকার আবশ্যকতা ভেঙে কাহিনীতে আসি,রোজকার মত আমাদের সন্ধ্যার কফি হাউস শেষে বাসায় ফিরছি। শীতের প্রকোপে একটু তারাহুরাই ছিল, সম্মুখের এক জোড়া কপোত -কপতীর উচ্চ বাক্যালাপে গতি টা কমিয়ে দেই, কর্মটা দন্ডনীয় হলেও আমার শিক্ষাটা অনেক মূল্যবান ছিল।এবার আসি সেই যুগলবন্দীর কথোপকথন এর দু-চারটি লাইন নিয়ে,
মেয়ে:বল কি তুমি!!!!!!
ছেলেঃহ্যা সত্যি আব্বুর দুইবার হার্ট এট্যাক হইছে,আর একবার হইলেই.........
মেয়েঃমরে যেতে পারে তাইনা?
ছেলেঃআল্লাহ না করুক তাই হতে পারে.....
মেয়েঃআরে না এমনটি হবেনা,আল্লাহ তোমার সাথে এমন অবিচার করবেনা,,তুমি টেনশন কোরনা....
ছেলেঃআরে আমি করছি অন্য চিন্তা, ভাবছি আব্বু না থাকলে এত বড় ব্যাবসা সামলাব কি করে,,এত সম্পত্তি আমার একার পক্ষে ডিল করা কি চাট্টিখানি কথা।
এর পর আর কোন সংলাপ শোনার সাহস আমার হয়নি,তাই অতি দ্রুত প্রস্থান করেছি। বারবার বিবেকটাতে নাড়া দিচ্ছে হায়রে সন্তান, বাবার মরনের পর তার ব্যাবসা নিয়ে ভাবছে,, কি হারাবে তাতে মন নেই।কোন বন্ধন দিয়ে পিতা -পুত্রের বন্ধন গাঁথা জানিনা তবে তার সুতা টা যে ছিড়ে যাবে তার বিন্দুমাত্র কষ্টের প্রতিফলন দেখিনি তার চোখে, আজ বুকের ভিতর জমানো কষ্টটা বুক ফেটে আবার বেরিয়ে এসেছে,মনটা আকাশের কোনে খুঁজে বেড়ায় সবচেয়ে আপন আমার আপনজনকে।সেই যুবক হয়ত ব্যাবসা ঠিকই সামলে নেবে,সামলে নেবে তার আপনজনের অভাব,কারন সম্পর্কের মূল্য ওদের কাছে নেই।।আর সম্পর্কের ব্যাখ্যা কোন কবিতা দিয়ে হয়না,না কোন উপন্যাস দিয়ে, সম্পর্ক সেটাই যা রক্ত আর আত্মত্যাগী ভালবাসা দিয়ে গড়া আত্মার বন্ধন।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.