![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনাদের কি জলিল সাহেব এবং উনার বিখ্যাত ট্রাম্প কার্ডের কথা মনে আছে? যিনি হাতের ট্রাম্পকার্ড তথা একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ২০০৪ সালের ৩০শে এপ্রিলের মাঝে উৎখাতের ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্ল্যানটি ছিল, প্রশিকার ৫লক্ষ কর্মচারীকে দাবী আদায়ের নামে ঢাকায় এনে তাদের দিয়ে সরকার পতনের ডাক দেওয়া হবে; যা পরবর্তীতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৎপরতার কারণে ব্যর্থ হয়ে যায়।
কিন্তু এটিই কি তার আসল ট্রাম্পকার্ড ছিল? না, প্রকৃত ট্রাম্পকার্ডটি ছিল উনি স্বয়ং। ষড়যন্ত্রের দায়ে সরকার যদি তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করত, তাহলেই দেশ ব্যাপী জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন শুরু করে দিতে আওয়ামী লীগ এবং পরিণামে পতন। কিন্তু বিএনপি সরকার পরিস্থিতি বুঝে আর সেটি করেনি; বরং দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করেও জলিল সাহেব মুক্ত থেকে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিয়মিত।
আওয়ামী লীগ দলটাই প্রকৃত এই রকম; সরকারী, বিরোধী যেখানেই থাকুক না কেন, গণতন্ত্র তাদের হাতে ধর্ষিত হবেই। আজ বিরোধী দলের মহাসচিব ময়লার গাড়িতে আগুন দেওয়ার মামলায় জেল খাটছে, রুহুল কবির রিজভি পার্টি অফিসে বন্দী দীর্ঘদিন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মোবাইল চুরির মামলায় অভিযুক্ত!! এগুলোতে কি গণতন্ত্র বিনষ্ট হচ্ছে না!!
আওয়ামী লীগ চাচ্ছে, বিএনপি এর প্রতিবাদে জ্বালাও পোড়াও শুরু করলে দেশকে আবারও ১/১১ এর দিকে ঠেলে দিতে। কিন্তু বিএনপি পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন বলেই এই ফাঁদে পা দিচ্ছে না।
দুই দিন আগে খালেদা জিয়া তাঁর ওয়াশিংটন পোষ্টের আর্টিকেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের জন্য আমেরিকা, ইউকে'কে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। যেখানে একটা পাগলও জানে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে এই দাবী আদায় করতে গেলে অবশ্যই বহির্বিশ্বের হস্তক্ষেপ লাগবে; নাহয় দেশব্যাপী ব্যাপক ভাঙচুর করে, একের পর এক লাশ ফেলে হয়তো সরকারকে রাজি করানো যেতে পারে। কিন্তু উনি সহিংসতার পথে না গিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় সমাধান করতে চেয়েছিলেন বলেই কি দেশদ্রোহী হয়ে গেলেন!! দেশের শান্তি এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এই দাবী করে তিনি কি কোন ভুল করেছিলেন? যে সরকার বিরোধী দলের হুইপকে মারার পুরষ্কার হিসেবে পুলিশকে রাষ্ট্রপতির পদক দেয়, সেই সরকারের অধীনে কিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব তা কি কেউ বুঝিয়ে বলবেন?
এদেশে গতানুগতিক রাজনীতির ধারা হতে যদি কেউ বেরিয়ে আসে, তো সেটা হচ্ছে বিএনপি। অযৌক্তিক হরতাল এবং সহিংসতার পথ থেকে সরে আসছে তারা। কিন্তু ডিজিটাল এবং দিন বদলের স্বপ্ন দেখানো আওয়ামী লীগ এখনো তাদের খুন, সহিংসতা আর মিথ্যার রাজনৈতিক ঐতিহ্যেই অটল আছে এখনো।
(বহির্বিশ্বে কারা দেশের প্রকৃত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে, তার কিছু উদাহরণ মন্তব্যে দেওয়া হল)
জাতি সঙ্ঘের অধিবেশনে কে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বলেছিল। বিগত আওয়ামী লীগ আমলে যেখানে উদিচি, সিপিবি, শামিম উসমানের উপর হামলা হয়েছিল। সেখানে কেন তিনি ২০০২ হতে কাহিনী বলা শুরু করলেন?? ভাষণের ১৭নং পয়েন্টটি পড়ুন
বহির্বিশ্বে সম্মানিত ডঃ ইউনুসকে কে বিদেশী সাংবাদিকের সামনে রক্ত চোষা বলে গালি দিয়েছিল?
http://www.youtube.com/watch?v=GJcP7TDXwPw
ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী, সহিংসতার দেশ বললেও উনি পুরষ্কার পেয়ে প্রতিবাদ করতে ভুলে যান View this link
একটু দেখুন, কার সুপুত্র এদেশে ইসলামী জঙ্গি রাষ্ট্রের উত্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রবন্ধ লিখে?
View this link
**লেখাটি ব্লগার চাঁপাডাঙার চান্দু র ফেসবুক থেকে নেওয়া
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১২
মাথা খারপ মানুষ বলেছেন: মস্কোরে মক্কা ভাবা বাম আর জাতীয় হাম্বা গুলা যখন খালেদার ওই লেখা নিয়া কথা বলে তখন সত্যি হাসি পায়। মায় পুতে মিলে দেশরে জঙ্গি কয় তখন এরা কই থাকে
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৮
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: My country of 150 million people, located between India and Myanmar, has been independent since 1971, when the United States was one of the first nations to recognize our right to self-determination.
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জেনে তারপর লেখা উচিৎ ছিল। খালেদা জিয়াকে বলে দিয়েন।
দলের নেত্রী গাধা বলে আপনাকেও তাই হতে হবে এমন কোনো কথা নাই। নিজের জ্ঞান দিয়ে যাচাই করতে শিখুন। নিজের শিক্ষাকে কাজে লাগান, আপনার নিজের একটা আইডেন্টিটি আছে বুঝতে শিখুন।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: উভয়েরই নীতি গত ভুলে একে অন্যর বিষাদিত গেঁড়াকলে
জনতা হতাশ / স্বাধীনতা কেদে ফিরে নির্বাক বেদিতে
আর নব্য সন্ত্রাস সুযোগে দেয় হানা অন্ধকারের মত
কি বা এর ভুত ভবিষ্যৎ , হৃদর ত্রাসে শংকায়
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৭
টয় বয় বলেছেন: @দায়িত্ববান:
ইতিহাস আপনিও একটু ভাল কইরা পরেন, আমেরিকা প্রকাশ্যে কোন দেশের স্বাধীনতা নিয়া মন্তব্য করে নাই, আমাদের পার্বত্য চট্রগ্রাম নিয়া আমেরিকা কি রকম বক্তব্য দিলে আপনে খুশি হইতেন??
খালেদার পুরা লেখাতে এই এক লাইন নিয়া আপনার সমস্যা?? বাকী কয়েক শত লাইনের কোন কথাটা মিথ্যা??
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২০
টয় বয় বলেছেন: @দায়িত্ববান
আমেরিকা যদি আমাদের স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি হয় তাইলে আপনে আমেরিকায় কি করতাছেন?? আপনে আমাগো স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব নিছেন ব্লগের ছাত্রলীগের গুন্ডাদের সাথে মিলেমিশে, আপনার তো আমেরিকায় থাকা উচিত না|
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২২
রিওমারে বলেছেন: দায়িত্ব বান নাগরিক আপনি দায়িত্ব হীন কথা বলেন কেন? আপনার কাছ থেকে স্বাধীনতার ইতিহাস শুনতে চাই। এড়িয়ে যাবেন না কিন্তু। এই নিয়ে একটা দায়িত্ব বান পোষ্ট দিবেন আসা করি। অপেক্ষায় থাকলাম।।
৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৯
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: টয় বয় @
পুরোটা নিয়ে অনেকেই লিখেছে। নতুন করে লেখার প্রয়োজন মনে করি না।
Click This Link
পোষ্টের সাথে জাতিয়তাবাদী ব্লগার অনিক আহসানের কমেন্টও পড়।
আমাকে নিয়ে তোমার এত আগ্রহ না দেখালেও চলবে।
আমার আমার সাথে কথা বলতে হলে আমার ব্লগে গিয়া জিগাইবা, ঠিকাছে?
## তোমারে খেয়াল করছি ময়না টিয়া। মুফতি ছাগুর সাথে মিল আছে।
৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩১
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: রিওমারে @
ইতিহাস আমার কাছে শেখার কিছু নাই। বাচ্চা পোলাপান না হলে ইতিহাস জানা উচিৎ।
#আগের কমেন্টের পোষ্টটা পড়েন। একটু হলেও ধারনা হবে। যদি আসলেই ইতিহাস না জানেন।
৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৩
টয় বয় বলেছেন: @@দায়িত্ববান:
কাউরে পাব্লিক প্লেসে শুরুতেই তুমি কইরা সম্বোধন করার মানেই হইলো ছোট কালে বাপের শিক্ষা না পাওয়া, ফীল সরি ফর ইউ|
১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৪
চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: আওয়ামী লীগের এই নোংরামি দেখতে খারাপ লাগছে না। খালেদা জিয়া কেন লাগাতার হরতাল দিয়ে দেশ অচল করছে না? কেন রাজপথে গিয়ে ভাঙচুর করছেনা? কেন বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে না, সেই নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত। তারা দুই বিলিওনের সাথে এক দশমিক দুই পার্থক্য বের করে বিরাট কিছু আবিষ্কার করে ফেলেছে।
এখন আবার এসেছে স্বাধীনতা নিয়ে। খালেদা জিয়া কি বলেছে আমেরিকা মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে?? বলেছে স্বীকৃতি দিয়েছে, যেটি ছিল ১৯৭২ এর ৪ঠা এপ্রিল। তো এটা বলায় খালেদা জিয়ার কি দোষ হল দায়িত্ববান নাগরিক?
দোষ তো খালি বিএনপির মাঝেই খুঁজে গেলেন, সাথে যে লিঙ্কগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলো দেখেন নি? হাসিনার কুকীর্তি দেখতেও বুঝি খুব ভালো লাগে?
১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৫
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: টয় বয় @
মুফতি ছাগুরে তুই বলে ডাকতাম।
তোমারে আপন মনে করে তুমি ডাকলাম। মাইন্ড কইরো না।
১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৮
নাজমুল৪৩৩ বলেছেন: আমি আরো কিছু পোস্ট এ দেখলাম টয় বয়ের ছাগ্লামী। নিঃসন্দেহে এইটা পেইড ব্লগার এবং ছাগু।
১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৮
বিপদেআছি বলেছেন: দুটাই বজ্জাত এবং লজ্জাহীন, আপসোস শক্ত মেরুদন্ডের তৃতীয় কেউ নাই।
১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৮
টয় বয় বলেছেন: অনিক আহসান জাতীয়তাবাদী ??????!!!!!!!!
)
বামপন্হী নাস্তিক, আওয়ামীলীগের পোষ্য ভৃত্য এখন নিজেরে পরিচয় দেয় জাতীয়তাবাদী বইলা!! ও আল্লা, আমারে তুলি নাও, নয় দড়ি ফালাও আমি বাইয়া উডি যামু|
এই নাস্তিক গত তিনটা বছর আম্লীগের চামচামী কইরা এখন কয় সে জাতীয়তাবাদী?? ওর মুখে গু মাথা জুতা দিয়া পিটানোর কাম |
১৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৯
বাকাট্টা বলেছেন: দায়িত্ববান হাম্বা যে অনিক আহসানরে জাতিয়তাবাদী ব্লগার বললো এইটা পড়ে হাসতেই আছি
আবালটা কতদিন থেকে ব্লগে বিচরণ করতেছে?
দায়িত্ববান হাম্বা যে লাইনগুলা দিছে ওইখানে সমস্যা কি?
১৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪১
টয় বয় বলেছেন: @নাজমুল:
এক বাপের পোলা হইলে আমি যে ছাগু তার প্রমান দে|
১৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪২
বাকাট্টা বলেছেন: খালেদা ওই এক লাইনের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহী হইলে জিয়ারে পাকি চর বলা হাম্বা গুলা কি?? দায়িত্ববান হাম্বা এইটার উত্তর দাও
১৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৪
টয় বয় বলেছেন: @বাকাট্রা ভাই:
যতই আম্লীগের ক্ষমতা হারানোর দিন ঘনাইয়া আসবো এই রকম শত শত অনিক আহাসনরা মুজিব কোট খুইল্যা জাতীয়তাবাদী সাজবো
অনিক আহসান জাতীয়তাবাদী !!!!!!!! হাসতে হাসতে পেটে খিল ধইরা গেলো
১৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৯
নাজমুল৪৩৩ বলেছেন: @টয় মিয়া, ""তোমার কমেন্টেই{আমি যে ছাগু তার প্রমান দে ) এই কথার মাধ্যমে তুমি স্বীকার করে নিয়েছ তুমি ছাগু।""
২০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৯
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: বাকাট্টা @
এক লাইনের জন্য কখন কে বললো। ৭ নং কমেন্ট দেখুন। পোষ্ট টা ফলো করেন।
মুখে তুলে দিয়ে খাওয়াতে হবে?
ওকে শুধু একটা কমেন্ট কপি করে দিই--
বিবাগী বাউল বলেছেন: যেখানে বেগম জিয়ার উচিত দেশের একজন অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে বাংলাদেশের সব পণ্যে ন্যায্য জিএসপি সুবিধা দানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আহবান জানানো সেখানে তিনি উল্টো বর্তমান সরকারের উপর শাস্তিস্বরূপ “জিএসপি” সুবিধা বাতিলের মত অবরোধ আরোপের আহবান জানান কিসের ভিত্তিতে? বাংলাদেশ যদি চরম একনায়কতান্ত্রিক শাসনেও চালিত হয় তারপরও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এলডিসিভুক্ত সদস্য হিসেবে জিএসপি সুবিধা বাংলাদেশের প্রাপ্য। বাংলাদেশের পোশাক খাতে জি এস পি সুবিধা না দিলে কিংবা যে কয়েকটি পণ্যে এই সুবিধা বহাল আছে তাও বাতিল করলে মূলত ক্ষতি হবে এদেশের খেটে খাওয়া আপামর জনসাধারণের । এদেশের রাজনৈতিক নেতারা কতটা দেউলিয়া হলে এবং ক্ষমতার নেশায় কতটা অন্ধ হলে দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর “জিএসপি” বাতিলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন জানাতে পারেন?
##গর্দভদের সাথে যুক্তিতর্কের কোনো ইচ্ছে নাই ভাই। মাফ করেন।
২১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৯
চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: @টয় বয়, ঠ্যালায় পড়লে আওয়ামী লীগ সবার কাছেই যায়। আপনি কাইন্ডলি স্যার নিনিয়ানের ঘটনাটি শেয়ার করুন, লিঙ্ক দিলে ভালো হয়। হাসিনা যখন সাবজেলে বন্দী তখন কিভাবে তিনি উকিলের মাধ্যমে জাতিসঙ্ঘ এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছিলেন, সেটি দিয়ে গেলাম।
২২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫০
বাকাট্টা বলেছেন: টয় বয় আমাদের দায়িত্ববান হাম্বা দায়িত্ব ফালাইয়া পলাইছে নাকি??
২৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৪
চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: @দায়িত্ববান, আপনি একটা বিএনপি'র সার্টিফিকেট বানিয়ে অনিক আহসানের গলায় ঝুলিয়ে দেন, খুশি হবে। কারও কাছে স্বাধিকার ভালো, কারও কাছে প্রজন্ম ভালো, আবার কেউ প্রজন্মরে ছাগু বলে। ব্লগে বিএনপি করতে হইলেও মনে হয় হাম্বালীগের অনুমোদন লাগবে এখন থেকে। আপনে আপনার প্রিয় জাতীয়তাবাদী নিয়া থাকেন, আর আরেকদিন আপনের ভাই ব্রাদাররা আমার গালির স্ক্রিন শট নিয়া পোস্ট দিলে ব্যান দাবী কইরেন। এখন খোদা হাফেজ।
২৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৬
বাকাট্টা বলেছেন: লেখক বলেছেন: মস্কোরে মক্কা ভাবা বাম
দায়িত্ববান এইটা দেখছ?? সুতরাং ঐ বামের লিংক দিয়া লাভ নাই।
আর "জিএসপি" নিয়া খালেদার থেকেও ভালো কথা দিমু মনি বলছে। বেশীদিন আগের কথা না। পেপার পত্রিকায় চোখ রাখলে জানার কথা
২৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৭
টয় বয় বলেছেন:
@চাঁপাডাঙার চান্দু:
বিএনপির প্রথম টার্মে আম্লীগের হাসিনা-জামাতের নিজামী আর জাতীয় পার্টি মিল্লা প্রথম তত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা দেয়| সেই টার্মে শত শত দিন হরতাল, অবরোধ করে দেশ অচল করা হয়| হাসিনা বাংলাদেশে অবস্হিত সব বিদেশী দূতাবাসে চিঠি লিখেছিল খালেদা সরকারের বিরোধীতা করে|
শেষ সময়ে কমনওয়েলথ মহাসচিব স্যার নিনিয়ানকে ডেকে নিয়ে আসা হয় ঢাকাতে, যাতে বাংলাদেশকে কমনোয়েলথ থেকে বের করে দেওয়া হয়|
অনেক আগের ঘটনা, পেপার কাটিং নাই, এখন আমি দেশের বাইরে, তবে দেশের যারা রাজনীতি করে তারা সবাই জানে নিশ্চিত থাকতে পারেন|
২৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: @চাঁপাডাঙার চান্দু
২৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৪
বাকাট্টা বলেছেন: @মোস্তফা কামাল পলাশ
চাঁপাডাঙার চান্দু আসলেই বদ
২৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৬
টয় বয় বলেছেন:
কি হইলো, হাসিনালীগের ক্যডার দুইটা কি দুই পায়ের চিপায় লেজ গুটাইয়া পলাইয়া গেলো???
২৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৭
চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: পলাশ ভাই, মাফ করবেন। ইউটিউবের ভিডিওটা নাকি ঠিক মত আসে নাই। তাই অনেকে মজা দেখতে না পেয়ে অভিযোগ জানাচ্ছে, তাই একটু দিয়ে যেতে আসলাম। আর দিমুনা কথা দিলাম
http://www.youtube.com/watch?v=6LWJEgpcM1M
৩০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৩
টয় বয় বলেছেন: নিনিয়ানের বাংলাদেশে ডেকে আনার প্রমান নিচের লিংকে:
Click This Link
৩১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৬
টয় বয় বলেছেন:
চান্দু ভাই:
নিনিয়ারের কাহিনী গুগল মারেন পাইয়া যাইবেন:
http://www.greenleft.org.au/node/9321
৩২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৪
রবি_জল বলেছেন: ‘বিরোধী দলে থাকাকালে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বাংলাদেশকে অর্থ-সহযোগিতা বন্ধ করে দিতে বলেছিলেন। সে দেশর ফ্লোরিডায় গিয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। আর ফ্রান্সে গিয়ে সে দেশের এমপিদের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি বিল আনার জন্য বলেছিলেন। সরকারি দলের মন্ত্রী-সাংসদেরা এসব কথা ভুলে গেছেন।’
৩৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০৬
বিদ্রোহী২০০৩ বলেছেন: লেখাটা অনেক ভাল হয়েছে। লেখককে ধন্যবাদ।
৩৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০৮
বাকাট্টা বলেছেন: আবাল গুলার কি স্টক শেষ? বমি পিয়ালের শিষ্যরা দুইকথা যুইত মত কইবার আগে পালায় কেন? ইতিহাস শিা দিতে আইয়া নিজেরা ইতিহাস হয়ে গেল
৩৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২০
কামের কথা কন!! বলেছেন: ভাই আপনার লেখা টা ভাল লেগেছে এই জন্য রেফারেন্স এর জন্য রেখে দিলাম, কিন্তু একটা ব্যাপার কি জানেন আসলে এরা সব একই গোয়ালের গরু। তবে বিএনপি একটা জিনিস ভাল লাগছে যে জ্বালও পোরাও করছে না। এই দুই ধারী বুড়ি আমাদের দেশকে শেষ করে দিচ্ছে এখানে আমাদের বাংলার আবাল জনতার ও দোষ আছে যতদিন আমরা আমাদের ঠিক করতে পারব না তত দিন এই তথা কথিত বি এন পি আওয়ামীলীগ এরা আমাদের পটু মারতেই থাকবে শিওউর থাকেন কেউ কিছু করতে পারবে না। আমি কোন রাজনীতি দল এর মতা দর্শে বিশ্বাসী না আমি বঙ্গবন্ধু কিংবা জিয়া কাউকেই খারাপ বলি না আমি কোন সুশীল ও না। আমি যেটা বিশ্বাস করি খারাপ তা সব সময় খারাপ ভাল সব সময় ভাল। একজন ওর বাপের দেশকে নিয়ে পোস্টমর্টেম করতেছে একজন করতে ছে তার স্বামীর দেশ মনে করে। জামাত কে সাইডে যা বা না গোনার পাল্লায় ফেললেই তো আর কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। কারন হাজার চেষ্টা করেও জামাত আসতে পারবে না কারন সাধারন মানুষ জানে জামাত কি জিনিস। ওদের কে নিয়ে যত বেশি নাড়াচাড়া করবেন ওরা তত বেশি এক্সপজ হবে এতে ওদেরি লাভ। সবচেয়ে খারাপ লাগে দেশের বর্তমান অবস্তা দেখে। দেশে অনেক সম্ভাবনা থাকতে ও দেশটা পিছনের দিকে যাচ্ছে শুধু এই দুই নারীর চুলাচুলিতে। ভাই ৫ বছরে অনেক কিছু সম্ভব দেশে আমাদের একটা সম্ভাবনা ময় তরুণ সমাজ আছে যারা দেশে এবং দেশের বাহিরে বেশ ভাল দাপটের সঙ্গে আছে কাজ করতে ছে। হুম ভালোর মাঝে কিছু তো খারাপ থাকবে কিন্তু খারাপ রা ভাল কিছু দেখতে দেখতে ভাল হয়ে যায় যদি সেটা জন্মগত দোষ না হয়। এই বাল সরকার এর সবচেয়ে বড় দোষ এরা সব সময় ইন্ডিয়া রে পারলে নিজের শাড়ি খুলে দিয়ে ল্যাংটা হয়ে থাকতেও রাজী। আমার কথা হল আমি দিব কিন্তু আমাকেও দিতে হবে। কমে ন্টস অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে আর কিছু বলছি না। শেষে এটুকুই বলি এদের যত তাড়াতাড়ি বিতাড়িত করতে পারবে দেশের লোকজন তত তাড়াতাড়ি এই দেশের মঙ্গল দেখতে পারবে তা না হলে এই দেশের কপালে এবং আমাদের কপালে অনেক খারাপি আছে। আল্লাহ্ মাবুদ তুমি এই দেশের এবং এই দেশের মানুষের মঙ্গল কর এবং রহমত বর্ষিত কর। আমিন!! ভাল থাকবেন।
৩৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
স্বাধীকার বলেছেন:
কিছু দিন আগে ভারত সরকারের আমন্ত্রণের খালেদা জিয়া ভারত গেলে সামু ব্লগ তথা সারা অনলাইন জগতে আম্লীগের দলদাসরা চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে, আর বুঝাইতে থাকে যে খালেদা জিয়া ভারতের দালাল হতে গিয়েছে। আম্লীগের ভারতপ্রীতির বিপরীতে তারা খালেদা জিয়াকে হেয় করার চেষ্টা করতে থাকে।
এখন তারা খালেদা জিয়াকে আমেরিকার কাছে দালালী করতে দেখতেছেন আর নাকি কান্না দেখাচ্ছেন দেশপ্রেমী হিসাবে। বাকশালীদের চরিত্র বড়ই কলুষিত-এরা আজ ভুলে গিয়েছে সজীব জয়, ওয়ালিউর রহমানরা কিভাবে গবেষণা করে বিদেশে প্রচার করেছেন বাংলাদেশের আর্মিতে মৌলবাদী ঢুকেছে, শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলাদেশকে তালেবানী রাষ্ট্র হিসাবে দেখাতে চেয়েছেন, ইউরোপীয়ান রাষ্ট্রগুলোসহ বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে সহযোগিতা বন্ধ করার আবেদন করেছেন-এসব বিষয়ে এদের নুন্যতম লজ্জাশরম থাকলে আজকে খালেদা জিয়ার লেখাতে এভাবে কুত্তাপাগলা হয়ে হামলে পড়তোনা। অবশ্য এই কুত্তাপাগলা হয়ে যাওয়াতে এটুকু নিশ্চিত হয়েছি যে, জায়গা মতো আঘাত লেগেছে। নিজেদের অধীনে যে নির্বাচন করার খায়েশ, সেটা ঝুঁকিতে পড়ার আশংকায় আম্লীগ আজ খালেদা জিয়াকে সমালোচনা করছে।
রাষ্ট্র আমেরিকা বাংলাদেশের স্বাধীকারকে স্বীকার করেছে ৭২ সালে। কিন্তু আমেরিকার জনগণ আমাদের বিরোদ্ধে ছিলো একথা আওয়ামী শুয়োরদের কে বললো? এ্যালেন গিনসবার্গ কি রাজাকার নাকি? খালেদা জিয়া যা বলেছেন, তা ঠিক আছে। সরকার আমিনুলকে হত্যা করবে-আর সেটা বলা যাবেনা এমন দাসখত আমরা আম্লীগকে দেইনি। বিগত চার বছরে যতগুলো রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান এবং রাষ্ট্রদূতসহ যত গুলো বিদেশী অতিথির সাথে খালেদা জিয়ার সাক্ষাত হয়েছে সব খানেই তিনি বাংলাদেশের হয়ে বানিজ্য সুবিধা, শ্রমিক রপ্তানী, কোটা সুবিধা চেয়েছেন-আজ যখন স্বৈরাচারী বাকশালী ধারায় ধাবমান আম্লীগ নজর রাখতে আমেরিকা তথা বিশ্ববাসীর কাছে লেখা উপস্থাপন করেছেন-তখন আম্লীগ তার চূড়ান্ত কদর্যরূপটি বের করে দেশপ্রেমিক সাজার বাহানা করছে। কিন্তু জাতীয়তাবাদীরা বাংলাদেশকে সঠিক পথে রাখবে, আগামী নির্বাচনকে আওয়ামী খায়েশে হওয়াকে রুখে দিবেই দিবে। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধরে রাখতে বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তির গুলোর কাছে বাকশালী স্বৈরাচারকে চিনিয়ে দিলে সঠিক কাজটিই করেছেন। খালেদা জিয়া কাউকে বাংলাদেশে হামলা চালাতে বলেননি, গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশের স্বার্থে যেকোনো সহযোগিতা সাহায্যকে সমর্থন করি।
প্রকৃত সত্য হলো দেশকে সংঘাতে নিতে আম্লীগ এখন মরিয়া, যাতে এই দোহাই দিয়ে আবারো ক্ষমতায় যাওয়া যায়, কিন্তু আম্লীগের সেই খায়েশ কখনোই পূরণ হবে না, হতে দেওয়া হবেনা।
৩৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
ইমদাদুল হোসেন বলেছেন: আমার মনে হয় খালেদা জিয়ার লেখাটা খুব একটা খারাপ হয় নাই। তার পরেও যারা পড়েন নি তাদের জন্য বাংলায় অনুবাদ টা দিলাম। অনেকে একমত হতে পারেন আবার কেও ভিন্নমত হতে পারেন তবুও বলতে হয়, আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এরচেয়ে অনেক বেশী খারাপ কথা বলেছিলেন বোধ হয় । যাদের মনে আছে তারা তো জানেন.............
বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে
২০১৩ সালে কি বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের বরফ গলবে? আমার দেশ পনেরো কোটি মানুষের দেশ। ভারত ও মিয়ানমারের মাঝখানে এর অবস্থান। উনিশশো একাত্তরে স্বাধীনতা লাভকারী দেশটিকে অভ্যুদয়ের শুরুতেই যেসব দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র সেগুলোর অন্যতম। কিন্তু গত ক’বছরে একটি কারণে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে চিড় ধরেছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চর্চা বাধাগ্রস্ত করা হলেও এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র চুপচাপ রয়েছে, এবং বাংলাদেশের প্রাপ্ত অর্থনৈতিক সুবিধাবলী অন্যান্য বর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তির হাতে চলে যাচ্ছে- এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করা যেতে পারে।
এর মানে এ নয় যে, মার্কিন সরকার, কংগ্রেস এবং তাদের দ্বারা পরিচালিত এজেন্সিগুলো কিছুই করছে না। ছ’মাস আগে, বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতি ও তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগে বাংলাদেশের একটি প্রকল্পে অর্থায়ন প্রক্রিয়া বাতিল করেছে। পদ্মানদীর ওপর প্রায় চার মাইল দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের জন্য এ ব্যাংকের বাংলাদেশকে দু’বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশের গত চল্লিশ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প এটি। বিশ্ব ব্যাংক এ ব্যাপারে একটি যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
তাছাড়া, মার্কিন কংগ্রেসের বাংলাদেশ-সংক্রান্ত ককাসের সদস্যরা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের সঙ্গে সরকারের, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আচরণের সমালোচনা করেছে। ড. ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিয়েছে। এ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের জন্য পুরষ্কার পেয়েছে। অথচ সরকার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ড. ইউনূসকে সরিয়ে দিয়েছে। কেন তাকে সরানো হল? অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন যে, পুরষ্কারটি ভুল ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে: ‘‘বাংলাদেশের কেউ যদি নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার যোগ্য হয়ে থাকেন তবে তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’’
বেশিরভাগ বাংলাদেশিই এটা মানবেন না যে শেখ হাসিনা পুরষ্কার পাওয়ার মতো কিছু করেছেন। ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কাগজে-কলমে প্রায় তিনশ লোক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে, যার জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রীর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- পুলিশের একটি প্যারামিলিটারি শাখা। ওই ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে শেখ হাসিনার নোবেলপ্রাপ্তির উপযুক্ততার কথা জিজ্ঞেস করে দেখুন। এ সরকারের সময় খুন হয়েছেন শ্রমিক-অধিকার নেতা আমিনুল ইসলাম, যে জন্য এএফএল-সিআইও মার্কিন-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্কে বাংলাদেশ যেসব সুবিধা পাচ্ছে তা ফিরিয়ে নিতে ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। আমিনুলের পরিবারের কাছে প্রধানমন্ত্রীর নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে কথা বলে দেখতে পারেন। বাংলাদেশের স্থানীয় অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে রাজনৈতিক নেতাদের বিচার চলছে, তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে গণহত্যায় যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে- সে নেতারা ও তাদের সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রীর নোবেল পুরষ্কারপ্রাপ্তির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন।
শেখ হাসিনা সরকার শুধুমাত্র তাঁর শাসনের বিরোধিতাকারীদের যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছেন বলে যুদ্ধাপরাধ-সংক্রান্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সমালোচনা করেছেন। গত ডিসেম্বরে ইকোনমিস্ট পত্রিকায় ফাঁস হয়ে যাওয়া ট্রায়াল-সম্পর্কিত কিছু ই-মেইল ও ফোন কল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে যে, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য কীভাবে তাঁর সরকার ট্রায়ালের বিচারকদের ব্যবহার করছেন।
সোজা সরল ভাষায়, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার দিক থেকে সরে এসেছে, খুব দ্রুত এটি একটি পরিবারের ক্ষমতালিপ্সা পূরণের হাতিয়ার হয়ে উঠছে। প্রধানমন্ত্রী এখন চেষ্টা করছেন সংবিধান থেকে নির্বাচনের ছ’মাস আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা বাতিল করে দিতে। বস্তুত, তিনি নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করতে সহায়তা করেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা হল একটি অরাজনৈতিক সরকার যেটি জাতীয় নির্বাচনের আগে ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং কোনো ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই নির্বাচন-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকা মানে এর নিশ্চয়তা দেওয়া যে, নির্বাচন হবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। ভোটাররা নতুন সরকারকে নির্বাচিত করার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। এ বছর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার সরকারি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে লাখো জনতা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে। তবু শেখ হাসিনা তাঁর সিদ্ধান্তে অটল, তিনি মনে করছেন যে এভাবে তিনি পুননির্বাচিত হবেন, যদিও জনগণ তাঁকে চায় না।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি রাষ্ট্র বার্মা নির্বাসন থেকে মুক্ত হয়ে নতুন পথে হাঁটতে শুরু করেছে, পুননির্বাচিত হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রথম সফরেই সে দেশে গিয়েছেন। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত এর অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছে। সেখানে বাংলাদেশ যদি কোনো পরিবারের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে, তাহলে পুরো অঞ্চলটিই অনেক পিছিয়ে যাবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এলাকা, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখানে মুক্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে সাহায্য করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বাংলাদেশের জনগণও ব্যালট বাক্সে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে চায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র রাষ্ট্রগুলো, যেমন গ্রেট ব্রিটেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ব্যাপারে প্রভাবিত করতে পারে যাতে নির্বাচনে জনগণের মত প্রতিফলিত হয়। বাংলাদেশকে গণতন্ত্রায়নের পথ থেকে সরে না আসার জন্য এ দেশগুলোকে অবশ্যই আরও কঠোর ভাষা ব্যবহার ও কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। কংগ্রেস ও ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ড. ইউনূসের মতো মানুষকে আরও সম্মান দিতে পারে- দারিদ্র্য দূরীকরণে তিনি যে অবদান রেখেছেন সে কথা শেখ হাসিনার মতো মানুষেরা যেখানে স্বীকার করছেন না।
তারা শেখ হাসিনাকে এটাও বোঝাতে পারেন যে, বাণিজ্য থেকে যে সাধারণ সুবিধাগুলো বাংলাদেশ পেয়ে থাকে, সেগুলো তুলে নেয়া হবে যদি শ্রমিক অধিকারের পক্ষে যারা লড়াই করছেন বা প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে যাদের অমিল রয়েছে তাদের মতপ্রকাশের সুযোগ দেওয়া না হয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের বিপক্ষে যারা কাজ করছেন তাদের ভ্রমণ ও অন্যান্য মঞ্জুরির ব্যাপারে পশ্চিমা শক্তিগুলোর বিশেষ বিবেচনা রাখা উচিত। এসব ভূমিকা তাদের খোলাখুলি রাখতে হবে, বলতে হবে এ নিয়ে- তাতে এ দেশের জনগণ তা দেখতে ও শুনতে পাবে। আর এভাবেই যুক্তরাষ্ট্র গোটা বিশ্বে গণতন্ত্রায়নের প্রক্রিয়া চালু রাখতে পারে।
বলা হয়, ‘‘ন্যায়বিচারের আদালতের চেয়েও উচ্চতর আদালত রয়েছে, আর তা হল নৈতিকতার আদালত।’’ শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও দারিদ্র্য দূরীকরণের মতো উচ্চ নৈতিকতার বিষয়গুলো নিরাপদ থাকবে এটা অসম্ভব। বস্তুত, এ সময়ে সবকিছুই চরম বিপদের মুখোমুখি। মার্কিন নেতৃত্বে পুরো বিশ্বকে এখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র-রক্ষার জন্য কাজ করতে ও নিশ্চয়তা দিতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৯
টয় বয় বলেছেন:
খালেদা যা লিখেছে, একটি লাইনও মিথ্যা না| সত্য লিখেছে, আওয়ামীলীগ কান্তাছে কেন??
হাসিনা যখন ইউরোপ-আমেরিকা-জাতি সংঘ স হস সব দেশের দূতাবাসে চিঠি লিখছিল, সেইটা কি ভুইলা গেল আম্লীগ??
অস্ট্রেলীয়া থেকে স্যার নিনিয়ানকে ডেকে এনে মাতাব্বরি করার সুযোগ দিয়েছিল আম্লীগ ও হাসিনা|
মাত্র ৪ বছর আগে আমেরিকা-ভারত-বৃটেনের সাথে হাসিনার গোপন বৈথক কি সবাই ভুইলা গেছে??
এখন খালেদা যা করেছে, ঠিক করেছে, আম্লীগের যায়গামত পেপার স্প্রে দিয়েছে, জ্বলছে আম্লীগের, জ্বলছে!!!!