নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশপ্রেম

দেশের মানুষকে ভালোবাসি

কাণ্ডারী

নামের মাঝে পাবেনা কো সবার পরিচয়.......

কাণ্ডারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী আন্দোলন না করা কতিপয় যুক্তি বনাম তার জবাব :০১

২৪ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৩:৪৩

অনেকে বিভিন্ন অজুহাত বা যুক্তি দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের মত অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকেন।লেখক ‌‍‍"আবুল হাসেম মোল্লা" এমন ২৮ টি যুক্তির জবাব দিয়েছেন,তার লিখিত বই "ইসলামী আন্দোলন না করা কতিপয় যুক্তি বনাম তার জবাব :" শীর্ষক বইতে।নিম্নে তার বই থেকে আজ একটি যুক্তির জবাব পেশ করা হলো।পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোও পেশ করা হবে,ইনশাআল্লাহ !



রাজনীতি ভালো লাগে না ঃ

"আপনার এই যুক্তির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।কারণ এক সময় আমি নিজেও রাজনীতিকে খুব ঘৃণা করতাম।কারণ আমি জানতাম রাজনীতি মানেই চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজি,প্রতারণা,অহেতুক নেতাগিরি,চামচাগিরি,মামাগিরি,হানাহানি আরো যাবতীয় অপকর্মের সমাহার।কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের মাঝে যে রাজনীতি,এ রাজনীতি গতানুগতিক রাজনীতি নয়।বরং এ রাজনীতির মাঝে কোরআন অধ্যয়ন,হাদিস অধ্যয়ন,নবী রাসূলগণের জীবনী অধ্যয়ন,নিজের যোগ্যতাকে সমৃদ্ধ করা,নামাজ পড়া,অন্যের কাছে সত্যের দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে জান্নাতের রাস্তা সুগম করা।বাতিলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা।কোরআনের আইন প্রতিষ্ঠা করা,জমিনে হুকমত প্রতিষ্ঠা করা।স্বার্থবাদিতা আর অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম করা।যেখানে কোন দলাদলি বা নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতার সুযোগ নেই।নেতৃত্বের জন্য তাকওয়া বা আল্লাহভীতিই মূলদন্ড।

কোরআনের বানী:

‍"নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই সবচেয়ে বেশী সম্মানিত,যে যত বেশী আল্লাহকে ভয় করে।"{হুজরাত:১৩}

তাছাড়া আল্লাহ তায়ালার বিধান জমিনে প্রতিষ্ঠা করতে হবে,এটা আল্লাহ তায়ালার অলংঘনীয় বিধান।যুগে যুগে নবী রাসূলগণ সে দায়িত্বই পালন করেছেন।সুতরাং আপনি রাজনীতি ভালো লাগে না বলে বসে থাকবেন,আর ইসলাম বিরোধী শক্তি ক্ষমতার মসনদে বসে ইসলাম ধ্বংসের লাইসেন্স পেয়ে যাবে এ ধরনের হীনমন্যতা ইসলাম শিক্ষা দেয় না।সুতরাং ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাজনীতির বিকল্প নেই।ওষধ যেমন তিতা লাগলেও রোগ মুক্তির জন্য খেতে হয়,শীতকালের ফজরের নামাজ অত্যন্ত কষ্ট হলেও যেমন পড়তে হয়,অনুরুপ আপনার ভালো না লাগলেও ইসলামকে প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই রাজনীতি করতে হবে।পার্থিব কোন চাহিদার জন্য নয়।ইমাম হাসানুল বান্নাহর একটি কথা প্রসংগত বলা যায় :

"we call you to the teaching of islam,to the way of islam,to the rules of islam,to the gudince of islam if this means politics to you,than this is our politics."

"আমরা তোমাকে ইসলামের শিক্ষার দিকে ডাকি,ইসলামের পথে ডাকি,ইসলামী শাসনের দিকে ডাকি,ইসলামের দিক-নির্দেশনার দিকে ডাকি,যদি এটা তোমার কাছে রাজনীতি মনে হয়,জেনে রেখ এটাই আমাদের রাজনীতি।"

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১৩/-২

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৪:১৬

বাকরুদ্ব বলেছেন: ভাল লিখেছেন...
এখন বলেন এই উপমহাদেশে এমন একটি আন্দোলন যার সাথে যুক্ত হয়ে আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে পারব....

আরেকটা কথা, নেতার প্রতি কি এবসিলিউট আনুগত্য করতে হবে নাকি?

নেতা নির্বাচন কেমনে হবে.. হাসান আল বান্নার উদাহরন দিলেন???
সেতো আরবের...আমাদের উপমহাদেশের দু একজনের নাম দেন...

২৪ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩

কাণ্ডারী বলেছেন: ভােলা বলার জন্য ধন্যবাদ ।

আমি একটি আন্দোলনে বিশ্বাসী । আপনার আপত্তি না থাকলে তার যেৌক্তিকতা আমি বুঝিয়ে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ।

না , আনুগত্য হতে হবে শর্ত সাপেক্ষ । ইসলাম অন্ধ আনুগত্য সমর্থন করে না।

দলের সদস্যদের ভোটে নেতা নির্বাচিত হবে ।

কথা যদি ইসলাম সম্মত হয় তাহলে আরব কেন, ইউরোপিয়ানদের কথাো গ্রহনযোগ্য হবে । আর যদি অনৈসলামী হয় তাহলে নিজের পিতামাতার কথাো মানার অধিকার নাই ।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৪:৩৫

এক্স বলেছেন: ইসলামের কালেমাই তো রাজনৈতিক কালেমা.

লা ইলাহা ইল্লা ইলাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (স)

কোন ইলাহ (বিধানদাতা) নেই আল্লাহ ছাড়া এবং মুহাম্মাদ সা তাঁর রাসূল.

বিধান মানেই শাসন-সংবিধান এবং সংবিধান মানেই রাজনীতি. রাজনীতির অর্থ হচ্ছে উম্মাহ এর দেখাশোনা করা. কাজেই মানুষের দেখভাল করাই তো দুনিয়ার সবচেয়ে উত্কৃষ্ট কাজ. রাজনীতিবিদ তারাই যারা মানুষকে সত কাজে আহ্ববান জানাবে আর অসত কাজে বাধা প্রদান করবে সর্বোপরি আল্লাহর হুকুম পালন করবে ও রাসূল সা এর সুন্নাহকে অনুসরন করবে.

কুরআনের সকল হুকুম বাস্তবায়ন করা রাষ্ট্রনায়ক ছাডা আর কারও পক্ষে সম্ভব নয় এবং কুরআনের হুকুম বাস্তবায়ন করা প্রতিটি মুসলমানের উপর ফরয. কাজেই মুসলমান হতে হলে অবশ্যই রাজনীতি করতে হবে. রাষ্ট্রনায়কের অনুগত হতে হবে এবং তাকে সাহায্য করতে হবে কুরআন তথা সালাত প্রতিষ্ঠার জন্য. আর রাষ্ট্র না থাকলে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্রনায়কের কাছে শপথ নিতে হবে সালাত প্রতিষ্ঠা করার. এসকলই রাজনৈতিক কর্মকান্ড. কাজেই রাজনীতি করা ফরযে কিফায়া.

২৪ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩৪

কাণ্ডারী বলেছেন: ধন্যবাদ ................................

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:০১

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: এই উপমহাদেশে ইসলামি আন্দোলন মানে এক ধরনের ভন্ডামি।

তাই এই উপমহাদেশে না আছে সত্যিকারের ধর্ম, না আছে সত্যিকারের ধর্মের পথ প্রদর্শক।

২৪ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩৯

কাণ্ডারী বলেছেন: বাঙগালীর বদ অভ্যাস !!!!!! নিজে যা ভালো করে , তার চাইতে অনে্যর দোষ ধরে বেশি ।

আপনি ভালোভাবে শুরু করুন , আমি আপনার আনুগত্য করবো ।

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৪৪

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ঘরের অপ্রয়োজনীয় সব লাইট ফ্যান বন্ধ আছেতো? কোথাও কোন কল ছাড়া নেইতো?? একবার একটু চেক করে দেখুন না... বিদ্যুৎ এবং পানি সাশ্রয় করুন... দেশটাতো আমাদেরই। এই দেশটাকে বদলাতে হবেই। আমরা বদলাবো একে...

২৪ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪১

কাণ্ডারী বলেছেন:
এতদিন পরে প্রবাদের মর্ম বুঝলাম , ধান ভানতে শিেবর গীত গাোয়া ।

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪২

এক্স বলেছেন: @নিষ্কর্মা - কুরআন ও সুন্নাহ তো আমাদের সামনেই আছে কাজে অন্যের কথা না শুনে নিজেই বিচার করুন কোনটি ভাল আর কোনটি মন্দ, কোন দল যদি ভালর কষ্টিপাথরে টিকে যায় তবে তাতে যোগ দেন না হলে নিজেই শুরু করুন রাসূল সাঃ কে অনুসরন করে. ...

২৪ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৫৭

কাণ্ডারী বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৩:০০

হাম্বা বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাঙগালীর বদ অভ্যাস !!!!!! নিজে যা ভালো করে , তার চাইতে অনে্যর দোষ ধরে বেশি ।

আপনি ভালোভাবে শুরু করুন , আমি আপনার আনুগত্য করবো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.