![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চেতনার স্বচ্ছ নীলাকাশ
সহসা বিদীর্ন ভাবনার বজ্রপাতে।
বিলাস লালিত্যের ঘোর কেটে যেতেই
চোখে ভাসে টুকরো টুকরো উল্কাপাতের ছবি-
গনি মিয়ার বাতগ্রস্থ পায়ের চাপে
গতি পায় শখের দ্বিতল বাস।
অথচ তার শীমুলতলীর গেরস্থলী
থমকে আছে সেই অভাবের এদোগলিতে।
ওদিকে প্যাডেল ঘুরিয়ে ক্লান্ত সরাফত
জীর্ন আস্তিনে ঘাম মুছে-
ফ্যাসিস্টদের আড্ডাঘরের জানালা দিয়ে শোনে;
রাতজাগা বুদ্ধিবৃত্তিজীবিদের শোরগোল,
রাত্রির কোলে এরা জীবিকা কুড়োয় সবাই।
টকশোর কথা ফুলঝুড়িতে ঘোরে
গনি আর শরাফতের ভাগ্যের লাটিম
এরপর রাত্রি নিষিদ্ধ প্রহরো পৌছুলে-
চাষাভুষোর জীবনকে ব্যর্থ তকমা দিয়ে
সমাধানের নামে ডটেড কন্ডোম ব্যবস্থাপত্র ঝুলিয়ে-
বুদ্ধির সওদাঘর পাশ ফেরে শোয় শীতল শয্যায়।
শীমুলতলীর বস্তিঘরে তখন-
গনিমিয়া কাৎরায় বাত আর ক্ষোভের বেদনায়।
আর দুমাসের উপোস নিয়ে সরাফত
প্যাডেল ঘুরিয়ে রওয়ানা হয়,
রুজ পাউডার মাখা রাতজীবী কুহকীনীর খোঁজে।
শুণ্য রাস্তাকে টুংটাং ছন্দে সচকিত করে
সরাফত ভাবে ব্যর্থ জীবনকে নাহয়;
ডোবাই আরো একটু কাদার আস্তরনে।
আদিম উল্লাসে মত্ত বিছানা তখন
পরিহাস করে আরেক রাতজীবির শীতল শয্যাকে
মধুর মত জমাট অন্ধকারে ঝলকায়
নিষিদ্ধ হাসির বিদ্যুতচ্ছটা।
আমাদের শরাফত তখন সজ্ঞাহীন আনন্দে মৃত।
©somewhere in net ltd.