![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক কথার অনেক ভিড়ে হয়নি তোমায় বলা তোমার জন্য আমার আকাশ হাজার তারার মেলা আজকে আমার সব কবিতা সব কান্না হাসি তোমায় দিলাম বলতে এলাম,,,,,,,,,,,, তোমায় ভালবাসি,,,,,,,,,,,,,,,,,
খুবই আজব লাগছিল যখন আমার বিয়ে ঠিক হল। অচেনা একজন এর সাথে বাকিটা জীবন কাটাতে হবে। বাবা-মা এর পছন্দ মতই বিয়ে হয় আমার । দেখতে তেমন ভাল ছিলাম না বলে প্রেম করার সৌভাগ্য হয়নি কখনো। যেদিন আমাকে দেখতে আসে, ছেলেকে দেখেই মনে হয়েছিল যে আমাকে ওদের পছন্দ হবে না। কারন ছেলে অনেক স্মার্ট এক কথায় সেরম সুন্দর । সবথেকে বড়ো কারন হল আমি অনেক কালো যতটা কাল হলে মা তাদের মেয়েকে শ্যামলা বলে তারচেয়ে বেশী কাল কিন্তু এই কালোর আড়ালেও আমার একটা কিউট আর মায়াবী চেহারা আছে তারচেয়ে বড় কথা তিথির মন টা আসলেই অনেক ভাল।কিন্তু মেয়েদের সুন্দর এর আসল মাপকাঠি তো কাল আর ফরসা দিয়ে বিচার হয় তাই আমাকে কোন ...ছেলেই পছন্দ করে না। করবে এমনটি আশাও করি নাই।যখন খবর আসলো যে ছেলে আমাকে পছন্দ করেছে, আমি ত পুরাই টাশকি খাইলাম।
বিয়ের দিন আমার সব বান্ধবীরা আমাকে বাসর রাত এর ব্যাপারে জ্ঞান দিচ্ছিল।ভাব টা এরকম যেন সবাই একএক টা এক্সপাট কিন্তু সবগুলাই unmarried। ফাজিলের এর ফাজিল সবগুলা। তিথির খুবই অস্বস্তি লাগছিল। আসলে আমি খুবই শান্ত-শিষ্ট একটা মেয়ে। খুব কম কথা বলি। বাসর ঘরেও আমি খুব ভয় এ ছিলাম। সারাদিন বিয়ের ধকল যাওয়াতে অনেক ক্লান্ত ও ছিলাম। ও যখন ঘরে ঢুকল, হঠাৎ হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল। কিন্তু কাছে আসার পর সে যা বলল, সেটা শুনে আমি অভিভুত এবং অবাক হয়ে গেলাম।
সে বলল “তুমি নিশ্চই অনেক ক্লান্ত। খাওয়ার সময় ও বেশি কিছু খেতে পারনি দেখলাম। এখন কিছু খাবে?”
আমি না বললাম।
সে বলল “আচ্ছা, তাহলে শুয়ে পড়।”
তার প্রতি অন্যরকম এক ভাললাগা আমার উপর ভর করে। সম্মানবোধ করি তার প্রতি। কারন সে আমাকে হয়ত বুঝতে পেরেছে।
পরদিন সকালে নাশতার পর আমি আলমারি গুছাচ্ছিলাম। সে হটাত পেছন থেকে এসে আমাকে এমনভাবে জরিয়ে ধরল, যেন সে আমার কতকালের চেনা। তখন একইসাথে ভাল লাগা এবং একরকম নতুনত্ব অনুধাবন করি। আমি সবসময় চুপচাপ থাকতাম। সে আমাকে সবসময় খুশি রাখার চেষ্টা করত। তার বাবা-মা অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। কোন ভাইবন ও নেই। এই দুনিয়া তে আমি ছাড়া তার আপন কেও নেই। একদিন রাত এ আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। অন্ধকারেও বুঝতে পারি যা তার চোখে পানি। সে আস্তে করে আমাকে বলছে “আমাকে কখন ছেড়ে যেও না। তুমি ছাড়া ত আমার আর কেও নেই।” সেদিন আমি মনে মনে তার কাছে প্রতিজ্ঞা করি যে আমি কখনো তাকে ছেড়ে যাব না।
অফিস থেকে আমাকে প্রতিদিন ফোন করে জিজ্ঞেস করত আমি খেয়েছি কিনা। আমি জানি যে আমি না খেলে সেও খাবে না। তার সম্পূর্ণ জগত ছিলাম আমি। অবশ্য আমার প্রতি তার অনেক অভিযোগ ছিল। কারন আমি কখনই তার সাথে ফ্রী হয়ে কথা বলি না। সবসময়ই জড়তা থাকে। আমি নিজেও সেটা বুঝি। কিন্তু জড়তা কাটিয়ে উঠতে পারি না। তবে প্রায়ই কেন যেন মনে হতে লাগল আমি তাকে অনেকদিন থেকে চিনি। কোথায় যেন দেখেছি তাকে,বেশ আগে। কিন্তু কিছু মনে করতে পারি না।
আমাদের বিয়ে হয়েছিল ডিসেম্বর মাসে।পরের বছর ১৪ই জানুয়ারিতে আমার জন্য বিশাল এক চমক অপেক্ষা করছিল। সে আমাকে ফোন করে আমার ছোটবেলার স্কুল এর সামনে আসতে বলে। আমি অবাক হয়ে জাই। তারপরও গেলাম। গিয়ে দেখি সেখানে সে হাতে একটি জংলি ফুল নিয়ে আমার কাছে আসছে। দৃশ্যটি খুব পরিচিত মনে হল। কাছে এসে সে পুরাই বাংলা সিনেমার মত করে বলল -
“আমি তোমাকে ভালবাসি। তুমি যদি আমাকে ভালো না বাসলে আমি গাড়ির নিচে পড়ে আত্মহত্যা করব।”
আমার তখন হঠাৎ করেই সবকিছু মনে পড়ে। ঠিক এই ঘটনাটি আমার জীবনে ঘটেছিল ১০ বছর আগে। ক্লাস নাইন এ পরতাম আমি। একদিন বেশ সুন্দর একটি ছেল এসে আমাকে ঠিক এভাবেই প্রপোজ করেছিল। আগেই বলেছি আমি বেশ কালো। তাই এত সুন্দর একটি ছেলে আমাকে প্রেম নিবেদন করায় আমি অনেক খুশি হয়ে যাই। ছেলেটি আমার দিকে একটি জংলি ফুল এগিয়ে দেয়। অনেক লাজুক হওয়া সত্ত্বেও আমি ফুলটি হাতে নেই। হাতে নেয়ার সময় সে আমাকে বলে ফুল হাতে নিয়ে ফেলে দিলে সে আত্মহত্যা করবে। ফুল হাতে নেয়ার পর আমি দেখতে পাই ফুল এর ভেতরে এক ভয়ঙ্কর পতঙ্গ। দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই। কিন্তু তবুও আমি হাত থেকে ফুল ফেলি নি এই ভয় এ যে সে যদি আমাকে ভুল বুঝে আত্মহত্যা করে! হয়ত সে জানেও না যে ফুল এর মাঝে একটি কুৎসিত পতঙ্গ আছে।
কিছুক্ষণ পর তার বন্ধুরা হাসতে হাসতে বের হয়। পরে বুঝতে পারি, তারা শুধু মজা করার জন্য এই কাজটি করেছে। তাদের মধ্যে একজন বলে ওঠে “পোকাটা দেখতে ঠিক তোমার মত,তাই না?” প্রচণ্ড অপমানিত হই আমি। সেই ছেলেটিও বলে ওঠে “তুমি কি মনে করেছিলে, তোমার মতো মেয়েকে আমি ভালবাসবো!!!” আমার চোখ ফেটে সেদিন অঝোরে অশ্রু ঝরেছিল।
বুঝতে পারলাম, সেই ছেলেটি মানে অভ্র এখন আমার স্বামী। সে বলল, “সেদিন তোমার সাথে যে খারাপ ব্যাবহার আমি করেছি, তার ফলও ভোগ করেছি। এক সুন্দরী মেয়েকে আমি অনেক ভালবাসতাম। আমাদের মাঝে সম্পর্কও ছিল। একদিন একটা এক্সিডেন্ট এ আমার পা এর হাড় ভেঙ্গে যায়। ডাক্তার বলেছিল ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু সময় লাগবে। আমি দুষ্টুমি করে ওই মেয়েকে বললাম যে আমার পা আর কখনও ভাল হবে না। তারপর খেয়াল করলাম ও আমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। একদিন আমাকে সে বলল যে সে পঙ্গু একজনের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারবে না। সেদিন আমি তাকে বলতে চেয়েছিলাম যে আমি আসলে ঠিক আছি। কিন্তু আর বললাম না। সেদিন কেন যেন বারবার আমার তোমার কথা মনে হচ্ছিল। তোমার কান্নামাখা মুখটি বারবার চোখ এর সামনে ভেসে উঠছিল। সেদিন আমি ঠিক করলাম যে আমি তোমাকেই বিয়ে করব। অনেক কষ্টে তোমাকে খুঁজে বের করলাম।বিয়ে করলাম। ভেবেছিলাম আগে প্রপোজ করে পরে বিয়ে করব। কিন্তু তোমার ফ্যামিলি তাড়াতাড়ি তোমার বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। যদি অন্য কারও সাথে তোমার বিয়ে হয়ে যায় সেই ভয়ে আগে বিয়ে করে নিলাম। আজ সেই ঘটনার ঠিক ১৪ বছর সেই একই দিনে আমি তোমাকে আবারো প্রপোজ করছি। এবার মন থেকে। ফুলটি নাও। না নিলে আমি গারির নিচে পড়ে আত্মহত্যা করব।”
আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। সে বলল “ভয় নেই, এবার কোন কুৎসিত পোকা নেই ফুলটিতে।”
আমি সেখান থেকে দৌড়ে চলে আসি ,না অভ্র বাসায় না , আমি আমার বাবার বাসায় আসি।
তার ১৫ দিন পর ডির্ভোস লেটার পায় অভ্র। পুরা দুনিয়া টাই ওর মাথাই ভেঙ্গে পরে । অনেক যোগাযোগ এর ট্রাই করে কিন্তু কোন লাভ হয় না।
সবাই বলে আমি নাকি মস্ত বড় একটা ভুল করেছে। কিন্তু আমার তা মনে হয় না যে আমি কোন ভুল করেছি। আমি জানি আমার ভাগ্যটাই খারাপ। আমি আমার কপাল টাকে মেনে নিয়েছি।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১১
অপরাজিতা নীল বলেছেন: ধন্যবাদ মাহতাব।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১১
সাখাওয়াত০২ বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। কেমন জানি বুকের ভিতর চিনচিন করে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
অপরাজিতা নীল বলেছেন: ধন্যবাদ।কেন চিনচিন করে?
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
সাদা রং- বলেছেন: শুভকামনা আপনার জন্য।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
অপরাজিতা নীল বলেছেন: ধন্যবাদ । আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২১
এল এইচ, জুয়েল বলেছেন: ভালোবাসার অধ্যায়টা অনেক আগেই বাদ দিয়েছি ... তাইতো নতুন কোন প্রশ্নউত্তর আজো খুজে পাই নাহ ... শুভ কামনা , তবে ঘৃণার উত্তর ভালোবাসাই হয় ঘৃণা নাহ ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
অপরাজিতা নীল বলেছেন: তবে ঘৃণার উত্তর ভালোবাসাই হয় ঘৃণা নাহ । কিভাবে ভাইয়া ??
ধন্যবাদ লেখাটি পরার জন্য।
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
Crazy তৌফিক বলেছেন: অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন.... তবে যাই করচে চিন্তাভাবনাকে প্রধান্য দিয়েই করবে.... জীবনরক নিয়ে অতি কঠর না হওয়ায় ভালো! আল্লাহ না করুক কিন্তু পরবতী সঙ্গী হয়তোবা ঔরকম ভালবাসা নাও দিতে পারে! ভুল করার পর অতি তারাতারি তা মিটিয়ে নেওয়ায় ভালো! পরে হাজার চেষ্টাতেও পুরান জীবণ ফিরে পাওয়া যায়না........ শুভকামনা রইলো
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
অপরাজিতা নীল বলেছেন: ধন্যবাদ। কিন্তু এইটা যে ভালবাসা তাও ত সিওর না। এটা ত জাস্ট ভুলের প্রাশচিও ও হতে পারে।
৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭
শ্রাবণ জল বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন।
কারো জন্য মনের ভেতর ঘৃণা জন্মালে, তার সাথে একই ছাদের নিচে বসবাস সত্যিই অসম্ভব।
ভাল থাকবেন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
অপরাজিতা নীল বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রাবণ । আসলেই ঘৃণা নিয়ে একই ছাদের নিচে বসবাস করা যায় না।
আপনিও অনেক ভাল থাকবেন।
৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭
এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: এটা কি নিছক গল্প না জীবন থেকে নেওয়া......
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
অপরাজিতা নীল বলেছেন: ইহা পুরাটাই গল্প । কিছুই সত্যি না ।
৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৬
শাহজাহান মুনির বলেছেন: ভালো লিখেছেন। শুভ কামনা ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫
অপরাজিতা নীল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩১
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: ভালো লাগল,খুব সুন্দর লিখেছেন
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬
অপরাজিতা নীল বলেছেন: ধন্যবাদ শুকনো পাতা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০১
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ভালো লিখেছেন। শুভ কামনা